সংগীতের রত্নখনি বাংলাদেশ: পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো ছেলে-মেয়ে রয়েছে যাদের কণ্ঠ এতো ভালো শুধু একটু পরিশ্রম করলে ও সঠিক পরিচর্যা পেলে তারা শীর্ষে যেতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববরেণ্য ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটা রত্নখনি। এখানে এতো ভালো ছেলে-মেয়ে রয়েছে যাদের কণ্ঠস্বর এতো উন্নত, এতো ভালো বিশেষ করে যারা রবীন্দ্রনাথের গান করেন এবং আরও অন্যান্য গান যারা করেন। অনেকেই আসেন আমার কাছে শেখার জন্য। আসলে এদের রক্ষা করা উচিত, এদের বাঁচিয়ে রাখা উচিত। আমি একটা অনলাইন ক্লাস করতে চাই। এই রত্নখনিদের বাঁচিয়ে রাখতে দরকার একটা শিক্ষা পদ্ধতি এবং অদম্য পরিশ্রম করার মানসিকতা।’

রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন বিখ্যাত এই সংগীতশিল্পী। তিনি মূলত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে ‘রাগ’ সংগীত গাইতে আসেন।

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

পৈত্রিক সূত্রে বাঙালি এই পণ্ডিত বাংলাদেশের জন্য কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থেকে বলেন, “সরকার যদি ব্যবস্থা করে এবং যদি একটা অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে আমি ওদের শেখাতে পারবো। নির্দিষ্ট একটা সময় থাকলো। তাতে আমি বাংলা ভাষায় বোঝাতে পারবো।”

কিভাবে বাংলাদেশের সহযোগিতা করতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানকার (বাংলাদেশ) বাছা বাছা যদি কুড়িটা বা পঞ্চাশটা ছেলে-মেয়ে হয়, এমনকি যদি ১০ জনও হয়, একটা দেশকে চেনানোর জন্য সেই ১০ জন শিল্পীই যথেষ্ট। এই যেমন ধরুন একজন লতা মঙ্গেশকরই ভারতবর্ষের পরিচয় দিতে যথেষ্ট।

তিনি বলেন, এখানে যারা অল্প বয়সী, যাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর বা ১৮-২০ বছর। যাদের ভেতর সংগীতের বীজ আছে, তাদের যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে বা তারা যদি আসে বা আমি যদি কখনও আসি তাদের যদি একটা শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থা করা যায় যেটা প্রথমে হয়তো অনলাইনে হলো। পরে তার মধ্যে থেকে বেছে বেছে কয়েকজন ছেলে-মেয়েকে আমার কাছে পাঠানো হলো। সেটা যদি সরকারিভাবে করা যায় তাহলে ভালো। আর আমি অনলাইনে একটা ক্লাস করি তাতে কিছু শেখাতে পারব।

বিখ্যাত সংগীতশিল্পী অজয় চক্রবর্তী বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময় থাকলো, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন যেভাবে করছে। সেভাবে একটা অনলাইন ক্লাসও যদি করা যায়। আমাকে পারিশ্রমিক দেওয়াটা বড় কথা নয়, কিন্তু সবাই যেনো উপভোগ করতে পারে, ফায়দা নিতে পারে, লাভ নিতে পারে। মনে রাখতে হবে খুব কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এটা সম্ভব। আমি বলে দিলাম এটি ২০০ বার করতে হবে, যদি কেউ ২০ করে তাহলে তো হবে না। আমার ইচ্ছা যদি মাসে দু’দিন করেও একটা অনলাইন ক্লাস বড় করে আয়োজন করা যায় কলকাতা থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য। আর পরে যখন আসলাম পুরোটা দেখলাম মনিটর করলাম।

