মোরগ যখন বিজ্ঞাপনের প্রতীকী চিহ্ন!



জুবায়ের ইবনে কামাল, অতিথি লেখক
ধর্ষণ বিরোধী সচেতনতার বার্তা সমৃদ্ধ বিজ্ঞাপনটির একটি দৃশ্য

ধর্ষণ বিরোধী সচেতনতার বার্তা সমৃদ্ধ বিজ্ঞাপনটির একটি দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজ্ঞাপনের ভাষা নিয়ে কথা বলার আগে মোরগ নিয়ে দুটো গল্প বলা যাক।

একটি হলো বিবিসি জানালার বিজ্ঞাপন। একটি দেয়ালের উপর থেকে ভয়ংকর ভাবে ঝাঁপ দিলো লাল রঙা মোরগ। ঠিক তখনই দেয়ালের ওপাশ থেকে মাথা বের করতে দেখা গেলো মাথায় দুই বিনুনী করা এক কিশোরী মেয়েকে। এবার দেয়ালের উপর থেকে ঝাঁপ দিলো মেয়েটাও। তারপর শুরু হলো মোরগটাকে আটকানোর লড়াই।

কখনও বা মুরগীকে আটকে রাখার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি খাঁচা ছুড়ে দিচ্ছে লাল রঙা মোরগটির দিকে, আবার কখনও দেখা যাচ্ছে টিনের চাল থেকে কখন নিচে লাফ দেবে মোরগটি সেই সময়ের জন্য তক্কে তক্কে আছে মেয়েটি। রোদে শুকাতে দেয়া ধানের উপর ঝাঁপ দিয়েও শেষমেশ হাতে রাখতে পারে না মোরগকে। এ যেন কিশোরী-মোরগের অদম্য লড়াই। আর ঠিক এভাবেই এগিয়ে যায় বিবিসি জানালা ইংরেজি শেখার বিজ্ঞাপন। আমরা শেষে দেখতে পাই, পেছনে ভেসে আসছে একটি কণ্ঠ, যে বলে যাচ্ছে- ‘আপনি এত কঠিন কাজ করতে পারেন? আরেকটু চেষ্টা করলে ইংরেজিটাও পারবেন’।



অন্য বিজ্ঞাপনটি হলো পাওয়ার এনার্জি ড্রিংকের বিজ্ঞাপন। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনটা খানিকটা আলাদা। ওয়েব সিরিজ তাকদীরে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়া সোহেল মন্ডলকে দেখা যায় একটি লাল রঙা মোরগকে আদর করে ‘সোনা মিয়া’ বলে ডাকতে। তার ডাকার ভঙ্গিতে অশ্লীলতা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। সামনে বসে থাকা লোকটিকে তিনি আরও বোঝান, এই মোরগটি এখন আর কথা শোনে না। নিজে থেকেই নড়াচড়া করে। এই কথাগুলো বলার সময় ক্লোজ শট নেয়ার মাধ্যমে নির্মাতা বিষয়টিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দর্শকদের দেখান।

কিন্তু তারপরই পাল্টে যায় দৃশ্য। সত্যি সত্যিই মোরগ লাফিয়ে উঠে। খানিক লাফিয়ে উঠে ছুটে যায় অন্য কোথাও। পেছনে তখন বেজে ওঠে খানিকটা রম্য ঘরানার আবহ সঙ্গীত- ‘থাকুক না যতই সাধ ভুল পথে ছুটে যাওয়ার/ রাখবে বেঁধে সাধের ঘোড়া মামা দেখাও পাওয়ার’। এবং ঘটতে থাকে মজাদার সব কান্ড। মোরগটি ঝাঁপিয়ে পড়ে একজন মেয়ের গায়ে। মেয়েটির দিকে বড় বড় দৃষ্টিতে তাকায় সে। ঠিক তখনই মেয়েটির পক্ষ থেকে চড় খাওয়ার পর মোহ ভাঙ্গে তার, ছুটে যায় কথা না শোনা মোরগ ধরতে।

উপরে দুটো বিজ্ঞাপনেই মোরগকে প্রতীকী হিসেবে ভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু পাওয়ার এনার্জি ড্রিংকের বিজ্ঞাপনে খুব স্পষ্টভাবে একটি বার্তা দেয়, নারীদের প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে। তবে প্রচলিত বিজ্ঞাপনগুলোতে নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বার্তাগুলো দেখানোর পন্থা ছিলো আবেগপূর্ণ।


