এই বয়সে এসে ট্রলের শিকার মমতা শংকর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শ্রীলেখা মিত্র, মমতা শংকর ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

শ্রীলেখা মিত্র, মমতা শংকর ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শংকর। দশকের পর দশক শুধু কাজ দিয়ে মানুষের মনই ভরিয়েছেন। অথচ এই পরিণত বয়সে এসেও তিনি রেহাই পেলেন না ট্রলের হাত থেকে! একটি মন্তব্যের জন্য তার মতো গুণীকেও ছাড় দেওয়া হলো না!

সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়েদের শাড়ি পরা নিয়ে মন্তব্যটি করেছিলেন এই তারকা। এর পর থেকেই তার মন্তব্যটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ, অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে লেখক, সমাজকর্মী-সবাই মমতা শংকরের ওই মন্তব্যে তীব্র বিরোধিতা করেন।

আনন্দবাজারের পক্ষ থেকে মমতা শংকরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নতুন প্রজন্মের নারীদের সাজ নিয়ে তার কী ভাবনাচিন্তা? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আজকাল শাড়ি পরব, কিন্তু আঁচল ঠিক থাকবে না! ঠিক বুঝতে পারি না। আগে যাদের আমরা রাস্তার মেয়ে বলতাম, যারা ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন, তারা ওই ভাবে দাঁড়াতেন।’

একই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামে মহিলাদের কাজ করতে গিয়ে হয়তো আঁচল সরে যেত। তাতে কোনো দোষ ছিল না। আর ওরা (যৌনকর্মী) তো পেশার তাগিদে পুরুষদের আকর্ষণ করার জন্য ওভাবে শাড়ি পরে থাকেন।’ অভিনেত্রীর এই বক্তব্য নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

মমতা শংকর

মেয়েদের শাড়ি পরার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, ‘মেয়েরা ওভাবে শাড়ি পরবে, তারপরে ছেলেরা কিছু বললে রেগে যায়। বলবে মেয়েদের অসম্মান করা হচ্ছে। মেয়েদের একটা শালীনতার জায়গা আছে, যা দেখে ছেলেরা সম্মান করবে। আমাদের নিজেদের যদি এই মর্যাদা না থাকে, তা হলে ছেলেরা সম্মান করবে কীভাবে! আমি এর প্রতিবাদ করছি। প্রথম দেখাতেই তো একটা ধারণা তৈরি হয়। আমি হয়তো খুব ভালো মেয়ে, কিন্তু শাড়িটা ওই ভাবে আমি পরব কেন? নিজেকে ওভাবে দেখাতে যাব কেন!’

তসলিমা নাসরীন

মমতা শংকরের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন লেখক তসলিমা নাসরীন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার নামী নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী মমতা শংকর মেয়েদের শালীনতা বজায় রাখতে বলেছেন, তা না হলে পুরুষেরা মেয়েদের খারাপ ভাববে-এই যুক্তি দিয়ে। যে পুরুষেরা মনে করে মেয়েদের শালীনতা নির্ভর করে মেয়েরা কাপড়চোপড় দিয়ে শরীর কতটা ঢাকল তার ওপর, সেই পুরুষদের তিরস্কার না করে মমতা শংকর তিরস্কার করছেন মেয়েদের। তিরস্কার করে তিনি যে পুরুষতন্ত্রের ধারক এবং বাহক- সেটাই প্রমাণ করলেন।’

শ্রীলেখা মিত্র

অন্যদিকে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র অবশ্য মনে করেন ঢালাও সমালোচনার আগে অভিনেত্রী কী বলেছেন, সেটা বোঝা জরুরি। তার মতে, মমতা শংকরের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘মমতা শংকরকে ট্রল করার আগে উনি ঠিক কী বলতে চেয়েছেন, সেটা বোঝা উচিত। আমি নিশ্চিত, উনি লাইসেন্সড যৌনকর্মীদের অসম্মান করতে চাননি।’ এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা বলেন, ‘বুঝতে হবে উনি কোন প্রজন্মের মানুষ। তাকে হঠাৎ করেই কেউ যা খুশি বলতে পারেন না। উনি তো সব নারীর উদ্দেশে কিছু বলেননি।’

