কাকে শিল্পী বলছেন?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
সুমন আনোয়ার

সুমন আনোয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে অভিনয়শিল্পীদের নির্বাচন। অন্যদিকে সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা শিল্পীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় নির্মাতা সুমন আনোয়ার প্রশ্ন তুলেছেন ‘কাকে শিল্পী বলা হচ্ছে?’। গতকাল (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট মনোযোগ কেড়েছে নেটিজেনদের। সমসাময়িক বাস্তবতায় তার এ পোস্টের প্রশংসা করছেন অনেকেই। অনেকেই ভাবছেন চিন্তার খোরাক যোগাবে তার এমন বয়ান। পাঠকদের জন্য নির্মাতা সুমন আনোয়ারের লেখাটি তুলে ধরা হল।

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অডিও-ভিজুয়াল পেশার লোকেরা (শিল্পী শব্দ ব্যবহারের মতো শিল্পী খুঁজে পাইনি মার্জনা করবেন) একটা আধুনিক ইনস্টিটিউট করতে পারেনি অথবা ভাবেনি- যেখান থেকে অভিনয়শিল্পী-নির্মাতা-টেকনিশিয়ান তৈরি হওয়ার চর্চা ও রিসার্চ হবে, পক্ষান্তরে তারা মসজিদ,মন্দির, শপিং কমপ্লেক্স তৈরী করেছেন নয়তো ক্ষমতার লোভে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। আর যারা এগুলোর কোনোটি পারেন নি তারা পুঞ্জি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

ধরা যাক, ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পক্ষে একটা আধুনিক ইনস্টিটিউট করা সম্ভব না যদি সরকার উদ্যোগ গ্রহণ না করে, বাংলাদেশের যতগুলো সংগঠন অভিনয়কে কেন্দ্র করে বিরাজমান- রেডিও টেলিভিশন থিয়েটার চলচ্চিত্র, এই সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা সরকারের কাছে ত্রাণ অনুদান চিকিৎসা সাহায্য পেনশন তহবিল সরকারি আবাসন প্লট এর বাইরে কোন দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

আপনি যে সেক্টরেই কাজ করেন তার ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রাকচার তৈরী না হলে সেই ইন্ডাস্ট্রি মুখ থুবড়ে পড়বেই। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি সেলাই কর্মী আর প্রবাসী শ্রমিক, শত শত বৎসরের ধারাবাহিক ঐতিহ্যে আমাদের সেলাই কর্মীদের এই সমৃদ্ধি, কারণ এই অঞ্চলের মানুষ একসময় মসলিনের মত কাপড় তৈরি করতো। 

এ অঞ্চলের কামার কুমার তাঁতি জেলে কৃষক প্রতিদিন শিল্পীর মতো করে ফসল বুনে জমিতে আর সেই ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের শ্রমবাজার, আমরা কি পেরেছি আমাদের সেলাই কর্মী আর শ্রমিকদের এই দক্ষতাকে বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ডিং করতে?

বায়ার অর্ডার না দিলে সেলাই বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু কাস্টমার যদি জানতো কেন এই অঞ্চলের শ্রমিকদের সেলাই করা কাপড় মূল্যবান, তার পেছনের ঐতিহ্য বা দর্শন তাহলে সে এটাই খুজবে, ফিলোসফিক্যালি কাস্টমারকে রিচ করার কোনো আয়োজন এত বড় গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির আমি দেখিনি। যেমন দেখিনি সাইমন ড্রিং চলে যাওয়ার পরে এদেশে কোন টেলিভিশনকে টেলিভিশন হয়ে উঠতে, কারণ তারা বারবার নির্মাতা কে বলেছে ভাই এটাতো টেলিভিশন-টেলিভিশনের মতই করেন। 

গত ২০ বছরে টেলিভিশনে নতুন কোন একটা আইডিয়া দেখিনি, সেখানে কর্মরত লোকেরা নতুন আইডিয়াকে এপ্রিশিয়েট করার মত সাহস অথবা জ্ঞান রাখে না, তারা শুধু চাকরিই করে, সেই দেশে ডাবিং সিরিয়াল চলবে না তো আর কি চলবে?

