সেরা অভিনেতা ফিলিস্তিনের, সেরা অভিনেত্রী ইসরায়েলের!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উৎসবে আলিয়া, রণবীর সিং, জনি ডেপ, ক্যাটরিনা, ফ্রিদা পিন্টো ও মাহিরা খান

উৎসবে আলিয়া, রণবীর সিং, জনি ডেপ, ক্যাটরিনা, ফ্রিদা পিন্টো ও মাহিরা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের জেদ্দায় রেড সি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় আসরের পর্দা নামলো। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেদ্দার রিৎজ কার্লটন থিয়েটারে ছিল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। সেখানে সেরা সিনেমা, শিল্পী, কলাকুশলীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। তাতে দেখা গেল, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের জয় জয়কার।

উৎসবের শেষ আকর্ষণ বলিউড সুপারস্টার আলিয়া ভাট

এক নজরে বিজয়ী তালিকা

সেরা চলচ্চিত্র (সোনালি ইউসর) : ইন ফ্লেমস (জারার খান, পাকিস্তান)
সেরা চলচ্চিত্র (রুপালি ইউসর): ডিয়ার জাসসি (টারসেম সিং ধান্ডওয়ার, ভারত)
সেরা পরিচালক: শোকির খোলিকভ (চলচ্চিত্র: সানডে, উজবেকিস্তান)
জুরি প্রাইজ: দ্য টিচার (ফারাহ নাবুলসি, ফিলিস্তিন)
সেরা চিত্রনাট্যকার: করিম বেনসালাহ ও জামাল বেলমাহি (সিক্স ফিট ওভার, আলজেরিয়া ও মরক্কো)
সেরা অভিনেতা: সালেহ বাকরি (দ্য টিচার, ফিলিস্তিন)
সেরা অভিনেত্রী: মুনা হাওয়া (ইনশাল্লাহ অ্যা বয়, ইসরায়েল)
সেরা সিনেম্যাটিক অবদান: অমেন (পরিচালক: বালোজি, বেলজিয়াম-কঙ্গো)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: ফোর ডটার্স (কাওথার বেন হানিয়া, তিউনিসিয়া)
ইয়াং রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড: নুর আল খাদরা (সৌদি আরব)
ফিল্ম আলুলা অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড (সৌদি চলচ্চিত্র): নোরা (তৌফিক আলজায়েদি)
ফিল্ম আলুলা অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড (অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র): হোপলেস (কিম চ্যাং-হুন, দক্ষিণ কোরিয়া)
সেরা শর্টফিল্ম (সোনালি ইউসর): সামহোয়্যার ইন বিটুইন (ডালিয়া নেমলিশ; ফ্রান্স-লেবানন)
সেরা শর্টফিল্ম (রুপালি ইউসর): স্যুটকেস (সামান হোসেইনপুর ও আকো জান্দকরিমি, ইরান)|

সোনালি ইউসর জয় করেছে পাকিস্তানের ‘ইন ফ্লেমস’

পুরস্কার হাতে ‘ইন ফ্লেমস’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা

সেরা ছবির পুরস্কার জিতলো পাকিস্তানের ‘ইন ফ্লেমস’। ভৌতিক ছবিটি পরিচালনা করেছেন জারার কান। তার হাতে উঠেছে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ১০ লাখ টাকা) এবং সোনালি ইউসর ট্রফি। সেরা কাহিনিচিত্র হিসেবে ৩০ হাজার ডলার (৩৩ লাখ টাকা) ও রুপালি ইউসর পেয়েছে ভারতের ‘ডিয়ার জাসসি’।
কানাডা প্রবাসী পাকিস্তানি নির্মাতা জারার কানের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইন ফ্লেমস’। ৭৬তম কান উৎসবের সমান্তরাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এরপর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে সেন্টারপিস বিভাগে জায়গা করে নেয় এটি। ৯৬তম অস্কারের আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র বিভাগের জন্য পাকিস্তান থেকে মনোনয়ন পেয়েছে এই ছবি।
উর্দু ভাষায় নির্মিত ৯৮ মিনিটের ‘ইন ফ্লেমস’ ছবির গল্পে দেখা যায়, করাচিতে পরিবারের কর্তার মৃত্যুর পর মা ও মেয়েকে শোক সইবার পাশাপাশি বিভিন্ন উৎপীড়নের সঙ্গে সংগ্রাম করে যেতে হয়। সমাজে সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে তারা পরস্পরের মধ্যে শক্তি খুঁজে নেয়। এতে অভিনয় করেছেন রামেশা নাওয়াল, বখতাওয়ার মাজহার, ওমর জাভেদ, বাজদান শাহ, মোহাম্মদ আলি হাশমি, জিবরান খান ও আদনান শাহ।