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

তিনি বলেন, যদি ৫০০ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে হতে ১০ জনকে বললাম ওদের কলকাতা পাঠিয়ে দেন আমি দেখাশোনা করব। ১০টা বাচ্চাকে ভালো করে রেওয়াজ করালাম। সংগীতের অন্যতম পীঠস্থান এই বাংলাদেশ। ভারতে যন্ত্র সংগীতের যে একটা বিরাট প্রচার এবং প্রসার আছে তার পুরোধা হচ্ছে পণ্ডিত রবিশঙ্কর, পণ্ডিত নিখির রঞ্জন বন্ধ্যোপাধ্যায় আরও অগণিত তারা সবাই বাবা আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ছাত্র। তারা সব বাংলাদেশের তৈরি, আজকে বাংলাদেশ যদি না থাকত তাহলে পঞ্চ কবির গান দিজেন্দ্রনাথ লাল রায়, অতুল প্রসাদ সেন, রজনীকান্ত এই পঞ্চ কবির গান হতো না। বাংলাদেশে যেভাবে শ্রদ্ধার সাথে এই পঞ্চ কবির গান পালিত হয় এবং পরিবেশিত হয়। এই পঞ্চ কবির গান ওই বাংলায় (ভারতবর্ষে) এভাবে প্রচার প্রসার হয় না। শুধু রবীন্দ্রনাথের গান হয় কিছুটা, নজরুল গীতি হয়। অতুল প্রসাদ, রজনীকান্ত ভারতে তো জানেনই না কেউ রবীন্দ্রনাথের মতো দার্শনিক গত ১০০ বছরে আর জন্মাননি। যিনি ভারতবর্ষ এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের শ্রষ্টা।

তিনি আরোও বলেন, পরিশ্রম করার মানসিকতা বাংলাদেশে কমে গেছে। পশ্চিমবঙ্গেও কমে গেছে ভীষণভাবে কমে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এতো সুন্দর সুন্দর কণ্ঠ আছে। আমাদের পরিচিত ছেলে-মেয়েরা আছে তারাও এতো ভালো গান করে কিন্তু তারা জানে না তারাও শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তাদের অনুষ্ঠান সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, ছোটবেলায় শুরু না করলে ২৬ বছর বা ২৮ বছর বয়সে শুরু করলে তো হবে না। পড়াশোনা যেমন ৩ বছরে শুরু করি তেমনি গানও ৩, ৪, ৫ বছর বয়সে শুরু করা উচিত। সেজন্য শ্রুতি নন্দনে সাড়ে ৫-৬ বছর থেকে ১২ বছর পেরিয়ে গেলে আর নিই না। ছোট বয়সে যদি না গ্রহণ করতে পারেন তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে আমি যেন একটা নতুন ‘রাগ’ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের জন্য আমি গাই। রাগের কোন পরিচয় সেদিন অনুষ্ঠানে দিতে পারিনি। রাগ একটা সমুদ্রের মতো। আর সমুদ্রকে একটা গ্লাসে করে পরিবেশন করা যায় না। একটা রাগ এর পরিচয় প্রচার প্রসার করতে গেলে তার বিস্তার দেখাতে গেলে সময়ের প্রয়োজন হয়। মনে হয়েছে আমি গঙ্গার জলে গঙ্গার পূজো করেছি। বাংলাদেশের এই সংগীত প্রেমি মানুষ তাদের জন্য পরিবেশনা। নাম দিয়েছি ‘মৈত্রি রাগ’। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সবসময় মৈত্রি ছিলো। অতিথি পরায়ণতা বাংলাতে বেশি্ ভারতবর্ষে কমে গেছে কোনদিনই এতোটা ছিল না যেটা বাংলাদেশে আছে। এখানে অবিশ্বাস্য ভালোবাসা মানুষের প্রতি আছে।

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

শেখ মুজিবুর রহমান জি’র মতো মানুষ ছিলেন বলেই আমার নতুন রাগটি সৃষ্টি হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাগ নতুন গন্ধ পাওয়া গেছে। আমি বহুবার মুজিবুর রহমান জি’র বক্তৃতা শুনেছি তার কণ্ঠ এখনো আমার কানে বাজে। সেই কণ্ঠকে চোখে দেখিনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের উন্নতির জন্য তার আত্মা সচেতন আছে। আমি চাই সংগীতে বাংলাদেশ আবার শ্রেষ্ঠ আসন গ্রহণ করুক, উন্নতি করুক এবং তরুণ ছেলে-মেয়েদের জন্য আমি যদি কিছু করতে পারি। সেটা আমার সব থেকে বড় কাজ হবে। আমি যেহেতু এই বাংলার ছেলে আমি যদি কিছুটা ফিরিয়ে দিতে পারি এটা আমার কাছে বড় অর্জন হবে।

