নিজেকে ‘বেয়াদব’ বললেন পরীমনি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পরীমনি / ছবি: সংগৃহীত

পরীমনি / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরীমনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। শ্যুটিং চলছে ফেলুবকশি। এর আগে ভারতীয় অভিনেতাদের সাথে কাজ করেছেন। ছিলেন যৌথ প্রযোজনার কাজেও। তবে এই প্রথম টলিউডের কোনো সিনেমায় অভিনয় করবেন তিনি। বিপরীতে আছেন ভারতীয় বাংলার অভিজ্ঞ অভিনেতা সোহাম।

সিনেমা জগতে অনেকদিন ধরেই রয়েছেন পরী। সফলতার মুখ খুব একটা না দেখলেও চর্চায় থাকেন বরাবরই। বাংলার পরিচিত নায়িকাদের তালিকায় উপরের দিকেই নাম থাকে তার। অবশ্যই এর কারণ তার ব্যক্তিগত জীবন। বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে নিজের জীবনে নানান উথাল পাথাল পর্যায় এসেছে তার জীবনে। ব্যক্তিগত জীবনের জের ধরেই তাই বেশি পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তাই তার কাজের ব্যাপারে কথা এলেও সেখানে ব্যক্তিজীবনের চর্চা চলেই আসে।

ফেলুবকশির শ্যুটিংয়ে পরীমনি / ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

ফেলুবকশি সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে ভারতের বিখ্যাত গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পরী। সেই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন তারা। সাক্ষাৎকারে নিজেকে নিয়ে কথা বলেন পরী। ব্যক্তিজীবন, কাজের জীবন এবং এই দুই ক্ষেত্রের সংযোগ নিয়ে নানারকম তথ্য দিয়েছেন পরী।

কলকাতার অভিজ্ঞতা, নতুন সিনেমার শ্যুটিং, সহঅভিনেতাদের সাথে সম্পর্ক সহ নানারকম তথ্য দিয়েছেন পরীমনি। কথা প্রসঙ্গেই আসে তার সমালোচিত এবং বিতর্কিত হওয়ার বিষয়। সেখানে পরী জানান, তাকে নিয়ে যেসব লেখা হয় তা পড়লে নিজেকেই চিনতে পারেন না তিনি। সবাই তাকে ভুল বোঝে- এমন অভিমানসূচক অভিযোগও করেন নায়িকা।   

পরীমনি / ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিজীবন এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তার ‘পরোয়া’ না করার ব্যাপারটা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি বলেন রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের জন্য একরোখা কিছু নিয়ম বেঁধে রাখার বিরুদ্ধে তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাই প্রতিবাদী তিনি। একারণেই বেয়াদব আখ্যায়িত হতেন। তবে এইভাবে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে বেয়াদব হয়ে বেশ গর্বিত নায়িকা- তেমনটাই জানালেন।

এছাড়াও ছেলের নাম নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বুবলীর সাথে সম্প্রতি ঘটা বিতর্ক নিয়েও নিজের অভিমত জানালেন।    

ফারাহ খানের মা মারা গেছেন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মায়ের সঙ্গে ফারাহ খান

মায়ের সঙ্গে ফারাহ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক ফারাহ খানের মা মেনকা ইরানি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তার মৃত্যুর খবরটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন (কেআরকে) ওরফে কমল আর খান।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ভারতের মুম্বাইয়ে মারা গেছেন এই তারকার মা।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পরিচালকের মা অসুস্থ ছিলেন। তিনি মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন।

এরপরে, তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল এবং বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু স্বাস্থ্যের ফের অবনতি হয়। এবং তাকে অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। যেখানে তিনি শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

ফারাহ খান ও সাজিদ খান উভয়েই বলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। নাচের কোরিওগ্রাফার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা ফারাহ সিনেমা পরিচালনায়ও সফল হন। তার পরিচালিত ‘ম্যায় হু না’ এবং ‘ওম শান্তি ওম’ বক্স অফিসে দারুণ সাড়াও ফেলে। অন্যদিকে তার ভাই সাজিদ খানও বলিউডের পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

;

হাসপাতালে শেষ দেখায় সামিনাকে যা বলেছিলেন শাফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার যে অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে আর ফিরলেন না শাফিন আহমেদ, সেই মঞ্চে সেদিন গেয়েছিলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় জানতে পারেন শাফিন আহমেদ চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর অবিশ্বাস্য ছিল সামিনা চৌধুরীর কাছে। এই খবর সহ্য করাটাও ছিল ভীষণ কষ্টদায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সামিনা চৌধুরী জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ইজাজ খান স্বপনসহ গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদকে দেখতে। হাসপাতালে তাদের থাকার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানালেন সামিনা চৌধুরী।

