জন্মদিনে গানের মানুষ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়



সোমঋতা মল্লিক
জন্মদিনে গানের মানুষ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

জন্মদিনে গানের মানুষ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮৬৩ সালের ১৯ জুলাই অবিভক্ত বঙ্গদেশের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কার্তিকেয় চন্দ্র রায় ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর নদীয়ার একজন কীর্তিমান পুরুষ। তাঁর জননী প্রসন্নময়ী দেবী। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ছিলেন তাঁদের কনিষ্ঠ পুত্র। কার্তিকেয় চন্দ্র রায় কৃষ্ণনগরের দেওয়ান ছিলেন। তিনি বহু গুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি একাধারে যেমন সুপন্ডিত ছিলেন, বিদ্বান ছিলেন, তেমনি আবার সুগায়ক ও সুপুরুষ ছিলেন। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ব্যক্তিজীবন ও সাহিত্যজীবনের উপর তাঁর পিতার প্রভাব ছিল অপরিসীম।

১৮৯৭ সালের ২২ জানুয়ারি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও সুরবালা দেবীর প্রথম সন্তান দিলীপকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিজেন্দ্রলাল তাঁর পুত্রকে ‘মন্টু’ নামে সম্বোধন করতেন। ১৮৯৯ সালে দ্বিজেন্দ্রলাল ও সুরবালা দেবীর কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন, তাঁর নাম রাখা হয় মায়া। 

দিলীপকুমারের বয়স যখন ৬ এবং মায়া দেবীর বয়স যখন ৪, তখন সুরবালা দেবীর মৃত্যু হয়।  দ্বিজেন্দ্রলাল তাঁর পত্নীর আকস্মিক বিয়োগ ব্যথা ভুলতে পারেননি, তাঁর বহু কবিতায়, সঙ্গীতে এই ব্যথা বেদনা তিনি ব্যক্ত করেছেন।

দ্বিজেন্দ্রলাল বাল্যকাল থেকেই তাঁর শান্ত, নির্ভীক পিতাকে দেখেই বড় হয়েছেন। এ বিষয়ে পুত্র দিলীপকুমার রায় তাঁর উদাসী দ্বিজেন্দ্রলাল গ্রন্থে লিখেছেন, “প্রায়ই বলতেন, ওরে জানিস আমি কার ছেলে? কার্তিক দাওয়ানের। আমি কবির কাছে শুনেছিলাম ছেলেবেলা থেকেই যে তাঁর পিতার চরিত্র তাঁকে খুব বেশী প্রভাবিত করেছিল। বিশেষ করে সত্য নিষ্ঠা, মনের জোর ও সরলতা এই তিনটি গুণ যেন উত্তরাধিকার সূত্রেই পাওয়া।”

দিলীপকুমার রায় তাঁর সম্পর্কে এক জায়গায় লিখেছেন, “একটি জিনিস সেই ছেলেবেলাতেই আমার চোখে পড়েছিল যে কবির মধ্যে দুটো মানুষ ছিল। একজন তীক্ষ্ণ বিচারক, বিবেকী, বিশ্লেষক আর একজন সরল, প্রণয়ী, উদাসী প্রেমিক”

দিলীপকুমার রায় নিজের পিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, “আমি তাঁকে আগে কবি বলেই বিশ্বাস করি। লোকের কাছে প্রায়ই শুনি তিনি ছিলেন প্রথমে নাট্যকার ও হাসির গানের কবি। আমি বলি না, তিনি ছিলেন সবার আগে কবি, গীতিকার ও সুরকার - composer - তার পরে আর যা বলতে চান বলুন।”

তাঁর পিতার সঙ্গীতচর্চা সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিলীপকুমার রায় বলেছেন, “তিনি সুগায়ক ছিলেন, কিন্তু ওস্তাদ ছিলেন না, যেমন ছিলেন ঠাকুর্দা। শিখলে ওস্তাদ হতে পারতেন কিন্তু আশৈশব তাঁকে পড়াশোনাই বেশী করতে হয়েছিল, ফিরে এসে চাকরির হাড় ভাঙ্গা খাটুনি। কাজেই আমি নিজে গান শিখবার যেমন সুযোগ পেয়েছিলাম সেরকম সুযোগ তিনি পাবেন কোথা থেকে বলুন? কিন্তু তাঁর কন্ঠস্বরের এমন উদাত্ত লাবণ্য ছিল যে তাঁর গান সত্যিই চিত্ত হরণ করত। খোলা কণ্ঠ যত চড়াতেন ততই মিষ্ট হত - আর চড়াতেন গলা না চেপে- মিউমিউ ভঙ্গিতে নয়। তাই তাঁর গানে অত সহজে আগুন জ্বলে উঠত। শুধু স্বদেশী গানে বা যুদ্ধের গানে নয়, যখন হাসির গান গাইতেন তখনও।”