রুপালি ইউসর জয়ী ‘ডিয়ার জাসসি’ 

টারসেম সিং ধান্ডওয়ার

রুপালি ইউসর জয়ী ‘ডিয়ার জাসসি’ পরিচালনা করেছেন টারসেম সিং ধান্ডওয়ার। টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্ল্যাটফর্ম প্রাইজ জিতেছে এটি। এর দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ১২ মিনিট। ছবিটির গল্প পাঞ্জাবি-কানাডিয়ান নারী জাসবিন্দর কৌর সিধুর সত্যি জীবনে অনুপ্রাণিত, যিনি নিজের চেয়ে নিচু শ্রেণির কর্মজীবী একজন মানুষকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু জাসবিন্দরের পরিবার মেনে নেয়নি। এতে অভিনয় করেছেন পাভিয়া সিধু ও যুগাম সুদ।


জুরি প্রাইজ ‘দ্য টিচার’ 

 ‘দ্য টিচার’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন ফিলিস্তিনের সালেহ বাকরি

ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি পরিচালক ফারাহ নাবুলসির ‘দ্য টিচার’ পেয়েছে জুরি প্রাইজের ২০ হাজার ডলার (২২ লাখ টাকা)। এতে দারুণ নৈপুণ্যের সুবাদে সেরা অভিনেতা হয়েছেন ফিলিস্তিনের সালেহ বাকরি। দুটি পুরস্কার গ্রহণ করেন ফারাহ। তিনি বলেন, ‘সালেহ আজ এখানে থাকলে নিশ্চিতভাবেই বলতেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক।’

সেরা পরিচালক শোকির খোলিকভ
৭৬তম কান উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত তিউনিসিয়ার কাওথার বেন হানিয়ার প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘ফোর ডটার্স’ সেরা প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে রেড সি উৎসবে। কানের আঁ সাঁর্তা রিগা বিভাগে নিউ ভয়েস প্রাইজ জয়ী ‘অমেন’ সেরা সিনেম্যাটিক অবদান স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন কঙ্গো বংশোদ্ভুত বেলজিয়ামের নির্মাতা-সংগীতশিল্পী বালোজি।

‘ইনশাল্লাহ অ্যা বয়’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী ইসরায়েলি তারকা মুনা হাওয়া

সেরা অভিনেত্রী ইসরায়েলি তারকা মুনা হাওয়া

৭৬তম কান উৎসবের আরেক সমান্তরাল শাখা ক্রিটিকস উইকে নির্বাচিত জর্ডানের ‘ইনশাল্লাহ অ্যা বয়’ ছবিতে হৃদয়ছোঁয়া অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ইসরায়েলি তারকা মুনা হাওয়া। উজবেকিস্তানের ‘সানডে’র জন্য সেরা পরিচালক হয়েছেন শোকির খোলিকভ। উদীয়মান তারকা পুরস্কার পেয়েছেন সৌদির অভিনেত্রী নূর আল খাদরা। এবারের উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র ইয়াসির আল-ইয়াসিরির ‘হাওজান’- এবং আব্দুল মোহসেন আলধাবানের ‘ম্যাচমেকার’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নূর আল খাদরা

 

