৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে হলিউডের জনপ্রিয় স্পাই-অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘মিশন ইম্পসিবল’ দীর্ঘ। এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে সিরিজের সাতটি কিস্তি। এখন অপেক্ষা চলছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল: ডেড রেকনিং পার্ট ২’ মুক্তির। সিনেমাটি আগামী ২৩ মে প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা রয়েছে। এবারও শ্বাসরুদ্ধকর মিশন নিয়ে ফিরছেন টম ক্রুজ। তবে গুঞ্জন উঠেছে, এই কিস্তিই হতে পারে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ অভিযান!
সম্প্রতি টম ক্রুজ ও পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি এ বিষয়ে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা-কল্পনার কথা তুলে ধরেন তারা। যদিও কেউই গুঞ্জনের কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দেননি, তবুও দুজনেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ‘দ্য ফাইনাল রিকনিং’ ইথান হান্টের গল্পের একটি চূড়ান্ত অধ্যায় হিসাবে তৈরি হয়েছে। অষ্টম কিস্তি প্রসঙ্গে ক্রুজ বলেছেন, ‘আপনাকে সিনেমাটি দেখতে হবে। এ মুহূর্তে এটি নিয়ে আলোচনা করা আমার পক্ষে কঠিন। কারণ, এটি আসলে এমন কিছু যা আপনাকে অনুভব করতে হবে।’
ছবি: আইএমডিবি
আর পরিচালক ম্যাককোয়ারি বলেন, ‘আমি আশা করি, এটি ৩০ বছরের গল্পের সন্তোষজনক উপসংহার। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, দর্শক মনে করবে সিনেমার নামটি উপযুক্ত ছিল।’
এবারের মিশন টম ক্রুজের শেষ মিশন হতে যাচ্ছে এমন ধারনার অন্যতম কারণ ‘ডেড রেকনিং পার্ট টু’র নাম বদলে ‘ফাইনাল রেকনিং’ রাখা। এছাড়া টম ক্রুজের বয়সও একটা বড় বিষয়। আরো দুই তিন বছর পর এখনকার মতো স্টান্ট করা সম্ভব হবে না তার পক্ষে।
‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর মধ্য দিয়ে আবারো পরিচালকের আসনে থাকছেন ক্রিস্টোফার ম্যাকুয়ের। তার প্রতিই ভরসা রেখেছে প্যারামাউন্ট ও স্কাইডান্স।
সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছরই। কিন্তু ব্যবসা, শুটিং ও নানা জটিলতার কারণে এটি পেছানো হয়। এখন মুক্তির তারিখ ঠিক করা হয়েছে এ বছরের ২৩ মে।
‘মিশন ইম্পসিবল: ডেড রেকনিং পার্ট ২’র দৃশ্যে টম ক্রুজ । ছবি: আইএমডিবি
প্রায় দুই বছর হতে চললো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর কোন নতুন কাজ দেখতে পাচ্ছে না দর্শক। নিজের প্রথম সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে হইচই ফেলে দেওয়ার পর এতো লম্বা বিরতি আশা করেনি ভক্তরা।
খুশির খবর হলো, আর কিছুদিনের অপেক্ষা। আসছে ঈদুল ফিতরে দেখা যাবে এই অভিনেতার নতুন সিনেমা ‘দাগি’। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় ছবিটিতে অভিনয় আরও অভিনয় করেছেন তমা মির্জা ও সুনেরাহ বিনতে কামাল।
আফরান নিশো । ছবি: শেখ সাদী
