পুত্রের মাদককাণ্ডের জের ধরে মাদকসংশ্লিষ্টতায় জড়িয়ে পড়ছে শাহরুখ খানের নামও। আরিয়ানের গ্রেফতারের পর ভাইরাল হয়েছে বলিউডের আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার পুরনো একটি ভিডিও। যাতে শার্লিনের দাবি, শাহরুখের পার্টিতে মাদক সেবন করতেন তারকা পত্নিরাও।
এক সাক্ষাৎকারে শার্লিন চোপড়া দাবি করেছিলেন, শাহরুখ খানের আয়োজিত কলকাতা নাইট রাইডার্স পার্টিতে কোকেইন সেবন করে থাকেন বলিউড তারকাদের স্ত্রীরা।
এ প্রসঙ্গে শার্লিনের ভাষ্য, “নাচের কারণে প্রচণ্ড ঘেমে গিয়েছিলাম তাই ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে যাই। কিন্তু ওয়াশরুমের দরজা খুলতেই অবাক হয়ে গেলাম। কেননা যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। সেসময় মনে হয়েছিলো আমি ভুল কোনো জায়গায় চলে এসেছি। কেননা দেখলাম বলিউড ইন্ডাস্ট্রির তারকা পত্নিরা সেখানে দাঁড়িয়ে সাদা পাউডারের মতো কিছু একটা সেবন করছিলেন। তবে সেটি যে কোকেইন ছিলো সেটি বুঝতে বাকি ছিলো না।”
গত বছর সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ উদ্ধারের পর বলিউড ইন্ডাস্ট্রির মাদককাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিলো। মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়েছিলো দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুল প্রীত সিংসহ অসংখ্য তারকার নাম। আর সেসময়ই এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন শার্লিন চোপড়া।
প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে গত ২ অক্টোবর শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এরপর ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি’র হেফাজতে থাকবেন শাহরুখ পুত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘ম্যান্ডেটরি মিলিটারি রুল’ থাকায় সেই দেশের প্রতিটি পুরুষ সদস্যকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়। সেই নিয়মেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বিটিএস খ্যাত সংগীত শিল্পী কিম সিওক-জিন। জিনের ১৮ মাসের মিলিটারি সার্ভিস শেষ হয়েছে গত বুধবার।
সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর জিন তার ভক্তদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেন গতকাল বৃহস্পতিবার। সিউলে এই কে-পপ তারকার জন্য হাজারও মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন।
থ্রি আওয়ার ম্যারাথন নামের এই ইভেন্টে ১০০০ ভক্ত জিনকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ পান। এই সৌভাগ্যবানদের নাম নির্বাচন করা হয়েছে র্যাফেল ড্র-এর মাধ্যমে।
বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন তারকাদের তালিকায় রয়েছে জিনের নাম। জিনই প্রথম বিটিএস সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। অন্য ছয় সদস্য- জে হোপ, ভি, আরএম, জিমিন, জাং কুক এবং সুগা এখনও সেনাবাহিনীতে সেবা দিচ্ছেন। ২০২৫-এ পুরো ব্যান্ড দল আবার এক সঙ্গে হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপা এ দেশের নাচের জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। আজীবন নাচ নিয়েই সাধনা করে গেছেন। তবে এবার এই জনপ্রিয় জুটির কণ্ঠে শোনা যাবে গান। ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য গান কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন এই তারকা জুটি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ঈদের ৩য় দিন সকাল ১১টায় প্রচারিত হবে ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান ‘বৃত্তের বাইরে’। বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে তারা নিজ পেশার বাইরে তাদের পছন্দের বিষয়টি পরিবেশন করেছেন। সেই অনুষ্ঠানের জন্যই গানকে বেছে নিয়েছেন শিবলী-নীপা।
‘বৃত্তের বাইরে’ উপস্থাপনা করেছেন সাবেক নারী ফুটবল দলের কোচ ডালিয়া আক্তার, বর্তমানে তিনি পুরুষ হ্যান্ডবলের কোচ। পুলিশের ডিআইজি মোঃ আসাদুজ্জামান পরিবেশন করেছেন আধুনিক গান। গাইনি ডাক্তার প্রমা জেড মজুমদার বাঁশি বাজিয়েছেন। শুটার তাসমায়াতি এমা অনুষ্ঠানটিতে নৃত্য পরিবেশন করেছেন।
এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দ’। শিশু-কিশোররা ঈদের সময় আনন্দে ভাসতে চাই, প্রজাপতির মতো উড়তে চাই- এ থিমে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করা হয়েছে। নাচ, গান, জাদু, অ্যাক্রোবেটিক, দর্শকদের অংশগ্রহণ গেমস শো নিয়ে সাজানো হয়েছে এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছে অর্ণি ও বৃন্ত। ইয়াসমিন আক্তার ও মাহেদুর রহমানের প্রযোজনায় এটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন সকাল ১১ টা ১৫ মিানিটে।
শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে আরেকটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে ‘গমনপথ’ শিরোনামে। আরেকটি অনুষ্ঠান। নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের গল্প ভাবনায় এটি রচনা করেছেন শাহীন সরকার। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ঈদের ২য় দিন সকাল ৮টা ২০ মিনিটে। নাটিকার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে দেখা যাবেÑ আরিফ ও নেহাল দুই বন্ধুর বাসা পাশাপাশি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে তারা তাদের জীবনের নানান সংকট ও সমস্যা নিয়ে কথা বলে। মা-বাবার কাছ থেকে তারা আরো একটু বেশি সময় প্রত্যাশা করে। এছাড়াও স্কুল, প্রাইভেট, পড়াশোনার নির্দিষ্ট বলয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলে। একদিন দুই বন্ধু মিলে ঘর থেকে বের হয় অজানার উদ্দেশ্যে। তখন একের পর এক ঘটনায় অনুষ্ঠানটি এগিয়ে যায়।
কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী আবারও গাইলেন বাংলাদেশের গান। ‘লক্ষ্য একই’ শিরোনামের গানটি লেখার পাশাপাশি সুর দিয়েছেন আসিফ আলতাফ। নচিকেতার সঙ্গে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সোয়েব আহমেদ। ঈদ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ‘আসিফ আলতাফ অফিসিয়াল’ চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে গানটি। এতে জীবনমুখী শিল্পী নচিকেতা ও রাজপথের লড়াকু সৈনিক আসিফ আলতাফকে গানে গানে সংগ্রাম, ব্যর্থতা ও স্বপ্নের কথা বলতে শোনা যাবে।
গানটি নিয়ে নচিকেতা চক্রবর্তী বলেন, ‘এর আগে আমরা কাঁটাতার শিরোনামে একটা গান করেছি। আমার ভিষণ পছন্দ হয়েছিল গানটা। দারুণ একটা বক্তব্য ছিল। যার ফলে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই আশা নিয়ে আমরা আরেকটা গান বানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এবারের গানটা খুবই ইন্টারেস্টিং, আগের গানের চেয়ে অনেকবেশি ভালো হয়েছে। আমাদের ভাবনা চিন্তাটা মেলে বলেই আলতাফের লেখা ও সুর আমার পছন্দ হয়। আলতাফ বাংলাদেশে বসে যেভাবে ভাবে, কলকাতায় বসে আমিও প্রায় ওরকমই ভাবার চেষ্টা করি।’
দর্শকদের উদ্দেশে নচিকেতা বলেন, ‘গানটার ভেতরে যেমন অসহায়ত্ব আছে তেমন এগিয়ে যাওয়ার শক্তিও রয়েছে। দর্শকদের বলব, একটু ভালো করে শুনে দেখুন, আমাদের জীবনের গান। আপনাদের খুব পছন্দ হবে।’
নচিকেতার সঙ্গে ডুয়েট প্রসঙ্গে আসিফ আলতাফ বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় নচিকেতা চক্রবর্তী শুধু আমার না, সব বাঙালির পছন্দের শিল্পী। তিনি অসাধারণ সব গান গেয়ে আমাদের শৈশব রাঙিয়ে দিয়েছেন।তার সঙ্গে গান করার স্বপ্ন বহুদিন ধরেই দেখছিলাম। দুই বছর আগে আমরা কাটাতার নামে একটা গান গাইলাম। কাটাতার গাওয়ার সময় তিনি আমার লেখা সুর ও গায়কির প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘আমরা আবার গান করব।’ সময় সুযোগ হয়ে উঠছিল না।’
আসিফ আলতাফ বলেন, “এরপর ‘লক্ষ্য একই’ শিরোনামের গানটা লিখে তাকে দেখালাম। গানের কথা খুবই পছন্দ করলেন। কলকাতায় গিয়ে একসঙ্গে রেকর্ড করলাম। গানটা গেয়ে নচিকেতা বলেছেন, ‘অনেকদিন পর একটা ভালো গান করলাম। মনে হচ্ছে যৌবনে ফিরে গেছি।”
‘লক্ষ্য একই’ প্রসঙ্গে আসিফ আলতাফ বলেন, “নচিকেতার সঙ্গে যায় এমন একটা গান হয়েছে এবার। আমিও এমন গানই লিখতে চাই, গাইতে চাই। ফলে আমাদের দুজনের পছন্দ মিলে গিয়েই গানটা দাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সোয়েব আহমেদ দারুণ একটি ভিডিও বানিয়েছেন। আশাকরি বাংলা ভাষাভাষি দর্শকরা গানটা দেখে ও শুনে আনন্দ পাবেন।”
গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সোয়েব আহমেদ বলেন, “এ নিয়ে দুইটা গানের ভিডিও বানালাম নচিকেতা-আসিফ আলতাফ জুটির। শিল্পী হিসেবে নচিকেতা যতটা উচু মানের, মানুষ হিসেবেও তেমন বিনয়ী। ভিডিও নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। গানের রেশ ফুটে ওঠে এমন একটা ভিডিও নির্মাণের চেষ্টা করেছি। দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।”
ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে ‘জুতো’ এবং ‘যন্ত্র’ গান দিয়ে নিজের স্বকীয়তা প্রকাশ করেন আসিফ আলতাফ।
এরপর শ্রোতাদের একের পর এক উপহার দেন, ন্যান্সির সঙ্গে ‘সুবহি সাদিক’ এবং লগ্নজিতা চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘দূরত্ব’ ও ‘প্রেমে পড়ি’। গানগুলো বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতারা পছন্দ করেছেন।
গত মাসে তার গাওয়া ‘টাকা’ শিরোনামের গানটি এক কোটির বেশি দর্শক দেখেছেন।
উল্লেখিত গানগুলো ছাড়াও আসিফ আলতাফের ‘আমার পাড়ায়’, ‘ঠিক হাজার বছর পর’, ‘এক কাপ চা’, সুফি ঘরানার গান ‘ফিকির’সহ বেশকিছু গান ভিন্নধর্মী শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে লিভিং রুম সেশানে এবার প্রখ্যাত বাউল আবুল সরকারের গান ‘তুমি যাইয়ো না বন্ধু রে’। পাভেল আরিনের সংগীত পরিচালনায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন হালের জনপ্রিয় শিল্পী ঐশী। বাজিয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ বাজিয়ে। টাইম জোন নিবেদিত লিভিং রুম সেশানের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশিত হলো গত বৃহস্পতিবার। লিভিং রুম সেশানে গাইবার অভিজ্ঞতা জানালেন ঐশী, পাভেল ভাইর সঙ্গে গান করতে গেলে শুধু কাজই হয় না, ফান হয় অনেক কিছু শেখাও হয়। লিভিং রুম সেশান-এ গাইতে গিয়ে সত্যিই মনে হয়েছে কোন লিভিং রুমে বসে আড্ডার ছলেই গানটি করেছি। খুব দারুণ অভিজ্ঞতা।
গানটি প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, `ফোক গানের প্রতি আমার সবসময় ভালো লাগা থাকে, গাইতেও উপভোগ করি। আবুল সরকারের গানটি করতে পেরে দারুণ লেগেছে। এ ধরণের গানগুলো শ্রোতাদের কানে যদি আবার জেগে ওঠে আমাদের বাংলা গানের ঐশ্বর্যটাই সবার সামনে আবার প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা তো কেবল পরিচিত কিছু নাম নিয়েই কাজ করি, এ ধরণের আবুল সরকারের মতো এমন যারা গুণী সাধক আছেন তাদের নামগুলো উচ্চারিত হলে আমাদের বাংলা গানের ভান্ডার যে কতো সমৃদ্ধ তা টের পাওয়া যাবে।'
তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিচালক পাভেল আরিনের অন্যতম প্রিয় শিল্পী ঐশী। এমনটাই জানালেন তিনি। ঐশীকে দিয়ে কোন গানটি গাওয়াবেন এমন চিন্তার জট খুলে দেন সতীর্থ সংগীত পরিচালক জাহিদ নিরব।
পাভেল আরিন বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম ঐশী সবসময় যেভাবে গান করে সে স্টাইল থেকে বের করে এনে একটু অন্যভাবে তার গায়কিকে উপস্থাপন করার। আইরিশ ব্লুগ্রাস প্যাটার্নে মিউজিকটা করার চেষ্টা করেছি। আর বাউল আবুল সরকার এমন একজন দার্শনিক ও শিল্পী তাদের মতো সাধকদের নিয়ে কথা বলার সাহস আমার নেই। গানের কথায় এমন গভীর দর্শন ও জীবনবোধ গানটি করতে ভালো লাগার মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
লিভিং রুম সেশানে এর আগে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সাধক জালাল খাঁ, সতীশচন্দ্র গোঁসাই, শচীন দেব বর্মণ, হাসান মতিউর রহমান ও গীতকার মোয়াজ্জেম হোসেনের কথায় আলেয়া বেগমের একটি গান প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত গুণী শিল্পী ও তরুণ শিল্পীদের সমন্বিত এ প্লাটফর্মে প্রকাশিত গানগুলোতে দেখা গেছে মুজিব পরদেশী, কনা, ইমরান, কাজল দেওয়ান, জাহিদ নীরব, ইন্নিমা ও মাশা ইসলামকে।
গানগুলোর অডিও প্রোডাকশান করেছে বাটার কমিউনিকেশন। গানগুলোর ভিডিও নির্মাণ করেছেন মারুফ রায়হান। পরিবেশনায় থাকছে মাশরুম এন্টারটেইনমেন্ট। পিআর পার্টনার ইষ্টিশন কমিউনিকেশনস।