৩৭১ নম্বর কবরটি আইয়ুব বাচ্চুর



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাইশ মহল্লা কবরস্থানের ৩৭১ নম্বর সমাধি বাংলাদেশে রকসংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রার খাতায় ৩৭১ নং মৃত ব্যক্তির নাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- আইয়ুব বাচ্চু (৫৬), পিতা মো. ইসহাক। ঠিকানা: এনায়েত বাজার।

কবরস্থানের তত্ত্বাবধানে থাকা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বার্তা২৪কে নিশ্চিত করেছেন, লাশের পক্ষের রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর করেন আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই ইরফাস রনি।

শনিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের নজির শাহ মাজারের পেছনে বাইশ মহল্লার কবরস্থানে মায়ের পাশেই দাফন করা হয়েছে গিটার জাদুকর আইয়ুব বাচ্চুকে।

কয়েকদিন আগেও যার গান শ্রোতাদের আন্দোলিত করেছে, তিনিই এখন শুয়ে আছেন নির্জন ঘরে। যেখানে নেই কোনও জানালা। আছে শুধু নীরবতা।

আইয়ুব বাচ্চুর কবর জিয়ারত করতে ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন। বাইশ মহল্লার কবরস্থানে এসে তারা প্রিয় শিল্পীর সমাধির খোঁজ নিচ্ছেন। চট্টগ্রামের স্টেশন রোডের নজির শাহ মাজার জিয়ারত করতে আসা নারীরাও মাজারের পেছনে আইয়ুব বাচ্চুর কবরটি একনজর দেখে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইয়ুব বাচ্চুর কবর জিয়ারত করতে আসা মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব বার্তা২৪কে বলেন, ‘গুরুর জানাজায় আসতে পারিনি। তাই আজ কবর জিয়ারত করতে এসেছি।’

গত ১৮ অক্টোবর সকালে ঢাকায় নিজের বাসায় আইয়ুব বাচ্চুকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯ অক্টোবর বাদ জুম্মা জাতীয় ঈদগাহের পাশে হাইকোর্ট মসজিদে আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শনিবার সকালে ইউএস-বাংলার বিমানে করে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ চট্টগ্রাম নিয়ে এসে রাখা হয় তার নানার বাড়িতে। সেখানেই প্রিয় তারকাকে শেষবার দেখার জন্য জড়ো হন হাজারো মানুষ।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ভক্তদের কাছে তিনি ‘এবি’ নামেও পরিচিত। ঢাকার মগবাজারে তার নিজের স্টুডিও এবি কিচেন আছে। সেখানেই গান তৈরি ও কনসার্টের আগে অনুশীলন করতেন তিনি।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে সঙ্গীতজগতে তার পথচলা শুরু হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে এলআরবি ব্যান্ড গঠন করেন অকাল প্রয়াত এই গুণী শিল্পী। তিনি রেখে গেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।

   

‘সংবাদ’ সিনেমার তারকাবহুল মহরত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘সংবাদ’ সিনেমার মহরতে নির্মাতা ও স্টার কাস্ট

‘সংবাদ’ সিনেমার মহরতে নির্মাতা ও স্টার কাস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরতি পেরিয়ে ফের চলচ্চিত্র নির্মাণে ফিরছেন জনপ্রিয় নির্মাতা সোহেল আরমান। আগামী পহেলা জুন থেকে বিরতিহীন ভাবে একটানা চলবে তার তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘সংবাদ’র দৃশ্য ধারণের কাজ। সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান ও সোহেল মন্ডল। নিজের জন্মদিনের দিন অর্থাৎ শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক মহরতের মাধ্যমে সিনেমাটির শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেন নির্মাতা সোহেল আরমান।

সোহেল আরমান ১৯৯২ সালে নির্মাণে নামেন। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচশোর অধিক নাটক, বেশকিছু বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুঃখ-আনন্দ নিয়ে আজকের সোহেল আরমানের পথচলা। খোকনের অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। হুট করে চার বছর আগে সিনেমা প্রযোজনার কথা জানান। চার বছর পর শুরু। সবাই দোয়া করবেন। আশা করছি, দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছেন।’

ভয়েস টুডের ব্যানারে নির্মিতব্য সিনেমাটির গল্প লেখার পাশাপাশি প্রযোজনা করছেন এন এ খোকন। তিনি বলেন, ‘সিনেমা পরিচালনা বা প্রযোজনা না করলেও একজন চলচ্চিত্রের কর্মী ছিলাম। একশোর উপরে নাটক প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনা করেছি। অবশেষে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসা। সোহেল আরমানের উপর আস্থা আছে বলেই তাকে দিয়ে শুরুটা করেছি। আশা করছি, দর্শকরা ভালো কিছুই পাবে।’

সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমজাদ হোসেনের সিনেমা দেখে স্বপ্ন দেখেছি। বাংলা সিনেমায় তাকে বলা হয় গ্রাম বাংলার জীবন। আশা করছি, সংবাদ সিনেমা চলচ্চিত্রের জন্য সু-সংবাদ বয়ে নিয়ে আসবে।’

প্রথমবারের মতো ছোট ভাইয়ের নির্দেশনায় চলচ্চিত্রে কাজ করবেন প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। সিনেমাটিতে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি। বলেন, ‘সোহেল আরমান খুব ভালো লিখে। ওর সিনেমায় কাজ করতে পারছি বেশ ভালো লাগছে। বর্তমানে চলচ্চিত্রের জোয়ার বইছে। আমজাদ হোসেনের পরিবারের সবাই যদি বছরে একটি করেও কাজ করি তাহলে চলচ্চিত্র আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারব। সংবাদ যেন বাংলা সিনেমার জন্য অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারে দোয়া করবেন।’

ক্যারিয়রের চর্তুথ সিনেমা নিয়ে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘চলতি বছরটি আমার জন্য লাকি। কয়েক বছর পারিবারিক কারণে কাজ থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। এখন সিনেমার ভালো সময় যাচ্ছে। সিনেমা বড় মাধ্যম। মানুষ আমাকে সিনেমার মাধ্যমে চিনুক সবসময় সেটাই চেয়েছি। সেই প্রচেষ্টার মধ্যেই আছি। সংবাদের গল্পটা দুর্দান্ত। চরিত্র শুনেই সিদ্ধান্ত নেই কাজটি করতেই হবে। সবসময় সব চরিত্রের সুযোগ হয় না। সবকিছু মিলিয়ে সিনেমার জোয়ার বইছে। সংবাদ অন্য সিনেমার মতো ভালো লাগার এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’

আইশা খান বলেন, ‘সুন্দর একটি গল্পের আইডিয়া নিয়ে এসেছেন খোকন ভাই। আমি সবসময় ভালো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তার মধ্যে সোহেল ভাই একজন। তিনি যখন গল্প বলেছেন চোখ দিয়ে পানি বের হয়েছে। যতবার গল্পটি পড়েছি চোখ দিয়ে পানি পড়েছে। আমি তার লেখার ভীষণ ভক্ত। চরিত্র নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। আশা করি, দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’

সোহেল মন্ডল বলেন, ‘সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। গল্প শুনেই মনে হয়েছে এটার সঙ্গে যুক্ত হওয়া দরকার। সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।’

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ। ১৯৯৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান। এরপর টানা অভিনয়ের মধ্যেই আছেন। অভিনয়ের ফাঁকে বিজ্ঞাপনচিত্রেও কাজ করেছেন। প্রথমবারের মতো কাজ করছেন চলচ্চিত্রে। যে কারণে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র নিয়ে মৌ বলেন, ‘এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। নির্মাতা অনেক বিশ্বাস করে আমাকে নিয়েছেন। চেষ্টা থাকবে তার বিশ্বাস রাখার। সংবাদের ভেতর সংবাদ আরও আছে, সঙ্গেই থাকুন।’

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করছেন কাজী খুরশীদুজ্জামান উৎপল, সালাউদ্দিন লাভলু, সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, তাহমিনা সুলতানা মৌ, আজম খান প্রমুখ। এসময় প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু সোহেল আরমানকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। অচিরেই তার প্রযোজনায় সোহেল আরমানের পরিচালনায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

১৮৭২ সালের জমিদার বাড়ির একটি হারানো গল্পে সিনেমাটি নির্মিত হবে। এর চিত্রনাট্য করেছেন সোহেল আরমান নিজেই। আগামী ১লা জুন শুরু হয়ে ১৩ জুন পর্যন্ত প্রথম লটের শুটিং চলবে বলে জানান নির্মাতা। একই মাসের ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একটানা কাজ করে শেষ হবে সিনেমার পুরো দৃশ্য ধারণ। আগামী বছর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

;

বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে উচ্ছ্বসিত আসিফ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘দ্য নাদিয়া আলী শো’ এবং অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে আসিফ

