সালমান খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণকারীরা গ্রেপ্তার



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

সালমান খান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের খান পরিবার এখন হয়তো একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। কারণ, সালমান খানের আবাসনের বাইরে যে দুজন দুষ্কৃতি গুলিবর্ষণ করেছিলেন, এখন তারা বন্দী।

গত রোববার কাকভোর থেকেই বলিপাড়ায় রীতিমতো হুলস্থুল পড়ে গেছে। এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ দুজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে চেপে বান্দ্রায় ভাইজানের ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে, চারটি গুলি চালিয়েছিলেন। আর তার পর থেকে খান খানদানের ঘুম প্রায় উধাও। ফরেনসিক বিভাগ সালমানের ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল এবং বারান্দার দেওয়াল থেকে দুটি গুলি উদ্ধার করেছে। এই হামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে। অপরাধ দমন শাখা অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ আক্রমণকারী অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির চেহারা উদ্ধার করতে পেরেছিল। এই দুই দুষ্কৃতির ছবি মুহূর্তের মধ্যে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
সালমানের আবাসন থেকে এক কিলোমিটার দূরে মাউন্ট মেরি চার্চের পাশে পুলিশ তাদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।

মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের নাম্বার ধরে পুলিশ এর মালিকের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু পুলিশ জানতে পারে যে কিছু আগেই তিনি মোটরসাইকেল বেচে দিয়েছিলেন। এরপর আরও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অজ্ঞাত দুই দুষ্কৃতির চেহারা ভালোভাবে উদ্ধার করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। হামলাকারী দুই ব্যক্তির একজনের সংযোগ গুরুগ্রামের সঙ্গে পাওয়া গেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে। অবশেষে ক্রাইম ব্রাঞ্চ গত সোমবার রাত একটা নাগাদ এই দুই দুষ্কৃতিকে গুজরাটের কচ্চের ভূজ থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

‘টাইগার থ্রি’ ছবিতে সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

দুই দুষ্কৃতির একজন হলেন ২৪ বছরের বিক্কি সাহব গুপ্তা, আর অপরজন ২১ বছর বয়সী সাগর যোগেন্দ্র পাল। তাদের মধ্যে বিক্কি হরিয়ানার গুরুগ্রামের ছেলে, আর যোগেন্দ্র পাল বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মসিহী নিবাসী। জানা গেছে যে গ্রেপ্তারের সময় তারা একটি মন্দিরে লুকিয়ে ছিলেন। বলা হচ্ছে যে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য হলেন বিক্কি আর যোগেন্দ্র। তাদের গ্রেপ্তার করতে গুজরাট পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ গোপন অপারেশন করেছিল।

এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আজ মঙ্গলবার ভোরবেলায় মুম্বাইতে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তাদের আদালতে তোলা করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছেন, আক্রমণের জন্য তারা যে বন্দুক ব্যবহার করেছিলেন, তা সুরাটের নদীতে ফেলে দিয়েছেন।

‘কিসিকা ভাই কিসিকি জান’ ছবিতে সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই মামলার বিষয়ে আরও অনেক কিছু খোলাসা করতে পারবে। এই মামলার তদন্তের জন্য মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১৫টা দল গঠন করেছে। এই দলগুলো দিল্লি, বিহার, হরিয়ানা, রাজস্থান ছাড়া গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। দুই দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ প্রেস নোটের মাধ্যমে জানিয়েছে যে তাদের লোকেশন খুঁজে পেয়েছিল। মুম্বাই পুলিশের থেকে কচ্চ পুলিশ এই তথ্য পেয়েছিল। তারপর গুজরাট পুলিশ স্থানীয় সংবাদদাতাদের সক্রিয় করেছিল। এর আগে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল যে সালমানের বাসার বাইরে আক্রমণকারী দুই দুষ্কৃতি মাসখানেক আগেই মুম্বাইতে চলে এসেছিল। আর তারা নাভি মুম্বাইতে এক ঘর ভাড়া করে থাকতেন।

‘টাইগার থ্রি’ ছবিতে সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

গত রোববার ১৪ এপ্রিল ভোরবেলার গুলিবর্ষণের আওয়াজ যারা যারা শুনেছিলেন, বান্দ্রা পুলিশ সেইসব ব্যক্তির বয়ান নিয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চকে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়ার আগে বান্দ্রা পুলিশ আইপিসির ধারা ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা), আর অস্ত্র রাখার অপরাধে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিক মামলা করেছিল। সালমানের বাসার বাইরে গুলিবর্ষণের দায়ভার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল নিয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল লরেন্স ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘জয় শ্রীরাম, আমরা শান্তি চাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে যুদ্ধই ঠিক আছে। সালমান খান, এই ঘটনা শুধু একটা ট্রেলার, তোমাকে যা আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম। তুমি যাতে আমাদের শক্তি বুঝতে পার, আর আমাদের পরীক্ষা নিয়ো না। এটা প্রথম এবং শেষ হুমকি। এরপর গুলি শুধু বাড়িতে চলবে না। তুমি দাউদ ইব্রাহিম এবং ছোটা সাকিলকে ভগবান মেনে এসেছ। এর চেয়ে বেশি বলার অভ্যাস আমার নেই। লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ, গোল্ডি বরাড় গ্রুপ, কালা জেঠরি গ্রুপ।’

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;