প্রতিযোগিতা বিভাগে ছিল আরব অঞ্চল, এশিয়া ও আফ্রিকার ১৭টি চলচ্চিত্র। এর মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচনে বিচারকদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ‘এলভিস’ ছবির অস্ট্রেলিয়ান পরিচালক ব্যাজ লারম্যান। তার নেতৃত্বে ছিলেন সুইডিশ-আমেরিকান অভিনেতা জোয়েল কিন্নামান, ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ তারকা ফ্রিডা পিন্টো, মিসরীয় অভিনেত্রী আমিনা খলিল ও স্প্যানিশ অভিনেত্রী পাজ ভেগা।

এক মঞ্চে গ্লোবাল তারকারা

এবারের রেড সি উৎসব শুরু হয় গত ৩০ নভেম্বর। উদ্বোধনী আয়োজনসহ গোটা আসরে অতিথি হয়ে এসেছিলেন হলিউড ও বলিউডের হেভিওয়েট তারকারা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জনি ডেপ, উইল স্মিথ, ক্রিস হেমসওর্থ, শ্যারন স্টোন, হ্যালি বেরি, গিনেথ প্যালট্রো, নিকোলাস কেজ, জেসন স্টেটহাম, আড্রিয়ান ব্রডি, ডায়েন ক্রুজার, অ্যান্ড্রু গারফিল্ড, হেনরি গোল্ডিং, রণবীর সিং, ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাট প্রমুখ।

হাসপাতালে শেষ দেখায় সামিনাকে যা বলেছিলেন শাফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার যে অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে আর ফিরলেন না শাফিন আহমেদ, সেই মঞ্চে সেদিন গেয়েছিলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় জানতে পারেন শাফিন আহমেদ চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর অবিশ্বাস্য ছিল সামিনা চৌধুরীর কাছে। এই খবর সহ্য করাটাও ছিল ভীষণ কষ্টদায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সামিনা চৌধুরী জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ইজাজ খান স্বপনসহ গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদকে দেখতে। হাসপাতালে তাদের থাকার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানালেন সামিনা চৌধুরী।

সামিনা বলেন, ‘‘তিন দিন আগে দেখে এলাম শাফিন ভাইকে। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন। স্বপনকে বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।’'

সামিনা আরও বলেন, ‘শাফিন ভাইকে পানি খাওয়াল স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হলো। শাফিন ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমাদের চলে আসতে বললেন আয়োজকেরা। কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।’

;

ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেম, ভাঙছে যীশুর ২০ বছরের সংসার?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউড তারকা যীশু সেনগুপ্ত আর সাবেক অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মার দুই দশকের দাম্পত্য জীবন। এত দিন তাদের সম্পর্ককে সবাই আদর্শ মেনে এসেছে। কিন্তু জীবনে কোনকিছুই যে স্থায়ী নয়, কিংবা আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তার সবটাই যে সত্য নয় সে কথা আরও একবার হয়তো ঘটতে চলেছে! কয়েক দিন ধরে হঠাৎই টলিপাড়ায় আলোচনায় তাদের বিচ্ছেদের খবর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক আগের মতো নেই। নীলাঞ্জনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টও সে ইঙ্গিতই দিয়েছে।

দুই কন্যাকে নিয়ে ‍সুখের সংসার ছিলো যিশুর

শিনাল সূর্তি নামের নারীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন যীশু। এটাই তাদের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন বড় মেয়ে সারাও।

এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি তাহলে যীশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে? যদিও এ বিষয়ে স্পিকটি নট যীশু সেনগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পক্ষে কথা বলেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। নীলাঞ্জনার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব বহুদিনের। প্রায় দিনই তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পাশেই দাঁড়ালেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়।

যীশু সেনগুপ্ত

মহুয়া নীলাঞ্জনার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমাকে দুর্দান্ত ও শক্তিশালী মানুষ বলেই জানি। খুব গর্ব হয় তোমার জন্য। সব সময়ই তোমার সঙ্গে রয়েছি নীলাঞ্জনা।’ পাল্টা মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন নীলাঞ্জনাও।

