বুসানে হাউসফুল ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’



রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে আবু শাহেদ ইমন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ফাইল ফটো)

বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে আবু শাহেদ ইমন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ফাইল ফটো)

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠিত হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার। এ উৎসবের ‘কিম জিসোক অ্যওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত হয়েছে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রটি।

বুসানে চলচ্চিত্রটি উৎসবে আগত দর্শকের সঙ্গে উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের আরেক নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন। বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ১১টায় বার্তা ২৪.কমকে তার প্রতিক্রিয়া ও অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। “পুরো টিকিট সোল্ড আউট হয়ে গিয়েছিলো। হল ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। দর্শকরাও খুবই এনজয় করেছে চলচ্চিত্রটি। এমনকি চলচ্চিত্রটি শেষ হওয়ার পরও ঘন্টাখানেক জুরিদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আমার ধারণা জুরিদেরও ভালো লেগেছে চলচ্চিত্রটি।”

দর্শক হিসেবে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইমন, “ইটস আ বিউটিফুল ফিল্ম। দর্শকরা চলচ্চিত্রটি উপভোগ করবেন। এটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফিল্ম বলে আমার মনে হয়েছে। আমি হেসেছি, কেঁদেছি, উৎফুল্ল হয়েছি বাংলাদেশি একজন নির্মাতার নির্মাণশৈলী দেখে। একজন অভিবাসী চরিত্রের দ্বিধাকে খুব চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যেভাবে নির্মাতার চেয়েছেন। এটা একটা ‘মাস্টারপিস’ এবং ‘জেনুইন গ্লোবাল ফিল্ম’।

শুটিং চলাকালীন নির্মাতা ও কলাকুশলীরা


অন্যদিকে চলচ্চিত্রটির নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এবারই প্রথম এমনটা হচ্ছে, আমার ফিল্মের প্রিমিয়ার হচ্ছে অথচ আমি সেখানে উপস্থিত নেই। তবু, আমার মন সেখানের বড়পর্দায় পড়ে আছে, যেখানে আমার ছবিটি দেখানো হয়েছে। ২০১০ সালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে আমার টেলিভিশন চলচ্চিত্রটি নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বসবাসকালেই একদিন রাতে আমার মাথায় কিছু অস্পষ্ট দৃশসহ এ চলচ্চিত্রের আইডিয়াটা আসে। সেখান থেকেই শুরু হয় ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর যাত্রা।”

উৎসবের ‘কিম জিসোক অ্যাওয়ার্ড’বিভাগে মনোনীত হওয়া প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “কিম জিসোক ছিলেন সেই মানুষ, আমার চলচ্চিত্র যাত্রায় যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে-অনেক এশিয়ান নির্মাতার পাশেই যেমনটা তিনি ছিলেন। এগারো বছর পর চলচ্চিত্রটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ‘কিম জিসোক অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত হয়েছে। তিনি নিশ্চয়ই পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে হাসছেন। আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলছেন, “তুমি যেভাবে চাও সেভাবেই নির্মাণ করে যাও, অন্য কিছু নিয়ে ভেবো না।”

৬ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এ উৎসবের ২৬তম আসরে এ পুরস্কারের জন্য ‘লো ল্যান্ডস ম্যান’সহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট সাতটি সিনেমা মনোনীত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে মারা যাওয়া এ উৎসবের পরিচালক কিম জিসোকের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার নামে ‘কিম জিসোক অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। জানা যায়, এ পুরস্কারের চতুর্থ বর্ষে নির্বাচিত সিনেমার জন্য অর্থমূল্য হিসেবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করা হবে।

শুটিং চলাকালীন নির্মাতা ও কলাকুশলীরা


‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছাড়াও ফিলিপিনো চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্রিলান্তে মেন্ডোজা, ভারতের অপর্ণা সেনের ‘দ্য রেপিস্ট’সহ চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান, আজারবাইজানের সিনেমা এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পৃথিবীতে চলমান অভিবাসন ও পরিচয় সঙ্কটের গল্পে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী; অভিনয়ের সঙ্গে চলচ্চিত্রের সহপ্রযোজনায়ও আছেন তিনি।

সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক, সুরকার এ আর রহমান; পাশাপাশি সহপ্রযোজক হিসেবে যুক্ত আছেন তিনি। এতে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আছেন তাহসান খান; গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মিশেল মেগান।

ফারুকী জানান, শিগগিরই সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছাড়াও নির্বাচিত হয়েছে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের কান বিজয়ী ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ও মোহাম্মদ রাব্বী মৃধার ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ চলচ্চিত্র দুটি।

চরিত্রের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী

 

 

 

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;