‘দ্য এন্ড’ ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অভিষেক হতে যাচ্ছে অক্ষয় কুমারের। বিক্রম মালহোত্রার প্রযোজনায় অ্যাকশন-থ্রিলার সিরিজটি স্ট্রিমিং হবে অ্যামাজনে প্রাইমে।
জানা গেছে, এই ওয়েব সিরিজের জন্য ৯০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন অক্ষয় কুমার। যা ভারতীয় কোনো ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো অভিনেতাকে দেওয়া সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক।
তবে বলিউডের এই খিলাড়ি তারকাকে হয়তো পারিশ্রমিকের দিক থেকে টক্কর দিতে যাচ্ছেন অজয় দেবগণ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে- ‘রুদ্রা’ নামের একটি ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অভিষেক হতে যাচ্ছে অজয় দেবগণের এ কথা কম বেশি সকলেরই জানা। ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে এর পোস্টার। আর তাতে অভিনয়ের জন্য নাকি ১২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলিউডের এই অভিনেতাকে।
এ প্রসঙ্গে অজয়ের একটি ঘনিষ্ঠসূত্র জানায়, “রুদ্রা’ দিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিষেক হচ্ছে অজয়ের। আর এ জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে দেওয়া হবে ১২৫ কোটি রুপি।”
জানা গেছে, ‘তানহাজি: দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’র দারুণ সফলতার পরই নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছেন অজয় দেবগণ। তাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিষেকের জন্য এই মূল্য হাঁকিয়েছেন তিনি।
অজয় দেবগণ ‘রুদ্রা’র এপিসোড প্রতি দুই কোটি রুপি করে নেবেন বলে জানা গেছে।
‘কিচ্ছু চাইনি আমি’ গেয়ে রাতারাতি গায়ক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন টালিগঞ্জের অন্যতম মেধাবী অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ সিনেমার গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। গানটির জন্য ফিল্মফেয়ারসহ একাধিক পুরস্কারও ঝুলিতে পুরেছেন অনির্বাণ।
গানটি প্রকাশের প্রায় ছয় বছর পর আবারও গান গেয়ে আলোচনায় এলেন এই অভিনেতা কাম নির্মাতা। কলকাতার টিভি চ্যানেল জি বাংলার ‘সারেগামাপা লেজেন্ডস’-এর মঞ্চে ‘নয়ন সরসী কেন ভরেছে জলে’ গানের প্রথম কলি গেয়ে প্রশংসা পেয়েছেন অনির্বাণ।
মুকুল দত্তের লেখা গানটি কিশোর কুমারের সুরে গেয়েছেন ভারতীয় গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। অনিবার্ণের কণ্ঠে নিজের গাওয়া গান শুনে অভিজিৎও মুগ্ধ হয়েছেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন অনির্বাণ।
জি বাংলার ফেসবুক পেজে অনির্বাণের গানের ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর সেটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অপূর্ব। কত কী যে লুকিয়ে রেখেছেন ওই অভিনয়ের আড়ালে!’ কেউ কেউ আবার লিখেছেন, ‘অর্নিবাণ দাদা, এত দিন তোমার মুভিতে অভিনয় দেখেছি। অভিনয়ে তো তুমি সেরা, কিন্তু গানের গলা যে তোমার এত সুন্দর, জানতাম না। তুমি সবেতেই সেরা।’
এর আগে ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ড্রাকুলা স্যার’ সিনেমায় ‘প্রিয়তমা’ গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। বাদল সরকারের নাটক অবলম্বনে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন অনির্বাণ। আগামী ১৪ জুন মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘অথৈ’ সিনেমায় দেখা যাবে অনির্বাণকে।
কানের রেড কার্পেটে আন্তর্জাতিক তারকাদের বেশে ভাবনা
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
ফ্রান্সের কান শহরের সমূদ্র সৈকতে বসেছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। গতকাল মধ্যরাতে পর্দা উঠেছে উৎসবটির ৭৭তম আসরের। এই উৎসবে অংশ নিতে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এবারই প্রথম কানের রেড কার্পেটে হাটলেন এই গ্ল্যামার গার্ল।
ভাবনা বরাবরই ফ্যাশন সচেতন। ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি তার ঝোঁকও দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেসব নিয়ে কথাও কম হয়নি। তাই এমন একটি আন্তর্জাতিন অনুষ্ঠানে ভাবনা হাজির হবেন আর ফ্যাশনের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকবেন সেটি তো হতেই পারে না। তাইতো ভাবনার প্রথম দিকের লুক দেখে চমকে গেছে অনেকেই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার তিনি বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ভাবনা কানের প্রথম দিনের রেড কার্পেটে পরেছেন জোয়ান অ্যাশের ডিজাইন করা পোশাক। গাঢ় নীল পানির সমূদ্র সৈকতে কানের হাট বসে সেকথা ভুলে যাননি ভাবনা। তাইতো তিনি পোশাকের রঙ হিসেবে বেছে নিয়েছেন রয়েল ব্লু। গাঢ় নীল ভ্যালবেট কাপড়ের কোমর খোলা লেম্বা টেলওয়ালা গাউনটিতে লাল গোলাপী হলুদ সবুজসহ নানা রঙের সিকুয়েন্সের ফুলেল নকশা করা। সবমিলিয়ে কানে আন্তর্জাতিক তারকাদের বেশে রেড কার্পেটে হাজির ভাবনা। তার এই পোশাককে কোনভাবেই অন্যান্য দেশের তারকাদের থেকে পিছিয়ে রাখা যাবে না!