‘দ্য নাদিয়া আলী শো’ এবং অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে আসিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর এখন লন্ডনে। সে কথা কদিন আগেই নিজের ফেসবুকে জানিয়েছেন তিনি। এবার তিনি লন্ডনে গিয়েছেন নিজের নতুন গান ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। কারণ এই গানটির সংগীতপরিচালক রাজা কাশেফ সেখানেই থাকেন।

গত ১৫ মে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সের কমিউনিটি হলে প্রথম কোন বাংলাদেশি শিল্পীর গানের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হলো। বিষয়টি আসিফের জন্য দারুণ সম্মানের ব্যাপার। তাছাড়া এই গানটিতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল।

‘দ্য নাদিয়া আলী শো’তে আসিফ

এবারের লন্ডন সফরে আসিফের ক্যারিয়ারে আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত হলো। বাংলাদেশের খুবই অল্প সংখ্যক তারকার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ডে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন আসিফ আকবর। বিবিসি ওয়ার্ল্ডের লন্ডন কার্যালয়ে গিয়ে তিনি যে বেশ উচ্ছ্বসিত তা তার ফেসবুকের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।

আসিফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শৈশবে তিন ব্যান্ডের রেডিও টিউন করে আব্বাকে খবর শোনাতাম। আজকে গেলাম বিবিসি ওয়ার্ল্ডের লন্ডন হেডকোয়ার্টারে। অংশ নিয়েছি ‘দ্য নাদিয়া আলী শো’তে। নাদিয়া আলী বাংলাদেশের মেয়ে। বিবিসিতে কাজ করা একমাত্র বাংলাদেশী। আমাদের গর্ব। বাংলা ইংরেজী মিলিয়ে ককটেল ইন্টারভিউ দিলাম। বিবিসি’তে সময়টা ছিল বেশ উপভোগ্য। থ্যাংকস রাজা ও রুবাইয়াত।’

বিবিসি ওয়ার্ল্ডের লন্ডন কার্যালয়ে আসিফ

রাজা ও রুবাইয়াত লন্ডন প্রবাসী বাঙালি দম্পতি। তারা দুজনই গানের সঙ্গে যুক্ত। এই দম্পতিকে যেহেতু আসিফ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে বিবিসির সাক্ষাৎকারের বিষয়টিতেও সহযোগীতা করেছেন রাজা কাশেফ ও রুবাইয়াত দম্পতি।

লন্ডনে যাওয়ার আগে ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি’ গানটি নিয়ে আসিফ ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘‘মুম্বাই সফরে গিয়ে শ্রদ্ধেয় কিংবদন্তি অনুরাধা পাড়োয়াল ম্যাডামের সাথে ডুয়েট গানটির ভয়েস দিয়েছিলাম। উনার ভয়েস আগেই নেয়া ছিল। শ্রদ্ধেয় কবির বকুল ভাইয়ের গীতিকবিতায় সুর ও সঙ্গীত করেছেন রাজা কাশেফ (ইংল্যান্ড)। হলফ করে বলতে পারি, একটি সমৃদ্ধ বাংলা গান হয়েছে। অনুরাধা ম্যাডামের প্রতি কৃতজ্ঞতা উনার গায়কী এবং আতিথেয়তার জন্য। আসছে ১৫ মে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে একটি সাড়ম্বর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গিনী’ গানটি অবমুক্ত করা হবে। অনুরাধা ম্যাডামসহ আমি সেখানে থাকবো আশা করছি।’’

কিংবদন্তি শিল্পী অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে আসিফ আকবর

‘চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি’ গানের ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। গানটিতে আসিফের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সাবা বশির (ইংল্যান্ড)।

;

ছেলের সাফল্যে আপ্লুত প্রসেনজিৎ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৪০ বছর ধরে সিনেমায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য। মাঝে কিছু বছর কম বয়সী নায়কদের বেশ দাপট চললেও এখন দর্শকের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। তাই সেই এঘেয়ে প্রেমের গল্প, ধুমধারাক্কা একশন আর আইটেম গানে ভর্তি কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো বেশি সুবিধঅ করে উঠতে পারছে না। তাই আর্টিস্টিক সিনেমার হাত ধরে ফর্মে ফিরে এসেছেন বুম্বাদা। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। সঙ্গে যদি থাকে ঋতুপর্ণা, তার মানেই সিনেমা সুপার হিট। একসঙে্গই অর্ধশত সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তারা। সামনেই আসতে চলেছে জনপ্রিয় এই জুটির পঞ্চাশ তম সিনেমা অযোগ্য। ৭ জুন সিনেমা ঘরে প্রকাশ পাবে সিনেমাটি।