প্রসঙ্গে আসা যাক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে অডিও-ভিজুয়াল ইন্ডাস্ট্রি বিরাজমান, একজন সুপারস্টারের একথা বলেন যিনি জেনে বুঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিয়েটিভ জার্নির মধ্যে ছিলেন, অথবা স্টারডমটা মেন্টেন করেছে, প্রতিষ্ঠিত পরিচালক অভিনেতা অভিনেত্রীদের ইন্টারভিউতে আমি কখনো শুনিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির মত ডেফিনেটলি উনি শুধু ক্রিকেটটাই খেলতে চেয়েছে।

বেশিরভাগ লোকেরা অন্য জায়গায় ব্যর্থ হয়ে এখানে এসেছেন, একজন অভিনেত্রীকে ইন্টারভিউতে বলতে শুনেছি তিনি তার মামার সাথে কারণ বাজারে মাছের বাজারের পাশে সিনেমার শুটিং দেখতে এসেছিলেন- তারপর কেউ একজন বলল তুমি পারবা? অন্য একজন পরিচালক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন ইন্ডিয়া থেকে আমরা পাঁচটার সিনেমা কিনে আনছি সেগুলোর নায়ক খুঁজতে গিয়ে নবাগত অভিনেতা বলেছিলেন আমি অমুক সিনেমাটা আমি ২৭ বার দেখেছি তাই তিনি সেটা নির্মাণ করেছিলেন...

ভাই, ক্রিয়েটিভিটি অন্য জিনিস, সেটার জন্য সাধনা করতে হয় জেনে বুঝে।

শিল্পীর বড় সংকট আজকে বাংলাদেশে। হাসি তামাশা ইয়ার্কি ট্রল করতে যেয়ে পপুলার করে ফেলছেন অযোগ্য একজন মানুষকে পরবর্তীতে তিনি ‘শিল্পী’ বলে হাজির হয়ে দেশ ও জাতির প্রতিনিধিত্ব করছেন, বিশ্ববাজারে আপনার কয়জন শিল্পী আধুনিক শিল্পীসত্তা নিয়ে তার দর্শনের কথা বলতে পারবে অথবা বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবে?

হ্যাঁ পারবে, পরচর্চা আর বিচার সালিশ করতে, এখনো সময় আছে বাংলা কন্টেন্টের গ্লোবাল বাজার তৈরি করতে হলে প্রকৃত শিল্পী হয়ে ওঠার জন্য অবকাঠামো তৈরি করুন অথবা শিল্পী হয়ে উঠুন, সম্ভাবনার এক অপার বিশ্ব অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।

   

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ফেলে কানে কর্মীদের ধর্মঘট



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ধর্মঘটের কারনে কানের আঙিনা এখন এমন নীরব

ধর্মঘটের কারনে কানের আঙিনা এখন এমন নীরব

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। বিশ্বের প্রাচীন চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম এই উৎসব। জমকালো এই আয়োজনকে ঘিরে কান হয়ে উঠে মুখর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র অনুরাগীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় শহরটি।

আগামী ১৪ মে ভূমধ্যসাগরের তীরে দক্ষিণ ফ্রান্সের কান শহরের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে পর্দা উঠবে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের। আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মাঝেই শুরু হলো উৎসব কর্মীদের ধর্মঘট!