কান চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। চলবে ১২ দিন। বরাবরের মতো ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে বসেছে এ আসর। এখন পর্যন্ত জানা খবর, বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আশনা হাবিব ভাবনা সেখানে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ সময় ১২ মে দিবাগত রাতে ভাবনা কান চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনে অংশ নিতে সেখানে পৌঁছান। পৌঁছেই ফেসবুক পোস্টে ভাবনা লিখেছেন, ‘ফ্রম পুরান ঢাকা টু ফেস্টিভ্যাল ডি কান।’
উৎসবের প্রথম দিন ভাবনা সিনেমা দেখেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সাল দেবুসি মিলনায়তনে ‘নেপোলিয়ন’ ছবিটি উপভোগ করেছেন। ভাবনার মতে, এমন মিলনায়তনে ছবি উপভোগ করাটা স্বপ্নের মতো। কোনো দিন ভাবেননি, কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো এত বড় আসরে যাওয়া হবে। সেখানে এবার গেলেন এবং ছবিও উপভোগ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছবিপ্রেমীদের সঙ্গে।
গতকাল মঙ্গলবার উৎসবের প্রথম দিন ছবি উপভোগ করার পাশাপাশি ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার সেশনেও অংশ নিয়েছেন তিনি। ভাবনা বললেন, ‘সত্যিই দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রথম দিন সব মিলিয়ে দারুণ কেটেছে।’
নিজের অভিনয়জীবন শুরু প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, ‘‘আমার বাবা থিয়েটারের মানুষ। আমি অভিনয়শিল্পী হব, এমনটা ভাবিনি। যেন অনেকটা ‘দেখি না কী হয়’-এমনভাবেই আমার অভিনয়ে পা ফেলা। তবে এখন আমি একজন সু-অভিনেত্রীই হতে চাই। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমার অভিনয় দেখে আমাকে কি কেউ মনে রাখবে অড্রে হেপবার্নের মতো!’’ ভাবনার খুবই প্রিয় অভিনয়শিল্পী রোমান হলিডের অড্রে হেপবার্ন।
কানের লাল গালিচায় তোলা ভাবনার সুন্দর ছবিগুলো পোস্ট করে দেশের এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কোনাল লিখেছেন, ‘তোমার দিকে তাকাও সুন্দরী। আমার তারকা, তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত ভাবনা। তুমি বাংলাদেশ এবং আমাদের সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছ! এটা কি দারুণ! আমাদের গর্বিত কর মেয়ে।’
নিভৃতে চলে যাচ্ছে কিংবদন্তি ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
আজ ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফারুকের প্রয়াণ দিবস। গত বছরের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাঁড়ি জমান। তবে তিনি ইহলোকে না থাকলে বেঁচে আছেন তার অনবদ্য অভিনয় ও কর্মের মধ্যে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা প্রায়শই তাকে স্মরণ করেন নানা পরিস্থিতিতে। তিনি শুধু একজন গুণী অভিনেতা, দর্শকনন্দিত নায়ক কিংবা সফল সংসদ সদস্যই ছিলেন না। এসবের বাইরে তিনি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রকৃত অর্থে চলচ্চিত্র পরিবারের একজন অভিভাবক।
চলচ্চিত্রের নানা সংকটময় পরিস্থিতি তিনি দৃঢ় হাতে সামাল দিতেন। চলচ্চিত্রের মানুষের আপদে বিপদে সর্বদা এগিয়ে আসতেন। গ্রামীণ পটভূমিকায় তার অভিনয় এতোটাই সাবলিল ছিল যে, এক সময় তার ইমেজ গড়ে ওঠে গ্রামের প্রতিবাদী যুবকের। নায়ক রাজ রাজ্জাক থেকে শুরু করে সোহেল রানা কিংবা আরও অনেক গুণী শিল্পীরা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, গ্রামীণ পটভূমির ছবিতে নায়কদের মধ্যে ফারুক এবং নায়িকাদের মধ্যে কবরীর কোন তুলনা ছিল না। তবে ফারুক শুধু একটি ইমেজেই নিজেকে আটকে রাখেননি। কাজ করেছেন নানা ধরনের চলচ্চিত্রে। প্রতিটি ঘরনাতেই তার একাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র রয়েছে।
ফারুকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজকের দিনটিতে ঘটা করে কোনও আয়োজন থাকছে না। তবে আজ ভোরেই পরিবারের সদস্যরা গাজীপুরে তার কবর জিয়ারত করেন। এছাড়া সেখানে মিলাদ ও এতিম-অসহায়দের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, চলচ্চিত্রের অন্তপ্রাণ এই নায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীটা একেবারেই নীরবে নিভৃতে চলে যাচ্ছে। চলচ্চিত্র পরিবারের কোন আয়োজন চোখে পড়েনি।
ফারুকের পৈতৃক নিবাস গাজীপুরে। তবে তার জন্ম পুরান ঢাকায়, ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট। এই নগরের আলো-বাতাসে, অলি-গলিতে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটবেলায় ছিলেন বড্ড ডানপিটে স্বভাবের। পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন অনুষ্ঠান পণ্ড করায় ছিলেন ওস্তাদ! সেই চঞ্চল কিশোর থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন সক্রিয় রাজনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং সবশেষে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা।
তিনি সত্তর ও আশির দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন। পরবর্তীতে জ্যেষ্ঠ চরিত্রেও দাপট বজায় রেখেছেন ঢালিউডে। মজার ব্যাপার হলো, যে নামে তিনি খ্যাতি অর্জন করলেন, কালজয়ী হলেন, সেটা তার আসল নামই নয়! তার আসল নাম হলো আকবর হোসেন পাঠান দুলু।
মূলত দুলু নামেই পরিবার ও বন্ধু-স্বজনের কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। ফারুক নামটি এসেছে একটি ঘটনাচক্রে। সেই ঘটনা ২০১৬ সালে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন অভিনেতা। ফারুক জানান, অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, চলচ্চিত্র পরিচালক এইচ আকবর ও ফারুক নামের এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি ‘ফারুক’ নামটি ধারণ করেছিলেন। ‘সুজন সখী’ নায়ক বলেছেন, ‘ছয় দফা আন্দোলনের পর আমি ওয়ান্টেড ছিলাম, যে কারণে নাম দিয়ে দিলো ফারুক। ওরা বলল, এই নামে তোমাকে প্রথমে কেউ ধরবে না। দ্বিতীয়ত, চলচ্চিত্রের নামগুলো ছোট হলে ভালো হয়, সুন্দর হয়- যেমন রাজ্জাক, উজ্জল, ফারুক, আলমগীর, শাবানা; নাম ছোট হলে ক্যাচি হয়।’
ছাত্র জীবনে রাজনীতিতে জড়ান ফারুক। সেই সুবাদে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগেই সিনেমায় নাম লেখান ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ তার প্রথম সিনেমা। এটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। জনপ্রিয়তা পান ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবির মাধ্যমে। পরবর্তীতে তাকে দেখা গেছে ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘সুজন সখি’, ‘নয়নমণি’, ‘আলোর মিছিল’, ‘লাঠিয়াল’, ‘মিয়া ভাই’, ‘সাহেব’ ইত্যাদি সিনেমায়।
অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা (লাঠিয়াল) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন ফারুক। ২০১৬ সালে এই রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।
চলচ্চিত্রে দীর্ঘ অধ্যায় পেরিয়ে ২০১৮ সালে ফের রাজনীতির মাঠে নামেন ফারুক। ওই বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়লাভ করেন তিনি। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেভাবে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারেননি। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
২০২১ সালের মার্চে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ফারুককে। সেখানে টানা চিকিৎসার পরও সুস্থ জীবনে আর ফিরতে পারেননি তিনি। অতঃপর ২০২৩ সালের ১৫ মে ওই হাসপাতালেই মারা যান ফারুক। আজ (১৫ মে) তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
কানের উদ্বোধনী দিনে স্বর্ণপাম ও সব আলো কেড়ে নিলেন মেরিল স্ট্রিপ
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
পর্দা উঠলো কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসরের। গতকাল ১৪ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় সাড়ে ১১ টা) সম্মানিত অতিথি হিসেবে এই আয়োজন উদ্বোধন করেন তিনবার অস্কারজয়ী হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। একই আয়োজনে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম।
