সুরের তাপস, গানের তাপস...



রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
দেশবরেণ্য শিল্পীরা

দেশবরেণ্য শিল্পীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সুরেই যেন জন্ম তার। সুরেই পথচলা। ৬ বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু। ৮ বছরের মাথায় প্রথম গানের অ্যালবাম। তারপর আর থেমে নেই। ৩২ বছর ধরে গানের এই তপস্বী আপন সুরে পথ চলেই বাংলাগানকে বিশ্বমানে উপস্থাপন করেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন- তিনি সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস। দেশি বিদেশি শিল্পীদের সমন্বয়ে তার অনবদ্য সৃষ্টি ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। দেশের সংগীতাঙ্গনকে এক ছাতার নিচে এনেছেন দেশের প্রথম এইচ ডি মিউজিক চ্যানেল গানবাংলার মাধ্যমে। প্রতিনিয়ত দেশের তৈরি গানগুলো মিউজিক ভিডিও আকারে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করছে চ্যানেলটি।

সংগীতশিল্পীদের আড্ডা, নতুন গান তৈরি ও সৃষ্টিশীলতা চর্চার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গানবাংলা প্রাঙ্গন। প্রতিদিনই গানবাংলার স্টুডিওতে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন গান। শিল্পীরা নীরিক্ষা করছেন সুর ও কথার। সবার জন্য উন্মুক্ত এ সংগীতাঙ্গন সৃষ্টির পেছনের কারিগর কৌশিক হোসেন তাপস। তরুণ সংগীতশিল্পীদের কাছে তিনি যেমন এক জনপ্রিয় চরিত্র, তেমনি অগ্রজ শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তিনি যেন হয়ে উঠছেন আস্থার প্রতীক। সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা হতাশার ভেতরও সংগীত নিয়ে দূরগামী চিন্তা ও তার বাস্তবায়ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তরুণ কৌশিক হোসেন তাপস। শিল্পীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় তার ভূমিকা ইতিমধ্যেই শিল্পীসমাজে দারুণ স্বীকৃত।

সোমবার তার ৩৮তম জন্মদিনে দেশবরেণ্য শিল্পীরা একযোগে শুভেচ্ছা জানলেন তাকে। মূল্যায়ন করলেন তার কাজের, জানালেন প্রত্যাশার কথা। অনুজের প্রতি এমন প্রাণ খোলা প্রশংসায় তারাও যেন স্থাপন করলেন অনন্য দৃষ্টান্ত। গানবাংলা টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধারণকৃত  বক্তব্যগুলো বার্তা ২৪.কমের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার

কৌশিক হোসেন তাপস, একটি নাম নয়, তার নাম শুনে মনে হবে যেন একটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সংগীতকে প্রসারিত করে দেয়ার জন্য সে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তাপসের জন্য প্রার্থনা করে বলতে চাই, আল্লাহ যেন তার আয়ু দীর্ঘায়ূ করে দেয়। শুভ জন্মদিন তাপস।

আলম খান

সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আমাদের পুরনো গানগুলোকে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করে, একটা বিশাল পরিবর্তন এনেছে। তাপসের কাছে আমার প্রত্যাশা-যারা নতুন শিল্পী, একেবারেই যাদেরকে কেউ চেনে না, এরকম কিছু শিল্পী সে নিয়ে আসুক। শুভ জন্মদিন তাপস। আগামীতে যতগুলো জন্মদিন আসবে তোমার জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা।

আমাদের দেশের সংগীত, সংগীত প্রযোজনাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছেন। তার সৃজনশীলতা দিয়ে সংগীত শিল্প তথা সংগীত অনুষ্ঠান প্রযোজনাকে আরও উন্নততর করে তুলবেন এ প্রত্যাশা রইলো। তাপসকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

শাহীন সামাদ

তুমি একাধারে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার এবং সংগীত পরিচালক। এটা কিন্তু কম কথা নয়, অনেকের মধ্যেই এ গুণটা থাকে না। একজন জাত শিল্পী, এ জন্যই শিল্পীদের প্রতি তার এত মায়া। গানগুলোর মধ্যে যে নতুনত্ব এনেছো, এ জন্য প্রশংসার পাত্র তুমি। শুভ জন্মদিন তাপস।

