সময়ের দলিল হিসেবে থেকে যাবে ‘চন্দ্রাবতী কথা’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
চলচ্চিত্রটির একটি দৃশ্য

চলচ্চিত্রটির একটি দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দেশের চারটি সিনেপ্লেক্স এ মুক্তি পেয়েছে এন রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’। চলচ্চিত্রটি দেখে এসে মন্তব্য প্রতিক্রিয়া লিখেছেন শিক্ষক ও সিনেমাপ্রেমী সৈয়দ নাজমুস সাকিব। 


২০২১ সালে এসে একজন পরিচালক কীভাবে ৪০০ বছর আগের মানে ১৬০০ শতকের গল্প পর্দায় তুলে ধরেন, এই কৌতূহল নিয়েই চন্দ্রাবতী কথা দেখতে সিনেমা হলে গিয়েছিলাম।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারীকবি হলেন চন্দ্রাবতী। দ্বীজ বংশীর কন্যা ছিলেন তিনি। জয় আনন্দ নামের এক শিষ্য ছিল তার বাবার, যার সাথে চন্দ্রাবতীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত জয় আনন্দের কারণেই সেই বিয়েটা হয়নি। এরপরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চন্দ্রাবতী আর বিয়ে করেন নি, লেখালেখি আর শিবের পূজো নিয়েই আমৃত্যু ব্যস্ত ছিলেন।


ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, পুরো কাহিনী গড়গড় করে বলে দেয়ার জন্য আসিনি। যতটুকু বলেছি সেটা এই সিনেমার খুবই ক্ষুদ্র একটা অংশ, কিন্তু এর বিস্তার আরও ব্যাপক। বাংলাদেশে পিরিওডিক্যাল সিনেমা বানানো এমনিতেই বিশাল চ্যালেঞ্জের ব্যাপার, সেখানে সময়কালটা যদি হয় ৪০০ বছরের আগের তাহলে চ্যালেঞ্জটা কোন পর্যায়ে যায় সেটা সহজেই অনুমেয়। এরকম একটা চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী ও তার পুরো টিম আলাদাভাবে ধন্যবাদ পাবেন।


চন্দ্রাবতী কথা সিনেমার নাম শুনলে প্রথমেই মনে হয়, শুধুমাত্র চন্দ্রাবতীর ব্যাপারেই পুরো সিনেমা, তবে সেটা এই সিনেমাতে দেখা যায় নি। ভাটি অঞ্চলের ভূমিপুত্র আর বহিরাগতদের গল্পও আছে এখানে, যেমনটা আছে সেই সময়কার দেওয়ান ও কাজীদের গল্প। দেওয়ানের অবস্থান ও প্রতিপত্তির কারণে সেই সময়কার কাজীরা ন্যায়ের সাথে থেকেও যে খুব একটা সুবিধা করতে পারতেন না, সেই ব্যাপারটাও এই সিনেমাতে ফুটে উঠেছে। সেই সময়কার সাধু ও বয়াতিদের গল্পও আছে এই সিনেমায়।

অনেকটা ফোক ধাঁচের সিনেমা চন্দ্রাবতী কথা ন্যারেটিভের দিক থেকে একেবারেই ভিন্ন ধরনের। এই ন্যারেটিভে আমার মনে হয় না এই দেশে এর আগে কাজ হয়েছে। একটি সিনেমার গল্প বা কাহিনী বর্ণিত হচ্ছে পটচিত্র, পালাগানের মাধ্যমে- এই ব্যাপারটা ২০২১ সালে এসে দেখা বেশ ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। সিনেমার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক সম্ভবত এর কালার টোন, প্রোডাকশন ডিজাইন, কস্টিউম ডিজাইন আর অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয়।


ভিন্ন ন্যারেটিভ একদিকে যেমন ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্ম দিয়েছে, তেমনিভাবে এই ভিন্নতা কতজন দর্শকের বোধগম্য হবে- সেটাও একটা প্রশ্ন। মৈমনসিংহ-গীতিকার সংলাপ হুবহু না নিয়ে সেটার আংশিক আর কিছুটা এই সময়ের সংলাপ নিয়ে যতটুকু সম্ভব সংলাপকে বোধগম্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেও সেটা বোঝার মত জ্ঞান বা পড়াশোনা কতজন দর্শকের আছে, সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। "হাইঞ্জাবেলা" বলে একটা শব্দ আছে সংলাপে, হাইঞ্জাবেলা মানে যে সন্ধ্যাবেলা- সেটা যদি দর্শকের জানা না থাকে তবে তিনি এই সিনেমার সাথে কানেক্ট করতে কিছুটা হলেও ব্যর্থ হবেন। এরকম আরও নানান ধরনের সংলাপ আর শব্দ আছে সিনেমায়, যা থাকাই স্বাভাবিক। তবে সিনেমাতে ইংরেজি সাবটাইটেল যোগ করা গেলে এই সমস্যা অচিরেই দূরীভূত হবে। এই ব্যাপারে সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।



