ফিল্ম, ফান, ফূর্তির জগতে স্বাগত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চরকিতে লাগলো দোল। ঘুরলো ফিল্ম, ফান, ফূর্তির চাকা। আজ থেকে যাত্রা করল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি। দেশি প্ল্যাটফর্মে বিশ্বমানের বিনোদনের আভাস নিয়ে এলো তারা। সিনেমা, সিরিজ, শো, তথ্যচিত্র-সহ বৈচিত্রে ভরা প্রায় ২০০ কনটেন্ট দেখা যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিতে।

করোনা মহামারির প্রকোপে যখন দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নাকাল, বন্ধ প্রেক্ষাগৃহের দ্বার, ঠিক তখনই বিশ্বজুড়ে বেড়ে যায় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কদর।

বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হতে থাকে দেশি-বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ও কনটেন্টগুলো, ডালপালা ছড়িয়ে বাড়তে থাকে দেশের কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রি। আর এই বিস্তৃতির সহযাত্রী হতে চলে এলো চরকি। ঢাকাকে বাংলা কনটেন্টের রাজধানী হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার প্রত্যয় তাদের। তাই তো কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমলে নেয়নি তারা। মহামারির ছোবলে দেশজুড়ে চলমান লকডাউন দমাতে পারেনি চরকির গতি।

চরকিকে ঘিরে বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটকের দর্শকদের আগ্রহের কমতি নেই। চলতি বছরের শুরুতে চরকি জানিয়েছিল তাদের একটি প্রতিশ্রুতির কথা। বলা হয়েছিল, ১২ মাসে ১২টি সিনেমা মুক্তি দেবে তারা। সেই থেকে শুরু হয় দর্শকদের অপেক্ষা। চরকির সামাজিক যোগাযগমাধ্যমের পাতাগুলো ভরে যেতে থাকলো দর্শকের বার্তা ও শুভকামনায়। অনেক দর্শক চরকির যাত্রা শুরুর সময়ক্ষেপন নিয়ে মন খারাপও করতো। কিন্তু চরকির সঙ্গ ছাড়তো না তারা। তাই চরকিও তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায়নি। ফিল্ম… ফান… ফূর্তির পসরা সাজিয়ে তারা দর্শকের সামনে হাজির।

বৈচিত্র্যময় কনটেন্টের ঝলক দেখিয়ে চরকি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নেটিজেনদের মধ্যে। তারকাবহুল প্রযোজনা, গুণী নির্মাতার সম্মিলন, আন্তর্জাতিকমানের নির্মাণ আর টান টান উত্তেজনায় ভরা দেশি গল্পের অনন্য মিশেল থাকবে প্ল্যাটফর্মটির প্রতিটি সৃষ্টিতে, তা শুরুতেই আঁচ করে নেয় দর্শক। এরপর একে আসতে থাকে চরকির সব অভিনব আর নান্দনিক কনটেন্টের খবর। আর এসব নিয়ে দিন কয়েক পরপরই হইহই রইরই পড়ে যেত ফেসবুক, ইউটিউবের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয়।

সিরিজ-সিনেমা রিলিজের আগেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে চরকির কনটেন্টগুলোর পোস্টার, ট্রেলার আর ট্রেলারের রিভিউ। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দর্শকের মধ্যে বাড়তে থাকে কৌতুহল, আগ্রহের পারদ উঠতে থাকে উঁচু থেকেও উঁচুতে।

চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি তার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, “অপেক্ষার পালা শেষ! আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফিল্ম ফান আর ফুর্তি নিয়ে চরকির এই পথচলা।

বাংলাদেশে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম কিছু কিছু নিজের গতিতে চলছে। তবে এখনো অনেক বড় করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ আছে। আমরা চরকি দিয়ে সেই বড় স্বপ্নের মধ্যে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। কারণ ভিডিও স্ট্রিমিং এই একটি মাধ্যম দিয়ে আমরা বাংলা কন্টেন্টকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে পারি । সম্ভাবনাময় সব নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলি মিলে বাংলা কনটেন্ট বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে–ই নির্মাণ করেন না কেন, কিংবা যে কোনো বাংলা ভাষাভাষি বিশ্বের যে প্রান্ত থেকে কনটেন্ট দেখেন না কেন— সবারই মিলনক্ষেত্র হবে চরকি। এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা বড় স্বপ্নটি দেখছি, পৃথিবীর সামনে বাংলা কনটেন্টটের রাজধানী হিসেবে চরকিকে প্রতিষ্ঠিত করার। আমরা খুব বিনীতভাবে যাত্রা শুরু করেছি। চেষ্টা করব, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের প্রত্যাশার সবটা স্পর্শ করার। বাংলাদেশের কনটেন্টকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এই স্বপ্ন একার চেষ্টায় পূরণ করা কঠিন। আমাদের এই যাত্রায় অনেকের কাছ থেকে অনেক সহযোগীতা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তাদের সবার নাম বলে হয়তো শেষ করা যাবে না। বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই মিডিয়া স্টার লিঃ পরিবারের সবাইকে, এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ পুরো চরকি টিমকে যারা এতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চরকিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন … আর সবশেষে ভালোবাসা জানাই প্রতিটি দর্শক, শিল্পী,কলাকুশলি, নির্মাতা আর আমাদের শুভানুধ্যায়ীদের যারা আগামী দিনগুলোতে এই স্বপ্নযাত্রার সহযাত্রী হবেন। থাকবেন চরকির সঙ্গে, থাকবেন ফিল্ম… ফান… ফূর্তির সঙ্গে।”