রফিকুল আলম

বাংলাদেশে যারা অতীতে কাজ করেছেন সংগীতে বা বর্তমানে করছেন, তাদের মধ্যে তাপসকে আমি প্রথম জায়গায় রাখতে চাই। খুব ভালো একজন যন্ত্রশিল্পী, খুব ভালো একজন গিটারবাদক, খুব চমৎকার পিয়ানো বাজায়, যন্ত্রশিল্পী হয়ে সংগীতপরিচালক হলে কিন্তু বিরাট একটা সুবিধা হয়। এ সুবিধাটাকে তাপস নানাভাবে কাজে লাগিয়েছে। তাপসকে আমি খুব সাধুবাদ জানাই, অনেক আশীর্বাদ করি। জন্মদিনে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

খুরশীদ আলম

সবথেকে বড় ব্যাপার একজন করিৎকর্মা লোক। কাজপাগল লোক। যেহেতু নিজে একজন ভালো সংগীত পরিচালক এবং গান বোঝেন। সেহেতু তিনি বোঝেন কাকে দিয়ে কোন গানটি গাওয়ালে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। নতুনদের নিয়ে কাজ করতে চায়। একটু ভিন্নধর্মী কাজ করার তার প্রয়াস। তাপসকে বলবো, তুমি এগিয়ে যাও। আমরা তোমার সঙ্গে আছি।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
তাপসকে দেখে আমার প্রথম যেটা মনে হয়েছিলো-বাংলায় যে একটা কথা আছে, গানপাগল। তার যথার্থ উদাহরণ-তাপস। কখনো কম্পোজার হিসেবে, কখনো অরগানাইজার হিসেবে, কখনো গায়ক হিসেবে, পেট্রোনাইজার হিসেবে শিল্পীদের প্রতি তার বেশ জোরালো ভূমিকা আছে। আমি বিশ্বাস করি, তার আরও উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে। এত সুন্দর করে এত অরগাইনডভাবে সে যে কাজ করে, শিল্পীদের সম্মানের জায়গাটা, শিল্পীদের সৃজনশীলতার জায়গাটা, কোন শিল্পী তাপসের সাথে কাজ করে বলতে পারবে না যে, আমার ভালো লাগে নি। এটিই হচ্ছে তাপসের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। তাপসের আগামী দিনগুলো সুন্দর ও শান্তিময় হোক।

ফেরদৌস আরা

একজন শিল্পী একদিনেই হন না। আর সেই কাজটি তাপস করছে একেবারে ছোটবেলা থেকে। আমি বলবো, একজন শিল্পী তাপসকে আমি অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি। শিল্পী হিসেবেই শুধু নয়, শিল্পীকুলের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ফাতেমা তুজ জোহরা

বয়সতো তার এমন কিছু হয়নি। এত কম বয়েসে এত সুন্দর করে চ্যানেল পরিচালনা করছে, বিশেষ করে গানগুলো পরিচালনা করছে। আমাদের ট্র্যাডিশনাল ফর্ম অফ মিউজিক, সেটা কিন্তু চেঞ্জ হয়ে, সত্যি সত্যি ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’; কথাটা খুবই সংগত। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে গানগুলো ভালো হচ্ছে। বাংলা গানের রূপটা একটু পরিবর্তিত হলে পরবর্তী প্রজন্ম খুব ভালোভাবে নেবে, খুব আলোড়িত হবে। তার ক্রিয়েটিভিটিকে আমি খুব সাধুবাদ জানাই।

আবিদা সুলতানা

ও পাগল হয়ে যায় গান শুনলে। যেখানে গানের কিছু একটা থাকে, তাকে আর সেখান থেকে ওঠানো যায় না। শুভ জন্মদিন তাপস। হ্যাপি বার্থ ডে!

