ভালোবাসা ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে আটকে আছে : মম



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই দর্শকের প্রশংসা কুড়ান। এরপর টিভি নাটক, চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক প্ল্যাটফর্ম ওটিটিতেও দাপিয়ে কাজ করছেন সাবেক এই লাক্স সুপারস্টার। নতুন বছরের শুরুতে নানা বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে অকপটে কথা বললেন মম। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


খুব ফুরফুরে মেজাজে আছেন। এই মুহূর্তে কোথায় আপনি?


আসলেই মনটা খুব ভালো। আমি এখন সেন্ট মার্টিনে। মন ভালো না থাকার উপায় আছে বলুন? তাছাড়া দীর্ঘকাল পর এখানে বেড়াতে এলাম। এবার এসেছি বন্ধু-বান্ধব ও তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। আর প্রথমবার এসেছিলাম আমার প্রথম সিনেমা ‘দ্বারুচিনি দ্বীপ’-এর শুটিং করতে। এরমধ্যে কক্সবাজারে কতোবার এসেছি তার হিসেব নেই। তবে সেন্ট মার্টিনে আর আসা হয়নি। সেই হিসেবে ১৭ বছর পর সেন্ট মার্টিন এলাম।


এতো বছর পর সেন্ট মার্টিন গেলেন। আগের থেকে কোন পরিবর্তন চোখে পড়ল?


হ্যা। নানা ধরনের পরিবর্তন চোখে পড়েছে। প্রথমবার যখন এসেছিলাম তখন যাতায়াতের ব্যবস্থা অতো ভালো ছিল না। ছোট্ট জাহাজে আসতে হতো। সেটা আবার বেশ দূরে নোঙর ফেলত। এরপর আমরা নৌকায় করে সেন্ট মার্টিন আসতাম। আর এখন সেই জায়গাটা বড় জাহাজ আর ফেরীর ব্যবস্থা হয়েছে। এজন্য দিনে দিনে এখানে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবে সেই সঙ্গে মন খারাপের কারণও ঘটেছে। জায়গাটা আগের মতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নেই। আশেপাশে প্রচুর প্ল্যাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেটসহ ময়লা আবর্জনা। এগুলো শুধু সেন্ট মার্টিনের সৌন্দর্য্যই নষ্ট করেনি, পরিবেশের অনেক ক্ষতি করছে। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা সমূদ্র সৈকত পেয়েছি আমরা। এখনো এখানের পানি কি চমৎকার নীল! সেই সম্পদের তো যথার্থ যত্নটা করতে হবে। এই সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলার কারণ হলো, দুজন মানুষও যদি বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয় সেখানেই আমাদের সার্থকতা।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

অভিনয়ের প্রসঙ্গে আসি। সর্বশেষ কি কাজ করলেন?


একটি ঈদের একক নাটকের কাজ করেছি। এহসান বাপ্পীর পরিচালনায় নাটকটি এনটিভিতে প্রচার হবে। আসছে ঈদুল ফিতরের জন্য এর আগেও একটা কাজ করেছি।


ভালোবাসা দিবসে নতুন কোন কাজ আসছে?


ভ্যালেন্টাইন ডে’র জন্যও একটা কাজ করার কথা রয়েছে। এখনো সিডিউল চূড়ান্ত হয়নি। তবে ভালোবাসা দিবসের কথা যেহেতু তুললেন, আমাদের এখনকার ভালোবাসার গল্প নিয়ে একটু কথা বলতে চাই। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের কাজগুলোতে ভালোবাসা ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে আটকে আছে! পরিণত বয়সের ভালোবাসার গল্প লেখাও হয় না, বানানোও হয় না। আমাদের এই গতানুগতিক চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। তাহলে ভালোবাসার গল্পে অনেক বৈচিত্র্য আসবে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশে অনেক পরিণত নারী অভিনয়শিল্পী রয়েছেন, যারা ভালো চরিত্রের অভাবে অভিনয় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। কারণ ভালো স্ক্রিপ্ট না পাওয়াটা তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যারা পেশাদার শিল্পী তাদের টিকে থাকতে গেলে ভালো স্ক্রিপ্ট সবচেয়ে জরুরী। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সামগ্রিকভাবে ভালো স্ক্রিপ্টের অভাব। সেটি হয়ত এতোদিনে অনেকেই অনুধাবন করেছেন। এটা আসলে পৃষ্ঠপোষকতার ফসল। এক সময় যারা ভালো চিত্রনাট্য লিখতেন তারা এখন আর লিখছেন না। কারণ তারা কোন ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন না। ফলে আমরা নতুন আইডিয়া নিয়ে কোন গল্প হতে দেখছি না। এটা ধরনের একঘেয়ামিতা তৈরী করছে। ফলে এদিকেও আমাদের অতি দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।


প্রায় দুই দশকের শোবিজে ক্যারিয়ার আপনার। ২০২৪-এ এসে ইন্ডাস্ট্রিকে কেমন মনে হচ্ছে?