প্রতি বছর এভাবে কানের রেড কার্পেট বিশ্বের নানা প্রান্তের তারকা ও ফটোগ্রাফাররা

‘পর্দার আড়ালে দারিদ্র্য’ নামের ফরাসি শ্রম সংস্থার নেতৃত্বে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে চান না কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দাবি সকলের সামনে তুলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। কর্মীরা কাজ থামিয়ে ধর্মঘটে যাওয়ায় উৎসব বন্ধ না হলেও বিরূপ প্রভাব পড়বে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এই কর্মীদের মাঝে আছেন ড্রাইভার, প্রোজেকশনিস্ট, ক্যাটারারসহ নানা পেশার ফ্রিল্যান্স কর্মী।

টিভি ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ফ্রিল্যান্স কর্মীদেরকে তাদের বেকারত্বের সময়ে বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়। এই সুবিধা কেবল তাদের জন্য যারা বছর জুড়ে নির্দিষ্ট ঘণ্টা কাজ করেছেন। কিন্তু উৎসবের ফ্রিল্যান্স কর্মীদের সুবিধা পেতে পোড়াতে হয় কাঠখড়, পূরণ করতে হয় শর্ত। তার ওপর ন্যূনতম মজুরিতে কাজ করায় এই কর্মীদের জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

এবার কানের উদ্বোধন করবেন কিংবদন্তী হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। তাকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পুরস্কারও দেওয়া হবে

ফ্রান্সের সরকার ইতোমধ্যেই ফ্রিল্যান্স কর্মীদের বেকার ভাতা কমিয়ে অর্ধেক করে দিয়েছে। ১ জুলাই থেকে সুবিধা আরও কমবে বলে শোনা গেছে। কর্মীরা ধারণা করছেন ভাতা পাওয়ার জন্য শর্তের কর্মঘণ্টার আরও বাড়ানো হবে। যদি এটা করা হয়, তাহলে উৎসবের ৮০ শতাংশ কর্মী চাকরী পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন। তাই সাংস্কৃতিক জগতের অন্যান্যদের মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার দাবি করছে ফ্রিল্যান্স উৎসব কর্মীরা।

উৎসব কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

তথ্যসূত্র : ভ্যারাইটি

;

রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বিটিভিতে ‘শেষের রাত্রি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘শেষের রাত্রি’ নাটকে ওহায়িদা মল্লিক জলি

‘শেষের রাত্রি’ নাটকে ওহায়িদা মল্লিক জলি

  • Font increase
  • Font Decrease

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) ২৫ বৈশাখ, ৮ মে বুধবার রাত ৯টায় প্রচারিত হবে বিশেষ নাটক ‘শেষের রাত্রি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘শেষের রাত্রি’ অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন খায়রুল আলম সবুজ। প্রযোজনা করেছেন শাহ জামান মিয়া। এতে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, জিতু আহসান, ওহায়িদা মল্লিক জলি, হাবিব মাসুদ, বোরহান বাবু, পলি চৌধুরী, মৌমিতাসহ আরো অনেকে।

 ‘শেষের রাত্রি’ নাটকে সহশিল্পীর সঙ্গে জিতু আহসান

নাটকের গল্পে দেখা যাবে- যতীন বহুদিন হলো অসুখে পড়ে রয়েছেন। ডাক্তার তার আরোগ্য লাভের আশা ছেড়ে দিয়েছেন তবুও চিকিৎসা চলছে। তার মাসি দিবা-নিশি বোনপোর পাশে ছায়ার মতো থেকে সেবা করছেন কিন্তু যতীনের স্ত্রী মণি এসবের খোঁজ তেমন রাখে না। চঞ্চলমতি অনভিজ্ঞ মেয়েটি জগত-সংসারের এতোকিছু এখনো বুঝতে পারে না। সে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে গোঁ ধরেছে। মাসি তাকে বোঝাবার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন। এদিকে বোনপো যেন কষ্ট না পায় সে কারণে বানিয়ে বানিয়ে বৌমার সুকৃতীর কথা তাকে বলে যান। এভাবে নাটক চলতে থাকে।

কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীতে প্রচারিত হবে শিশুতোষ অনুষ্ঠান

এছাড়াও কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীতে আরো প্রচারিত হবে বিশেষ আলোচনানুষ্ঠান, প্রামাণ্যানুষ্ঠান, সঙ্গীতানুষ্ঠান, আলেখ্যানুষ্ঠান, শিশুতোষ অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান ও কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান।

;