কিরণ চন্দ্র রায়

সংগীতাঙ্গনে তার যে পদচারণা তা ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। এই প্রজন্মের মানুষের বোধের জায়গুলো যদি তাপসের মতো শানিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ধন্য হবে। জন্মদিনে দীর্ঘায়ূ, কর্মময় এবং শান্তিময় জীবন কামনা করছি।

অদিতি মোহসীন

একটি গানও যখন সে নির্মাণ করে, তখন তার একটা ভাবনা চিন্তা, একটা যত্ন একটা ভালোবাসার সঙ্গে সে কাজটা করে। সব গানেরই তো একটা পেছনের গল্প থাকে, সে গল্পটিকে সে খুব সুন্দর করে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরবার চেষ্টা করে। সংগীতায়োজনের ভেতরেও বলতে হবে তাপসের একটি নিজস্বতা আছে। যত্ন করে কাজ করার প্রবণতাটা আজকাল খুব একটা দেখা যায়না, সেটা আমি তাপসের মধ্যে খুব দেখি।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের এই দিনে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কৌশিক হোসেন তাপস। শৈশব থেকেই মূলধারার গানের সঙ্গে তার সখ্য। তার সঙ্গীতপ্রীতি দেখে বাবার কিনে দেওয়া কি-বোর্ডের মাধ্যমে শুরু হয় সঙ্গীতে সপ্রতিভ যাত্রা। পাশাপাশি গিটার, বাঁশি ও পারকাশনে অল্প বয়সেই পারদর্শিতার প্রমাণ দেন তাপস। মাত্র আট বছর বয়সে স্বকণ্ঠে গানের অ্যালবাম প্রকাশ করে জানান দেন নিজের প্রতিভা। 

বাংলার বাউল বয়াতি ও লোকশিল্পীদের সঙ্গে তার অকৃত্রিম আত্মিক যোগাযোগ একদিকে তাকে বাংলার সমৃদ্ধ লোকসঙ্গীত ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীতের দিকপালদের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পর্ক তাকে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ধারায় ঋদ্ধ করেছে।

তাপসের রচিত ও সুরারোপিত গানে যেমন কণ্ঠ দিয়েছেন দেশবরেণ্য শিল্পীদের অনেকেই, তেমনি অংশ নিয়েছেন তার নির্দেশিত মিউজিক ভিডিওতে। সুরস্রষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বহু মিউজিক ভিডিওর প্রযোজনা ও পরিচালনা, বহু সঙ্গীত রচনা, সুরারোপ ও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন তার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করেছে।

অশান্ত বিশ্বকে শান্তির আহ্বান জানাতে তাপসের ‘মিউজিক ফর পিস’ স্লোগানটি বিশ্বময় ছড়িয়েছেন ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। যাতে একাত্মতা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪১ জন খ্যাতনামা মিউজিশিয়ান। সংগীত পরিচালক ও শান্তির দূত হিসেবে এমন অবদান রাখায় ইতিমধ্যে তিনি অর্জন করেছেন দাদাসাহেব ফালকে এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড (২০১৮) ও মাদার তেরেজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। সুরকার হিসেবে ২০১৩ সালে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

এছাড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়ান মোর জিরো’র প্রধান নির্বাহী হিসেবে একদশক ধরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে প্রশংসিত হয়েছেন গুণী এই শিল্পী।

 

   

পঁচিশে বৈশাখে স্বপ্নীলের অর্ঘ্য ‘ভালোবেসে সখী’র গানচিত্র



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব বেশ আগে থেকেই ছক ভেঙে বের হতে চেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গান শুধু নির্দিষ্ট ঢংয়ে উপস্থাপন করতে হবে সেটি তিনি মানতে নারাজ। রবীন্দ্র সংগীতের ভেতরের আবেদন ঠিক রেখে তাকে আধুনিকভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা সব সময়ের জন্য স্বপ্নীলের।

তারই ধারাবাহিক নব প্রয়াস গুরুদেবের অন্যতম জনপ্রিয় গীত ‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’র গানচিত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্ম জয়ন্তী অর্থাৎ পঁচিশে বৈশাখে তার প্রতি এটি দুই বাংলায় পরিচিতি পাওয়া স্বপ্নীল সজীবের অর্ঘ্য নিবেদন।

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

স্বপ্নীল সজীবের এই গানচিত্রটি তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলেও শোনা যাবে সকল আন্তর্জাতিক অডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে। গানে নলিনী চরিত্রে স্বপ্নীলের সাথে থাকছেন মডেল ড. মিয়ামী খুলদ। গানচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ইয়ামিন এলান।

