‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’র মুক্তি, প্রিমিয়ার শো-তে তথ্যমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’র মুক্তি, প্রিমিয়ার শো’তে তথ্যমন্ত্রী

‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’র মুক্তি, প্রিমিয়ার শো’তে তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তি পেলো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্র। বুধবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা বিপণন কেন্দ্রে স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নারী পথিকৃত চট্টগ্রামের প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে এ সিনেমার পরিচালক প্রদীপ ঘোষ, প্রীতিলতা চরিত্রের অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক, শেখ শাকি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরিচালক প্রদীপ জানান, সিনেমাটি স্টার সিনেপ্লেক্সসহ সারাদেশে প্রথম ধাপে ১০টি হলে মুক্তি পাচ্ছে।

সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘প্রীতিলতার চরিত্রে অভিনয় করেছে তিশা, তাকেও আমি অভিনন্দন জানাই, কারণ প্রীতিলতা একটি ঐতিহাসিক চরিত্র। প্রীতিলতা এ উপমহাদেশে আন্দোলন, সংগ্রাম, স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। পরিচালক প্রদীপ ঘোষকেও অভিনন্দন জানাই।’

ড. হাছান তার কৈশোরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রীতিলতা এবং চট্টগ্রামের বিপ্লবী আন্দোলনের বইপত্রগুলো আমি কৈশোরে পড়েছি এবং প্রীতিলতা, সূর্যসেন ও তার বিপ্লবী আন্দোলনের সমস্ত সদস্য যারা ছিলেন এবং তাদের কর্মকাণ্ড সবকিছুর ওপর আমার এমন অনুরাগ জন্মে ছিল যে, সেই বয়সে স্বপ্ন দেখতাম- কিশোর বিপ্লবী হবো। সেই স্বপ্নের তাড়না থেকে পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনীতিতে যোগদান।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রীতিলতা সূর্যসেনের বিপ্লবী আন্দোলনের একজন সদস্য ছিলেন। তার ওপর দায়িত্ব পড়েছিল চট্টগ্রামের ইউরোপীয়ান ক্লাবে আক্রমণ করা, যেখানে লেখা ছিল ‘ইন্ডিয়ানস এন্ড ডগস আর নট এলাউড’। ইউরোপীয়ানরা সেই ক্লাবে যেতো এবং শুধু তাদের প্রবেশাধিকার ছিল, কুকুর এবং ভারতীয়দের কোনো প্রবেশাধিকার ছিল না। সেখানে আক্রমণ করার দায়িত্ব পড়েছিল প্রীতিলতার ওপর। প্রীতিলতা পুরুষের বেশে সেখানে আক্রমণ করে ফিরে আসার সময় আহত হন এবং তখন পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা করার কারণ ছিল এই যে, প্রীতিলতা যদি ধরা পড়তো তাহলে তাকে নির্যাতন করে তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের সমস্ত পরিকল্পনা ব্রিটিশরা জেনে যেতো। সেটি যাতে না হয়, সে জন্য তিনি নিজের জীবনটাই সঁপে দিয়েছেন। তার কাপড়ের ভেতর ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনের ৩২ পৃষ্ঠার জবানবন্দি পাওয়া গিয়েছিল। এই যে কাহিনী এটি কোন গল্প নয়, এটি সত্য কাহিনী, সত্য ঘটনা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই সিনেমা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এবং বিশেষ করে যারা ইতিহাস জানতে চায়, যারা দেশকে ভালবাসতে চায়, ভালোবাসে, তাদের মধ্যে প্রেরণা যোগাবে। এই সিনেমা শুধু এখানে আগ্রহ তৈরি করেছে তা নয়, কিছু দিন আগে ভারতের ৩০ জন সাংবাদিক আমাদের দেশে এসেছিল তারা যখন শুনেছে, তারাও উন্মুখ হয়ে বসে আছে কখন ভারতে এই সিনেমাটা দেখাতে পারবে। আমি আপনাদের এই সিনেমাটা দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।’

   

লিজার কোলজুড়ে ফুটফুটে কন্যাসন্তান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লিজা ও তার স্বামী

লিজা ও তার স্বামী

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা মা হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লোজআপ ওয়ান তারকার মা হওয়ার খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার কবির বকুল।

তিনি জানান, ১৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন লিজা। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।

ঘরোয়া আয়োজনে ২০২২ সালে বিয়ে করেন লিজা। বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সবুজ খন্দকার। তবে লিজার বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আসে গেল বছর নভেম্বরে।

;

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;