থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরে অনুষ্ঠিত হলো গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট-২০২২। এই সামিটে ‘দ্য ইয়ুথ ইমারজিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক হেমন্ত সাদীক। তিনি তরুণদের চলচ্চিত্র সংসদ সিনেমা বাংলাদেশের সভাপতি ও গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশের উৎসবের প্রযোজক।
গত ২৪ জুন (শনিবার) ব্যাংককের রয়েল থাই আর্মি ক্লাবের বলরুমে গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এই সামিটের উদ্বোধনী দিনে হেমন্ত’র হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার এইচ ই ড. কালায়া সফনপানিচ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনাইটেড নেশন পিস কিপারস ফেডারেল কাউন্সিল (ইউএনপিকেএফসি) এর প্রেসিডেন্ট এইচ ই ড. আফিনিতা চৈচনা, থাই রাজপরিবারের সদস্য এইচ ই ওয়ানচাই নাওয়ারাত, গ্লোবাল ইউথ পার্লামেন্টের সভাপতি দিওয়াকার আরয়াল প্রমুখ।
চলচ্চিত্র চর্চাকে বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৫ সালে হেমন্ত সাদীক প্রতিষ্ঠা করেন চলচ্চিত্র সংসদ সিনেমা বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে এই চলচ্চিত্র সংসদ ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর তরুণদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বিভাগীয় ও জেলা শহর দেশের নানা প্রান্তে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে। ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত এই উৎসব এরই মধ্যে লক্ষ্মীপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ, বান্দরবান ও নাটোরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের ডিসেম্বরে তারুণ্যের এ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কক্সবাজারে। উৎসব আয়োজন ছাড়াও দেশজুড়ে এ পর্যন্ত ১৫টি শহরে তরুণদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
এর আগে ২০২০ সালে সম্মানজনক ‘জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পায় সিনেমা বাংলাদেশ।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আবার সাইফ আলী খানের বাসার বাইরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। হামলার ঘটনাটি ‘রিক্রিয়েট’ করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবারও পুলিশের একটা দল সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে গেছে। দুই দিনের তদন্তে একটা প্রাথমিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই পুলিশের একটা দল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামকে সাইফ-কারিনার অ্যাপার্টমেন্ট সদগুরু শরণের ৫০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ৫ মিনিট থাকার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে পুলিশ বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে ফিরে এসেছিল। পুলিশ জানায়, সাইফের ওপর হামলাকারী বাথরুমের জানালা দিয়ে তার বাসায় ঢুকেছিলেন। আর সাইফের ওপর হামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই পথ ধরে পালিয়ে গিয়েছিল। সাইফ-কারিনার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তির একটা শীত টুপি উদ্ধার করেছে। টুপিতে পাওয়া চুল ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মুম্বাইয়ের স্কুল অব মেডিসিনে পাঠানো হয়েছিল।
অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ডিএনএ রিপোর্ট ম্যাচ করেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। এর পাশাপাশি হামলাকারীর জামায় লেগে থাকা রক্তের দাগ সাইফের কি না, তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
সাইফের অ্যাপার্টমেন্টের যে ঘরে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর ফিঙ্গারপ্রিন্টগুলো অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে মিলে গেছে। সাইফ-কারিনার আবাসনের দুজন নিরাপত্তারক্ষী ঘুমিয়ে ছিলেন। আর এই বিলাসবহুল আবাসনের মূল ফটক ও গলিতে সিসিটিভি না থাকার সুযোগ নিয়েছিলেন হামলাকারী। কোনো রকম আওয়াজ যাতে না হয়, তাই পায়ের স্যান্ডেল খুলে ফেলেছিলেন তিনি। মুঠোফোন বন্ধ রেখেছিলেন।
জানা গেছে, বাসায় ফিরে সাইফ গৃহকর্মী এলিয়ামা ফিলিপের সঙ্গে দেখা করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ, সাইফকে হামলাকারীর হাত থেকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
গতকাল বুধবার সকালে সাইফের বাসায় কিছু পুলিশ কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী সাইফের বয়ান নিতে গিয়েছিল পুলিশ। এই মামলার জন্য সাইফের বয়ান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু পুলিশ সাইফের বয়ানের বিষয়টি এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যমের কাছে। সাইফের পিআর জানান, অভিনেতার বক্তব্য এখনো নেওয়া হয়নি। এদিকে জানা গেছে, সাইফ-কারিনার নিরাপত্তা সংস্থা বদলানো হচ্ছে।