২০০৬-এ যখন লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগীতা থেকে বের হয়ে কাজ শুরু করলাম, তখন টেলিভিশন স্টেশনগুলো অনেক পাওয়ারফুল ছিল। চ্যানেলের তদারকি থাকতো কাজ নিয়ে। প্রিভিউ কমিটি ছিল, কাজের মানের ওপর আলাদা জোর দেওয়া হতো। আর এখন তো টিভি নাটকও ইউটিউব চ্যানেলের ওপর নির্ভরশীল! এটা একটা বড় পরিবর্তন।

জাকিয়া বারী মম / মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

এই পরিবর্তনটা ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক?


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যপট বদলাবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু এখন নাটকের নাম, গল্প কিংবা কাস্টিং যেহেতু ইউটিউব ভিউ-এর ওপর নির্ভরশীল ফলে সেই উদ্দেশ্যটাই শুধু পূরণ হচ্ছে। বাকী বিষয়গুলো কি হচ্ছে সেটা হয়ত কেউ ভাবছে না। এখন নাটকের দর্শকের টেস্ট লেবেল আগের চেয়ে অনেক ভিন্ন।
তবে সিনেমা নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। নানা ধরনের সিনেমা হচ্ছে। কুড়া পক্ষীর শূণ্যে ওড়া, নোনা জলের কাব্য, হাওয়া, সুড়ঙ্গ’র মতো ভালো ছবি তো আমরা দেখেছি। আবার পরাণ, প্রিয়তমার মতো ব্যাবসাসফল ছবিও হয়েছে।


ইতোপূর্বে ‘আলতাবানু’র মতো জীবনঘনিষ্ট সিনেমা যেমন করেছেন, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর মতো গ্ল্যামারাস ছবিও করেছেন। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন এসেছে কি?


না, তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। আমি শুরু থেকেই চেয়েছি নানা ধরনের ছবিতে কাজ করব। ছুঁয়ে দিলে মন’ রোমান্টিক ঘরানার ছবি, দর্শক খুব পছন্দ করেছে। আবার ‘আলতাবানু’র মতো গল্পনির্ভর ছবিও করেও প্রশংসা পেয়েছি। পলিটিক্যাল থ্রিলার ঘরানার ‘দহন’ করেছি, আবার ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর মতো সাহিত্যনির্ভর ছবিও করেছি। আমি এখনো একটি প্রপার গল্প, চরিত্র ও নির্দেশক পেলে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর মতো গ্ল্যামারাস ছবি করতে চাই।


গত বছর ওটিটিতে বেশ ব্যস্ত ছিলেন?


হ্যা। যেখানে ভালো গল্প, চরিত্র, নির্মাতা ও বাজেট পাব আমি সেখানেই কাজ করব। গত বছর কয়েকটি ভালো কাজ এসেছিল ওটিটির জন্য। তারমধ্যে ‘অগোচরা’, ‘সাড়ে ষোল’, ‘মারকিউলিস’ কাজগুলো দর্শক পছন্দ করেছে। এ বছরও একটি ওটিটির কাজ করেছি। দেশিয় একটি প্ল্যাটফর্মের জন্যই করেছি। কিন্তু এখন সব কাজই একটি প্রসেসের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে এখনই কিছুই ফাঁস করতে পারব না। হয়তো শিগগিরই প্রযোজনা সংস্থা থেকেই আপনাদের জানানো হবে। আরও কয়েকটি ওটিটির কাজে কথাবার্তা চলছে।

জাকিয়া বারী মম / পোশাক : ট্রেন্ড মার্ট, গয়না : গয়নার মেলা, মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

ইদানিং অভিনেত্রীদের মুখে ‘নারীকেন্দ্রিক গল্প’ বিষয়টি খুব ট্রেন্ডিং। কাজ বাছাইয়ে এটা আপনার কাছে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ?


(হেসে) এটা একটা মার্কেটিং টুল আসলে। তবে নারী একটি বিষয় বটে! আসলে গল্প গল্পই। তবে আমার কাছে মনে হয়, ওটিটিতেও পুরুষ চরিত্রের প্রাধান্যই বেশি। কিন্তু নারী যেহেতু সমাজের বড় একটি অংশজুড়ে, ফলে তাদের গল্প নিয়ে অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সেটি অবশ্য নির্ভর করছে রাইটার, ডিরেক্টর ও প্রোডিউসারের ওপর। তারা কি ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করবেন সেটা একান্তই তাদের চয়েস।

 


যে গুটিকয়েক গল্প নারীকে প্রাধান্য দিয়ে হচ্ছে সেটিও কতোটা নারীর মতো হয়ে উঠছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। আপনি কি বলবেন?