দিলীপকুমার রায় তাঁর স্মৃতিচারণ গ্রন্থে লিখেছেন, “তিনি শুধু একজন প্রথম শ্রেণির কবি ও সুরকার ছিলেন তাই নয়, তিনি ছিলেন যাকে সাহেবি ভাষায় বলে, ‘first class lover’ তাঁর দিকে এতলোক আকৃষ্ট হত প্রধানত তাঁর অসামান্য স্নেহ শক্তির জন্যেই।"

কল্যাণী কাজী সম্পাদিত শত কথায় নজরুল গ্রন্থে আলোর বাণীবহ নজরুল শীর্ষক রচনায় দিলীপকুমার রায় লিখেছেন, “দ্বিজেন্দ্রলাল ছিলেন গানের এক দিকপাল- ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা, কীর্তন, বাউল ও বহুভঙ্গিম প্রেমের গানে, স্বদেশী গানে তাঁর দান যে অসামান্য আজ সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু তাঁর গানে ঠুংরির চাল মেলেনা- পেলবতা ও সৌকুমার্যের সমন্বয়ে।

বাংলায় এ চাল প্রথমে আনেন অতুলপ্রসাদ। তাঁর সম্বন্ধে আমি অন্যত্র বহু আলোচনা করেছি। কাজীর সম্বন্ধেও করেছি আমার দুটি নিবন্ধে। তাতে দেখাতে চেষ্টা করেছি কিভাবে আমাদের বাংলা গানকে কাজী সমৃদ্ধ করে গেছে গজলের প্রেমের দুলকি চালে। এর পরে ও ঠুংরিতেও অনেকগুলি গান বাঁধে অতুলপ্রসাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। কিন্তু সে গানগুলি চমৎকার হলেও গানে ওর স্বকীয়তা ফুটে উঠেছিল সবচেয়ে বেশী ওর বাংলা গজলেই বলব। আমার বিশেষ প্রিয় ছিল ওর একটি গজল যেটি ভ্রাম্যমান হয়ে সর্বত্র গেয়ে আমি সব শ্রোতাকেই সচকিত করে তুলেছিলাম-

বাগিচায় বুলবুলি তুই ফুলশাখাতে দিসনে আজি দোল

বিশ্বনাথ দে সম্পাদিত নজরুল স্মৃতি গ্রন্থ থেকে জানা যায়- দিলীপকুমার রায় স্মৃতিচারণ করেছেন- “কাজীর সঙ্গে আমার আর একটি মস্ত মিল ছিল এইখানে যে, সে তার গানে সুরবিহারের স্বাধীনতা আমাকে সানন্দেই দিত, যেমন দিতেন আমার পিতা ও অতুলপ্রসাদ। এ নিয়ে কবিগুরুর সঙ্গে আমার মতভেদে কাজী ও অতুলপ্রসাদ বরাবরই ছিলেন আমার দিকে। তাই তো বুলবুল -এর উৎসর্গে কাজী আমাকে লিখেছিল:

যে গান গেয়েছি একাকী নিশীথে কুসুমের কানে কানে,

ওগো গুণী, তুমি জড়ালে তাহারে সব বুকে, সবখানে

বুকে বুকে আজ পেল আশ্রয় আমার নীড়ের পাখি,

মুক্ত পক্ষ উড়িতে যে চায় কেন তারে বেঁধে রাখি?

সে গুণী ছিল তাই বুঝত যে মুক্তপক্ষ সুরকে স্বরলিপির কাঠামোতে বেঁধে রাখলে তার গগনবিহার ব্যাহত হয়ই হয়। আজ শুনি একদল অগায়ক ক্রিটিকের মুখে যে এ স্বাধীনতা অক্ষমনীয়। কিন্তু অতুলপ্রসাদ ও কাজীর অনুমতি পাওয়ার পরে এ সব রুক্ষ ক্রিটিকদের মাথা-নাড়া উপেক্ষা করা চলে। কাজী আমার মুখে তার গানের নানা সুরবিহারে বিশেষ উৎফুল্ল হয়েছিল। সে যুগে আমার বাংলা গানের পাঁচটি ধারা ছিল - দ্বিজেন্দ্রলালের, অতুলপ্রসাদের, রজনীকান্তের, কাজীর ও আমার নিজের। পন্ডিচেরী চলে আসার আগে আমি সবচেয়ে বেশী গাইতাম অতুলপ্রসাদ ও কাজীর গান। মনে পড়ে কত আসরে এ দুই সুরকারকেই একসঙ্গে শুনিয়েছি তাঁদেরই রচিত গান। এ সৌভাগ্য কজন গায়কের হয়েছে জানিনা।”