এখন হয়তো কলকাতা থাকি কিন্তু আপনাদেরই একজন ছেলে। যেন এই দেশকে কিছু ফেরত দিতে পারি এজন্য আপনারা আমাকে আর্শীবাদ করুন। আমার যোগ্যতা আছে, আমি খুবই যোগ্য কিন্তু তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেগুলো বলবো সেগুলো শুনতে হবে। না শুনলে তো হবে না।

   

কনসার্টে সুনিধিকে লক্ষ্য করে ছুড়ল বোতল, যা করলেন তিনি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডে অন্যতম জাদুকরী কণ্ঠশিল্পী সুনিধি চৌহান৷ প্রায় ৩ দশক ধরে সুপারহিট গান উপহার দিয়ে আসছেন তিনি৷ শিল্পীদের বরাবরই বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়। মাঝেমধ্যে ভক্তদের ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড দেখেও চুপচাপ সহ্য করে যেতে হয়৷

সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো সঙ্গীত শিল্পী সুনিধির। তবে বেশ বিজ্ঞতার সঙ্গেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন তিনি৷ কনসার্টের স্টেজে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে গান গাইছিলেন গায়িকা। এমন সময় দর্শকের মধ্য থেকে কেউ একজন একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারেন গায়িকার দিকে৷ তার হাতে অল্প লেগে পাশেই পরে বোতলটি৷

আকস্মিক এই ঘটনায় শুরুতে বেশ চমকে ওঠেন গায়িকা। তবে পরমুহূর্তেই নিজেকে আবার সামলে নেন৷ গান না থামিয়ে গেয়ে চলেন। তবে চোখেমুখে অবাক হয়ে ওঠার ভাব ছিল স্পষ্ট। গাইতে গাইতে এক সময় নরম সুরে দর্শকদের প্রশ্ন করেন গায়িকা,‘এখানে কি হচ্ছে এসব! বোতল ছুড়ছেন কেন? কি হবে বোতল ছুড়ে? তাই না? শো-ই বন্ধ হয়ে যাবে৷ সেটাই চান আপনারা?’


দর্শকমহল থেকে সম্মিলিত কণ্ঠস্বর চিৎকার করে ওঠে,‘না!’ তারপর আবার গান শুরু করেন সুনিধি৷ পুরোটা সময় বেশ শান্তস্বরে হাসতে হাসতে কথাগুলো বলেন তিনি৷

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৩মে) রাতে৷ ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে অবস্থিত এসজিআরআর ইউনিভার্সিটির স্টেজে ঘটে এই ঘটনা৷ ভিডিওর ক্লিপটি দেখার পর নিন্দায় ভরে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কমেন্ট বক্স৷ একজন শিল্পীর প্রতি এমন ব্যবহারে খুশি নন নেটিজেনরা৷ সুনিধির মতো শিল্পীকে আরও সম্মান দেওয়া উচিত৷ অজ্ঞাত সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্যও করেন অনেক৷

;

‘দ্য বয়েজ’ সিরিজের নতুন সিজনের ট্রেইলার প্রকাশ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে সুপারহিরো জনরার মানেই ‘দ্য বয়েজ’ সিরিজ৷ আর ১০ টি সুপার হিরো সিনেমার মতো নয়- যেখানে শুধুমাত্র ভালো মনের আদর্শ মানুষরাই অসীম শক্তির সন্ধান পায়৷ সুপার হিরোরা যদি অসৎ হতো এবং তাদের মানবজাতি রক্ষা করা যদি কেনল ভনিতা হতো তখন কি হতো- সেই গল্পেই সুপারহিরো সিরিজ ‘দ্য বয়েজ’৷ ভিন্নধর্মী এই গল্পের জন্য এই সিরিজের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী৷

