অভিনেতা নিকুল মন্ডল এবার পরিচালক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
'নুরুলের শেষের কবিতা' নাটকের দৃশ্য

'নুরুলের শেষের কবিতা' নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় অভিনেতা নিকুল মন্ডল। নানামাত্রিক অভিনয় দিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন তিনি। দেখা দিয়েছেন 'দেবী'র মতো সিনেমাতেও। এবার তিন হাজির নতুন পরিচয়ে।

নাটক নির্মাণ করলেন তিনি। নাম 'নুরুলের শেষের কবিতা'। এ নাটকটি রচনা করেছেন সাংবাদিক লিমন আহমেদ।

নাটকটিতে এক কবির নিরব প্রেম ও বিরহ ফুটে উঠেছে৷ যেখানে দেখা যায় প্রেমিকা কবিতার জন্য তার কবি হয়ে উঠা। সেই প্রেমিকাকে হারানোর শোক বুক নিয়ে বেড়ান তিনি।

নাটকে কবি চরিত্রে অভিনয় করেছেন 'ঊনপঞ্চাশ বাতাস'খ্যাত তারকা ইমতিয়াজ বর্ষণ। তার প্রেমিকা চরিত্রে দেখা যাবে লাক্স তারকা নাজিয়া হক অর্ষাকে৷

এছাড়াও নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ট্রান্সজেন্ডার হোচিমিন।

নাটকটির জন্য একটি গান লিখেছেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় গীতিকবি জাহিদ আকবর। অনুরুদ্ধ সুরের সুরে সুমন কল্যাণের সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন দেবলীনা সুর।

নাটকের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছেন এপি শুভ। এর ডিওপি হিসেবে ছিলেন সুমন হোসাইন।

'নুরুলের শেষের কবিতা' নাটক প্রসঙ্গে নিকুল মন্ডল বলেন, 'এ নাটক দিয়ে আমার পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। অনেক আবেগ ও প্রত্যাশা মিশে আছে এ কাজটির সঙ্গে। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার এ নাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে। খুব ভালো একটি টিম পেয়েছি বলে কোনো বাজে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নাটকটির কাজ শেষ করতে পেরেছি। সবার ভালোবাসা নিয়ে পরিচালনায় নিয়মিত হতে চাই।'

নিকুল তার নাটকের গল্প প্রসঙ্গে জানান, মহল্লার একসময়ের ডাকসাইটে সুন্দরী কবিতা অনেকদিন পর মহল্লায় ফিরে আসে৷ স্বামীর সঙ্গে সে কলকাতায় থাকতো৷ হঠাৎ কেন সে ফিরে এলো তা জানা যায় না৷ তবে তার মলিন মুখ দেখে অনেকে কষ্ট পায়, অনেকে নানারকম গল্পও ছড়ায়৷ কেউ বলে কবিতার স্বামী তালাক দিয়েছে৷ কেউ বলে কবিতা বিধবা হয়ে ফিরে এসেছে৷ কবিতা বা তার পরিবার এসব নিয়ে মুখ খুলে না৷ এদিকে কবিতার প্রত্যাবর্তনে উল্লাস বয়ে যায় মহল্লার কবি সংঘে৷

এ সংঘের সভাপতি কবি নুরুল একসময় ভালোবাসতো কবিতাকে৷ খবর পেয়ে নুরুল কবিতাকে দেখতে তার বাড়ি যায়৷ কিন্তু কবিতার সাড়া মিলে না৷ বারবার চেষ্টাতে ব্যর্থ হয়ে সে আবার কবিতা লিখতে শুরু করে৷ এবার সাড়া মিলে৷ কবিতার জবাব আসে পালটা কবিতায়৷ নুরুলের আনন্দ আর দেখে কে৷ নুরুল আবার নিয়মিত আড্ডা দিতে শুরু করে ছাদে৷ আগে কবিতা ছাদে আসতো তার সঙ্গে দেখা করতে৷ এখন আসে না৷ কবিতা লিখলে জবাব আসে কিন্তু মানুষ কবিতার দেখা মেলে না৷ নুরুল জানতে চায় কবিতার স্বামী-সংসারের খবর। সেসব চেপে যায় কবিতা৷

বিষয়টি রহস্যের জন্ম দেয় নুরুলের মনে৷ সে আরও অবাক হয় কবিতার লেখা কবিতাজুড়ে শুধু বিষাদ আর হাহাকার দেখে৷ একদিন সে ঠিক করে, আর অনুমতি নেবে না৷ জোর করেই কবিতার মুখোমুখি হবে৷ হঠাৎ এক খবরে ঘটনা মোড় নেয় নাটকের গল্পে। যা দর্শককে ভাবাবে৷

'নুরুলের শেষের কবিতা' নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন শহীদুল্লাহ সবুজ, মিলি বাশার, মাসুম বাশার, আনন্দ খালেদ, হিল্লোল সরকার, জাহিদ হিমেল, জুয়েল মিয়া প্রমুখ।

শিগগিরই নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নিকুল মন্ডল।

   

সালমানের বাড়িতে গুলি করা আসামি পুলিশি হেফাজতে আত্মহত্যা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

সালমান খান / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউড তারকা সালমান খানের বাড়িতে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। অনুজ থাপন (৩২) নামের ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি মুম্বাই পুলিশের।

মুম্বাই পুলিশ আজ বুধবার জানায়, বিছানার চাদর দিয়ে শৌচাগারে গলায় ফাঁস নিয়েছিলেন অনুজ থাপন। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু উল্লেখ করে এ ঘটনায় দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দান থানায় প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

গত ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সালমান খানের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট নিশানা করে একাধিক গুলির ঘটনা ঘটে। এরপর ভিকি গুপ্ত ও সাগর পাল নামে অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। দুই বন্দুকধারীকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে পাঞ্জাব থেকে অনুজ থাপন ও সোনু সুভাষ নামের আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তারা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