গতকাল বলিউড অভিনেতা রণিত রায় সাইফের বাসায় গিয়েছিলেন। খবর যে সাইফ-কারিনার নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন রণিত রায়ের সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার শরিফুলকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করা হবে।
হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ যতই সুপারহিট সিনেমায় আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করুন না কেন, ‘মিশন ইমপসিবল’ ফ্রাঞ্চাইজি আজীবনের জন্য তার ট্রেড মার্ক হয়েই থাকবে। অ্যাকশন, থ্রিলার, অবিশ্বাস্য সব স্টান্টে ভরা এই ফ্রাঞ্চাইজির সিনেমাগুলো বরাবরই ভক্তরা পছন্দ করে। টম ক্র্রুজের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা এসেছিল, এই সিনেমার ইথান হান্টের চরিত্রের মাধ্যমেই। তাই অভিনেতা আর প্রযোজকরা একেরপর এক সিনেমা বানিয়ে গেছেন। সেই ধারাবহিকতায় ফ্রাঞ্চাইজিরই লেটেস্ট সিনেমা ‘মিশন ইমপসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’ এখন মুক্তির অপেক্ষায়।
মেকার্সদের মতে এটাই ফ্রাঞ্চাইজির শেষ কিস্তি। তাদের দাবি, এই সিমেনায় ভক্তদের জন্য থাকবে বিশাল সব চমক। এমনকি পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি তো নিজের সিনেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে, অবাক করা এক মন্তব্যই করে বসলেন। অ্যাম্পায়ারের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছবিটি দেখে নাকি তার প্রায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার উপক্রম হয়েছিল!
মূলত সিনেমার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছেন বলেই মনে করছেন পরিচালক ম্যাককুয়ারি। সিনেমার স্ক্রিন টেস্টিংয়ের সময় আসন্ন সিনেমাটির ছোট একটি প্রদর্শনী হয়। সেটা দেখার বিষয়ে পরিচালক ‘পুরোটা সময় দম বন্ধ হয়ে আসা’র কথা বলেন। অর্থাৎ, প্রশংসা করেই ইতিবাচকভাবে হার্ট অ্যাটাকের কথাটি রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন পরিচালক।
সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ২৩ মে। ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ডেড রেকনিং’-এর প্রথম কিস্তি, এবার আসছে সেটারই চূড়ান্ত পর্ব। ইথান হান্ট চরিত্রে টম ক্রুজকে দেখা যাবে ভয়ংকর এক শত্রুর মুখোমুখি হতে। তারকাবহুল এই ছবিতে টম ক্রুজ ছাড়াও আছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভানেসা করবি, সাইমন পেগসহ আরও অনেক তারকা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন পোশাকের পরিকল্পনা সামনে আসার পর যেন সারাদেশে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে। ২০ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশ, র্যাব এবং আনসারের পোশাক সংস্কার করে নতুন ধরনের পোশাকের পরিকল্পনা সামনে আনা হয়। এরপর থেকেই কেবল আলোচনা-সমালোচনা নয়, রীতিমতো হাসা-হাসির রোল পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
শুধু সাধারণ জনগণ নয়, দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিরাও এই সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছেন। বিনোদন জগতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরও ক্ষোভ ঝেড়েছেন ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নব নির্ধারিত পোশাকের ছবিসহ একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করে সমালোচনা করেছেন আসিফ আকবর। তিনি লেখেন, ‘তিন বাহিনীর এই পোশাকের ডিজাইনার, অনুমোদনকারী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার জন্য রুচিহীনতার অভিযোগে দ্রুত গ্রেফতার করা হউক। মানসিক ডাক্তারদের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উন্নত চিকিৎসার তাদের পাবনার হেমায়েতপুর পাগলা গারদে প্রেরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সারা দেশে রুচিহীনতা ছড়িয়ে পড়লে সব দায়দায়িত্ব রুচিহীন সরকারকেই নিতে হবে।’
এই পোস্টে অনেক ভক্তই হাহা রিয়্যাক্ট দিয়েছেন। কমেন্ট বক্সে অনেকেই আসিফকে সমর্থন জানিয়ে সমালোচনা করেছেন। এক ভক্ত কমেন্ট করে লিখেছেন,‘সত্যিই প্রিয় বস হাস্যকর। আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় বস।’
অনেকেই তার সাথে সহমত করে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘এদেরকে দেখলে ভয় লাগেনা। বন্ধু-বান্ধব মেহমান অতিথি মনে হয়।’ ৩য় আরেকজন মন্তব্য করেন,‘কারা এদের এ পোষাক চয়েজ করতে দেই, মানুষের রুচি কি এতো দুর্বল হতে পারে, এই রুচি নিয়ে দেশের কি রুচিশীল পরিবর্তন করবে তারা।’
বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার রহস্যের জট ক্রমেই খুলছে। এই মামলায় ধরা পড়েছেন ৩০ বছর বয়সী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মুহাম্মদ রোহিলা আমিন ফকির। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক। আজ ভোরবেলায় অভিযুক্তকে সাইফ-কারিনার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে সাইফের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘পুনর্নির্মাণ’ করতে শরিফুলকে বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল বান্দ্রা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ কাকভোরে অভিযুক্তকে সাইফ-কারিনার বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এক ঘণ্টা পর পুলিশ সেই হামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে এই বলিউড দম্পতির বাসা থেকে বের হয়েছিল। তার আগে হামলার পর যেখানে যেখানে শরিফুল থেমে ছিল, সেখানে তাকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনের পুলিশ এখন শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিকেল চারটা নাগাদ অভিযুক্তকে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশন থেকে বার করা হয়েছিল তদন্তের জন্য।
সাইফের ওপর যে ছুরি হামলা করা হয়েছিল, তার তৃতীয় টুকরা খুঁজে বার করার জন্য পুলিশ স্টেশনের বাইরে আনা হয়েছিল তাকে। পুলিশি তদন্তে সামনে এসেছে, শরিফুল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানাতে চেয়েছিল। তাই চুরি করে তাড়াতাড়ি উপার্জন করার রাস্তা বের করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু পরে তার পরিকল্পনা বদলে যায়। এক ডান্স বারে কাজ করত শরিফুল। সেখানে গিয়ে পরিকল্পনা বদলায়। সে ভেবেছিল অনেক টাকা রাতারাতি উপার্জন করে বাংলাদেশে আবার ফিরে যাবে। আর তাই বান্দ্রার অভিজাত এলাকাকে বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত।
শরিফুল পুলিশকে জানিয়েছেন, সে চুরি করার উদ্দেশ্যেই সাইফ-কারিনার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিল। অভিযুক্তের দাবি, সে জানতো না এটা কোনো তারকার বাসা। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে সাইফ-কারিনার চার বছরের ছেলে জেহকে পণবন্দী করে এক কোটি টাকা আদায় করাই শরিফুলের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কারণ, মোটা অঙ্ক রাতারাতি কামিয়ে তিনি নিজের দেশ বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশে ফেরার জন্য হামলাকারীর বড় অঙ্কের প্রয়োজন ছিল। এই হামলার অন্যতম সাক্ষী সাইফের বাসার ৫৬ বছরের নার্স এলিয়ামা ফিলিপ পুলিশকে জানিয়েছেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জেহর বিছানার দিকে এগোচ্ছিল। এলিয়ামা জানিয়েছেন, বাধা দিতে গেলে তার ওপর দুষ্কৃতকারী লাঠি ও ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করেছিল। আততায়ীর সঙ্গে চিৎকার–চেঁচামেচিতে জেহর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল।
জেহ ছুটে ঘর থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সবার হইচই শুনে ছুটে এসেছিলেন সাইফ। এরপর আততায়ীর সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়। সাইফ আততায়ীর ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার পর সবাই ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। আর হামলাকারীকে ঘরে বন্ধ করে রেখেছিলেন সাইফ। কিন্তু যে পথ ধরে এসেছিল, সেই পথ ধরেই পালিয়ে যায় সে।
পুলিশের ভাষ্য অনুসারে, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাত মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। মেঘালয়ের ডাউকি নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলো শরিফুল। পশ্চিমবঙ্গের কারও আধার কার্ড ব্যবহার করে সিমকার্ড নিয়েছিল অভিযুক্ত। এরপর মুম্বাইয়ে শরিফুল কাজের খোঁজ করছিল। মুম্বাইয়ে আসার পর শরিফুল নিজের নাম বদলে বিজয় দাস রাখে। অভিযুক্তের ব্যবহার করা সিমকার্ডটি খুকুমণি জাহাঙ্গীর সেখার নামে বলে জানা গেছে। শরিফুল নিজের আধার কার্ড বানানোর চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তের মুঠোফোন তদন্ত করে জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের বেশ কিছু নম্বরে ফোন করেছিলো শরিফুল। তার পরিবারের সঙ্গে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখেছিল সে।
এদিকে পাঁচ দিন ধরে লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইফ। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর প্রথম দিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। পরের দিন স্পেশাল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল সাইফকে। আজ তিনি বিাড়িতে ফিরেছেন।