বিখ্যাত এই টিভি সিরিজের সিজন ৪ নিয়ে হাজির হয়েছে অ্যামাজন প্রাইম। অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল প্রাইম ভিডিও থেকে ট্রেইলার প্রকাশ করা হয় শনিবার (৪মে)। জনপ্রিয় সিরিজটির গল্পে চমকপ্রদ নতুন মোড় নিয়ে ৪র্থ কিস্তি প্রকাশ করা হবে জুনের ১৩ তারিখ।

এই সিজনের ট্রেইলার ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের কাছে লোমহর্ষক মনে হয়েছে৷ এই অবধি সবচেয়ে রক্তাক্ত সুপার হিরো সিরিজের তকমাও পেয়েছে৷ সুপারহিরোর বেশ ধরে হোমল্যান্ডার সাধারণ মানুষদের সামনে রক্ষকের ভং ধরে থাকতেন৷ অসাধারণ শক্তিধর একদল সুপারভিলেনদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ‘দ্য বয়েজ’ টিমের এই লড়াই কোনদিকে মোড় নেবে?

ট্রেইলারের এক অংশে দেখা যায় হোমল্যান্ডারের বুদ্ধিমত্তার কারণে জনগণ দু'টি ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যায়, তাদের মধ্যে দুর্ধর্ষ সংঘর্ষ হচ্ছে৷ লোক দেখানো সুপারহিরো টিম সেভেন এতদিন সবার আড়ালে স্বেচ্ছাচারিতায় মগ্ন থাকতেন৷ লোকসেবার আড়ালে ইচ্ছেমতো হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সকলকে বোকা বানাতো৷ বয়েজের গত সিজনে তাদের এই সত্য সকলের সামনে আসতে শুরু করে৷ এক পক্ষের লোক তাই সেভেন এর বিরুদ্ধে যেতে শুরু করে৷ সেভেন টিমের লোকজনদের এই সিজনে দেখা যাবে আরও হিংস্র রূপে৷

ট্রেইলারে দেখা যায়, দলনেতা হোমল্যান্ডার এবার তার দলের সদস্যদের আরও উগ্র হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে- এতদিন তারা মানুষের সামনে যে ভালো হিরো সেজে থাকতো তার অবসান হবে৷ এবার থেকে তারা গড হিসেবে নিজেদের প্রকাশ ঘটাবে৷ সেই সাথেই দলের একেকজন সদস্য ইচ্ছেমতো মানুষকে আঘাত করতে শুরু করে।

তাছাড়া আরও ট্রেইলারের আরও এক বিশেষ দৃশ্য নজরে পড়েছে৷ সুপার পাওয়ারড মানুষের পাশাপাশি এবার ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে সুপার পাওয়ারড পশুপাখিও৷ একে একে মানুষ হত্যা করে চলেছে অবাধে৷

নতুন কিছু সুপার পাওয়ার সমৃদ্ধ চরিত্রকেও দেখা যায় ট্রেইলারে৷ একশন এবং থ্রিলারে পরিপূর্ণ সিরিজটির জন্য অপেক্ষা করে আছে দর্শক৷ একসঙ্গে এতগুলো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে সিরিজের হিরো ‘দ্য বয়েজ’ দলের সদস্যদের৷ তারা কি পারবে একজোট হয়ে মানবজাতির রক্ষা করতে, জানতে হলে চোখ রাখতে হবে অ্যামাজন প্রাইমে৷

;

পঁচিশে বৈশাখে স্বপ্নীলের অর্ঘ্য ‘ভালোবেসে সখী’র গানচিত্র



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব বেশ আগে থেকেই ছক ভেঙে বের হতে চেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গান শুধু নির্দিষ্ট ঢংয়ে উপস্থাপন করতে হবে সেটি তিনি মানতে নারাজ। রবীন্দ্র সংগীতের ভেতরের আবেদন ঠিক রেখে তাকে আধুনিকভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা সব সময়ের জন্য স্বপ্নীলের।

তারই ধারাবাহিক নব প্রয়াস গুরুদেবের অন্যতম জনপ্রিয় গীত ‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’র গানচিত্র। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্ম জয়ন্তী অর্থাৎ পঁচিশে বৈশাখে তার প্রতি এটি দুই বাংলায় পরিচিতি পাওয়া স্বপ্নীল সজীবের অর্ঘ্য নিবেদন।