 

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

সালমান খান /  ছবি : ফেসবুক

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

;

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে আজ আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

মৌটুসী বিশ্বাস

সমালোচকপ্রিয় অভিনেত্রী

বিশেষ দিবস ধরে আমি তা পালন করা বা তা নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করি না। তবে হ্যাঁ, একটি দিন যদি ভালোবাসার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ থাকে, একটি দিন যদি শ্রমজীবী মানুষের জন্য থাকে, বা বাবা-মায়ের জন্য থাকে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং অন্তত ওই দিনে তারা অনেকের কাছে স্পেশ্যাল হয়ে ওঠেন।

কিন্তু আমি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব সারা বছরই পালন করার চর্চার মধ্যে থাকি।

আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। এছাড়া বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, ড্রাইভারসহ নানা পেশার মানুষের সঙ্গে আমার ওঠাবসা করতে হয় রোজ। তার মানে তারা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ আমি খুব কম মানুষকেই দেখি যারা তার আশেপাশের এসব মানুষের কাজকে সম্মান করেন। কাজকে ছোট করে দেখলে কিন্তু যে কাজটি করছেন তাকে কোনভাবেই সম্মান করা যায় না। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি তাদের সেই সম্মানটা দিতে। কারণ আমি অনুধাবন করেছি যে, প্রতিটি কাজই জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সমান জরুরি।


আর একটা কথা, খুব ছোটবেলা থেকেই কোন রিকশা বা ক্যাবে চড়লে তার পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেবার পর ধন্যবাদ বলি, এটা আমার অভ্যাস। কারণ সবাই মিলেই তো সমাজে আমাদের সহাবস্থান। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজটি করছেন বলেই সমাজ একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারছে। নয়ত সমাজে বাস করাই কষ্টসাধ্য হতো।

সমাজ যাদের নিচু স্তরে ফেলে রেখেছে আমরা যদি তাদেরকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সম্মান করি, তাদের কাজের রিঅ্যাওয়ার্ড দিই তাহলে তারাও কিন্তু তাদের কাজের প্রতি আপনাতেই অনেক বেশি আন্তরিক হন। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ফলে আমাদের এই চর্চাটা করা উচিত।

;

১০০ মিলিয়নের মাইলফলকে কনার 'তুই কি আমার হবি রে'



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের সব তারা আছে দিনের গভীরে/ বুকের মাঝে মন যেখানে, রাখবো তোকে সেখানে/ তুই কি আমার হবি রে’-‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের এই গানটি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই গানের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন কনা। এবার এই জনপ্রিয় গানটি কনার ক্যারিয়ারে যোগ করলো নতুন সাফল্যের পালক।

 তুই কি আমার হবি রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কনা

 আজই ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই গানটি মাছরাঙা টিভি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। গানটি অন্তর্জালে প্রকাশের ১৬০৮ দিনের মাথায় ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের অনন্য অর্জনকে বিশেষভাবে দেখছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার টিম।

সিয়াম পরীমণি

তারকা সঙ্গীতশিল্পী কনা বলেন, ‘বাংলা সিনেমার গানের একটি ঐতিহ্য আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে বলেন, আগের মত ভালো গান হয়না; হলেও জনপ্রিয় হয়না। তবে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, ভালো গান এখনো হচ্ছে এবং শ্রোতারা  ভালো গানের কদর করতে কখনো ভোলেন না। ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানের মধ্যে খুব বেশি গান ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পার করেনি। সে জায়গা থেকে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের এই সাফল্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ টিমের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।

কনা

সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত, সিয়াম আহমেদ-পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর। রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৮টি পুরস্কার পায়; যার মধ্যে সংগীত বিভাগে একচেটিয়া রাজত্ব করে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি। এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান প্রয়াত সুমন রহমান। গানটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন খায়ের খন্দকার।

;

পুুরুষ ও নারী শিল্পীর সমান পারিশ্রমিক হোক: রুনা খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান

রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। প্রতি বছরের মতো আজও দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ।

রুনা খান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী

আমার দেশের প্রেক্ষাপটেই কথা বলতে চাই। শ্রমিক দিবসে আমার দুটি প্রত্যাশা। একটি জেনারেল প্রত্যাশা। সেটি হলো প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ যেন তার পরিশ্রমের মূল্যটুকু ঠিকঠাক মতো পায়, সময়মতো পায়। আমার অভিনয়শিল্পী, আমরাও অনেক সময় পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো সময়ে পাই না বা যা প্রাপ্য সেটি পাই না। তবে আমি বিশেষ করে দিনমজুরদের কথা বলছি। তাদের যেন সময়মতো সবাই মূল্যটা বুঝিয়ে দেন।


আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী, তাই শোবিজ নিয়ে একটা প্রত্যাশার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- এতো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি সমপরিমাণ জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী আর নারী শিল্পী- কখনোই সমান পারিশ্রমিক পান না। অথচ ডেডিকেশনের জায়গা বলুন, সততার জায়গা বলুন, পরিশ্রমের জায়গা কিংবা মেধার জায়গা- সবটাই তো নারী আর পুরুষ শিল্পীর সমান। তাহলে কেন তারা সমান পারিশ্রমিক পাবেন না? একই নাটকের কথা বাদই দিলাম, যেখানে নারীকেন্দ্রিক গল্প রয়েছে সেখানে অভিনেত্রীরা যে পারিশ্রমিক পান, তারচেয়ে একটি সাধারন প্রেমের নাটকে অভিনেতারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। তাই চাইব- একদিন এই বৈষম্য আর থাকবে না আমাদের বিনোদন অঙ্গনে।

;