স্বপ্নীল সজীবের ভাষ্য, ‘প্রেমের কবি রবীন্দ্রনাথ তার জীবনকালে রচনা করেন অসংখ্য প্রেমের কবিতা ও গান। যার মাঝে লুকিয়ে আছে প্রেম, বিরহ, ব্যাকুলতা আর নি:সঙ্গের এক মহাউপাখ্যান। তার লেখা প্রতিটি শব্দই যেন আমার-আপনার কথাই বলে, পাওয়া না পাওয়ার গোলমেলে হিসাব স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। যতই গানে, সংগীতায়োজনে আধুনিকতা আসুক না কেন, রবীন্দ্রসংগীত টিকে থাকবে আপন মহিমায়। গুরুদেবের জন্মদিনে তার এই গান আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি এই গানের মাধ্যমে।’

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে মিয়ামী খুলদ

স্বপ্নীল সজীব রবীন্দ্রনাথের গানের কারণে বিশেষ সমাদৃত হলেও বাংলা সংগীতের নানা ধারার গান গেয়ে থাকেন। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দুবাই, ব্রুনাই, মরোক্কো, ইরান, মালেশিয়া, নেপাল ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংগীত পরিবেশন করে সুনাম কুড়িয়েছেন।

গানে হাতেখড়ি লুৎফুন নাহার লতার কাছে। এরপর রবীন্দ্র সংগীতে তালিমা নিয়েছে ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ওয়াহিদুল হকের কাছে। এছাড়া তাকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিসেবে অভিজ্ঞানপত্র দিয়ে সম্মান প্রদান করেছে ইউএসএ’র সিনেটর, লস এঞ্জেলসের মেয়র, ভারতীয় হাই কমিশন, ইউ এস অ্যাম্বাসি, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট অব কালচার, ইন্দিরা গান্ধি কালচারাল সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে তিনি স্বর্ণপদক পান।

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব
;

শাহরুখ খান-সঞ্জয় দত্তের কাতারে শাকিব খান!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঞ্জয় দত্ত, শাকিব খান ও শাহরুখ খান

সঞ্জয় দত্ত, শাকিব খান ও শাহরুখ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাই আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সোশ্যালে সেই রিকমেন্ডেশন লেটার শেয়ার করে এমনটাই জানালেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, প্রথম বারের মতো ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেল মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

সেই সঙ্গে তিনি আরও লিখেন, আরব আমিরাত সাধারণত কিছু বিশেষ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে। ব্যবসা ও এ ক্যাটাগরি জব ছাড়া শুধুমাত্র সরকারিভাবে রিকমেন্ডেশন দিয়ে ট্যালেন্টেড পেওনির হিসাবে ভিন্ন দুইটা ক্যাটাগরিতে তারা সম্পূর্ন বিনা খরচে সম্মান সরূপ গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে।

শাকিব খান

বিভিন্ন সময় বলিউডের অনেক সেলিব্রিটিকে ক্রিয়েটিভ কালচারাল ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, সন্জয় দত্তসহ অনেক বড় তারকারা ইতিমধ্যেই এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। এবার সেই একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার পেলেন বাংলাদেশের একমাত্র মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

এ বিষয়ে আমার টিম দিন রাত কাজ করেছে। সম্প্রতি বাংলা ভাষার সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে বড় আকারে তুলে ধরার যে মিশন নিয়ে আমার টিম কাজ করছে যাচ্ছে, তারই ক্ষেত্র তৈরী করতে এটি একটা মাইলফলক।

শাকিব খান

এখন বাকি সব শিল্পীদের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করবো। আমরা বাংলাদেশি এটাই আমাদের বড় পরিচয়।

;

কার অপেক্ষায় পরীমনি, ইঙ্গিত দিলেন পোস্টে!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

পরীমনি / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সামলোচিত নায়িকা পরীমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সরব। মনের ভাব একেবারে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করার জন্য ফেসবুকই তার সবচেয়ে নির্ভরতার জায়গা।

জীবনের ছোট বড় ঘটনা, দুঃখ বেদনার কথা, সুখস্মৃতি কিংবা প্রাপ্তির উদযাপন- সবটাই তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে ফলোয়ারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন। আর তার প্রতিটি পোস্ট নিয়েই বেশ আলোচনার জন্ম হয়। কারণ এই নায়িকার ফেসবুকে রয়েছে দেড় কোটি অনুসারী!