এই প্রথম বাংলাদেশের কোন বিজ্ঞাপনে নারীদের উপর সহিংসতা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দেয়ার পন্থা হিসেবে বেছে নেয়া হলো হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিমা। স্যাটায়ার ঘরানার এই বিজ্ঞাপনটি শেষ হয় একটি ইংরেজি বার্তা দিয়ে। যার বাংলা অর্থ খানিকটা এরকম, ‘প্রিয় ভাই, দয়া করে শিখে নাও নিজের মোরগকে কীভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হয়। কারণ কেউই তোমার অযাচিত মোরগকে চায় না। ধন্যবাদ বিষয়টি বোঝার জন্য’। ইংরেজিতে অক্ষরে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, ‘কক ইন কন্ট্রোল’। অর্থাৎ মোরগকে নিয়ন্ত্রন রাখুন।

স্যাটায়ারের আবরণে দেয়া এই শক্ত বার্তাটিই এই বিজ্ঞাপনের শক্তি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, এখানে খানিকটা দুর্বলতাও আছে। সেটি হলো, এই বিজ্ঞাপনটি যেই নির্ধারিত মানুষদেরকে সামনে রেখে বানানো হয়েছে, তাদের জন্য ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষা ব্যবহার করাই ছিলো সবচেয়ে বেশি যুক্তিযুক্ত। কিন্তু মোরগ শব্দটির আক্ষরিক অনুবাদ করলে ইংরেজিতে যেই শব্দটি পাওয়া যায়, তা আবার পুরুষাঙ্গকেও চিহ্নিত করে। এ যেন বিজ্ঞাপন নির্মাতার এক ঢিলে দুই পাখি মারার এক দারুণ সৃজনশীল প্রক্রিয়া।


বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনের ভাষার অনেক উন্নতি হয়েছে। পাওয়ার এনার্জি ড্রিংকের এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছেন মাহাথির স্পন্দন। এবং ‘দ্য বিগ কন্টেন্ট লিমিটেড’ নামের বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এটিকে নির্মান করা হয়েছে। তাদের আগের দুটো বিজ্ঞাপনেও ভিন্ন আঙ্গিকে বিজ্ঞাপনে বার্তা দেয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। যার একটি বিজ্ঞাপনে পবিত্র রমজান মাসে একটি অফিসে অমুসলিম অফিসারের লুকিয়ে খাবার খাওয়া এমনকি না খেয়ে থাকার দৃশ্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলো। প্রায় পাঁচ মিনিট দৈর্ঘ্যের বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে ছিলো মুগ্ধতা।

তেমনি অন্য বিজ্ঞাপনে ধর্ষণের শিকার হওয়া একটি মেয়েকে বিয়ের জন্য দেখতে এসে অনাকাঙ্খিত ঘটনার শোনার পর ছেলেদের পরিবারের প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়েছিলো। এবং শক্তিশালী বার্তা ছিলো এই যে, কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেটি ঘটবার পেছনে ভুক্তভোগীর কোন হাত নেই, সেই ঘটনার দায় কখনই ভুক্তভোগীর উপর চাপিয়ে দেয়া যায় না।

খুব স্পষ্টভাবেই নির্মাতা কোনো বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে গেলে শুধু পণ্যটি বিক্রি করার বিষয়ই ভাবেন না; বরং বিজ্ঞাপন যে বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছবে তাদের কাছে তারা দিতে চান শক্ত কোন বার্তা- যা দিয়ে একসময় বদলে যাবে আমাদের চিন্তা ও চেতনা। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের ভাষার শক্তিশালী এই ব্যবহার আমাদেরকে সাহস যোগাচ্ছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

বিজ্ঞাপন: পাওয়ার ড্রিংকস
বিজ্ঞাপন নির্মাতা: মাহাথির স্পন্দন
বিজ্ঞাপনের ব্যাবহৃত গানের শিল্পী: পারভেজ সাজ্জাদ
সুর: শেখ সাফি মাহমুদ
কম্পোজিশান: শেখ সামি মাহমুদ

 
   

বানসালির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলিউড শিল্পীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালি

ছবি: পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালি

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালির বহু প্রতিক্ষীত প্রজেক্ট 'হীরামন্ডি' প্রকাশ পেয়েছে। বুধবার (১ মে) শীর্ষ স্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে ৮ পর্বের সিরিজ প্রকাশ করা হয়। এর হাত ধরেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পদার্পণ করেছেন বানসালি। 

