রাজকন্যার চোখের অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় সৃজিত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে মিথিলা

স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে মিথিলা

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহেই মেয়ে আইরাকে নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন অভিনেত্রী মিথিলা। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মিথিলা।

এরমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়ে আইরার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে সৃজিত জানালেন, আইরার চোখে নাকি অস্ত্রোপচার হবে এবং সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তিনি।

সৃজিতের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে- এক হাসপাতালের সোফার উপর পা তুলে, গালে হাত দিয়ে বসে আছে ছোট্ট আইরা, মেয়েকে আগলে ধরে আছেন সৃজিত। আইরার চোখে চশমা, মুখে মাস্ক। সৃজিতও করোনা সতর্কতায় মুখ মাস্কে ঢাকতে ভোলেননি।

ছবির ক্যাপশনে সৃজিত লিখেছেন, ‘আমার রাজকন্যার চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করছি।’

মেয়ের অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, “পাঁচ ছয় মাস আগে আইরার চোখের পাতায় আঞ্জনি হয়েছিলো, কমছিলো না কিছুতেই। তাই অপারেট করতে হলো। এখন ভালো আছে আইরা। আগামীকাল ওর ব্যান্ডেজও খুলে দেওয়া হবে।”

তাহসান-মিথিলা দম্পতির একমাত্র সন্তান আইরা। ২০১৭ সালে এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের পর থেকে মায়ের কাছেই থাকছে আইরা। তবে বাবার সঙ্গেও মেয়ের সখ্যতা বজায় রয়েছে পুরো মাত্রায়।

এদিকে, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতার প্রখ্যাত নির্মাতা সৃজিত মুখার্জীর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা।

   

নাটকের চেনা মুখ রিমু খন্দকার হাসপাতালে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রয়াত চিত্রনায়িকা টিনা খানের মেয়ে হলেও মায়ের পরিচয়ে নয়, বরং নিজগুণেই শোবিজ অঙ্গনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার। বিজ্ঞাপন, সিনেমা, শর্টফিল্ম থেকে নাটক এবং সিনেমা- সব ধারাতে দেখা গেছে তাকে। সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রিমু। এই অভিনেত্রী এখন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মীরা।

গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রিমুর অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনেত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেন সহকর্মী অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠুও। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিমু অসুস্থ। তার জন্য সব্বাই দোয়া করবেন।’

পাশাপাশি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সদ্য মুক্তি পাওয়া নাটকের ইউটিউব লিংক শেয়ার করে অসুস্থতার কথা জানান অভিনেত্রী। লিখেছেন, ‘জানি না কবে সুস্থ হয়ে আবার শুটিংয়ে ফিরতে পারব। তবে আজ আমার এই নাটকটা রিলিজ হয়েছে। দয়া করে সবাই দেখবেন।’

 অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকার

অভিনেত্রীর শেয়ার করা নতুন নাটকের নাম ‘ইশারা’। অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান আর সামিরা খান মাহি।

২০০৮ সালে ‘পৃথিবীর সব রূপ মিশে আছে ঘাসে’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা দেন রিমু। পাশাপাশি তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘গুরু ভাই’। এরপর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাধা যায় না’, ‘জীবন ঢুলী’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘লাভ স্টেশন’, ‘কিং খান’ সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। পাশাপাশি টেলিভিশন, অর্থাৎ ছোট পর্দার নিয়মিত ও জনপ্রিয় মুখ রিমু।

 

;

একই দিনে দক্ষিণ ভারতের দুই সংগীত তারকার বিদায়!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উমা রামানন ও প্রবীণ কুমার

উমা রামানন ও প্রবীণ কুমার

  • Font increase
  • Font Decrease

খুব অল্প বয়সে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলেন জনপ্রিয় তামিল সুরকার–সংগীতশিল্পী প্রবীণ কুমার। মাত্র ২৮ বছর বয়সে মিউজিক কম্পোজারের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন ও বিনোদনজগৎ। শিল্পীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করছেন সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত–অনুরাগীরা। 

কিডনির জটিলতা নিয়ে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন প্রবীণ কুমার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ কুমার। ‘মেঠাগু’ ও ‘রাকাধন’-এর মতো ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। প্রবীণ কুমার সংগীতজগতের উঠতি নাম। তার গান চিরদিন মনে থেকে যাবে ভক্তদের।

একই দিন না ফেরার দেশে দক্ষিণের বিখ্যাত গায়িকা উমা রামাননও। ইলাইয়ারাজার সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ৭২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই শিল্পী। মৃত্যুর সময় চেন্নাইয়ে ছিলেন গায়িকা।


জীবদ্দশায় ছয় হাজারের বেশি কনসার্টে গান গেয়েছেন উমা রামানন। তিনি একজন সুদক্ষ ক্লাসিক্যাল গায়িকা। ১৯৭৭ সালে প্রথম ‘শ্রীকৃষ্ণ লীলা’ ছবির জন্য প্লেব্যাক করেছিলেন প্রয়াত উমা রামানন। তাঁর মৃত্যুতেও শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীতাঙ্গনে। স্মৃতিচারণা করছেন বহুদিনের সহশিল্পী থেকে শুরু করে ভক্ত–অনুরাগীরা।

;

চলে এলো কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘মা লো মা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘মা লো মা’ গানের পোস্টার

