শুরু হচ্ছে সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫। নতুন এই মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু হাজির হবে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে আর সঙ্গে থাকবে তাদের নতুন বন্ধু জুলিয়া। জুলিয়া চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। তার মধ্যে আছে অটিজম বিষয়ক বৈশিষ্ট্য। সিসিমপুরে বাংলাদেশের অটিজমসম্পন্ন শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করবে জুলিয়া।

ইউএসএআইডি/বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এই সিজনের স্লোগান- ছন্দে ছন্দে পনেরো এলো- সবাই মিলে এগোই চলো। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সিজন-১৫ এর আনকোরা পর্বগুলো দেখা যাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়।

সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৫তম মৌসুম। এছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে। থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ এ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে  ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।


১৫তম সিজনের পর্বগুলো বর্ণনামূলক, ‘শিকুর বিজ্ঞানের জগৎ’ এবং ‘ইকরির সাথে খেলার সময়’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। এবারের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সাথে নতুন বন্ধু জুলিয়া ছাড়াও অংশ নিয়েছে আমিরা এবং শিকুর সহকারি বানর। এছাড়া থাকছে প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং আদিবাসী শিশুরাও। আর সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা তো থাকছেই। এই সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।

সিসিমপুরের সিজন-১৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের সিইওও ডা. সাকী খন্দকার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভি’র পরিচালক জগদীশ এষ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম-সহ অনেক গুণীজন। সঙ্গে ছিল সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম ও নতুন বন্ধু জুলিয়া।

ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।

   

ঈদ ‘রাঙা সকাল’-এ নব্বইয়ের সাড়া জাগানো চৈতী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে থাকবেন চৈতী

‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে থাকবেন চৈতী

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের সাড়া জাগানো মডেল লামিয়া তাবাসসুম চৈতী। সাম্প্রতিক সময়ে পর্দায় তাকে সেভাবে না দেখা গেলেও দর্শক তাকে মনে রেখেছেন বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে।

একটি রংয়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘শোবার ঘরটা নীল হোক, আকাশের মত’ বা ‘মনের মাধুরী মেশানো রং’ সংলাপ কিংবা নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেল ‘হারানো সেই দিন, মনে ভাসে আজও, এখনো সজীব যেন হয়নি বিলীন’-এর মাধ্যমে চৈতীকে এখনো স্মরণে রেখেছেন তার ভক্ত-দর্শক।

সেই দর্শকদের জন্যই আসছে ঈদে মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ ঈদ আয়োজনে অতিথি হয়ে আসছেন লামিয়া তাবাসসুম চৈতী। এই বিশেষ পর্বে চৈতী জানিয়েছেন, মনের মত চরিত্র পেলে তিনি অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চান।

লামিয়া তাবাসসুম চৈতী

২৫ বছর আগে একটি মাত্র টেলিফিল্মেই অভিনয় করেছিলেন তিনি। আফজাল হোসেন পরিচালিত ‘ছবির মত মেয়ে’ নামের সেই টেলিফিল্মে শুটিংয়ের মাঝেই প্রাণপ্রিয় বাবা প্রয়াত ফয়েজ উদ্দিন আহমেদকে হারিয়েছিলেন চৈতী। বাবার মৃত্যুর পর নতুন করে আর অভিনয়ের পথে পা বাড়াননি।

জনপ্রিয় তারকা সাদিয়া ইসলাম মৌ সম্পর্কে চৈতীর খালাতো বোন। মৌ’য়ের মা প্রয়াত রাশা ইসলামের সঙ্গেই চৈতী তার ক্যারিয়ারের ১ম মডেলিং করেছিলেন। তখন তার বয়স মাত্র ৮-৯ মাস।

বড় হবার পর ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা রাজীব মেননের পরিচালনায় ‘রেক্সোনা’র বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করেছিলেন তিনি। রাজীব মেনন সে সময় ‘সাপনে’ (কাজল, প্রভু দেবা, অরবিন্দ সোয়ামী) এবং পরবর্তীতে তামিল সিনেমা ‘কান্ডুকোন্ডাইন কান্ডুকোন্ডাইন’ (ঐশ্বরিয়া রাই, টাবু, মাম্মুতি, অজিত) পরিচালনা করেছিলেন।

রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায় ‘রাঙা সকাল’-এ চৈতী

চৈতী শিক্ষকতাও করছেন অল্প বয়স থেকে। শিক্ষকতার সাথেও তার প্রায় ২৫ বছর কেটে গেছে।

রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের ৪র্থ দিন, সকাল ৭টায়।

 

 

;

বিজয় থালাপতির গাড়িটাই ভেঙে দিল ভক্তরা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বরাবরই বিজয় থালাপতিকে নিয়ে ভক্তদের এমন উচ্ছ্বাস

বরাবরই বিজয় থালাপতিকে নিয়ে ভক্তদের এমন উচ্ছ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

কেরালায় শুরু হয়েছে দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার বিজয় থলপতির নতুন ছবি ‘দ্য গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম’-এর শুটিং। বিমানবন্দর থেকে অভিনেতার গাড়ি হোটেলের উদ্দেশে যখন রওনা দেয়, তখনই একদল ভক্ত পিছু নেন। গাড়ি হোটেলে পৌঁছাতেই প্রিয় নায়ককে এক নজর দেখার জন্য তার গাড়ির উপর রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়লেন ভক্তরা। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিজয়! তার কোটি টাকার গাড়ির অবস্থা শোচনীয়। সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও এখন ভাইরাল!

তবে ভক্তদের তাণ্ডব শুরুর আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে নিরাপদে গাড়ি থেকে বের হতে পেরেছেন অভিনেতা। 

বিজয় থালাপতি

ভেঙ্কট প্রভু পরিচালিত এবং অর্চনা কালপাথি প্রযোজিত ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ অভিনেতার ৬৮ তম সিনেমা। সিনেমাটিতে থালাপতি বিজয় ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন—মাইক মোহন, প্রশান্ত, প্রভু দেবা, স্নেহা, লায়লা, জয়রাম, মীনাক্ষী চৌধুরী এবং যোগী বাবু।

বিজয়কে সর্বশেষ দেখা গেছে লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত ‘লিও’তে। এটি গত বছর দক্ষিণের সর্বাধিক আয় করা সিনেমা। বিশ্বব্যাপী ৬২৩ কোটি রুপির বেশি আয় করে সিনেমাটি।

বিজয় থালাপতি এখন রাজনীতির মাঠেও নেমেছেন

এদিকে, অভিনয়ের পাশাপাশি বিজয় থালাপতি এখন রাজনীতির মাঠেও নেমেছেন।  ‘তামিলাগা ভেত্রি কোঝাগম’ নামে নতুন দল প্রতিষ্ঠা করতে চলেছেন তিনি।

 সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

;

মাদ্রাসার শিশুদের জন্য মন পুড়ছে জয়ার



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জয়া আহসান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বরাবরই মানবিক ও সামাজিক কাজে দেখা যায় প্রখ্যাত তারকা জয়া আহসানকে। রোজার শুরুতেই পথের কুকুরদের জন্য নিয়ে বার্তা দেন জয়া। এবার তিনি সমাজের এমন একটি দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, যা সচারচর সবার দৃষ্টিগোচর হয় না। জয়া শোবিজের তারকা হয়ে মাদ্রাসার বিশেষ কিছু শিক্ষার্থীর পীড়ার কথা বলেছেন। যাদের কষ্টে মন পুড়ছে এই তারকার।

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এক করুন দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা-খালা-চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না।’

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

তিনি আরও লিখেছেন, ‘তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা-বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হয়েছ? মামা-চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।’

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক

জয়া সবার কাছে অনুরোধ করেছেন, ‘এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেন পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ্ সহায়ক হয়।’

জয়া আহসান /  ছবি : ফেসবুক
;

লিজার কোলজুড়ে ফুটফুটে কন্যাসন্তান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অন্তঃসত্ত্বা লিজা ও তার স্বামী

অন্তঃসত্ত্বা লিজা ও তার স্বামী

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা মা হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্লোজআপ ওয়ান তারকার মা হওয়ার খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার কবির বকুল।

তিনি জানান, ১৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন লিজা। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন।

ঘরোয়া আয়োজনে ২০২২ সালে বিয়ে করেন লিজা। বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সবুজ খন্দকার। তবে লিজার বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আসে গেল বছর নভেম্বরে।

;