দিলীপকুমার রায় উদাসী দ্বিজেন্দ্রলাল গ্রন্থে  দ্বিজেন্দ্রলাল সম্পর্কে লিখেছেন “অত্যধিক স্পর্শ কাতর মানুষ, যেখনেই আত্মগ্লানির ছায়া দেখতেন সেখানেই তাঁর সমগ্র মনটি উঠত দুলে। শুধু গ্লানির ক্ষেত্রেই নয়, তাই বলে - সমবেদনায়ও।”

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের শেষ জীবন সম্পর্কে তাঁর পুত্র বলেছেন “এই মানুষকে শেষ জীবনে যাপন করতে দেখেছি বিধবাদের জীবন। তখন বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন বুঝতে পারি - জীবনে আসক্তি বলতে যা বোঝায় সেটা তাঁর ছিলনা কোনোদিনই। তাই যা-ই ধরতেন, আঁকড়ে ধরলেও ধরতেন শিথিল মুষ্ঠিতে। ধরাটা তাঁর প্রবল ছিল কারণ তিনি স্বভাবে ছিলেন বলিষ্ঠ কিন্তু ব্যাকুল ছিলেন না, তার কারণ অন্তরে তিনি ছিলেন অনাসক্ত। তাই মরণে তাঁর ভয় ছিল না কোনো দিনই।”

তথ্য ঋণ: দ্বিজেন্দ্রলাল, ড. সুশীল ভট্টাচার্য, নজরুল স্মৃতি, বিশ্বনাথ দে সম্পাদিত, শত কথায় নজরুল, কল্যাণী কাজী সম্পাদিত।

লেখক: সোমঋতা মল্লিক, নজরুল সঙ্গীতশিল্পী এবং সভাপতি, ছায়ানট (কলকাতা)।

   

কনসার্টে সুনিধিকে লক্ষ্য করে ছুড়ল বোতল, যা করলেন তিনি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডে অন্যতম জাদুকরী কণ্ঠশিল্পী সুনিধি চৌহান৷ প্রায় ৩ দশক ধরে সুপারহিট গান উপহার দিয়ে আসছেন তিনি৷ শিল্পীদের বরাবরই বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। মাঝেমধ্যে ভক্তদের ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড দেখেও চুপচাপ সহ্য করে যেতে হয়৷

সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো সঙ্গীত শিল্পী সুনিধির। তবে বেশ বিজ্ঞতার সঙ্গেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন তিনি৷ কনসার্টের স্টেজে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে গান গাইছিলেন গায়িকা। এমন সময় দর্শকের মধ্য থেকে কেউ একজন একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারেন গায়িকার দিকে৷ তার হাতে অল্প লেগে পাশেই পরে বোতলটি৷

আকস্মিক এই ঘটনায় শুরুতে বেশ চমকে ওঠেন গায়িকা। তবে পরমুহূর্তেই নিজেকে আবার সামলে নেন৷ গান না থামিয়ে গেয়ে চলেন। তবে চোখেমুখে অবাক হয়ে ওঠার ভাব ছিল স্পষ্ট। গাইতে গাইতে এক সময় নরম সুরে দর্শকদের প্রশ্ন করেন গায়িকা,‘এখানে কি হচ্ছে এসব! বোতল ছুড়ছেন কেন? কি হবে বোতল ছুড়ে? তাই না? শো-ই বন্ধ হয়ে যাবে৷ সেটাই চান আপনারা?’


দর্শকমহল থেকে সম্মিলিত কণ্ঠস্বর চিৎকার করে ওঠে,‘না!’ তারপর আবার গান শুরু করেন সুনিধি৷ পুরোটা সময় বেশ শান্তস্বরে হাসতে হাসতে কথাগুলো বলেন তিনি৷

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৩মে) রাতে৷ ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে অবস্থিত এসজিআরআর ইউনিভার্সিটির স্টেজে ঘটে এই ঘটনা৷ ভিডিওর ক্লিপটি দেখার পর নিন্দায় ভরে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কমেন্ট বক্স৷ একজন শিল্পীর প্রতি এমন ব্যবহারে খুশি নন নেটিজেনরা৷ সুনিধির মতো শিল্পীকে আরও সম্মান দেওয়া উচিত৷ অজ্ঞাত সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্যও করেন অনেক৷