সেটা তো বটেই। আনফরচুনেটলি আমাদের দেশে এ পর্যন্ত যতোগুলো নারীপ্রধান কাজ আমরা দেখেছি তার সিংহভাগই একজন পুরুষের লেখা এবং পুরুষের নির্মাণ করা। একজন পুরুষ হয়ে নারীর সাইকোলজি কতোখানি বোঝা সম্ভব আমি ঠিক জানি না। বন্যা আপু ঠিকই বলেছেন যে, পুরুষের চোখেই আমরা এতোকাল নারীকে দেখে এসেছি। পুরুষতান্ত্রিক সোসাইটিতে এটাই ক্রমাগত হয়ে আসছে।

জাকিয়া বারী মম / মেকাপ : শোভন মেকওভার, ছবি : নূর এ আলম

এই পরিস্থিতিতে কি কখনো মনে হয়েছে নিজে কিছু গল্প লিখতে বা পরিচালনা করতে হবে? কারণ আপনার লেখাপড়া নাট্যকলায়, নিয়মিত পড়ার চর্চাও রয়েছে...


একটি গল্প মাথায় ভাবা আর সেটিকে স্ক্রিপ্ট আকারে দাঁড় করানো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। ফলে আমি ঠিক সিওর না যে উন্নত মানের কিছু লেখার দক্ষতা আমার রয়েছে কি না। এজন্য এতোদিন লেখা হয়নি। তবে কখনো যদি কনফিডেন্স পাই তাহলে হয়ত লিখব।

   

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;

গানে ইরান সরকারের সমালোচনা, জনপ্রিয় র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সরকারের সমালোচনা করে গান করায় জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত। ইতিমধ্যে তোমাজ সালেহির ফাঁসির আদেশ জারি করা হয়েছে বলে এক্সে জানিয়েছেন এই র‍্যাপারের আইনজীবী আমির রেসিয়ান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কেউ এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খোলেননি।

দুই বছর আগে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হবে, সেটা নিয়ে সোচ্চার হয় দেশটির অনেক মানুষ। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নামেন।

 

কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে

ইরানজুড়ে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তখন ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের নানা রকম সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হন। বিভিন্ন সময় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া থেকে থামেননি তিনি। তাঁর গান ছিল ইরানে পরিবর্তন চাওয়া মানুষের মুখে।

এই ঘটনায় সমালোচনা করেছে ‘দ্য রেকর্ডিং একাডেমি’। তারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোনো শিল্পী যখন শৈল্পিক কোনো কিছু নিজেদের মতো করে প্রকাশ করেন, তখন সেটা জীবনের জন্য ভয় বা হুমকির কারণ হতে পারে না। সব সময়ই সংগীত ভাব প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম। এই শিল্পীদের সুরক্ষায় আমরা আগেও কাজ করেছি। এখন আমরা তাঁদের পাশে আছি।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যাপার মিক মিলার সালেহিকে গ্রেপ্তার করা ও তার শাস্তির ঘটনায় সমালোচনা জানিয়ে এক্স এ লিখেছেন, ‘আমরা সালেহি মুক্তি চাই। কুর্দি ও ইরানিয়ান র‍্যাপার সামন ইয়াসিনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চাই। তাঁদের দ্রুত মুক্তি চাই।’

ইরানের পুলিশ ২০২২ সালে সালেহিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে তাকে ছয় বছর তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। পরে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিনে বের হন। পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পরেই তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এই র‍্যাপারের মুক্তির জন্য নাজানীন বনিয়াদি, আরিয়ান মোয়েদ, মাজ জোবরানিসহ বেশ কিছু অভিনয়শিল্পী মতামত প্রকাশ করেছেন।

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

জোবরানি একটি ভিডিওতে জানান, যখন শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছিল, সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন, তখন তাঁদের হয়ে তোমাজ নিজের মতো করে গান করেছিলেন। এটাই তাঁর একমাত্র অপরাধ। তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘একজন কমেডিয়ান হয়ে আমি কল্পনাই করতে পারি না, একজন শিল্পীকে তাঁর গানের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ভ্যারাইটি।

 

;

টয়া লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’, দেখে নিন দারুণ ছবিগুলো



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া /  ছবি : ফেসবুক

স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া একাধারে জনপ্রিয় একজন মডেল, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। তার অভিনীত অনেক টেলিভিশন নাটক এবং ধারাবাহিক নাটক দর্শক উপভোগ করেছে। 

জন্মদিনের পার্টিতে টয়ার আনন্দ /  ছবি : ফেসবুক

মেধা, গ্ল্যামার আর স্মার্টনেস টয়াকে করেছে অনন্য। বর্তমানে কাজ বাছাইয়ে দারুণ সচেতন এই অভিনেত্রী। তাই খুব কম কাজে তাকে পাওয়া যাচ্ছে। তবে যে কাজটিই করেন না কেন তা যেন ভালো মানের হয়, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখছেন।

