শহিদের সঙ্গে থাকতে চাননি মীরা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত

শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিমধ্যে দাম্পত্য জীবনের সাত বছর পূর্ণ করে ফেলেছেন শহিদ কাপুর ও মীরা রাজপুত। বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা-মা তারা। কিন্তু বিয়ের পরপরই বলিউডের এই অভিনেতার সঙ্গে নাকি থাকতে চাননি মীরা।

কিন্তু কেনো? কারণ ছিলো শহিদ কাপুর অভিনীত ‘উড়তা পাঞ্জাব’ ছবিটি। অভিষেক চৌবে পরিচালিত ছবিতে শাহিদ তেজিন্দর টমি সিং চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যিনি একজন রকস্টার এবং মাদকাসক্ত ছিলেন।

বাস্তব জীবনে কতোটা রাগী এবং জেদি শাহিদ সেই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন তিনি। বলিউডের এই অভিনেতা বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মোটেই রাগী নই। খুব মজার বিষয়, যখন আমি এবং মীরা সবেমাত্র বিয়ে করেছিলাম, তখন আমি তাকে ‘উড়তা পাঞ্জাব’ মুক্তির আগে দেখতে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং আমরা এডিটিং রুমে দেখেছিলাম। আমি যাচ্ছিলাম, তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি আসতে চাও?’ এবং ও বলেছিল, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে আমি আসব।”

যোগ করে তিনি আরও বলেন, “যখন ছবি দেখা শুরু করি, তখন ও আমাদের পাশে বসা ছিলো। আমরা সোফায় বসা ছিলাম। ওর দিকে তাকাতেই দেখলাম, আক্ষরিক অর্থে পাঁচ ফুট দূরে বসা ও। জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে? আমরা সবেমাত্র বিয়ে করেছি। আমাদের দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল। একে অপরকে ভালো করে চিনতাম না। ও আমার দিকে তাকিয়ে প্রথম প্রশ্ন ছিল, তুমি এটা? তুমি ওর মতো? আমি তোমার সঙ্গে থাকতে চাই না। আমি বললাম, ‘না, না, ওটা টমি সিং। আমার সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক নেই।”

‘উড়তা পঞ্জাব’ এক অপরাধমূলক গল্প নিয়ে নির্মিত। এতে শাহিদ কাপুরের পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছিলেন আলিয়া ভাট, কারিনা কাপুর খান এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জ।

   

‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো’ কটাক্ষের জবাবে ভাবনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
(বাঁমে) গরুর এই ছবি নিয়েই সমালোচনা, অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা (ডানে)

(বাঁমে) গরুর এই ছবি নিয়েই সমালোচনা, অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠিক পাঁচ দিন আগে ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবির জন্য বাজেভাবে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন মেধাবী অভিনয়শিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা। একটি পিকআপ ভ্যানে কয়েকটি গরুর ছবি পোস্ট করে ভাবনা সেই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’

এটি পোস্ট নিয়েই তার দিকে নানা ধরনের কটাক্ষে তীর আসতে থাকে। শুধু নেটিজেনদের বাজে মন্তব্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনি বিষয়টি। এ নিয়ে যখন কিছু গণমাধ্যম নেতিবাচক খবর প্রকাশ করে তখন সেই সমালোচনার জোয়ার আরও তিব্র হয়। ট্রোলাররা ছবিটির ব্যাখ্যা এভাবে করেন, যেন ভাবনা গরু জবাই কিংবা গরুর মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই ছবিটি পোস্ট করেছেন।

আশনা হাবিব ভাবনা

ফলে অনেকেই ভাবনাকে হিপোক্রেট বলছেন। ভাবনা ও তার পরিবারের গরুর মাংস-প্রীতি সংক্রান্ত পুরনো নানা ইন্টারভিউ খুঁজে বের করে তারা বলছে, সে নিজেই এতোদিন গরুর মাংস খেয়ে এখন এসেছে উপদেশ দিতে। কেউ কেউ আবার বলছে, ভাবনা নিজেকে ‘পশুপ্রেমী’ প্রমাণ করতে গিয়ে নিজের কথাতেই ধরা খেয়েছেন!

