বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের ঘর আলো করে এলো কন্যা সন্তান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’ মেনে বিয়ে করেন তিনি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ইনস্টাগ্রামে মেয়ে ও স্বামী ফাহাদের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে এই সুখবর দিয়েছেন তিনি।
আদর করে ইতোমধ্যে সন্তানের নাম রেখেছেন রাবিয়া। শোনা যাচ্ছে, সুফি সন্ত রাবিয়া বাসরির নামেই সন্তানের নামকরণ করেছেন স্বরা ও আহমেদ। সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন স্বরা।
মা হওয়ার পর থেকেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন স্বরা। নীনা গুপ্তা, মহম্মদ জিশান আয়ুব, টিসকা চোপড়া, গুণিত মঙ্গারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নতুন মা-কে।
২০২০ সালে একটি প্রতিবাদ সভায় ফাহাদের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে, মার্চে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। তাদের বিয়ে নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছিল। জুনে ‘বেবি বাম্পের’ ছবি প্রকাশ করেন স্বরা ভাস্কর। এ নিয়ে অনেকে অকারণে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন স্বরা, সেই দাবি তুলে বিদ্রুপ করেছেন অনেকে।
নানা মারা যাওয়ার পর আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির ফেসবুক যেন হয়ে উঠেছিল শোক বই। খুব স্বাভাবিক বিষয়, যে নানাই ছিল তার বাবা-মা সব, তাকে হারিয়ে মনের অবস্থা এমনই। তবে জীবন তো চলে জীবনের নিয়মে। তাই নানার কবর ধরে সারাক্ষণ বসে থাকতে মন চাওয়া পরীকেও ফিরতে হয়েছে ইঠ কাঠের নগরী ঢাকাতে।
এবার কাজে ফেরারও ঘোষনা দিলেন। আজ দুপুরে এই নায়িকা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আগামীকাল দারুণ কিছু হবে’।
তার সেই পোস্ট দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়ত নতুন কোনো সিনেমা নিয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু সে ধারণা ভুল। সিনেমা নয়, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন এ চিত্রনায়িকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে পরীমণি বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ববাজারকে টার্গেট করে তৈরি এই পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ পণ্যগুলো ভোক্তাদের মন জয় করে নেবে। শুধুমাত্র দেশীয় বাজারই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারের উপযোগী পণ্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেই উৎপাদন করছে, যা বিশ্ববাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পাশাপাশি ভেজালমুক্ত ও নকলমুক্ত পণ্য ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির এ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
নিজের ভুলেই প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।
মনোনয়ন বাতিলে কোনো ষড়যন্ত্র নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ এটা আমারই দোষ, আমি এটা খেয়াল করিনি। আমার ভুলেই প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন ডলি সায়ন্তনী।
আপিল শেষ সংবাদমাধ্যমকে ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ক্রেডিট কার্ডের ছোট একটা ভুল ছিল। সেটা ঠিকঠাক করে জমা দিয়েছি। আশা করছি সবকিছু দেখে আমার মনোনয়ন বৈধ করবে কমিশন।
তিনি বলেন, এতদিন গান করেছি। অনেকদিনের আশা ছিল এলাকার জন্য কিছু করব। সে সুযোগটা বিএনএম দিয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- বিএনএমের পক্ষে পাবনা-২ আসনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তিনি।
এর আগে. রোববার সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন পাবনা জেলা প্রশাসক।
বিএনএমে যোগ দেওয়ার দিনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসন থেকে প্রার্থী হতে দলটির মনোনয়ন ফরম তোলন ডলি সায়ন্তনী।
রাফির ‘মায়া’ দিয়ে কী হারানো জায়গা ফিরে পাবেন সারিকা!
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সারিকা সাবরিন, ছবি : শাহরিয়ার তামিম
বিনোদন
সারিকা সাবরিন ছিলেন এক সময়ে ছোটপর্দার অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন মডেল ও অভিনেত্রী। বাঘা বাঘা তারকাকে পেছনে ফেলে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন শীর্ষে। একটানা কাজ করেছেন লম্বা সময়। এরপর বিরতি। আবার ফেরা। আবার বিরতি। তবে এবার নিয়মিত। কী হয়েছিল মাঝের সময়টায়?
