ক্যামেরা যখন চালিয়েছি মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন: গৌতম ঘোষ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গৌতম ঘোষ

গৌতম ঘোষ

  • Font increase
  • Font Decrease

‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। এ কারণে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত হয়েছিলেন গৌতম ঘোষ। যেখানে তথ্যচিত্রটি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

গৌতম ঘোষ জানান, এ তথ্যচিত্র সম্পূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ওপরই নির্মিত হবে। দেখা যাক। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করব।

কাজটি করতে কেমন লেগেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণের সময় একটি আবেগ কাজ করেছে। যখন আমি ক্যামেরা চালিয়েছি তখন মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও শেখ হাসিনার লেখা বই সবচেয়ে অথেনটিক হিসেবে মনে করি। এ তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা চিত্রায়িত করতে সম্মত। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ব্যাপ্তি এত বড় যে কলকাতার পর্বটি দেখলেই বোঝা যাবে তার সাহসিকতা।

এ সময় উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আবদুল মোমেন বলেন, এ ধরণের ছবি স্বাধীনতার পর তৈরি করলে ভালো হত। ১৯৭৫ সালে এক অন্ধকার নেমে আসার কারণে এ বিষয়ে আগানো যায়নি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কলকাতার পর্বটি বাদ দিলে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানা অপূর্ণ থেকে যায়।


কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে পড়া, বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, ব্রিগেডের ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ- এমন আরও অনেক কিছু বঙ্গবন্ধুর প্রিয় এই শহরের অলিগলি থেকে তুলে এনে ক্যামেরাবন্দি করছেন গৌতম ঘোষ। বঙ্গবন্ধুর জীবনে কলকাতা শহরের বড় ভূমিকা রয়েছে।

‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, কলকাতায় তার জীবন ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এটি। গত এপ্রিলের প্রথমদিকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত মৌলানা আজাদ কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুটিং শুরু করেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র পরিচালক।

দীর্ঘ গবেষণায় তৈরি চিত্রনাট্যটির আলোকে তথ্যচিত্র নির্মাণের বিষয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী।

   

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;

গানে ইরান সরকারের সমালোচনা, জনপ্রিয় র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সরকারের সমালোচনা করে গান করায় জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত। ইতিমধ্যে তোমাজ সালেহির ফাঁসির আদেশ জারি করা হয়েছে বলে এক্সে জানিয়েছেন এই র‍্যাপারের আইনজীবী আমির রেসিয়ান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কেউ এই মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মুখ খোলেননি।

দুই বছর আগে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি পুলিশের হেফাজতে মারা যান। কিন্তু এ ঘটনায় কেন পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হবে, সেটা নিয়ে সোচ্চার হয় দেশটির অনেক মানুষ। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নামেন।

 

কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে

ইরানজুড়ে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তখন ৩৩ বছর বয়সী তোমাজ সালেহি দেশের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা, সরকারের নানা রকম সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হন। বিভিন্ন সময় তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া থেকে থামেননি তিনি। তাঁর গান ছিল ইরানে পরিবর্তন চাওয়া মানুষের মুখে।

এই ঘটনায় সমালোচনা করেছে ‘দ্য রেকর্ডিং একাডেমি’। তারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোনো শিল্পী যখন শৈল্পিক কোনো কিছু নিজেদের মতো করে প্রকাশ করেন, তখন সেটা জীবনের জন্য ভয় বা হুমকির কারণ হতে পারে না। সব সময়ই সংগীত ভাব প্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম। এই শিল্পীদের সুরক্ষায় আমরা আগেও কাজ করেছি। এখন আমরা তাঁদের পাশে আছি।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যাপার মিক মিলার সালেহিকে গ্রেপ্তার করা ও তার শাস্তির ঘটনায় সমালোচনা জানিয়ে এক্স এ লিখেছেন, ‘আমরা সালেহি মুক্তি চাই। কুর্দি ও ইরানিয়ান র‍্যাপার সামন ইয়াসিনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চাই। তাঁদের দ্রুত মুক্তি চাই।’

ইরানের পুলিশ ২০২২ সালে সালেহিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে তাকে ছয় বছর তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। পরে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিনে বের হন। পরবর্তী সময়ে কিছুদিন পরেই তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এই র‍্যাপারের মুক্তির জন্য নাজানীন বনিয়াদি, আরিয়ান মোয়েদ, মাজ জোবরানিসহ বেশ কিছু অভিনয়শিল্পী মতামত প্রকাশ করেছেন।

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

জোবরানি একটি ভিডিওতে জানান, যখন শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছিল, সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন, তখন তাঁদের হয়ে তোমাজ নিজের মতো করে গান করেছিলেন। এটাই তাঁর একমাত্র অপরাধ। তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘একজন কমেডিয়ান হয়ে আমি কল্পনাই করতে পারি না, একজন শিল্পীকে তাঁর গানের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহি

তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ভ্যারাইটি।

 

;