শুধু দেশের দর্শক নয়, চরকি বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের প্ল্যাটফর্ম। এটি দেখে যাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে। প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে তাদের। যতটাই সহজে দেশে বসে এই প্ল্যাটফর্ম দেখতে পাবে বাংলাদেশের দর্শক, এটি ততটাই সহজলভ্য প্রবাসী ও ভিনদেশিদের জন্যও। প্রতিটি দর্শকই চরকির একান্ত আপনজন। যেমন আপন ফ্রি কনটেন্ট দেখতে আসা দর্শকেরা, ততটাই আপন সাবস্ক্রিপশন কিনে চরকিতে আসা স্থায়ী দর্শকেরা। তবে স্থায়ী দর্শক, যারা সাবস্ক্রিপশন কিনে চরকি দেখবেন, তাদের জন্য থাকবে কিছু বিশেষ সুযোগ। যেমন- বিজ্ঞাপনহীন কনটেন্ট দেখার সুবিধা, সবার আগে চরকির অরিজিনাল কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ সহ, আরো অনেক কিছু।

স্থায়ী দর্শকেরা ছাড়া চরকির সঙ্গে মৌসুমী দর্শক হিসেবে যুক্ত হওয়া যাবে। অর্থাৎ, কেউ চাইলে একটা ঝাঁ চকচকে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ টিকেট কেটে দেখতে পারবে। ঠিক যেমন করে সিনেমা হলে দেখা যায়। এখানে সুবিধা হলো, সিনেমা হলে একটা টিকিট দিয়ে শুধু একজনই দেখতে পারে সিনেমা, কিন্তু চরকিতে দেখতে পারবে একসঙ্গে এক টিকিটে পুরো পরিবার। তা ছাড়া খরচও হবে একটা সাধারণ টিকিটের চেয়েও অনেক কম দামে।

এবার আসা যাক চরকি দেখার মাধ্যমগুলোতে। আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রায় সব ধরনের ডিভাইস থেকে চরকি দেখার সুযোগ রাখা হয়েছে। আইওস, অ্যান্ড্রয়েড ফোন, আইপ্যাড, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্যামসং টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি বক্স, ফায়ার স্টিক-সবখানেই আজ থেকে পাওয়া যাবে চরকির অ্যাপ। তা ছাড়া যেকোনো ব্রাউজার ব্যবহার করে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে চরকির ওয়েবসাইটে (www.chorki.com) দর্শক নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারবেন। আর যদি বিঘ্ন ঘটে? এর সমাধানও জানিয়েছে প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে চরকি একটি হেল্পডেস্ক চালু করছে প্রথম দিন থেকেই। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চরকির ওয়েবসাইটে থাকা চ্যাটবক্স ও চরকির অফিসিয়াল ই–মেইল, ফেসবুক পেইজে সমস্যার কথা জানালেই এর সমাধান করবে চরকির কাস্টমার কেয়ার টিম, জানতে পারবে চরকির অ্যাপ,
ওয়েবসাইট বা সাবস্ক্রিপশন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য।

চলমান লকডাউনের কথা মাথায় রেখে চরকি তাদের উদ্বোধনী আয়োজনের জন্য বেছে নেয় অভিনব কৌশল। নিজেদের অরিজিনাল কনটেন্টের ক্যাটালগ প্রকাশের মধ্য দিয়ে সাড়া ফেলে সবখানে। চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি শুরুতে এ আয়োজনে রাখেন শুভেচ্ছা বক্তব্য। এরপর প্রতিটি কনটেন্টকে দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয় শৈল্পিক কায়দায়। উপমহাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান পুরো আয়োজনের সূতধর হয়ে নিজের অভিনয়গুণে চরকির প্রতিটি কনটেন্টকে গাঁথেন এক সুতোয়। একেকটি অরিজিনালের জন্য একেকটি আলাদা চরিত্রে তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যা দেখে দিব্যি আঁচ করা যায়, যে প্ল্যাটফর্মের প্রথম দর্শনেই সুনিপুণ অভিনয়ের ছটা লেগেছে, তার মৌলিক
প্রযোজনা তো সব প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যেতেই পারে।

এক নজরে চরকি
১. চরকি কী?
– চরকি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম । যেখানে থাকবে বিনোদনের বিশাল ভান্ডার। ফিল্ম, ফান আর ফুর্তির দারুণ সব আয়োজন নিয়ে এসেছে চরকি। এখানে থাকবে অরিজিনাল সিনেমা, সিরিজ, শর্টফিল্ম,জনপ্রিয় টিভি নাটক, সোনালি দিনের বাংলা সিনেমা, সাড়া জাগানো ডকুমেন্টারি, বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি ভাষার সিনেমা- সিরিয়াল সহ আরো অনেক কিছু।