প্রেম, বিয়ে, সংসারসহ নানা কারণে একসময়ের ব্যস্ত এই তারকা বিনোদন অঙ্গনে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। তবে তার কাজ এখন দৃশ্যমান। পরিচালকেরাও তাকে নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। নাটক, টেলিছবির পাশাপাশি ওটিটিতেও কাজ করছেন তিনি। অনেকে বলছেন, সেই এক দশক আগের মতো ব্যস্ত হয়ে উঠছেন এই তারকা। এই ব্যস্ততা বেশ উপভোগ করছেন বলেও জানালেন সারিকা সাবরিন।
করোনাকালের পর পুরোদস্তুর কাজে মনোযোগী সারিকা। বিরতির পর ফেরা সারিকা টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে যাত্রা শুরু করেছেন। গত বছর ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির ওয়েব ফিল্ম ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক ঘটে।
সারিকা ও রায়হান রাফি
কয়েক মাস বিরতির পর আবার ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করলেন। ‘মায়া’ নামের এই ওয়েব ফিল্মের পরিচালক রায়হান রাফি। সারিকা বলেন, ‘সামনে যেসব কাজ করছি, এসব নিয়ে কথা বলা বারণ। ওটিটির পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকও করছি। পুরো কাজগুলো আমি ভীষণ উপভোগ করছি।
রাফি বর্তমান সময়ের হিট নির্মাতা। তার কাজ করে ক্যারিয়ারে সুবাতাস এনেছেন অভিনেত্রী তমা মির্জা। এবার সারিকার পালা! তিনিও কি রাফির ওপর ভর করে পারবেন নিজের হারানো জায়গা ফিরে পেতে? এ প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।
সংগীতা খানের সঙ্গে তার বোন শিল্পী সুমনা হক, অভিনেত্রী শমী কায়সার ও উপস্থাপক পুনম প্রিয়ম
বিনোদন
সফল নারী উদ্যোক্তা ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক সংগীতা খান আর নেই। ক্যারিয়ারের সফলতার পাশাপাশি সুব্যবহার আর রুচিশীলতার জন্য শোবিজে আলাদা পরিচিতি ছিল এই মানুষটির। তার আরেক পরিচয়, তিনি এ দেশের ‘জিঙ্গেল কুইন’খ্যাত সুমনা হকের বড় বোন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে অনেকটা হুট করেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে উদ্যোক্তা সমাজ এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
সংগীতা খানের সঙ্গে দুটি আলাদা সময়ের ছবি শেয়ার করে জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তোমার সাথে দেখা হলো। এত ভীড়ের মধ্যেও কত গল্প, ব্যাংককের কথা, শমী আপুর কথা, অনির কথা, ওমরা করতে যাবে সে গল্প। ৩ মাসও হয়নি! ফ্লোরা-বুলা চলে যাবার পর থেকে আমার খুব মনে হতো, সবই পড়ে থাকে, হঠাৎ করে মানুষটাই শুধু থাকে না! আজ ভোরে তুমি আবার সেটাই শক্ত করে মনে করিয়ে দিলে। যতবার, যত জায়গায় দেখা হয়েছে তুমি আমার গালে-পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে দিয়েছো। কি মায়া করে আমার হাতটা তোমার দুই হাতে ধরে গল্প করতে। আমি তোমাকে দেখতে না পেলেও, দুর থেকে তুমি আমাকে দেখে কাছে এসে জড়িয়ে ধরতে, ‘এই যে আমার মিষ্টি মেয়ে’ বলে! আমার গালে-মুখে হাত বুলানো তোমার আদর, আমার সবসময় মনে থাকবে সংগীতা আপা। আর তোমার আপুজি ডাক। আল্লাহ তোমার আত্মার শান্তি দিন।’
সংগীতা খানের সঙ্গে অভিনেত্রী রুনা খান
সংগীতা খান কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ১৯৮৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে। সেখানে চাকরি করেন ২০ বছর। চাকরি করা অবস্থায় যুক্ত হন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বনানীতে নিজের ‘ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জ’ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
জন্ম তার ১৯৬১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে। আদি বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ। বাবা আনোয়ারুল হক। বাংলাদেশ বস্ত্রকল কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) অর্থ পরিচালক (ফিন্যান্স ডিরেক্টর) ছিলেন তিনি। মা বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি খালেদা এদিব চৌধুরী। তার বাবা ১৯৯৪ সালে এবং মা ২০০৮ সালে গত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন বিভাগে ১৯৮৪ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন সংগীতা। তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ‘ইয়েলো ইন্সপায়ারিং ফিমেল অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারও পেয়েছেন।
সংগীতা খানের সঙ্গে অভিনেত্রী সোহানা সাবা, ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা ও টুটলি রহমান
সংগীতা খান বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ১৯৭৯ সালে। প্রকৌশলী এফআর খানকে বিয়ে করেন তিনি। এফআর খান দেশের আবাসন শিল্পের একজন প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব। তিনি আবাসন প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস’র (বিটিআই)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের দুই ছেলেমেয়ে। ২০১২ সালে সংগীতা খান যুক্ত হন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (বিডাব্লিউসিসিআই) সঙ্গে। সংগঠনটির ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিহনি। এ ছাড়াও তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সাধারণ পর্ষদ সদস্য (জেনারেল বডি মেম্বার), ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (আইবিসিসিআই) পরিচালক ও জার্মান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (জিবিসিসিআই) সদস্য।