লেখার উপকরণ পাই অভিনীত চরিত্র থেকে : ফারজানা ছবি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বইমেলায় মাকে নিয়ে ফারজানা ছবি

বইমেলায় মাকে নিয়ে ফারজানা ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী ফারজানা ছবি এবার নিজের বলয় ছেড়ে হাজির লেখক পরিচয়ে। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছেন তার প্রথম উপন্যাস ‘জলছবি’। অভিনেত্রীর লেখক হওয়ার গল্পটি জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমকে। কথা বলেছেন মাসিদ রণ


লেখালেখির চর্চা কবে থেকে শুরু করলেন?


আমার পুরো পরিবারেই বই পড়ার চর্চা ছিল। এখনো কোন পুরনো বই খুললে দেখি তাতে হয়ত বাবা নাম কিংবা পরিবারের অন্য কারও নাম লেখা। এটা দেখে খুব গর্ববোধ করি। কারণ সব পরিবারে এমন পড়ার চর্চা থাকে না।
ছেলেবেলায় বাবা এবং বড় ভাইয়ের পড়ার অভ্যাস আমাকেও বইয়ের প্রতি অনুরাগী করে তোলে। এজন্যই স্কুলজীবনেই আমি বইয়ের প্রেমে পড়ি। ক্লাসের পড়াশুনার ফাঁকে আমিও তাদের বই লুকিয়ে পড়তাম। এই যে নানা ধরনের বই পড়ার অভ্যাস, এটাই আমার অনুভূতিপ্রবণতা, জীবনবোধ, চিন্তা চেতনাকে সমৃদ্ধ করেছে। এক পর্যায়ে বাবাই আমাকে বলতেন, ‘পড়ার পাশাপাশি একটু একটু করে লেখার অভ্যাস গড়। কারণ, সবকিছু হারিয়ে ফেললেও জ্ঞান আর লেখার দক্ষতা কখনো হারায় না।’ এখন তার কথাগুলো আরও ভালো করে টের পাই। লিখতে গিয়ে বাক্যগঠন কিংবা রসদ খুঁজতে আমার বেগ পেতে হয় না।

বইমেলায় নিজের বই হাতে ছবির পোজ

একুশে বইমেলায় নিজের প্রথম বই এসেছে। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?


অমর একুশে বইমেলা তো আমাদের প্রাণের উৎসব। প্রতিবছরই বই কিনতে মেলায় যাই। বিয়ের আগে নিজের জন্য বই কিনতে যেতাম। বিয়ের পর স্বামী তন্ময় সরকার এবং দুই সন্তান অভিরূপ ও অনির্বাণকে সঙ্গে নিয়ে বই কিনতে যাই। তবে এবারের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ এবারই প্রথম আমি পাঠক নই, লেখক হিসেবে মেলায় যাচ্ছি! আমার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘জলছবি’ প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স (প্যাভিলিয়ন নম্বর ৭)। এ উপন্যাসের স্তরে স্তরে ভিড় করেছে মানুষের অসংগতি, অসম্পূর্ণতা, বিরোধ কিংবা সংঘাতের আবরন ছিড়ে তুমুল আকাঙ্খায় বেঁচে থাকার নির্যাস। আমি ভালো মন্দ, ধর্ম অধর্ম, ঔদর্য্য সংকীর্ণতার মাঝেও মানবজীবনের জয়গান গেয়েছি।
আমার বাবা যেখোনেই আছেন, নিশ্চয়ই এই ঘটনায় আমার চেয়ে অনেকগুণ আনন্দিত। বাবার পর আমার লেখাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রানীত করেন আমার স্বামী। তিনিও খুব খুশি। তাছাড়া জীবনের যে কোন প্রথমের সঙ্গে কিন্তু আবেগটা অনেক শক্তভাবে জড়িয়ে থাকে। আমার প্রথম বইয়ের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। আমি চাই পাঠকরা আমার বইটি সংগ্রহ করুক। আমি প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে স্টলে থাকছি। কাছের দূরের অনেকের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা হচ্ছে। খুব উৎসবমুখর সময় কাটছে।

অভিনেত্রী ফারজানা ছবি

লেখার উপকরণ কোথায় পান?


আমি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েছি, ফলে নানা চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে জীবনকে নানা আঙ্গিকে দেখেছি। আমার লেখার উপকরণ আমি সেখান থেকেই পাই। আমার প্রথম বই কতোখানি পাঠকপ্রিয় হলো সেগুলো সব পরের কথা। আমি নিজে এবার লিখতে গিয়ে নিরেট আনন্দ পেয়েছি। তাই নিয়মিত হতে চাই লেখায়।


বই লিখতে গিয়ে কি নতুন কোন অনুভব যোগ হলো?