অভিনেতারা সবাই যার যার জায়গায় ঠিকঠাক কাজ করেছেন, সেটা সম্ভবত দুই মাস রিহার্সেল করার কারণেই। অনুদানে নির্মিত এই সিনেমা শুটিং হয়েছে প্রায় ৫৫ দিন ধরে, পুরোটা সময় অভিনেতারা যেন সেই ১৬০০ শতকের সময়ই বাস করছিলেন। গাজী রাকায়েত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আরমান পারভেজ মুরাদ- এদের নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে নবীনদের নিয়েও আলাপের জায়গা রয়েছে, সেটা দিলরুবা দোয়েল, ইমতিয়াজ বর্ষণ, জান্নাতুন নূর মুন বা কাজী নওশাবা আহমেদ। আলাদা করে বলতে চাই, তনয় বিশ্বাসের কথা। এই অভিনেতার কোন কাজ পূর্বে দেখা হয়নি, তবে নিজের চরিত্রের প্রতি তার ডেডিকেশন দেখার মত।



চন্দ্রাবতী কথা ত্রুটিমুক্ত সিনেমা নয়। সিনেমার ফার্স্ট হাফে সেভাবে চন্দ্রাবতীকে পাই নি, যেমনটা পেয়েছি সিনেমার সেকেন্ড হাফের শেষের দিকে। ১ ঘন্টা ৪৪ মিনিটের এই সিনেমার রানিং লেন্থ আরেকটু বড় হলে দর্শক হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আরেকটু খুশি হতাম। ইমতিয়াজ বর্ষণের আবেগঘন অনেক দৃশ্যে ক্লোজ শট নিলে হয়ত আরও বেশি ইনভলভড হতে পারতাম দর্শক হিসেবে। এতকিছুর পরেও নিরাপদ রাস্তায় না হেঁটে পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী যে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রাস্তায় হেঁটেছেন, সেজন্য তিনি বাহবা পাবেন। আলাদা করে প্রশংসা পাবেন এই সিনেমা প্রোডাকশন ডিজাইনার, অনেকদিন পর কাঁসার থালা দেখানোর জন্য আর কস্টিউম ডিজাইনার, নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে করার জন্য কোন যথার্থ রেফারেন্স না থাকার পরেও।

ভিন্ন কিছু দেখার ইচ্ছে থাকলে, ভিন্ন কিছুর স্বাদ গ্রহণের ইচ্ছে থাকলে, ভিন্ন চেষ্টাকে সাধুবাদ দেয়ার মত মন মানসিকতা থাকলে চন্দ্রাবতী কথা দেখতে পারেন। আজ থেকে ৪০০ বছর আগের সময়কে যেভাবে এই সিনেমা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, সেটা এক দলিল হিসেবে থেকে যাবে।



একনজরে ‘চন্দ্রাবতী কথা’

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: এন রাশেদ চৌধুরী
উৎস: চন্দ্রাবতী পালা, মৈমনসিংহ গীতিকা

শ্রেষ্ঠাংশে:
দিলরুবা হোসেন দোয়েল, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত, আরমান পারভেজ মুরাদ, কাজী নওশাবা আহমেদ, মিতা রহমান, এহসান রহমান বর্ষণ ইমতিয়াজ, জয়িতা মহলানবিশ
সুরকার: সাত্যকি ব্যানার্জী
চিত্রগ্রাহক: সায়িদ কাশেফ শাহবাজী
সম্পাদক: শঙ্খজিত বিশ্বাস, সমীর আহমেদ
সরকারি অনুদা: ২০১৩-১৪ অর্থবছর
প্রযোজনা: ম্যানগ্রোভ পিকচারস, বেঙ্গল ক্রিয়েশন্স
প্রথম মুক্তি: ৯ নভেম্বর, ২০১৯ কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (ভারত)
দৈর্ঘ্য: ১০৫ মিনিট

 

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;