;

‘দ্য বয়েজ’ সিরিজের নতুন সিজনের ট্রেইলার প্রকাশ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে সুপারহিরো জনরার মানেই ‘দ্য বয়েজ’ সিরিজ৷ আর ১০ টি সুপার হিরো সিনেমার মতো নয়- যেখানে শুধুমাত্র ভালো মনের আদর্শ মানুষরাই অসীম শক্তির সন্ধান পায়৷ সুপার হিরোরা যদি অসৎ হতো এবং তাদের মানবজাতি রক্ষা করা যদি কেনল ভনিতা হতো তখন কি হতো- সেই গল্পেই সুপারহিরো সিরিজ ‘দ্য বয়েজ’৷ ভিন্নধর্মী এই গল্পের জন্য এই সিরিজের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী৷

বিখ্যাত এই টিভি সিরিজের সিজন ৪ নিয়ে হাজির হয়েছে অ্যামাজন প্রাইম। অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল প্রাইম ভিডিও থেকে ট্রেইলার প্রকাশ করা হয় শনিবার (৪মে)। জনপ্রিয় সিরিজটির গল্পে চমকপ্রদ নতুন মোড় নিয়ে ৪র্থ কিস্তি প্রকাশ করা হবে জুনের ১৩ তারিখ।

এই সিজনের ট্রেইলার ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের কাছে লোমহর্ষক মনে হয়েছে৷ এই অবধি সবচেয়ে রক্তাক্ত সুপার হিরো সিরিজের তকমাও পেয়েছে৷ সুপারহিরোর বেশ ধরে হোমল্যান্ডার সাধারণ মানুষদের সামনে রক্ষকের ভং ধরে থাকতেন৷ অসাধারণ শক্তিধর একদল সুপারভিলেনদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ‘দ্য বয়েজ’ টিমের এই লড়াই কোনদিকে মোড় নেবে?

ট্রেইলারের এক অংশে দেখা যায় হোমল্যান্ডারের বুদ্ধিমত্তার কারণে জনগণ দু'টি ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যায়, তাদের মধ্যে দুর্ধর্ষ সংঘর্ষ হচ্ছে৷ লোক দেখানো সুপারহিরো টিম সেভেন এতদিন সবার আড়ালে স্বেচ্ছাচারিতায় মগ্ন থাকতেন৷ লোকসেবার আড়ালে ইচ্ছেমতো হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সকলকে বোকা বানাতো৷ বয়েজের গত সিজনে তাদের এই সত্য সকলের সামনে আসতে শুরু করে৷ এক পক্ষের লোক তাই সেভেন এর বিরুদ্ধে যেতে শুরু করে৷ সেভেন টিমের লোকজনদের এই সিজনে দেখা যাবে আরও হিংস্র রূপে৷

ট্রেইলারে দেখা যায়, দলনেতা হোমল্যান্ডার এবার তার দলের সদস্যদের আরও উগ্র হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে- এতদিন তারা মানুষের সামনে যে ভালো হিরো সেজে থাকতো তার অবসান হবে৷ এবার থেকে তারা গড হিসেবে নিজেদের প্রকাশ ঘটাবে৷ সেই সাথেই দলের একেকজন সদস্য ইচ্ছেমতো মানুষকে আঘাত করতে শুরু করে।

তাছাড়া আরও ট্রেইলারের আরও এক বিশেষ দৃশ্য নজরে পড়েছে৷ সুপার পাওয়ারড মানুষের পাশাপাশি এবার ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সুপার পাওয়ারড পশুপাখিও৷ একে একে মানুষ হত্যা করে চলেছে অবাধে৷

নতুন কিছু সুপার পাওয়ার সমৃদ্ধ চরিত্রকেও দেখা যায় ট্রেইলারে৷ একশন এবং থ্রিলারে পরিপূর্ণ সিরিজটির জন্য অপেক্ষা করে আছে দর্শক৷ একসঙ্গে এতগুলো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে সিরিজের হিরো ‘দ্য বয়েজ’ দলের সদস্যদের৷ তারা কি পারবে একজোট হয়ে মানবজাতির রক্ষা করতে, জানতে হলে চোখ রাখতে হবে অ্যামাজন প্রাইমে৷

;

পঁচিশে বৈশাখে স্বপ্নীলের অর্ঘ্য ‘ভালোবেসে সখী’র গানচিত্র



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব বেশ আগে থেকেই ছক ভেঙে বের হতে চেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গান শুধু নির্দিষ্ট ঢংয়ে উপস্থাপন করতে হবে সেটি তিনি মানতে নারাজ। রবীন্দ্র সংগীতের ভেতরের আবেদন ঠিক রেখে তাকে আধুনিকভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা সব সময়ের জন্য স্বপ্নীলের।