টয়া লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’ /  ছবি : ফেসবুক

গত ২৪ এপ্রিল ছিল এই তারকার জন্মদিন। সেই জন্মদিনের দারুণ সব ছবি আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ছবিগুলোর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বেস্ট বার্থডে পার্টি এভার’। অর্থাৎ এ যাবৎকালে এটাই ছিল তার জন্মদিনের সেরা পার্টি। 

জন্মদিনের পার্টিতে টয়া পরেছিলেন টুকটুকে লাল শর্ট গাউন /  ছবি : ফেসবুক

জন্মদিনের পার্টির জন্য টয়া পরেছিলেন টুকটুকে লাল রঙের একটি ভিন্ন কাটিংয়ের শর্ট গাউন।

স্বামী শাওনের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তে টয়া /  ছবি : ফেসবুক

টয়ার জন্মদিনের পার্টির ছবিতে অবধারিতভাবে তার স্বামী অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওন তো থাকবেনই। জীবনের বিশেষ এই দিনে এই লাভ বার্ড ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন দারুণ সব রোমান্টিক মুহূর্তে।

সাফা কবিরের সঙ্গে টয়ার বন্ধুত্ব / ছবি : ফেসবুক

শুধু স্বামীই নয়, টয়ার জন্মদিনের পার্টিতে এসেছিলেন তার বেশ ক’জন বন্ধু। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবিরের সঙ্গে টয়ার বন্ধুত্বের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। সাফা এসেছিলেন সাদা পোশাক পরে। দুই অভিনেত্রীর খুনসুটি বরাবরের মতো লেগেই ছিল।

তামিম মৃধা ও টয়া / ছবি : ফেসবুক

শোবিজের মধ্যে টয়ার আরেক ভালো বন্ধু অভিনেতা তামিম মৃধা। তিনিও এসেছিলেন বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। তবে টয়ার বন্ধুদের মধ্যে সিয়াম আহমেদ, জোভান আর তেসিফ মাহবুবকে মিস করেছে ভক্তরা।

পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে কেক কাটেন টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১০ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন টয়া। ১৯৯১ সালের ২৪ এপ্রিল রাঙ্গামাটিতে একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পারিবারিক নাম মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তবে তিনি টয়া নামেই বহুল পরিচিত। তার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা একজন স্কুল শিক্ষিকা। দু'বোনের মাঝে টয়া ছোট।

স্বামী শাওনের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১৯ সালের শেষের দিকে ভারতে একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালাতে অংশগ্রহণের সময় অভিনেতা শাওনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল টয়ার। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

স্বামী শাওন ও বন্ধুদের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

রুমানা রশিদ ঈশিতা পরিচালিত ‘অদেখা মেঘের কাব্য’ নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়ের জীবন শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি অনেক টেলিভিশন অনুষ্ঠান, নাটক, টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি অনেক ভিডিও গানেও কাজ করেছেন। 

স্বামী শাওনের সঙ্গে টয়া / ছবি : ফেসবুক

২০১৮ সালে ইফতেখার রাহশান নূর পরিচালিত ‘বেঙ্গলি বিউটি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড়পর্দায় অভিষেক হয়। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারণামূলক কাজ, টিভি নাটক এবং ওটিটিতে কাজ করছেন। 

;

মডেল পিয়ার আইনজীবী লুক ভাইরাল, যা বললেন তারকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

পিয়া জান্নাতুল / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী-অনেক পরিচয়েই চেনানো যায় পিয়া জান্নাতুলকে। স্পষ্ট বক্তা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিভিন্ন গানের সঙ্গে পিয়ার ওই ভিডিও বসিয়ে দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে। ভিডিওতে তার মুচকি হাসিতে ঘায়েল নেটিজেনরা।

আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

এ নিয়েই তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। হাসির কারণে রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে গেছেন পিয়া জান্নাতুল। ভিডিও ক্লিপটি নিয়ে বানানো হচ্ছে রিলস, মিম আর ভিডিও।

যাকে নিয়ে এত হইচই, তার চোখেও পড়েছে বিষয়টি। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।’

পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

ভিডিওটি দেখে অনেক তরুণ যেন পিয়ার প্রেমে বুঁদ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, যারা কনটেন্ট বা রিলস তৈরি করছেন, বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যখন যে ট্রেন্ড আসে, সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে অসুবিধার কিছু নেই।’

স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে পিয়া জান্নাতুল /  ছবি : ফেসবুক

২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব জেতেন পিয়া। ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেন তিনি।

;