আমাদের তো আসলে পড়ার অভ্যাস কমে গেছে সবারই। আমরা অনেকটাই মুঠোফোনকেন্দ্রীক হয়ে পড়েছি। কিছু পড়তে গেলেও মুঠোফোনে সার্চ দিয়ে পড়ে ফেলি। শুধুমাত্র বইমেলা এলেই সবার মধ্যে বই কেনা বা বই পড়ার তাগিদ দেখা যায়। কিন্তু এটা আসলে ভালো প্র্যাকটিস নয়। আমাদের এই সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কারন সারা বছরই লেখকরা অনেক কষ্ট করে অনেক বই লেখেন, সেগুলো প্রকাশিত হয়। সবাই না পড়লে সেই বইগুলো যতোই উন্নতমানের হোক না কেন, তা কিন্তু সার্থকতা পাবে না।
আমি এবার লিখতে গিয়ে আবারও বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে। এখন একটা বই কারও হাতে দেখলে মনে হয়, বইটি একজন লেখক কতো সময়, শ্রম ও মেধা দিয়ে লিখেছেন। আমার বইটি প্রকাশ করতে গিয়ে আমি নিজে একই জার্নির মধ্যে দিয়ে গেছি। এজন্য বই দেখলেই পড়তে খুব ইচ্ছে করে। তাছাড়া যতোই আমরা অনলাইনে পড়ি না কেন, একটি ছাপা অক্ষরের বই পড়ার যে আবেদন সেটি কিন্তু অনলাইনে পাওয়া যায় না।

নিজের লেখা বইয়ে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন ছবি

পাঠকদের উদ্দেশ্যে কি বলার আছে?


আমাদের সবার উচিত নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। কারণ জ্ঞানচর্চার কোন বিকল্প নেই। একটি দেশকে উন্নত করতে কিংবা অবনতির পেছনে জ্ঞানী গুনীজনের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। এজন্যই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সরকার যখন আমাদের সঙ্গে পেরে উঠছিল না, তখন বাংলাদেশের উন্নতি রোধ করতে শেষ ছোবল হিসেবে সকল বুদ্ধিজীবীদের খুঁজে বের করে মেরে ফেলে। যে ক্ষতি আমরা আজও পূরণ করতে পারিনি। নয়ত আমরা আরও অনেক দূরে যেতে পারতাম।

   

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;

গানে ইরান সরকারের সমালোচনা, জনপ্রিয় র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সরকারের সমালোচনা করে গান করায় জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত। ইতিমধ্যে তোমাজ সালেহির ফাঁসির আদেশ জারি করা হয়েছে বলে এক্সে জানিয়েছেন এই র‍্যাপারের আইনজীবী আমির রেসিয়ান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কেউ এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খোলেননি।

দুই বছর আগে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হবে, সেটা নিয়ে সোচ্চার হয় দেশটির অনেক মানুষ। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নামেন।

 

কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে

ইরানজুড়ে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তখন ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের নানা রকম সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হন। বিভিন্ন সময় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া থেকে থামেননি তিনি। তাঁর গান ছিল ইরানে পরিবর্তন চাওয়া মানুষের মুখে।

এই ঘটনায় সমালোচনা করেছে ‘দ্য রেকর্ডিং একাডেমি’। তারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোনো শিল্পী যখন শৈল্পিক কোনো কিছু নিজেদের মতো করে প্রকাশ করেন, তখন সেটা জীবনের জন্য ভয় বা হুমকির কারণ হতে পারে না। সব সময়ই সংগীত ভাব প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম। এই শিল্পীদের সুরক্ষায় আমরা আগেও কাজ করেছি। এখন আমরা তাঁদের পাশে আছি।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যাপার মিক মিলার সালেহিকে গ্রেপ্তার করা ও তার শাস্তির ঘটনায় সমালোচনা জানিয়ে এক্স এ লিখেছেন, ‘আমরা সালেহি মুক্তি চাই। কুর্দি ও ইরানিয়ান র‍্যাপার সামন ইয়াসিনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চাই। তাঁদের দ্রুত মুক্তি চাই।’

ইরানের পুলিশ ২০২২ সালে সালেহিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে তাকে ছয় বছর তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। পরে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিনে বের হন। পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পরেই তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এই র‍্যাপারের মুক্তির জন্য নাজানীন বনিয়াদি, আরিয়ান মোয়েদ, মাজ জোবরানিসহ বেশ কিছু অভিনয়শিল্পী মতামত প্রকাশ করেছেন।

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

জোবরানি একটি ভিডিওতে জানান, যখন শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছিল, সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন, তখন তাঁদের হয়ে তোমাজ নিজের মতো করে গান করেছিলেন। এটাই তাঁর একমাত্র অপরাধ। তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘একজন কমেডিয়ান হয়ে আমি কল্পনাই করতে পারি না, একজন শিল্পীকে তাঁর গানের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ভ্যারাইটি।

 

;

টয়া লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’, দেখে নিন দারুণ ছবিগুলো