প্রথমদিকে চুপ থাকলেও আজ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাবনা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি। যখন কোনো দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি। আমার একটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে একটি গরু, তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সে দিন ছিলো তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রানীটি ভীষণ ভাবে কাঁদছিলো। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি। ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’ ব্যাস এতটুকুই! তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখতে শুরু করলেন, আমি চামড়ার ব্যবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরও কত নোংরা নোংরা কথা!”

আশনা হাবিব ভাবনা

ভাবনার ভাষ্য, ‘আমি কোথাও লিখিনি গরুর মাংস খাই না বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না। একটা প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক। আর আমি প্রকৃতিপ্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কি না সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দেবো না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে?’

সবশেষে ভাবনা লেখেন, ‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে বা অন্য কোথাও অথবা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুড়ে দেওয়া সব তীর আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।’

আশনা হাবিব ভাবনা

ভাবনার এই ব্যাখ্যায় কারও কারও বোধোদয় হয়েছে বটে। কিন্তু অনেকেই এখনও তার সমালোচনায় মেতে আছে। তবে তারাও বিষয়টিকে উপলব্ধি করে সহজভাবে নেবেন বলে প্রত্যাশা এই অভিনেত্রীর।

;

দেখে নিন মেট গালা ২০২৪ মাতনো নারী তারকাদের ছবিগুলো



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেট গালায় শাকিরা, জেনিফার লোপেজ, কার্ডি বি, আলিয়া ভাট, আরিয়ানা গ্রান্ডে ও জেনি

মেট গালায় শাকিরা, জেনিফার লোপেজ, কার্ডি বি, আলিয়া ভাট, আরিয়ানা গ্রান্ডে ও জেনি

  • Font increase
  • Font Decrease

মে মাসের প্রথম সোমবার অর্থাৎ গতকালই নিউ ইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট’-এ বসেছিল ‘মেট গালা’র আসর। উপস্থিত ছিল হলিউডের প্রথমসারির তারকারা। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন বলিউড তারকা আলিয়া। মেট গালার জন্য আলিয়া ভাটের গর্জিয়াস ভারতীয় ট্র্যাডিশনাল লুক নিসন্দেহে ‘আউট অফ দ্য বক্স’। অনুষ্ঠান হোস্ট করেন প্রখ্যাত গায়িকা জেনিফার লোপেজ এবং হলিউড অভিনেত্রী জেন্ডায়া। দেখে নিন মেট গালা ২০২৪ মাতনো নারী তারকাদের ছবিগুলো...

লাল ক্ল্যাসি গাউনে চিরচেনা শাকিরা

 

স্টাইল আইকন জেনিফার লোপেজ বরাবরের মতো স্ট্যানিং সিলভার হেলি অ্যাম্বিলিশমেন্ট নেটের গাউনে

 

স্পাইডার’ম্যান খ্যাত অভিনেত্রী জেন্ডায়া যেন নীল পাখি

 

২৩ ফুট লম্বা আচলের শাড়িতে হলিউড তারকাদের মধ্যেও নজর কাদের ভারতীয় সুন্দরী আলিয়া ভাট

 

ব্ল্যাক পিংক তারকা জেনি হাজির হন নীল কোমর খোলা শর্ট গাউনে

 

তারুণ্যের ক্রেজ গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডের অফ হোয়াইট পোশাকের ছিমছাম লুক সবাই পছন্দ করেছে

 

ক্ল্যাসিক ক্রিম রঙের গাউনে অফ সোল্ডার গাউনে বিখ্যাত নারী উদ্যোক্তা ও মডেল কাইলি জেনার

 