সুদীপ্তা চক্রবর্তী ও রূপাঞ্জনা মিত্র

মমতা শংকরের বক্তব্য প্রসঙ্গে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র ফেসবুকে লেখেন, ‘ল্যাম্পপোস্ট বা খুঁটিগুলো এই শহর থেকে অনেক আগে তুলে দেওয়া উচিত ছিল বলে আমার মনে হয়। কারণ, আবার প্রমাণিত হলো যে মেয়েরাই মেয়েদের চরম শত্রু।’

অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী কারও নাম না উল্লেখ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হেডলাইন দেখে “পুরোটা বুঝে গেছি” ভাবাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে আমাদের। ধৈর্য জিনিসটা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে! কী বলছি, কাকে বলছি, কার সম্পর্কে বলছি, কীভাবে বলছি -সেই মাত্রাবোধও বিলুপ্তপ্রায়!’
এদিকে মমতা শংকরের মন্তব্য নিয়ে আলোচনা তৈরি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি ডিজিটাল স্কেচ, যেখানে ল্যাম্পপোস্টের নিচে এক নারীকে শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে থাকতে গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মডেল আবার শাড়ি পরে ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও মমতা শংকর

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ভাইরাল ডিজিটাল স্কেচটি নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দারুণ হয়েছে, আমিও এ রকম একটা ছবি তুলব ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়ানো খারাপ মেয়েগুলোকে উৎসর্গ করে। শাড়ির আঁচলেই কিনা সব সম্মান লুকিয়ে আছে, যদি ওরা জানত। আমার বন্ধু আলোকচিত্রীরা একটু হাত খালি হলে জানিও।’

   

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে আজ আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

মৌটুসী বিশ্বাস

সমালোচকপ্রিয় অভিনেত্রী

বিশেষ দিবস ধরে আমি তা পালন করা বা তা নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করি না। তবে হ্যাঁ, একটি দিন যদি ভালোবাসার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ থাকে, একটি দিন যদি শ্রমজীবী মানুষের জন্য থাকে, বা বাবা-মায়ের জন্য থাকে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং অন্তত ওই দিনে তারা অনেকের কাছে স্পেশ্যাল হয়ে ওঠেন।

কিন্তু আমি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব সারা বছরই পালন করার চর্চার মধ্যে থাকি।

আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। এছাড়া বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, ড্রাইভারসহ নানা পেশার মানুষের সঙ্গে আমার ওঠাবসা করতে হয় রোজ। তার মানে তারা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ আমি খুব কম মানুষকেই দেখি যারা তার আশেপাশের এসব মানুষের কাজকে সম্মান করেন। কাজকে ছোট করে দেখলে কিন্তু যে কাজটি করছেন তাকে কোনভাবেই সম্মান করা যায় না। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি তাদের সেই সম্মানটা দিতে। কারণ আমি অনুধাবন করেছি যে, প্রতিটি কাজই জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সমান জরুরি।


আর একটা কথা, খুব ছোটবেলা থেকেই কোন রিকশা বা ক্যাবে চড়লে তার পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেবার পর ধন্যবাদ বলি, এটা আমার অভ্যাস। কারণ সবাই মিলেই তো সমাজে আমাদের সহাবস্থান। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজটি করছেন বলেই সমাজ একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারছে। নয়ত সমাজে বাস করাই কষ্টসাধ্য হতো।

সমাজ যাদের নিচু স্তরে ফেলে রেখেছে আমরা যদি তাদেরকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সম্মান করি, তাদের কাজের রিঅ্যাওয়ার্ড দিই তাহলে তারাও কিন্তু তাদের কাজের প্রতি আপনাতেই অনেক বেশি আন্তরিক হন। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ফলে আমাদের এই চর্চাটা করা উচিত।

;