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া /  ছবি : ফেসবুক

স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া একাধারে জনপ্রিয় একজন মডেল, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। তার অভিনীত অনেক টেলিভিশন নাটক এবং ধারাবাহিক নাটক দর্শক উপভোগ করেছে। 

জন্মদিনের পার্টিতে টয়ার আনন্দ /  ছবি : ফেসবুক

মেধা, গ্ল্যামার আর স্মার্টনেস টয়াকে করেছে অনন্য। বর্তমানে কাজ বাছাইয়ে দারুণ সচেতন এই অভিনেত্রী। তাই খুব কম কাজে তাকে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যে কাজটিই করেন না কেন তা যেন ভালো মানের হয়, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখছেন।

টয়া লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’ /  ছবি : ফেসবুক

গত ২৪ এপ্রিল ছিল এই তারকার জন্মদিন। সেই জন্মদিনের দারুণ সব ছবি আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ছবিগুলোর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’। অর্থাৎ এ যাবৎকালে এটাই ছিল তার জন্মদিনের সেরা পার্টি। 

জন্মদিনের পার্টিতে টয়া পরেছিলেন টুকটুকে লাল শর্ট গাউন /  ছবি : ফেসবুক

জন্মদিনের পার্টির জন্য টয়া পরেছিলেন টুকটুকে লাল রঙের একটি ভিন্ন কাটিংয়ের শর্ট গাউন।

স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া /  ছবি : ফেসবুক

টয়ার জন্মদিনের পার্টির ছবিতে অবধারিতভাবে তার স্বামী অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওন তো থাকবেনই। জীবনের বিশেষ এই দিনে এই লাভ বার্ড ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন দারুণ সব রোমান্টিক মুহূর্তে।

সাফা কবিরের সঙ্গে টয়ার বন্ধুত্ব / ছবি : ফেসবুক

শুধু স্বামীই নয়, টয়ার জন্মদিনের পার্টিতে এসেছিলেন তার বেশ ক’জন বন্ধু। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবিরের সঙ্গে টয়ার বন্ধুত্বের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। সাফা এসেছিলেন সাদা পোশাক পরে। দুই অভিনেত্রীর খুনসুটি বরাবরের মতো লেগেই ছিল।

তামিম মৃধা ও টয়া / ছবি : ফেসবুক

শোবিজের মধ্যে টয়ার আরেক ভালো বন্ধু অভিনেতা তামিম মৃধা। তিনিও এসেছিলেন বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তবে টয়ার বন্ধুদের মধ্যে সিয়াম আহমেদ, জোভান আর তেসিফ মাহবুবকে মিস করেছে ভক্তরা।

পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটেন টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১০ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন টয়া। ১৯৯১ সালের ২৪ এপ্রিল রাঙ্গামাটিতে একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পারিবারিক নাম মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তবে তিনি টয়া নামেই বহুল পরিচিত। তার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা একজন স্কুল শিক্ষিকা। দু'বোনের মাঝে টয়া ছোট।

স্বামী শাওনের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১৯ সালের শেষের দিকে ভারতে একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালাতে অংশগ্রহণের সময় অভিনেতা শাওনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল টয়ার। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

স্বামী শাওন ও বন্ধুদের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

রুমানা রশিদ ঈশিতা পরিচালিত ‘অদেখা মেঘের কাব্য’ নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়ের জীবন শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অনেক টেলিভিশন অনুষ্ঠান, নাটক, টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি অনেক ভিডিও গানেও কাজ করেছেন। 

স্বামী শাওনের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১৮ সালে ইফতেখার রাহশান নূর পরিচালিত ‘বেঙ্গলি বিউটি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড়পর্দায় অভিষেক হয়। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারণামূলক কাজ, টিভি নাটক এবং ওটিটিতে কাজ করছেন। 

;

মডেল পিয়ার আইনজীবী লুক ভাইরাল, যা বললেন তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

পিয়া জান্নাতুল / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী-অনেক পরিচয়েই চেনানো যায় পিয়া জান্নাতুলকে। স্পষ্ট বক্তা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিভিন্ন গানের সঙ্গে পিয়ার ওই ভিডিও বসিয়ে দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে। ভিডিওতে তার মুচকি হাসিতে ঘায়েল নেটিজেনরা।

আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

এ নিয়েই তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। হাসির কারণে রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে গেছেন পিয়া জান্নাতুল। ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে বানানো হচ্ছে রিলস, মিম আর ভিডিও।

যাকে নিয়ে এত হইচই, তার চোখেও পড়েছে বিষয়টি। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।’

পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

ভিডিওটি দেখে অনেক তরুণ যেন পিয়ার প্রেমে বুঁদ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, যারা কনটেন্ট বা রিলস তৈরি করছেন, বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যখন যে ট্রেন্ড আসে, সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে অসুবিধার কিছু নেই।’

স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব জেতেন পিয়া। ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন তিনি।

;