কার্দাশিয়ান পরিবারের বড় কন্যা কিম বরাবরের মতোই তার ঢেউ খেলানো কোমরের যাদুতে মাত করেছেন। এবার পরেন উলের টপের সঙ্গে সিলভার গাউনে

 

কিমের ছোট বোন সুপারমডেল ক্যান্ডেল জেনারের কালো সিকুয়েন্সের পোশাক

 

মেট গালায় এবারের থিম ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’। সেকথা বোঝা যাচ্ছে সুপারমডেল গিগি হাদিদের সাদা পোশাকে

 

বিলিয়নিয়ার গায়িকা রিহানা বোধ হয় এবারের থিমকে একটু বেশিই পাত্তা দিয়েছেন। আস্ত ফুলের বাগান সেজে হাজির তিনি। নজর কেড়েছে বক্ষবন্ধনীতে দেয়াল ঘড়ির মোটিফ

 

নম্বর ওয়ান নারী র‌্যাপার কার্ডি বি পরেছেন বিশাল ঘেরের কালো গাউন। তবে নজর কেড়েছে তার নেইল স্টাইল, পাগড়ি বাঁধা চুল আর সবুজ ডায়মন্ডের গয়না

 

বিশ্ববিখ্যাত নারী র‌্যাপার নিকি মিনাজের হলুদ পোশাকজুড়ে ফুটে আছে বাহারি ফুল

 

ফুলেল গাউনে খুব মিষ্টি লাগছে সুপারস্টার গায়িকা কেটি পেরিকে

 

ফেদার আর লেসের ডিজাইন করা কালো গাউনে আবেদনময়ী গায়িকা ডুয়া লিপা

 

বন্ধুদের সঙ্গে মডেল টুইং ও জনপ্রিয় গায়ক এড শিরান

 

ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বড় কন্যা নারী উদোক্তা এষা আম্বানিও উপস্থিত হন মেট গালায়। রাহুল মিশ্রার ডিজাইন করা বিশাল টেলওয়ালা বাহারি রঙের গাউনটি েনেটিজেনরা খুব পছন্দ করেছে

 

;

মেট গালায় মানব-ঈশ্বরী আলিয়া, ১৯৬৫ ঘণ্টায় তৈরি ২৩ ফুট লম্বা আঁচলের শাড়িটি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

  • Font increase
  • Font Decrease

এ যেন রূপকথার পাতা থেকে উঠে আসা রাজকন্যা। স্বপ্নের মতো সাজ। ‘মেট গালা ২০২৪’-এর সাদা-সবুজ কার্পেটে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সাজ যেন এমনই কিছু বিশেষণের জন্ম দিল। মে মাসের প্রথম সোমবার অর্থাৎ গতকালই নিউ ইয়র্কের ‘মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট’-এ বসেছিল ‘মেট গালা’র আসর। উপস্থিত ছিল হলিউডের প্রথমসারির তারকারা। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন বলিউড তারকা আলিয়া। মেট গালার জন্য আলিয়া ভাটের গর্জিয়াস ভারতীয় ট্র্যাডিশনাল লুক নিসন্দেহে ‘আউট অফ দ্য বক্স’।

গত বছর মেট গালায় প্রথম বারের জন্য ডাক পেয়েছিলেন আলিয়া। সাদা পোশাকে পরির সাজে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এ বার অন্য রূপে ধরা দিলেন তিনি।

মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

যেন এক মানব-ঈশ্বরী

মেট গালায় এবারের থিম ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’। আর সেই ভাবনাকেই মাথায় রেখে দুর্দান্ত কিছু ‘আউট অফ বক্স’ লুক ক্রিয়েট করেছেন তারকারা। আর সবার মাঝেই আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন আলিয়া ভাট। মেট গালায় শাড়ির সাজে ধরা দিলেন আলিয়া ভাট। তাকে যে শাড়ির সাজে অপরূপ দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহল্য।