তারই ধারাবাহিক নব প্রয়াস গুরুদেবের অন্যতম জনপ্রিয় গীত ‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’র গানচিত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্ম জয়ন্তী অর্থাৎ পঁচিশে বৈশাখে তার প্রতি এটি দুই বাংলায় পরিচিতি পাওয়া স্বপ্নীল সজীবের অর্ঘ্য নিবেদন।

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

স্বপ্নীল সজীবের এই গানচিত্রটি তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলেও শোনা যাবে সকল আন্তর্জাতিক অডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে। গানে নলিনী চরিত্রে স্বপ্নীলের সাথে থাকছেন মডেল ড. মিয়ামী খুলদ। গানচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ইয়ামিন এলান।

স্বপ্নীল সজীবের ভাষ্য, ‘প্রেমের কবি রবীন্দ্রনাথ তার জীবনকালে রচনা করেন অসংখ্য প্রেমের কবিতা ও গান। যার মাঝে লুকিয়ে আছে প্রেম, বিরহ, ব্যাকুলতা আর নি:সঙ্গের এক মহাউপাখ্যান। তার লেখা প্রতিটি শব্দই যেন আমার-আপনার কথাই বলে, পাওয়া না পাওয়ার গোলমেলে হিসাব স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। যতই গানে, সংগীতায়োজনে আধুনিকতা আসুক না কেন, রবীন্দ্রসংগীত টিকে থাকবে আপন মহিমায়। গুরুদেবের জন্মদিনে তার এই গান আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি এই গানের মাধ্যমে।’

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে মিয়ামী খুলদ

স্বপ্নীল সজীব রবীন্দ্রনাথের গানের কারণে বিশেষ সমাদৃত হলেও বাংলা সংগীতের নানা ধারার গান গেয়ে থাকেন। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দুবাই, ব্রুনাই, মরোক্কো, ইরান, মালেশিয়া, নেপাল ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংগীত পরিবেশন করে সুনাম কুড়িয়েছেন।

গানে হাতেখড়ি লুৎফুন নাহার লতার কাছে। এরপর রবীন্দ্র সংগীতে তালিমা নিয়েছে ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ওয়াহিদুল হকের কাছে। এছাড়া তাকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিসেবে অভিজ্ঞানপত্র দিয়ে সম্মান প্রদান করেছে ইউএসএ’র সিনেটর, লস এঞ্জেলসের মেয়র, ভারতীয় হাই কমিশন, ইউ এস অ্যাম্বাসি, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট অব কালচার, ইন্দিরা গান্ধি কালচারাল সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে তিনি স্বর্ণপদক পান।

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব
;

শাহরুখ খান-সঞ্জয় দত্তের কাতারে শাকিব খান!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঞ্জয় দত্ত, শাকিব খান ও শাহরুখ খান

সঞ্জয় দত্ত, শাকিব খান ও শাহরুখ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাই আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সোশ্যালে সেই রিকমেন্ডেশন লেটার শেয়ার করে এমনটাই জানালেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, প্রথম বারের মতো ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেল মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

সেই সঙ্গে তিনি আরও লিখেন, আরব আমিরাত সাধারণত কিছু বিশেষ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে। ব্যবসা ও এ ক্যাটাগরি জব ছাড়া শুধুমাত্র সরকারিভাবে রিকমেন্ডেশন দিয়ে ট্যালেন্টেড পেওনির হিসাবে ভিন্ন দুইটা ক্যাটাগরিতে তারা সম্পূর্ন বিনা খরচে সম্মান সরূপ গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে।

শাকিব খান

বিভিন্ন সময় বলিউডের অনেক সেলিব্রিটিকে ক্রিয়েটিভ কালচারাল ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, সন্জয় দত্তসহ অনেক বড় তারকারা ইতিমধ্যেই এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। এবার সেই একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার পেলেন বাংলাদেশের একমাত্র মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

এ বিষয়ে আমার টিম দিন রাত কাজ করেছে। সম্প্রতি বাংলা ভাষার সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে বড় আকারে তুলে ধরার যে মিশন নিয়ে আমার টিম কাজ করছে যাচ্ছে, তারই ক্ষেত্র তৈরী করতে এটি একটা মাইলফলক।

শাকিব খান

এখন বাকি সব শিল্পীদের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করবো। আমরা বাংলাদেশি এটাই আমাদের বড় পরিচয়।

;