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

তেমনি একটি ফেসবুক পোস্ট আজ শেয়ার করেছেন এই নায়িকা। ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ পরীকে দেখা যাচ্ছে ছবিতে। আর ক্যাপশনে তিনি যা লিখেছেন, তাতে যেন নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। কথাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে পরী কারও অপেক্ষায় বসে আছেন। সে না আসলে তার দিনগুলো যেন ধূসর, রঙহীন।

পরী ধার করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর কালজয়ী একটি গানের তিনটি লাইন। লিখেছেন, ‘তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি এখনো হয়নি/ তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝরে যায়নি / তুমি আসবে বলেই...’।

কিন্তু কার জন্য নায়িকার এ ব্যাকুলতা সেকথা তিনি উল্লেখ করেননি।

 

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

এদিকে, প্রথমবার কলকাতার ছবিতে কাজ করলেন পরীমনি। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত ‘ফেলুবকশী’ নামে সেই সিনেমার শুটিং গত সোমবার শেষ করেছেন তিনি।

কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘যে কোনো নতুন ছবি, নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন জায়গা, নতুন সহশিল্পী কিংবা নতুন পরিবেশে একধরনের আনন্দ নিয়েই কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ ঠিকঠাক শেষ করতে পারলে আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়। নতুন জায়গা হলেও আমরা একই ভাষাভাষীর। শুধু মাঝখানে একটা কাঁটাতারের দেয়াল। ফলে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লাগেনি। প্রায় ১৪ দিন কাজ করলাম, পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়, আমরা বেশি আবেগপ্রবণ, তারা বেশি পেশাদার।’

পরীমনি /  ছবি : ফেসবুক

 

;

গুরুতর অসুস্থতায় সব কনসার্ট বাতিল নিক জোনাসের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্টেজেই নিজেকে খুঁজে পান নিক জোনাস

স্টেজেই নিজেকে খুঁজে পান নিক জোনাস

  • Font increase
  • Font Decrease

গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন গায়ক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে নিজেই অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন নিক। সঙ্গে জানালেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে তার। ফলে আগামী কয়েকটা কনসার্টে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। ভিডিওতে অনুরাগীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এই গায়ক।

ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে নিক জোনাস বলেন, ‘খুব একটা খুশির খবর দেব না আপনাদের। কেননা কয়েক দিন ধরে আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। গলা প্রচণ্ড ব্যথা। যত দিন এগোচ্ছে, গলার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। শরীরে জ্বর ও ব্যথা আছে। সত্যি খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে। তাই কনসার্ট আপাতত বাতিল করলাম।’

 নিক জোনাসের স্টেজ পারফরমেন্স দেখার মতো বিষয়

কয়েক মাস আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে মুম্বাই এসেছিলেন নিক জোনাস। মুম্বাইয়ের লোলাপালোজায় পারফর্ম করেছিল নিক ব্রাদার্স। পারফরম্যান্সে মেতে উঠেছিল গোটা মুম্বাই।

উল্লেখ্য, নিকের সঙ্গে ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান প্রিয়াঙ্কা। অল্প সময়েই প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নিক। বিয়ে করতে দেরি করেননি প্রিয়াঙ্কাও। ভারতে এসেই বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী। রাজস্থানের উমেদ ভবনে জমকালো আয়োজন হয়। সেখানেই হিন্দু ও খ্রিষ্টান রীতি মেনে নিককে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিয়াঙ্কা। ২০২২ সালে জন্ম হয় প্রিয়াঙ্কা ও নিক জোনাসের মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনাসের।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস

এর মধ্যে একাধিক হলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন। এই মুহূর্তে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ব্যস্ত আছেন ইলিয়া নাইশুলারের পরিচালনায় ‘হেডস অব স্টেট’ সিনেমা নিয়ে। সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ইদ্রিস এলবা ও জন সিনা। ফারহান আখতারের পরিচালনায় ক্যাটরিনা কাইফ ও আলিয়া ভাটের সঙ্গে ‘জি লে জারা’ সিনেমায়ও দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকে। এ ছাড়া এবারের অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া তথ্যচিত্র ‘টু কিল আ টাইগার’-এর নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

;