সিনেমা জীবনে যেমন সফল এবং গর্বিত প্রসেনজিৎ, তেমনই ব্যক্তিজীবনও তার বেশ ভালো কাটছে। সম্প্রতি ছেলের সাফল্যে আপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেতা। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইন্সটাগ্রামে) ছেলে তৃষানজিতের একটি ছবি প্রকাশ করেন তিনি।   

ইউরোপে স্কুলজীবন শেষ করলেও উচ্চশিক্ষার জন্য মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন তৃষাণজিৎ। তবে কলকাতা নয়, দক্ষিণ ভারতের নামী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করলেন। গ্রাজুযেশন সেরেমনিতে ছেলের স্নাতকের প্রশংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, ‘ আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে। কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।’  বুম্বাদার এই পোস্টে ইন্ডাস্ট্রির সকল সহকর্মী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।

ছেলের অভিনয় জগতে আসা নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি প্রসেনজিৎ। তবে যেহেতু এখন পড়াশোনার পাঠ চুকেছে তাই শিগগিরই হয়তো তাকে বঢ় পর্দায় দেখা যাবে- আশা করছেন নেটিজেনরা। যদিও ছোটথেকেই ফুটবলে ঝোঁক রয়েছে তৃষাণের। তবে তাকে দৈহিক গঠন এবং লুক দেখে অনেকে মনে করেন, তৃষাণজিতের উচিত বাবা-দাদার পথের অনুসারী হওয়া।   

;

হীরামান্ডির ‘আলমজেব’-এর পাশে দাঁড়ালেন রিচা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বড়পর্দার রূপালী মায়া কাটিয়ে ওটিটি জগতে এলেন খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি। তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই সিরিজ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। তবে নেটফ্লিক্সে এটি বিপুল সাড়া পাচ্ছে।

‘হীরামান্ডি’র যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা-নিন্দা হচ্ছে, তা হলো আলমজেব চরিত্র। এই চরিত্রে শারমিন সেহগালের অভিনয় দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। শারমিনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে কাস্ট করার কারণে বানসালির বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’র অভিযোগও তুলছে নেটিজেনরা। কারণ তিনি শারমিনের মামা।

মামা-ভাগ্নি সঞ্জয়লীলা বানসালি ও শারমিন সেহগাল

এবার নিন্দায় বিপর্যস্ত শারমিনের পাশে দাঁড়ালেন এই সিরিজেরই সহ-অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। ‘হীরামান্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সময় সাধারনত তারকারা এদিক সেদিক তাকান না। নিজের সফলতা উপভোগ করেন। বিপাকে জড়িয়ে নিজের দিকে সমালোচনার তীর আসুক সেটা তারা একেবারেই চান না। তবে রিচা বরাবরই আলাদা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিজের অনুভূতি কোন কিছুর চাপে দমিয়ে রাখার পাত্রী তিনি নন। এর আগেও রিচা তার ‘সর্বজিৎ’ সিনেমার কো আর্টিস্ট ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তার সেই জবাব রীতিমতো ভাইরাল হয়।

 হীরামন্ডি সিরিজে লাজ্জো চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও নাচ পরিবেশন করেছেন রিচা

এবার হীরামন্ডি সিরিজের ‘আলমজেব’ চরিত্রের শারমিককে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা (সমালোচনা করা) দর্শকের অধিকার। তারা সিরিজটি পছন্দ করতে পারে, অপছন্দও করতে পারে। কারও অভিনয় ভালো লাগবে, আবার কারও কাজ ভালো লাগবে না। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে ট্রল করে, মিম বানায়, নিন্দা করে; আমার মতে এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারও প্রতি নির্দয় হওয়া উচিত নয়, কারণ আগামীকাল এমন কিছু আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। এবং হ্যাঁ, প্রত্যেকেই মানুষ।’

মা হতে যাচ্ছেন রিচা। তার স্বামী বলিউড অভিনেতা আলী ফজল

‘হীরামান্ডি’ নির্মিত হয়েছে ১৯৪০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখন লাহোরে হীরামান্ডি নামের এলাকায় বাইজিপাড়া ছিল। সেখানকার ছয় বাইজিকে ঘিরেই এগিয়েছে সিরিজের গল্প। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সিরিজটিতে আরও আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, সানজিদা শেখ, ফারদিন খান, শেখর সুমন, ফরিদা জালার প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বলিউড হাঙ্গামা

;