মেট গালা রেড কার্পেটে আলিয়া ভাট

ভারতের অন্যতম খ্যাতিসম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির ডিজাইন করা এই শাড়িতে ছিল ২৩ ফুট লম্বা আঁচল, যা সকলের নজর কেড়েছে। ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’ থিমটিকে ফ্যাশনের এক অপরূপ ভাষায় বিশ্লেষণ করেছিলেন তিনি। কথা স্বীকার করতে আপত্তি নেই যে, আলিয়ার লুকে বহাল রয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। মেট গালার সবুজ কার্পেটে আলিয়া-সব্যসাচীর হাত ধরে ভারতীয় ফ্যাশনের মুকুটে যোগ হল আরেকটি নয়া পালক।

মেট গালায় এমন সাজে উপস্থিত হন আলিয়া ভাট

কালার প্যালেটে প্রকৃতির ছোঁয়া

ডিজাইনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিন্ট গ্রিন এই শাড়িটি ছিল হ্যান্ড ক্রাফটেড। সম্পূর্ণ শাড়িজুড়ে অপূর্ব কারুকার্য করা হয়েছিল। বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিল চমৎকার ফ্লোরাল মোটিফ। ১৯২০-এর ফ্রিঞ্জ ডিটেলিং স্টাইল ফুটে উঠেছিল আলিয়ার শাড়িতে। এটির কালার প্যালেটে ছিল পৃথিবী, আকাশ এবং সমুদ্রের রঙের ছোঁয়া, যা প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ ছাড়া আর কিছুই নয়!

মেট গালায় আলিয়া ভাট

শাড়িটি তৈরি করতে কত সময় লেগেছিল?

১৬৩ জন কারিগর মিলে প্রায় ১৯৬৫ ঘণ্টা ধরে এই শাড়িটি তৈরি করেছিলেন, যার সৌন্দর্য মুহূর্তেই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রত্যেকের। আলিয়ার শাড়ির উপরে স্টোন ওয়ার্ক এবং অন্যান্য এমবেলিশমেন্ট ছিল দেখার মতো। আর এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া লম্বা ট্রেইন লুকে দিয়েছিল ড্রামাটিক এফেক্ট।

শাড়িটির সঙ্গে ব্রালেট স্টাইল করেছিলেন আলিয়া ভাট। আর এই ব্রালেটের ব্যাকে বো ডিটেলিং ও স্টোল এমবেলিশমেন্ট সবাইকে মুগ্ধ করেছিল। সঙ্গে রয়েছে গোলাপী এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এগুলিও কিন্তু হাতেরই কাজ। এই শাড়ির অন্যতম আরেক আকর্ষণ হল সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট।

আলিয়া শাড়িটি পরেছিলেন একটি বাস্টিয়ার ব্লাউজের সঙ্গে। যাতে রয়েছে প্লাঞ্জিং সুইটহার্ট নেকলাইন, রাফলড হাতা। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ। সেখানেও স্টোনের কাজ লক্ষণীয়।

মেট গালায় আলিয়ার গয়না ও সাজে ছিল বিশেষত্ব

আলিয়ার সাজগোজ

অভিনেত্রীকে শাড়ি ড্রেপ করেছিলেন ডলি জৈন। লুকটি স্টাইল করেছিলেন লক্ষ্মী লেহর ও আনাইতা শ্রফ অদাজনিয়া। এদিন আলিয়ার জুয়েলারিও ছিল দেখার মতো। সব্যসাচীর ‘বেঙ্গল রয়্যাল কালেকশন’-এর জুয়েলারিতে সেজে উঠেছিলেন তিনি। গয়না হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি মাং টিকা। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি।

মেট গালায় আলিয়া ভাট

মেকআপেও ছিল বিশেষত্ব। আলিয়ার চোখে সোনালি রঙের স্যাজো, গালে রুজ, ফুশিয়া গোলাপী ঠোঁট, বিমিং হাইলাইটার, মাস্কারা। আর সাজের ফাইনাল টাচ ছিল মেসি হেয়ার। সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নে দেখ রাজকন্যে তিনি। রাহা-র মা, রণবীর কাপুরের বউের সৌন্দর্যের কাছে হার মানেন একাধিক হলি-তারকাও। সবমিলিয়ে আলিয়াকে যে এদিন এক প্রাচীন অপরূপা ঈশ্বরীর মতো দেখাচ্ছিল, সে কথা বলাই বাহুল্য!