তবে শুধু মহুয়া চট্টোপাধ্যায় নন, নীলাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অভিনেত্রী বন্ধু রাগেশ্বরীও। তিনিও নিজের ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, ‘একসময় জীবনে কঠিন সময়ে তুমি আমাকে হাত ধরে বাঁচিয়েছিলে, এবার আমার পালা। আজ আমার পালা।’

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

ইতিমধ্যেই যীশু-নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন বলে খবর। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি বিচ্ছেদের বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, গুজরাটিকন্যা শিনাল সূর্তির সঙ্গেই নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ ইন সম্পর্কেও রয়েছেন। এমনকি ‘খাদান’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেও নাকি যীশু নিজের বাড়িতেও ওঠেননি।

প্রসঙ্গত, যীশু এ মুহূর্তে বলিউড, টলিউড ও দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় তাকে।

২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর বহু আগেই থেকেই যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাপ নীলাঞ্জনার। যখন তারা বিয়ে করেন, তখন যীশু টেলিভিশনের একজন উঠতি অভিনেতা। নীলাঞ্জনা শর্মাও অভিনয় করতেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। তবে বিয়ের পর সংসারেই মন দেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

যীশু সেনগুপ্ত

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

;

বায়োপিকের টিজারে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

  • Font increase
  • Font Decrease

টিমোথি শ্যালামেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। অভিনয়গুণে অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন কম বয়সী এই হলিউড অভিনেতা। তার অভিনীত ‘ডুন’ ও ‘ওঙ্কা’ সিনেমা দুটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর মূখ্য চরিত্রেও দেখা যাবে টিমোথি শ্যালামেকে। প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার। ‘আ কমপ্লিট আননোন’-ও যে বিশ্বজয় করতে চলেছে, তা টিজার দেখেই নিশ্চিত সিনেপ্রেমীরা।

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

টিজারে ‘আ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ গানের কিছু অংশ গাইতে শোনা গেছে টিমোথিকে। মেকআপ, পোশাক আর চুলের স্টাইলে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান! ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াক দ্য লাইন’, ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’, ‘লোগান’ খ্যাত পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

টিজারের শুরুতে টিমোথিকে ম্যানহাটনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। এ সময়ে অ্যামেরিকান গায়ন পিট সিগার বব ডিলানের গান প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পিট সিগারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নরটন। টিজারে ম্যানহাটনে ডিলানের কিছু প্রিয় স্থান দেখানো হয়েছে। তার মাঝে আছে ক্যাফে হোয়া এবং হোটেল চেলসা। টিজারে ডিলান, হোয়ান বাইজ এবং সিলভি রুশোর ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর দুটি দৃশ্যের কোলাজ

১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর গানের দুনিয়ায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বব ডিলান। ৮১ বছরের জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন এই গীতিকবি। নন্দিত এই গায়ক, গীতিকারের জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলি তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

;

শাফিন আহমেদের কিছু বিরল ছবি আর অজানা কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী শাফিন আহমেদ।

তার মৃত্যুর শোকের আঁচ এখনো পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে যেভাবে পারছেন প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শাফিনকে পেলে এভাবেই মধ্যমণি করে রাখতেন শিল্পীসমাজ। ছবিতে শাফিনের পাশে আসিফ আকবর, শওকত আলী ইমন, শহিদুল্লাহ ফরায়েজী, ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবুসহ গানের মানুষরা
 

অনেকেই জানেন না শাফিন আহমেদের জন্ম কলকাতায়। আর তারা তিন ভাই- তাহসিন, হামিন ও শাফিন। বাবা কমল দাশগুপ্ত, মা ফিরোজা বেগম। দুজনেই সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি। তবে অনেকেই জানেন না, ছেলেবেলায় শাফিন আহমেদের নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত!