১০০ মিলিয়নের মাইলফলকে কনার 'তুই কি আমার হবি রে'



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের সব তারা আছে দিনের গভীরে/ বুকের মাঝে মন যেখানে, রাখবো তোকে সেখানে/ তুই কি আমার হবি রে’-‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের এই গানটি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই গানের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন কনা। এবার এই জনপ্রিয় গানটি কনার ক্যারিয়ারে যোগ করলো নতুন সাফল্যের পালক।

 তুই কি আমার হবি রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কনা

 আজই ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই গানটি মাছরাঙা টিভি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। গানটি অন্তর্জালে প্রকাশের ১৬০৮ দিনের মাথায় ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের অনন্য অর্জনকে বিশেষভাবে দেখছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার টিম।

সিয়াম পরীমণি

তারকা সঙ্গীতশিল্পী কনা বলেন, ‘বাংলা সিনেমার গানের একটি ঐতিহ্য আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে বলেন, আগের মত ভালো গান হয়না; হলেও জনপ্রিয় হয়না। তবে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, ভালো গান এখনো হচ্ছে এবং শ্রোতারা  ভালো গানের কদর করতে কখনো ভোলেন না। ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানের মধ্যে খুব বেশি গান ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পার করেনি। সে জায়গা থেকে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের এই সাফল্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ টিমের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।

কনা

সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত, সিয়াম আহমেদ-পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর। রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৮টি পুরস্কার পায়; যার মধ্যে সংগীত বিভাগে একচেটিয়া রাজত্ব করে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি। এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান প্রয়াত সুমন রহমান। গানটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন খায়ের খন্দকার।

;

পুুরুষ ও নারী শিল্পীর সমান পারিশ্রমিক হোক: রুনা খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান

রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। প্রতি বছরের মতো আজও দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ।

রুনা খান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী

আমার দেশের প্রেক্ষাপটেই কথা বলতে চাই। শ্রমিক দিবসে আমার দুটি প্রত্যাশা। একটি জেনারেল প্রত্যাশা। সেটি হলো প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ যেন তার পরিশ্রমের মূল্যটুকু ঠিকঠাক মতো পায়, সময়মতো পায়। আমার অভিনয়শিল্পী, আমরাও অনেক সময় পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো সময়ে পাই না বা যা প্রাপ্য সেটি পাই না। তবে আমি বিশেষ করে দিনমজুরদের কথা বলছি। তাদের যেন সময়মতো সবাই মূল্যটা বুঝিয়ে দেন।


আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী, তাই শোবিজ নিয়ে একটা প্রত্যাশার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- এতো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি সমপরিমাণ জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী আর নারী শিল্পী- কখনোই সমান পারিশ্রমিক পান না। অথচ ডেডিকেশনের জায়গা বলুন, সততার জায়গা বলুন, পরিশ্রমের জায়গা কিংবা মেধার জায়গা- সবটাই তো নারী আর পুরুষ শিল্পীর সমান। তাহলে কেন তারা সমান পারিশ্রমিক পাবেন না? একই নাটকের কথা বাদই দিলাম, যেখানে নারীকেন্দ্রিক গল্প রয়েছে সেখানে অভিনেত্রীরা যে পারিশ্রমিক পান, তারচেয়ে একটি সাধারন প্রেমের নাটকে অভিনেতারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। তাই চাইব- একদিন এই বৈষম্য আর থাকবে না আমাদের বিনোদন অঙ্গনে।

;

সালমান খানের বাড়িতে হামলার সাথে দেশদ্রোহীতার সূত্রতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেই সালমান খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। কেউ আহত না হলেও বাড়ির সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। সেই থেকেই পুলিশি পাহারায় ঘেরাও করা হয় সালমান খানের বাড়ি। পুলিশের ১৫টি টিমের তদন্তের কাজ চলতে থাকে পুরোদমে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা তদন্তে পুলিশ নতুন মন্তব্য করেছে।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

তথ্যসূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

;