প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে প্রচুর টিভি নাটকে কাজ করেছেন, গত কয়েক বছরে তাকে ওটিটিতে দেখা গেছে ‘রেডরাম’, ‘কাইজার’ বা ‘সিন্ডিকেট’-এর মতো প্রশংসিত কাজে। হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নিলে কি মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়? নিশো স্বীকার করলেন, তিনি অভিনয়কে মিস করেন।
সঙ্গে এ-ও বললেন, ‘নাটক করার সময়টা খুব হার্ড লাইফ। একটা নাটক দুই দিনে শুট হতো। আমি সব সময় চাইতাম আরাম করে কাজ করতে। ওটিটি বা সিনেমার ক্ষেত্রে সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের কাজে যুক্ত হয়েছি। কিন্তু হ্যাঁ, নাটক, ওটিটি, সিনেমার কাজ করা হচ্ছে না, সেটা আমি মিস করি। কিন্তু এমন না যে আমি কাজের মধ্যে নেই। বসে থাকাটাও আমি একটা কাজের মধ্যেই ধরি। বসে থেকে ভাবি, পড়ি কিছু, আমার ব্যক্তিত্বটাই এ রকম যে যখন কোনো কাজ নেই, তখনো কিছু কাজ বের করে তার মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকি। সেটা হতে পারে বই, সেটা হতে পারে আমার গাড়ি। আমি সময়-সময় একটা অভিজ্ঞতার মধ্যে থাকি, তাই আমার বিরক্ত লাগে না। তা ছাড়া পরিবারকে সময় দিই।’
আফরান নিশো । ছবি: শেখ সাদী
এতোদিন পর্দায় না থাকা নিয়ে নিশো আরও বলেন, ‘আমি তো লুকিয়ে ছিলাম না, সবার সামনেই ছিলাম। সিনেমা নিয়ে আমার নিজস্ব একটা ভাবনা আছে। নির্দিষ্ট সময়ে আমি আমার দর্শকের সামনে আসতে চাই। সবকিছুই যে আগে থেকে তাদের জানিয়ে দিতে হবে, আমি সেটা বিশ্বাস করি না।’
নিশোর ভাষ্য, ‘‘আমার কাছে সময়ের কোনো অভাব নেই। ক্যারিয়ার শুরুর ২৩-২৪ বছর পর সিনেমায় নাম লেখালাম। সেখানেও তাড়াহুড়া ছিল না। প্রথম সিনেমা আসার পর পরবর্তী সিনেমা কী হবে, সেটার পরিকল্পনা চলছিল। গল্প আসছে, বাজেট মিলছে তো মিলছে না, আরও অনেক গল্প পড়ছি। সেখান থেকে আমার সেরার সেরাটাই বেছে নেওয়া উচিত। সেই জায়গা থেকে একাধিক সিনেমার মধ্যে এটা একটা ‘দাগি’। এটা এমন না নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলাম, এটা হলো সঠিক সময়ে সঠিক তথ্যটা দর্শকের কাছে পৌঁছানো। এটা অনেক সময় আমি সেট করি, অনেক সময় টিম সেট করে। এ সিনেমাটি যে করছি সেটা অনেক আগে চূড়ান্ত হয়েছিল।’
আফরান নিশো । ছবি: শেখ সাদী
সাইফ আলী খানের উপর আততায়ীর হামলার ঘটনা এখনও ‘টক অব দ্য টাউন’। বিনোদুনিয়া তো বটেই, সরগরম হয় রাজনৈতিক মহলও। প্রায় একমাস কেটে গেলেও সেই ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও প্রচুর! যদিও অস্ত্রোপচার শেষে সপ্তাহ দুয়েক আগেই বান্দ্রার বাড়ি ‘সদগুরু শরণে’ ফিরেছেন নবাব।
এরই মধ্যে গতকাল রবিবার বিকেলে ফের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটতে হলো অভিনেতাকে। এদিন কড়া নিরাপত্তায় হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গেল সাইফকে। হামলার ঘটনার পর থেকেই সাইফের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ঝলক আরো একবার দেখা গেল রবিবার। পাপারাজ্জিদের দেখে কোনো রকম কথাবার্তা বা অভিবাদন নয়, বরং এড়িয়েই গেলেন নবাব। তবে এদিনও সাইফের সঙ্গে দেখা যায়নি তার স্ত্রী কারিনা কাপুরকে!
সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান দম্পতি
ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার কারিনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে শোরগোল পড়ে গেল নেটপাড়ায়। বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন কারিনা কাপুর খান, যা নিয়ে সোশ্যালে বেশ হইচই! সেই পোস্টে সাইফের হামলার ঘটনার কোনও উল্লেখ নেই, বরং সেখানে জীবনের কঠিন সময়ে নম্র থাকার পাঠ দেওয়া হয়েছে।
কারিনার সেই পোস্টে লেখা, ‘বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, উদ্বেগ, সন্তানের জন্ম, প্রিয়জনের মৃত্যু কিংবা প্যারেন্টিং, এই বিষয়গুলোর প্রকৃত অর্থ তুমি তখনই বুঝতে পারবে, যখন এগুলো তোমার জীবনে বাস্তবে ঘটবে। বাস্তবজীবনে প্রচলিত থিওরি কিংবা অনুমান দিয়ে কোনও কাজ হয় না। যতক্ষণ না জীবন তোমাকে কঠোর পরিস্থিতিতে ফেলে বিনীত থাকার পাঠ দেয়, তার আগ পর্যন্ত তুমি মনে করো তুমিই সব থেকে বেশি স্মার্ট।’
এই পোস্ট ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। তবে একাংশের অনুমান বেবো এমনিতেই এমন দর্শনমূলক পোস্ট করেছেন।
সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান দম্পতি
এদিকে, অস্ত্রোপচারের পরই চিকিৎসকরা সাইফকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বিশ্রামে থাকতে হবে। মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। ইতিবাচক থাকার পাশাপাশি রুটিন চেকআপ করাতে হবে যথাযথভাবে। নবাবের খেয়াল রাখতে গোটা ‘সদগুরু শরণে’র বারান্দা আলোয় মুড়ে দিয়েছেন কারিনা কাপুর খান।
সাইফকে লীলাবতীর হাসপাতালে দেখে আবারও অনুরাগীরা উদ্বিগ্ন। অনেকে জিজ্ঞেস করেছেন, সব ‘ঠিক আছে তো?’ জানা গেছে, এদিন রুটিন চেকআপের জন্যই হাসাপাতালে যেতে হয়েছে অভিনেতাকে।
কারিনা কাপুর খান দম্পতি
গত ১৬ জানুয়ারি, ভোররাতে নিজের বাসভবনেই আততায়ীর ছুরিকাঘাতে গুরুতম আহত হন সাইফ আলী খান। দিন পাঁচেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাড়িতে ফেরেন ‘নবাব’। সেলেব্রিটিদের অন্দরমহলে এমন মারাত্মক কাণ্ড ঘটায় নিরাপত্তা নিয়েও মুম্বাই প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। তবে বলিউড অভিনতা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও সেই ইস্যু নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত! সাইফের ওপর আততায়ীর হামলার ঘটনা এখনো ‘টক অব দ্য টাউন’। প্রায় এক মাস কেটে গেলেও সেই ঘটনা নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা!
সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান দম্পতি
যে দেশে নারীসমাজের জন্য আওয়াজ তুলে বিতাড়িত হতে হয়েছে, সে দেশের প্রত্যেক মুহূর্তের নৈরাজ্যের খবর তার ফেসবুক ওয়ালে। বরাবর বাংলাদেশের যে কোনও ইস্যু নিয়ে তিনি সরব। বর্তমানে ‘বদলের বাংলাদেশ’ নিয়ে টানা লিখে চলেছেন আলোচিত-সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তার খোঁচা জনপ্রিয় আজমেরী হক বাঁধনকে!
গত বছরের আগস্টে উত্তাল বাংলাদেশে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে বেশ সক্রিয় ছিলেন বাঁধন। রাস্তায় নেমে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রশ্ন করেছিলেন দেশের সংস্কারের পক্ষে। তাকে মাইকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘এই দেশটা আমার, এই দেশের সংস্কার করব আমরাই।’ আবার কখনও বা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে আঁশবঁটি হাতে রাতের ঢাকায় পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। বাঁধন বরাবরই সাহসী। স্বাধীনচেতা। স্পষ্টভাষী।
আগস্টে উত্তাল বাংলাদেশে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বাঁধন
শেখ হাসিনা পতনের পর পট পরিবর্তনের এই বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বেশকিছু ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সন্দিহান। এবার সেই আবহেই আজমেরী হক বাঁধনের খোঁজ করলেন তসলিমা নাসরিন। অভিনেত্রী দেশ সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন গত আগস্টে, নতুন রাষ্ট্রে কী কী সংস্কার তিনি করেছেন? জানতে চাইলেন লেখিকা।
ফেসবুকে ছাত্র আন্দোলনের সময়ের বাঁধনের একটি ভিডিও পোস্ট করে তসলিমা প্রশ্ন ছুঁড়লেন, ‘এই মহিলাটি যে গলা ফাটিয়ে দেশের সংস্কার করবে বলল, এই পর্যন্ত দেশের কী কী সংস্কার করেছে সে?’ লেখিকার সেই পোস্টে অনেকেই আজমেরী হক বাঁধনকে কটাক্ষ করেছেন। কেউ বা আবার অভিনেত্রীকে ‘অমাবস্যার চাঁদ’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
তসলিমা নাসরিন
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। গত বুধবার মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে ‘বিপ্লবী’ ছাত্ররা। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে শুরু হয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এদিন বিকেলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় প্রয়াত সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং আরেক অভিনেত্রী সোহিনী সাবাকে। দিন কয়েক আগে পরীমণিও শিল্পীদের উপর হওয়া অনাচার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
আজমেরী হক বাঁধন