এক গাদা তারকার সম্মিলিত সিরিজ ‘হীরামান্ডি’ ব্রিটিশ সময়কালের গল্পে নির্মিত। পাকিস্তানের লাহোর অবস্থিত রেডলাইট এরিয়া হীরামান্ডিকে ঘিরেই সিরিজ গল্পের পটভূমি। সিরিজে অভিনয় করেছেন মনিষা কইরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দারী, শারমীন শেগাল, সানজিদা শেখ সহ এক ঝাঁক বলিউড শিল্পী। একই সাথে ফারদিন খান অভিনয়ে ফিরছেন প্রায় ১৪ বছর পর। 

পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানসালির প্রজেক্ট 'হীরামন্ডি'র পোষ্টার 

এই সিরিজের আগে বানসালির সর্বশেষ সিনেমা গাঙ্গুবাই কাথিয়াবাদীতে অভিনয় করেছিলেন আলিয়া ভাট। বানসালির প্রশংসায় আলিয়া বলেন, 'এবার বিশ্ব সঞ্জয় লীলা বানসালির শৈল্পিকতার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ পাবে। সঞ্জয় স্যার অনেক সময় ধরে এটি বানিয়েছেন। যেদিন আমি শুনেছিলাম স্যার এরকম সিরিজ বানাচ্ছেন, তাও নেটফ্লিক্সের সাথে সেদিন থেকেই অপেক্ষা করছিলাম।'

ভিকি কৌশলও মন্তব্য করার সময় পরিচালকের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, 'সঞ্জয় স্যারের অতুলনীয়ভাবে গল্পের দুনিয়া বাস্তবেই তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে।' অভিনেতা বিজয় ভার্মা হীরামান্ডিকে একটি 'মহান নাটক' বলে আখ্যায়িত করেন। গাঙ্গুবাই সিনেমায় আফসান চরিত্র অভিনয় করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া শান্তনু মহেশ্বরী বলেন, 'সঞ্জয় স্যার, হ্যাটস অফ! তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেন এবং শিল্পীদের ভেতর থেকে অভিনয় আদায় করে নেন , তা বিস্ময়কর! এরকম অসাধারণ প্রতিভা কেবল আপনারই আছে।' 

সিরিজে অভিনয় করা অদিতি রাও-য়ের নতুন স্বামী সিদ্ধার্থ পরিচালকের প্রশংসায় ভেসেছেন। তিনি বলেন, নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন সিদ্ধার্থ। কারণ, পরিচালক বানসালির সময়ের অভিনেতা হতে পেরেছন তিনি। এছাড়াও তার নববধূ অদিতির হীরামান্ডির সাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন অভিনেতা। 

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

শুভ’র ফেরার ছবি ‘নীলচক্র’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরিফিন শুভ ও ‘নীলচক্র’ ছবির পোস্টার

আরিফিন শুভ ও ‘নীলচক্র’ ছবির পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

গত তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়েই ছিলেন আরিফিন শুভ। সেই সিনেমায় সফলতাও পেয়েছেন নায়ক। এবার নতুন সিনেমার পালা। সে খবরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

তার নতুন ছবি ‘নীলচক্র’। আজ (৩ মে) ছুটির দিনে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করলেন নতুন সিনেমার ফার্স্টলুক পোস্টার। প্রকাশিত ওই পোস্টারে দেখা গেছে, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন শুভ। সেটা আছেন লম্বা চুলের একজনের মাথায়।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে আরিফিন শুভ

নতুন সিনেমা নিয়ে শুভ বলেন, নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে, সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগিরই আসছে নীলচক্র। যদিও সিনেমাটি কবে মুক্তি পাচ্ছে সে সব পরিষ্কার করা হয়নি এই পোস্টে।

নীরবেই কাজ করতে ভালোবাসেন শুভ। তাইতো গত বছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও আর বেশি কিছু বলেননি এই অভিনেতা।

২০২৩-এর নভেম্বরে চরকি জানায় এই ছবিটি দ্রুতই আসবে। কিন্তু তা এখনো আসেনি

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। যৌথভাবে এর চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান।

সিনেমায় আরিফিন শুভ ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।

;

কানে একবারই এসেছিলেন মেরিল! এবার পাচ্ছেন স্বর্ণপাম, চমক থাকছে আরও



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনবার অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপকে এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এবারের কানে আরও চমক রয়েছে এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে ঘিরে।

কারণ, ৭৭তম কানের আসর উদ্বোধন করবেন মেরিল। ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল কানের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আগামী ১৪ মে এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

অস্কার হাতে মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল কান উৎসবে মাত্র একবারই পা রেখেছিলেন। এটা ভাবা যায়! যে অভিনেত্রী হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন তাকে মাত্র একবার পেয়েছে কান উৎসব!