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৬৭ সালের দিকে গোটা পরিবারসহ পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন তারা। এরপর ভর্তি হন স্কুলে। সেসময়ই পরিবর্তন করা হয় তার নাম। মনোজিৎ দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়ে যান শাফিন আহমেদ।

কিশোর বেলায় মাকে ঘিরে তিন ভাই তাহসিন, হামিন ও শাফিনের হাসিমুখ

নাম পরিবর্তন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শাফিন জানিয়েছিলেন, ‘ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হলো, তখন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে যে দূরত্ব বা বিবাদ, সেই সময়ে তা প্রবল ছিল। সেখান থেকেই কিন্তু দুটো দেশের জন্ম- ভারত ও পাকিস্তানের। সেজন্য ভারতে থাকাকালীন একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে হিন্দু পরিচিতিটা যে রকম প্রয়োজন ছিল, একই রকমভাবে যখন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসলাম তখন দেখা গেল মুসলিম পরিচয়টা খুব জরুরি ছিল। কারণ আমরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছিলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার ব্যাপারটা ছিল কি, বাবা খুবই প্রগ্রেসিভ একজন মানুষ ছিলেন। ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে সে রকম কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিল না। উনি গানের জগতের মানুষ, গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা ছোটকাল থেকে বড় হয়েছি আসলে ইসলাম ধর্মকে ঘিরেই। মায়ের কাছ থেকেই এই প্রভাব এসেছে। ইসলাম ধর্মের চর্চাটা বাসায় ছিল। এ ব্যাপারে আব্বার কোনো মন্তব্য ছিল না। উনার কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি।’

ছবিটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ফিরোজা বেগমের স্বামী ও শাফিনের বাবা কমল দাশগুপ্ত’র ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে তোলা। ফ্রেমবন্দী হয়েছিলেন দেশের চার প্রখ্যাত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, ফিরোজা বেগম ও শাফিন আহমেদ। একে একে সবাই চলে গেছেন, রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন (তিনিও বেশ অসুস্থ)। 

শাফিন আহমেদের ডাক নাম ছিল মুনা। পরিবারের অনেকে এ নামেই ডাকে। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকে যারা আমাকে ছোটবেলা থেকে চেনে, তখনও এমন তারকাখ্যাতি পাইনি, বয়স ১৭-১৮ হবে; সেই সময়ে যারা চিনতেন তারাও মুনা নামটিই আগে বলেন।

কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত ও প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন। যেন সুরের চামচ মুখে জন্মেছিলেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত আর তবলা, মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন। ৯ বছর বয়সে নজরুলের শিশুতোষ গান ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ রেকর্ড করেছেন শাফিন।

কৈশোরে বিটলসসহ বহু ওয়েস্টার্ন অ্যালবাম হাতের নাগালে পেয়েছেন। ইংরেজি গানে মুগ্ধতা জমে; বাড়িতে ড্রামস ও গিটার বাজাতেন। মা-বাবা নাখোশ হননি; বরং আশকারাই দিয়েছেন।

মায়ের সঙ্গে হামিন ও শাফিন

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ বলেছেন, ‘ওনার কণ্ঠটা একদমই আলাদা। অত্যন্ত সুরে গান করেন। একই সঙ্গে বেজ বাজিয়ে গান করা ভীষণ কঠিন কাজ। এটিই তাকে আলাদা করেছে।’

প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘কী করে সব ভুলে যাই’সহ ১০ টির মতো গান গেয়েছেন শাফিন। মাইলসের বাইরে শাফিনের বেশির ভাগ জনপ্রিয় একক গানের কথা ও সুর করেছেন তিনি।

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’সহ বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শাফিন।

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন। গান আর গিটারের তালে শ্রোতাদের হৃদয়ে উন্মাদনা ছড়িয়েছেন। প্রাণশক্তিই তাকে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করেছে বলে মনে করেন আরেক ব্যান্ড তারকা মাকসুদ হক।

নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় মাইলসের কনসার্টে শ্রোতাদের ঢল নামত। কলকাতার শিল্পীরাও শাফিন আহমেদকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কলকাতায় গায়ক অনুপম রায় বলেছেন, মাইলসে শাফিনের গান শুনেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ব্যান্ডটির ভক্ত তিনি। কলকাতার ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধুসহ আরও অনেকেই শাফিনের গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন।

ব্যান্ড মাইলস-এর সদস্যরা

;