সামিনা বলেন, ‘‘তিন দিন আগে দেখে এলাম শাফিন ভাইকে। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন। স্বপনকে বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।’'

সামিনা আরও বলেন, ‘শাফিন ভাইকে পানি খাওয়াল স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হলো। শাফিন ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমাদের চলে আসতে বললেন আয়োজকেরা। কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।’

;

ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেম, ভাঙছে যীশুর ২০ বছরের সংসার?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউড তারকা যীশু সেনগুপ্ত আর সাবেক অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মার দুই দশকের দাম্পত্য জীবন। এত দিন তাদের সম্পর্ককে সবাই আদর্শ মেনে এসেছে। কিন্তু জীবনে কোনকিছুই যে স্থায়ী নয়, কিংবা আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তার সবটাই যে সত্য নয় সে কথা আরও একবার হয়তো ঘটতে চলেছে! কয়েক দিন ধরে হঠাৎই টলিপাড়ায় আলোচনায় তাদের বিচ্ছেদের খবর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক আগের মতো নেই। নীলাঞ্জনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টও সে ইঙ্গিতই দিয়েছে।

দুই কন্যাকে নিয়ে ‍সুখের সংসার ছিলো যিশুর

শিনাল সূর্তি নামের নারীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন যীশু। এটাই তাদের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন বড় মেয়ে সারাও।

এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি তাহলে যীশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে? যদিও এ বিষয়ে স্পিকটি নট যীশু সেনগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পক্ষে কথা বলেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। নীলাঞ্জনার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব বহুদিনের। প্রায় দিনই তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পাশেই দাঁড়ালেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়।

যীশু সেনগুপ্ত

মহুয়া নীলাঞ্জনার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমাকে দুর্দান্ত ও শক্তিশালী মানুষ বলেই জানি। খুব গর্ব হয় তোমার জন্য। সব সময়ই তোমার সঙ্গে রয়েছি নীলাঞ্জনা।’ পাল্টা মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন নীলাঞ্জনাও।

তবে শুধু মহুয়া চট্টোপাধ্যায় নন, নীলাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অভিনেত্রী বন্ধু রাগেশ্বরীও। তিনিও নিজের ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, ‘একসময় জীবনে কঠিন সময়ে তুমি আমাকে হাত ধরে বাঁচিয়েছিলে, এবার আমার পালা। আজ আমার পালা।’

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

ইতিমধ্যেই যীশু-নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন বলে খবর। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি বিচ্ছেদের বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, গুজরাটিকন্যা শিনাল সূর্তির সঙ্গেই নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ ইন সম্পর্কেও রয়েছেন। এমনকি ‘খাদান’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেও নাকি যীশু নিজের বাড়িতেও ওঠেননি।

প্রসঙ্গত, যীশু এ মুহূর্তে বলিউড, টলিউড ও দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় তাকে।

২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর বহু আগেই থেকেই যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাপ নীলাঞ্জনার। যখন তারা বিয়ে করেন, তখন যীশু টেলিভিশনের একজন উঠতি অভিনেতা। নীলাঞ্জনা শর্মাও অভিনয় করতেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। তবে বিয়ের পর সংসারেই মন দেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

যীশু সেনগুপ্ত

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

;

বায়োপিকের টিজারে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

  • Font increase
  • Font Decrease

টিমোথি শ্যালামেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। অভিনয়গুণে অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন কম বয়সী এই হলিউড অভিনেতা। তার অভিনীত ‘ডুন’ ও ‘ওঙ্কা’ সিনেমা দুটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর মূখ্য চরিত্রেও দেখা যাবে টিমোথি শ্যালামেকে। প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার। ‘আ কমপ্লিট আননোন’-ও যে বিশ্বজয় করতে চলেছে, তা টিজার দেখেই নিশ্চিত সিনেপ্রেমীরা।

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

টিজারে ‘আ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ গানের কিছু অংশ গাইতে শোনা গেছে টিমোথিকে। মেকআপ, পোশাক আর চুলের স্টাইলে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান! ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াক দ্য লাইন’, ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’, ‘লোগান’ খ্যাত পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

টিজারের শুরুতে টিমোথিকে ম্যানহাটনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। এ সময়ে অ্যামেরিকান গায়ন পিট সিগার বব ডিলানের গান প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পিট সিগারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নরটন। টিজারে ম্যানহাটনে ডিলানের কিছু প্রিয় স্থান দেখানো হয়েছে। তার মাঝে আছে ক্যাফে হোয়া এবং হোটেল চেলসা। টিজারে ডিলান, হোয়ান বাইজ এবং সিলভি রুশোর ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর দুটি দৃশ্যের কোলাজ

১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর গানের দুনিয়ায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বব ডিলান। ৮১ বছরের জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন এই গীতিকবি। নন্দিত এই গায়ক, গীতিকারের জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলি তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

;