নেটিজেনরা বলছে ‘আগুন টিজার’, ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখবে তুফানের!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এর নতুন পোস্টারে সুপারস্টার শাকিব খান

‘তুফান’-এর নতুন পোস্টারে সুপারস্টার শাকিব খান

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহের পর ক’দিন ধরে আবহাওয়া অনেকটা শীতল! তুমুল বৃষ্টির সাথে পরশু বছরের প্রথম বৈশাখী ঝড়ও দেখেছে দেশবাসী! কিন্তু এরইমধ্যে নতুন তুফানের পূর্বাভাস দিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী! এমনকি সবাইকে করলেন সতর্ক!

না, নির্মাতা রাফী হঠাৎ আবহাওয়াবিদ বনে যাননি! তিনি নাটকীয় কায়দায় নিজের পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘তুফান’-এর পূর্বাভাস দিলেন! যে ছবির লুক প্রকাশ করে আগেই দর্শকের মধ্যে তুমুল আগ্রহ তৈরী করেছেন রাফী। ছবিতে নব্বই দশকের গ্যাংস্টারের চরিত্রে সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো!

‘তুফান’-এর প্রথম পোস্টারে সুপারস্টার শাকিব খান

তারকাবহুল এই ছবিটি নিয়ে আজ মঙ্গলবার নতুন আপডেট দিলেন রাফী। দুপুরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাফী হঠাৎ লিখেন,“আবহাওয়া কেমন আজ বাহিরে? তুফান আসবে নাকি?” এমন স্ট্যাটাসের পর কারো আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, ‘তুফান’ এর নতুন কিছু আসছে!

এমন স্ট্যাটাসের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিষয়টি আরো পরিস্কার হলো! রাফী ‘তুফান’-এ শাকিবের আরো একটি দুর্দান্ত লুক প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক করে লিখেছেন, ‘বাংলার আকাশে বাতাসে এক ভয়ঙ্কর তুফানি ঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে! সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে অবস্থান করার জন্য সতর্ক করছে তুফান কর্তৃপক্ষ! আজ যেকোনো সময় আসতে পারে ভয়ংকর কোনো ঝড়।’

‘তুফান’-এর নতুন পোস্টারে সুপারস্টার শাকিব খান

শেয়ার করা পোস্টারে লেখা ‘তুফানি টিজ লোডিং’! নাটকীয় কায়দায় পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করায় দর্শকও মজা পেয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে বহু মানুষের মন্তব্য! সবাই জানিয়েছেন, অপেক্ষায় আছেন সেই তুফানি ঝড়ের!

সেই অপেক্ষা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী করেননি নির্মাতারা। ২০ মিনিট আগেই প্রকাশ পেয়েছে ‘তুফান’ সিনেমার প্রথম টিজার। আর তা দেখার জন্য এরইমধ্যে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে নেটিজেনরা। যারা এরইমধ্যে দেখে ফেলেছেন তারা টিজার নিয়ে একবাক্যে বলেছেন, ‘আগুন টিজার’, ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখবে তুফানের!

‘তুফান’-এর টিজারে সুপারস্টার শাকিব খান ও জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী

‘তুফান’-এর টিজারে মাত্র দুটি সংলাপ। সুপারস্টার শাকিব খানের মুখে শোনা যায়, ‘পূর্বের কথা মোতাবেক, এখন থেকে পুরো দেশ তুফানের হাতে তুলিয়া দেব। সে যা চাইবে, পাইবে। যা করিতে চাইবে করিবে। তাহাকে কোন কিছুতেই বাঁধা দেয়ার এখতিয়ার কেউ রাখিতে পারিবে না। আর এর ব্যত্যয় ঘটিলে... (হাহাহাহাহা)।’

এই সংলাপের পেছনে বাজতে থাকে তুফান-এর টাইটেল গানের মুখটুকু। এরপর সব শান্ত। ধীর স্থির মুখে চঞ্চল চৌধুরীর সংলাপ, ‘তুফান, খুব ভয় পাইছি রে (হিহিহিহিহি)।’