তবে স্বাভাবিকভাবেই সবার চোখ ছিল মেরিল স্ট্রিপের দিকে। একে তো এতোবড় তারকা, তারওপর কান উৎসবে এর আগে মাত্র একবারই এসেছিলেন তিনি। ৩৫ বছর পর কানসৈকতে ফেরা হলো তার। ১৯৮৯ সালে কানের ৪২তম আসরে ‘এভিল অ্যাঞ্জেলস’ চলচ্চিত্রের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন এই তারকা। এতে নিজের শিশুসন্তান হত্যার জন্য অভিযুক্ত মায়ের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে গতকাল দুপুরে ফটোকলে মাইকেল করস ব্র্যান্ডের সাদা ব্লেজার ও ট্রাউজার পরে হাজির হন মেরিল। আজ (১৫ মে) দুপুরে বিশেষ আড্ডায় নিজের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করবেন ৭৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
ফরাসি কমেডিয়ান-অভিনেত্রী ক্যামিল কোতাঁনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী মঞ্চে হাজির হন মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের প্রধান ‘বার্বি’ পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। তার আগে একে একে এসেছেন বাকি ৮ বিচারক। তারা হলেন আমেরিকান অভিনেত্রী লিলি গ্ল্যাডস্টোন, ফরাসি অভিনেত্রী এভা গ্রিন, লেবানিজ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নাদিন লাবাকি, তুর্কি চিত্রনাট্যকার ও আলোকচিত্রী এব্রু জেলান, জাপানিজ পরিচালক হিরোকাজু কোরি-এদা, ইতালিয়ান অভিনেতা পিয়ারফ্রান্সেসকো ফাভিনো, স্প্যানিশ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা এবং ফরাসি অভিনেতা-প্রযোজক ওমর সি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিটে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ফ্রান্সের কোয়ান্তাঁ দ্যুপিয়ো পরিচালিত ‘দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট’ ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে প্রতিযোগিতার বাইরে। এদিন ফ্রান্সের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ফরাসি ভাষার কমেডি ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন ফরাসি তিন তারকা লেয়া সেদ্যু, ভাসোঁ লান্দোঁ ও লুই গারেল। লালগালিচায় পরিচালকের সঙ্গে হাজির হয়েছেন তারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ‘দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট’ ছবিটি প্রদর্শন করেছে ফ্রান্সের শত শত প্রেক্ষাগৃহ। এক্ষেত্রে আয়োজকদের সহায়তা করেছে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফ্রেঞ্চ সিনেমাস (এফএনসিএফ), ন্যাশনাল সিনেমা সেন্টার (সিএনসি) এবং ফ্রেঞ্চ অ্যাসোসিয়েশন অব আর্টহাউস সিনেমাস (এএফসিএই)। এছাড়া ফ্রান্সে ফ্রান্স টেলিভিশন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে ব্রুট। এবারের উৎসব চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।
কান ক্ল্যাসিকসে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের দ্যুবুসি থিয়েটারে দেখানো হয় কিংবদন্তি ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের উত্থানকে কেন্দ্র করে নির্মিত ‘নেপোলিয়ন’ (১৯২৭)। ফ্রান্সের আবেল গঁস পরিচালিত ছবিটিকে পুনরুদ্ধার করতে ১৬ বছরের বেশি সময় লেগেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় পুনরুদ্ধারের মধ্যে এটি অন্যতম। দুটি ভিন্ন যুগে বিভক্ত ৭ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের ‘নেপোলিয়ন’। এর প্রথম অংশের দৈর্ঘ্য ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। কান উৎসবে দেখানো হয় এই সংস্করণ।
খোলা আকাশের নিচে সাগরপাড়ে উৎসবের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হচ্ছে যথারীতি। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে দেখানো হয় ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ড্যানি বয়েলের ‘ট্রেইন স্পটিং’।