‘মা লো মা’ গানের পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশ হলো আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় । গানটির ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও কম্পোজার প্রীতম হাসানকে। সঙ্গে রয়েছেন সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান এবং র‍্যাপার আলী হাসান। নতুন এই গান দর্শক-শ্রোতাদের নিয়ে যায় জীবন ও নিজেকে আবিষ্কারের এক অনন্য যাত্রায়।

গানটির সঙ্গীত প্রযোজক প্রীতম তার নিজস্ব কিছু টুইস্টও যোগ করেছেন। তার সাথে আছেন দেওয়ান পরিবারের দুই সদস্য: সাগর দেওয়ান এবং আরিফ দেওয়ান। তাদের পূর্বপুরুষই মা লো মা ঝি লো ঝি নামের গানটির মূল রচয়িতা। মা লো মা গানটি জীবন যে একটি নিরন্তর যাত্রা তা আমাদের বুঝতে শেখায়। এই জীবনে অনিবার্যভাবে বড় কিংবা বুড়ো হওয়া এবং নস্টালজিয়া যেন একই মুদ্রার দুটো পিঠ।

এই অবধারিত পরিবর্তনকে মেনে নিয়েই একটি কথোপকথনের মতো করে এগিয়ে যায় গানটি। এখানে ভাঙা নৌকার উপমা দিয়ে জীবনকে বোঝানো হয়েছে আর নদী দ্বারা বোঝানো হয়েছে পৃথিবীকে।

‘মা লো মা’ গানে প্রীতম হাসান

‘ছাদ পেটানো গানের’ সংযুক্তি এই গানের গভীরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। লোকসঙ্গীত ‘সারি গানের’ এই ধারাটির শুরু মোগল আমলে। এই গানের একটি শহুরে সংস্করণ দেখতে পাওয়া যায় আশি ও নব্বই দশকের রাজমিস্ত্রীদের মাঝে। জীবিকার জন্য শহরে পাড়ি দেওয়া এই শ্রমিকরা কংক্রিটের ছাদ তৈরির সময় এ ধরনের গান গাইতেন। ছাদ পেটানোর ছন্দের সাথে গানের কথা মিলে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি কাজের সময় একটি উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করে। ‘মা লো মা’ শুধুই একটি গান নয়। সব বয়সের দর্শক-শ্রোতা এই গানের সাথে একাত্ম হতে পারেন। নিজেকে গ্রহণ করে নেওয়া আর বিকাশের যাত্রার মধ্যে যে সৌন্দর্য আছে গানটি সবাইকে সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।

কোক স্টুডিও বাংলা’র অফিশিয়াল ইউটিউব এবং স্পটিফাই চ্যানেলে এই গান শোনা যাচ্ছে।

;

চরকিতে চঞ্চল-তানজিকা-নাঈমের ‘কালপুরুষ’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

একদম বামে নিচের দিকে এক জোড়া রক্তাক্ত পা দেখা যাচ্ছে। প্রথম দেখে বোঝা দায় যার পা সে জীবিত নাকি মৃত। এই পা থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে একজন কিশোরী ও একজন নারী। তারপর একজন লাল রঙা জ্যাকেট ও চোখে একটু ভিন্ন ধরনের চশমা পরা পুরুষ আছেন চেয়ারে বসে। আর একদম ডানে দাঁড়িয়ে আছেন আরেকজন পুরুষ। তার সামনেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু রক্তের কণা।

যেটার বর্ণনা এতোক্ষণ করা হলো সেটা কোনো ক্রাইম জোনের না। এরকম দৃশ্যের দেখা মিলেছে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘কালপুরুষ’-এর পোস্টারে। যেটা পরিচালনা করেছেন সালজার রহমান। গতকাল অর্থাৎ ২ মে বিকেলে চরকির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করা এই পোস্টারটি। চঞ্চল চৌধুরী, এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিনকে দেখা যাচ্ছে পোস্টারটি। তাদেরকে সহ এই সিরিজে দেখা মিলবে আরও অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর।

চরকি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফিল্ম সিন্ডিকেট প্রায় একই সময়েই তাদের যাত্রা শুরু করে। আর চরকির শুরু থেকেই ‘ঊনলৌকিক’ নির্মাণ দিয়ে পাশে ছিল ফিল্ম সিন্ডিকেট। এ পর্যন্ত বেশ বেশ ভালো ও দুর্দান্ত কিছু কনটেন্ট নির্মাণ করে বাংলাদেশের কনটেন্ট জগতে একটা সাড়া ফেলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন আগে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় যে আগামী ৩ বছরে ফিল্ম সিন্ডিকেট চরকির জন্য নির্মাণ করবে ১০টি সিরিজ। সেই অনুযায়ী খুব শীঘ্রই চরকিতে মুক্তি পাবে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সিরিজ ‘কালপুরুষ’।

‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

পরিচালক সালজার রহমান এর আগে নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনচিত্র। তবে ওটিটিতে কাজ এই প্রথমই। সিরিজের আইডিয়া বা গল্পের ধারণা তিনি কীভাবে পেয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তরে সালজার বলেন, ‘অনেক আগে পুরানো ঢাকার একটি ওষুধের দোকান গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নানা কারণে এই সিরিজের গল্পটা মাথায় আসে। এরপর কোভিডের সময় সিরিজটা লিখেছিলাম। তারপর নানা ঘটনার পর সিরিজটা লেখা শেষ হয়।‘

‘কালপুরুষ’ সিরিজের গল্পটা একদমই নতুন ও ভিন্ন ধারা। দর্শকের জন্য একদম নতুন কিছু নিয়েই হাজির হয়েছেন বলে জানান পরিচালক।

;