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব

স্বপ্নীল সজীবের এই গানচিত্রটি তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলেও শোনা যাবে সকল আন্তর্জাতিক অডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে। গানে নলিনী চরিত্রে স্বপ্নীলের সাথে থাকছেন মডেল ড. মিয়ামী খুলদ। গানচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ইয়ামিন এলান।

স্বপ্নীল সজীবের ভাষ্য, ‘প্রেমের কবি রবীন্দ্রনাথ তার জীবনকালে রচনা করেন অসংখ্য প্রেমের কবিতা ও গান। যার মাঝে লুকিয়ে আছে প্রেম, বিরহ, ব্যাকুলতা আর নি:সঙ্গের এক মহাউপাখ্যান। তার লেখা প্রতিটি শব্দই যেন আমার-আপনার কথাই বলে, পাওয়া না পাওয়ার গোলমেলে হিসাব স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। যতই গানে, সংগীতায়োজনে আধুনিকতা আসুক না কেন, রবীন্দ্রসংগীত টিকে থাকবে আপন মহিমায়। গুরুদেবের জন্মদিনে তার এই গান আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি এই গানের মাধ্যমে।’

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে মিয়ামী খুলদ

স্বপ্নীল সজীব রবীন্দ্রনাথের গানের কারণে বিশেষ সমাদৃত হলেও বাংলা সংগীতের নানা ধারার গান গেয়ে থাকেন। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দুবাই, ব্রুনাই, মরোক্কো, ইরান, মালেশিয়া, নেপাল ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংগীত পরিবেশন করে সুনাম কুড়িয়েছেন।

গানে হাতেখড়ি লুৎফুন নাহার লতার কাছে। এরপর রবীন্দ্র সংগীতে তালিমা নিয়েছে ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও ওয়াহিদুল হকের কাছে। এছাড়া তাকে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিসেবে অভিজ্ঞানপত্র দিয়ে সম্মান প্রদান করেছে ইউএসএ’র সিনেটর, লস এঞ্জেলসের মেয়র, ভারতীয় হাই কমিশন, ইউ এস অ্যাম্বাসি, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউট অব কালচার, ইন্দিরা গান্ধি কালচারাল সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আয়োজিত, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে তিনি স্বর্ণপদক পান।

‘ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে’ গানচিত্রে স্বপ্নীল সজীব
;

শাহরুখ খান-সঞ্জয় দত্তের কাতারে শাকিব খান!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঞ্জয় দত্ত, শাকিব খান ও শাহরুখ খান

সঞ্জয় দত্ত, শাকিব খান ও শাহরুখ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাই আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী হিসেবে এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সোশ্যালে সেই রিকমেন্ডেশন লেটার শেয়ার করে এমনটাই জানালেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, প্রথম বারের মতো ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেল মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

সেই সঙ্গে তিনি আরও লিখেন, আরব আমিরাত সাধারণত কিছু বিশেষ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে। ব্যবসা ও এ ক্যাটাগরি জব ছাড়া শুধুমাত্র সরকারিভাবে রিকমেন্ডেশন দিয়ে ট্যালেন্টেড পেওনির হিসাবে ভিন্ন দুইটা ক্যাটাগরিতে তারা সম্পূর্ন বিনা খরচে সম্মান সরূপ গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে।

শাকিব খান

বিভিন্ন সময় বলিউডের অনেক সেলিব্রিটিকে ক্রিয়েটিভ কালচারাল ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, সন্জয় দত্তসহ অনেক বড় তারকারা ইতিমধ্যেই এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। এবার সেই একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার পেলেন বাংলাদেশের একমাত্র মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

এ বিষয়ে আমার টিম দিন রাত কাজ করেছে। সম্প্রতি বাংলা ভাষার সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে বড় আকারে তুলে ধরার যে মিশন নিয়ে আমার টিম কাজ করছে যাচ্ছে, তারই ক্ষেত্র তৈরী করতে এটি একটা মাইলফলক।

শাকিব খান

এখন বাকি সব শিল্পীদের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করবো। আমরা বাংলাদেশি এটাই আমাদের বড় পরিচয়।

;