১৯৮৯ সালে কানের ৪২তম আসরে ‘এভিল অ্যাঞ্জেলস’ চলচ্চিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি। এতে নিজের শিশুসন্তান হত্যার জন্য অভিযুক্ত মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। একই কাজের জন্য অস্কারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৮৯ সালে কানের সমূদ্র সৈকতে তরুণী মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম


৩৫ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো কান উৎসবে হাজির হচ্ছেন মেরিল স্ট্রিপ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ণপাম প্রাপ্তির খবর জেনে আমি অত্যন্ত সম্মানিত। কানে পুরস্কার পাওয়া যেকোনও চলচ্চিত্র শিল্পীর কাছেই কৃতিত্বের। যারা আগে এই পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাতে ফ্রান্সে আসার অপেক্ষায় আছি!’

কানের সভাপতি ইরিস নোব্লোক ও উৎসব পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমোঁ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সবার ভেতরে মেরিল স্ট্রিপের কিছু না কিছু আছে! প্রায় ৫০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনেক মাস্টারপিস কাজ করেছেন তিনি। মেরিল স্ট্রিপ আমাদের যৌথ কল্পনার অংশ এবং সিনেমার প্রতি আমাদের ভাগ করা ভালোবাসা।’

মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

২০১৯ সালে ‘লিটল উইমেন’ ছবিতে গ্রেটা গারউইগের পরিচালনায় অভিনয় করেন মেরিল স্ট্রিপ। কানে এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান বিচারক থাকছেন গ্রেটা। উদ্বোধনী মঞ্চে এই দুই খ্যাতিমান নারীকে একসঙ্গে দেখা যাবে।

নাটক নিয়ে পড়াশোনা ও নিউইয়র্ক সিটি মঞ্চে সাফল্য পাওয়ার পর ১৯৭৮ সালে ‘দ্য ডিয়ার হান্টার’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন মেরিল স্ট্রিপ। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন রবার্ট ডি নিরো। ‘ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার’, “সোফি’স চয়েস” ও ‘দ্য আয়রন লেডি’র জন্য অস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়া রেকর্ডসংখ্যক ২১টি মনোনয়ন পেয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ।

তরুণী মেরিল স্ট্রিপ / ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত বিখ্যাত ছবির তালিকায় আরও আছে ‘আউট অব আফ্রিকা’, ‘দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি’, ‘দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা’, ‘মামা মিয়া!’, ‘পোস্টকার্ডস ফ্রম দ্য এজ’, ‘ডেথ বিকামস হার’, ‘দ্য আওয়ার্স’, ‘দ্য লাস্ট শো’, ‘ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স’, ‘জুলি অ্যান্ড জুলিয়া’, ‘লায়নস ফর ল্যাম্বস’, ‘পেন্টাগন পেপারস’, “ডো’ন্ট লুক আপ” ইত্যাদি।

 

;

নাটকের চেনা মুখ রিমু খন্দকার হাসপাতালে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রয়াত চিত্রনায়িকা টিনা খানের মেয়ে হলেও মায়ের পরিচয়ে নয়, বরং নিজগুণেই শোবিজ অঙ্গনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার। বিজ্ঞাপন, সিনেমা, শর্টফিল্ম থেকে নাটক এবং সিনেমা- সব ধারাতে দেখা গেছে তাকে। সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রিমু। এই অভিনেত্রী এখন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মীরা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রিমুর অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনেত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেন সহকর্মী অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠুও। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিমু অসুস্থ। তার জন্য সব্বাই দোয়া করবেন।’

পাশাপাশি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সদ্য মুক্তি পাওয়া নাটকের ইউটিউব লিংক শেয়ার করে অসুস্থতার কথা জানান অভিনেত্রী। লিখেছেন, ‘জানি না কবে সুস্থ হয়ে আবার শুটিংয়ে ফিরতে পারব। তবে আজ আমার এই নাটকটা রিলিজ হয়েছে। দয়া করে সবাই দেখবেন।’

 অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রীর শেয়ার করা নতুন নাটকের নাম ‘ইশারা’। অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান আর সামিরা খান মাহি।

২০০৮ সালে ‘পৃথিবীর সব রূপ মিশে আছে ঘাসে’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা দেন রিমু। পাশাপাশি তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘গুরু ভাই’। এরপর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাধা যায় না’, ‘জীবন ঢুলী’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘কিং খান’ সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। পাশাপাশি টেলিভিশন, অর্থাৎ ছোট পর্দার নিয়মিত ও জনপ্রিয় মুখ রিমু।

 

;