২. চরকি কিভাবে দেখা যাবে?
– চরকির কন্টেন্ট দেখতে হলে লাগবে এক কাপ চা/কফি অথবা পপকর্ণ! আর এর সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি স্মার্ট ডিভাইস। ওয়েব থেকে www.chorki.com ভিজিট করুন অথবা গুগুল প্লেস্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে Chorki অ্যাপটি ইন্স্টল করে নিন। ব্যস! চরকির ফিল্ম, ফান আর ফুর্তির দুনিয়ায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি তৈরি। এবার আপনি বিনামূল্যে দেখতে পারবেন ‘ফ্রি কনটেন্ট’। প্রিমিয়াম কনটেন্ট দেখার জন্য ৬ মাস ও এক বছরের প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করতে হবে। চরকিতে আছে তিনটি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান—
১) ৫০ টাকায় ৩০ দিনের স্টার্টার সাবস্ক্রিপশন
২) ২৯৯ টাকায় ৬ মাসের সাবস্ক্রিপশন
৩) ৪৯৯ টাকায় ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন
৪) ৭৯৯ টাকায় ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন (২ টি ডিভাইসে একসাথে ভিডিও স্ট্রিম করা যাবে) সাবস্ক্রিপশন কেনার জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট সহ অন্যান্য প্রচলিত মোবাইল পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে পেমেন্ট করা যাবে। এভাবেই চরকি দেখতে পারবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা দর্শক।

৩. চরকিতে কনটেন্ট দেখতে অথবা পেমেন্টে কোনো সমস্যা হলে কোথায় যোগাযোগ
করব?
– চরকি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধানে ইমেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। এছাড়াও চরকি ওয়েবসাইটে ‘লাইভ চ্যাটের’ মাধ্যমেও জানাতে পারেন আপনার প্রশ্ন ও সমস্যার কথা। এছাড়া চরকির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের (https://www.facebook.com/ChorkiOfficial) মেসেঞ্জারেও যোগাযোগ করতে পারেন ।

৪. চরকিতে কী কী ধরনের কনটেন্ট থাকছে?
– ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ফিল্ম, অ্যান্থোলজি সিরিজ, তথ্যচিত্র, শর্টফিল্ম—বৈচিত্র্যময় কনটেন্টে ভরা অফুরান এক ঝাঁপি নিয়ে হাজির চরকি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দর্শকের জন্য আজ থেকে চরকির সব কনটেন্ট উন্মুক্ত। চলুক জেনে আসা যাক, চরকির ভান্ডারে কী কী রত্ন আছে। অরিজিনাল প্রিমিয়াম কনটেন্ট শিহাব শাহীন পরিচালিত অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ মরীচিকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে চরকি। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে রবিউল আলম রবি পরিচালিত শিবব্রত বর্মনের লেখা গল্প নিয়ে অ্যান্থলজি সিরিজ ‘ঊনলৌকিক’–এর প্রথম পর্ব। এসবই চরকির প্রিমিয়াম কনটেন্ট। কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে চরকির প্রথম অরিজিনাল ওয়েবফিল্ম ‘ইউটিউমার’। এটিও প্রিমিয়াম। প্ল্যাটফর্মটি আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ১২ মাসে ১২টি সিনেমা মুক্তির দেওয়ার। তাই প্রস্তুত আছে অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ ও মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ছবি দুটো।

এছাড়াও প্রিমিয়াম কনটেন্টের তালিকায় আছে বাংলা ডাবিং ও সাইটাইল দিয়ে কিছু আলোচিত ভিনদেশি সিনেমা। যেমন– তুর্কি চলচ্চিত্র নির্মাতা নূরে বিলগে চেলানের ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন আনাতোলিয়া, ইরানি ছবি টপোলি, তুর্কিশ সিনেমা মিরাকেল ইন সেল নাম্বার সেভেন। ফ্রি কনটেন্ট চরকিতে ঢোকামাত্রই দেখবেন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে জহির রায়হান, এহতেশাম, আলমগীর কবির, আমজাদ হোসেন, রাজ্জাক, শাবানা, কবরী, ববিতার কালজয়ী সব চলচ্চিত্র। আর সবচেয়ে আনন্দের খবর, এসব কালজয়ী সৃষ্টি দর্শক দেখতে পাবেন বিনা মূল্যে। নাটকের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। হুমায়ূন আহমেদের আজ রবিবার থেকে শুরু করে একসময়ের আলোচিত প্যাকেজ নাটক বুয়া বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড কিংবা ধরুন তারা তিন জন সিরিজের নাটকগুলো দেখতে পাবেন চরকিতে। আনিসুল হকের লেখা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক একান্নবর্তী, ৬৯সহ দর্শকনন্দিত বিভিন্ন ফিকশন ও সিনেমা, নুরুল আলম আতিক, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, অনিমেষ আইচ, রেদওয়ান রনি, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, আশফাক নিপুণ, শিহাব শাহীনের মতো গুণী নির্মাতাদের জনপ্রিয় সব নাটক ও টেলিছবিও থাকবে চরকিতে।

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;