;

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে কোক স্টুডিও বাংলা, ফের সমালোচনা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর সঙ্গেই নতুন যাত্রায় নেমেছে কোক স্টুডিও বাংলা। তৃতীয় কিস্তিতে এ পর্যন্ত এসেছে দুটি গান- ‘তাঁতি’ এবং ‘মা লো মা’। প্রথম গান ‘তাঁতি’ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সমানতালে হলেও ইউটিউব ট্রেন্ডে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ‘মা লো মা’ গানটি।

দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই গানের সঙ্গেও জুড়ে গেল নতুন এক সমালোচনা।

‘মা লো মা’ গানটি নেত্রকোনার আঞ্চলিক গান হিসেবেই পরিচিত। তবে কোক স্টুডিও বাংলা থেকে প্রচারিত গানের লেখক হিসেবে লেখা ছিল খালেক দেওয়ানের নাম। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ নেত্রকোনার সংস্কৃতি কর্মীরা।

সোমবার (৬ মে) নেত্রকোনার সাহিত্য সমাজ, সম্মিলিত নাগরিক সমাজসহ অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক সংগঠন প্রতিবাদে নামে।

কোক স্টুডিও’র গানে যদিও ব্রাকেটে উল্লেখ ছিল গানের প্রকৃত স্রষ্টা বাউল রশিদ উদ্দিনের নাম। গ্রাম-বাংলার লোকসঙ্গীতের সম্মিলিত উপস্থাপনের কথাও উল্লেখ করা হয়। তারপরেও একজোট হয়ে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ জানায় নেত্রকোনাবাসী।

তাদের দাবি, কোক স্টুডিও বাংলা নতুন ভার্সনের নামে ষড়যন্ত্র করছে কোক। যার গান তার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের প্রচারণা করছে, কোক স্টুডিও, এ রকম দাবি তুলেছেন নেত্রকোনার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।

ভাটি অঞ্চলের বিখ্যাত বাউল রশিদ উদ্দিনের গান- ‘এই মা লো মা’। নেত্রকোনাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে গানটিতে মূল স্রষ্টার নাম উল্লেখ করতে হবে। তাদের গর্ব বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন। মূল স্রষ্টার নাম সরাসরি উল্লেখ না করা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছেন তারা।

কোক স্টুডিও’র প্রচারিত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শরফুদ্দিন দেওয়ান (সাগর), আরিফ দেওয়ান এবং র‍্যাপ গান লিখেছেন ও কণ্ঠ দিয়েছেন আলী হাসান। গান ও বাদ্যযন্ত্রের পরিচালনা করেছেন প্রীতম হাসান।

একদিকে, যখন দেশের মানুষ গানটি নিয়ে আন্দোলন প্রতিবাদ করছেন, তখন অন্যদিকে দেশের বাইরের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছেন- ‘মা লো মা’ গানটি।

সোমবারই প্রীতম হাসান তার ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। 'দ্য কুইক স্টাইল' নামে একটি ডান্স গ্রুপ এই গানে ডান্স কভার করে। দেশ-বিদেশের হাজারও দর্শক প্রশংসামূলক মন্তব্য করছেন।

মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি প্রায় ৫ লাখ ভিউ অতিক্রম করে। ‘দ্য কুইক স্টাইল’ এর আগে বিভিন্ন হিন্দিগানে ডান্স করে ভারতীয় দর্শকদের মন জয় করেছিল।

 

;