ব্যাস, এতোটুকুতেই ভক্তদের মধ্যে আগ্রহ তৈরী করেছে ‘তুফান’ ছবিটি।

‘তুফান’-এ অভিনয় করছেন মিমি চক্রবর্তী ও মাসুমা রহমান নাবিলা

আলফা আই, চরকি এবং ভারতীয় এসভিএফ এর যৌথপ্রযোজনায় নির্মিতব্য ছবিটির শুটিং চলছে গেল মাস থেকেই। প্রথম দফায় ভারতে হয়েছে শুটিং। সেইসব শুটিং মুহূর্তের কিছু ছবিও ইতোমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল! ‘তুফান’-এ আরও অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী, মাসুমা রহমান নাবিলা, মিশা সওদাগর প্রমুখ। আসন্ন ঈদুল আযহায় প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।

;

‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো’ কটাক্ষের জবাবে ভাবনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
(বাঁমে) গরুর এই ছবি নিয়েই সমালোচনা, অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা (ডানে)

(বাঁমে) গরুর এই ছবি নিয়েই সমালোচনা, অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠিক পাঁচ দিন আগে ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবির জন্য বাজেভাবে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন মেধাবী অভিনয়শিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা। একটি পিকআপ ভ্যানে দুটি গরুর ছবি পোস্ট করে ভাবনা লিখেছিলেন, ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’

এটি পোস্ট নিয়েই তার দিকে নানা ধরনের কটাক্ষে তীর আসতে থাকে। শুধু নেটিজেনদের বাজে মন্তব্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনি বিষয়টি। এ নিয়ে যখন কিছু গণমাধ্যম নেতিবাচক খবর প্রকাশ করে তখন সেই সমালোচনার জোয়ার আরও তিব্র হয়। ট্রোলাররা ছবিটির ব্যাখ্যা করে এভাবে, যেন ভাবনা গরু জবাই কিংবা গরুর মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই ছবিটি পোস্ট করেছেন।

আশনা হাবিব ভাবনা

ফলে অনেকেই ভাবনাকে হিপোক্রেট বলছেন। ভাবনা ও তার পরিবারের গরুর মাংস-প্রীতি সংক্রান্ত পুরনো ইন্টারভিউগুলো খুঁজে বের করে তারা বলছে, সে নিজেই এতোদিন গরুর মাংস খেয়ে এখন এসেছে উপদেশ দিতে। কেউ কেউ আবার বলছে, ভাবনা নিজেকে ‘পশুপ্রেমী’ প্রমাণ করতে গিয়ে নিজের কথাতেই ধরা খেয়েছেন!

প্রথমদিকে চুপ থাকলেও আজ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাবনা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি। যখন কোনো দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি। আমার একটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাঁড়িয়ে একটি গরু, তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সে দিন ছিলো তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রানীটি ভীষণ ভাবে কাঁদছিলো। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি। ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে!’ ব্যাস এতটুকুই! তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখতে শুরু করলেন, আমি চামড়ার ব্যবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরও কত নোংরা নোংরা কথা!”

আশনা হাবিব ভাবনা

ভাবনার ভাষ্য, ‘আমি কোথাও লিখিনি গরুর মাংস খাই না বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না। একটা প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক। আর আমি প্রকৃতিপ্রেমী বা প্রাণীপ্রেমী কি না সেটার প্রমাণ আমি কোথাও দেবো না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে?’

সবশেষে ভাবনা লেখেন, ‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে বা অন্য কোথাও অথবা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার দিকে ছুড়ে দেওয়া সব তীর আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।’

আশনা হাবিব ভাবনা

ভাবনার এই ব্যাখ্যায় কারও কারও বোধোদয় হয়েছে বটে। কিন্তু অনেকেই এখনও তার সমালোচনায় মেতে আছে। তবে তারাও বিষয়টিকে উপলব্ধি করে সহজভাবে নেবেন বলে প্রত্যাশা এই অভিনেত্রীর।

;