সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’

চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে এই প্রথম ডিজিটাল প্ন্যাটফর্মে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রদান করা হলো ‘সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২০’। এবার লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ মোট ২৩টি ক্যাটাগারিতে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এরমধ্যে অন্য সব গানের ভিডিওর সঙ্গে লড়াই করে দর্শক জরিপে শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’।

অনুষ্ঠানে ঘোষণার পর স্টেজে এসে পুরস্কার হাতে তুলে নেন এ গানের সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসির ও নির্মাতা শাহরিয়ার পলক। গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা গীতিকার ওমর ফারুক বিশাল, সুরকার মুরাদ নূর, ভিডিও গানটির মডেল আবু হুরায়রা তানভীর, পুনম হাসান জুঁইসহ অনেকে সেসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার হাতে পাবার পর সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসির বলেন, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ এই গানটি এমন একটি গান যেটা প্রথম যখন প্রকাশ হয় তখন ফেসবুকে গানটি বেশ জনপ্রিয় হয় । স্টুডিও ভার্সনটি এবং প্রায় ১৭ হাজার লোক শেয়ার করে এবং প্রায় ৫৫ লাখের বেশি মানুষ দেখে । কিন্তু সেটা শুধুমাত্র একটা স্টুডিও ভার্সন ছিলো এবং তখনই এটা শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাতেই ছড়িয়ে যায় । তখন শ্রোতাদের অনুরোধে শ্রোতারা বা দর্শকরা চাচ্ছিলেন যে এইটার একটা মিউজিক ভিডিও হোক। এই গানের যারা ভক্ত তাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে বললেন যে গানটা এতো সুন্দর, একটা ভালো ভিজ্যুয়াল যদি হয় যেইখানে অ্যাক্টিং থাকবে, সুন্দর দৃশ্য থাকবে তাহলে তখন গানটা আরও পরিপূর্ণ হবে । তো তখন তাদের অনুরোধে আমি শাহরিয়ার পলকের টিমের সাথে যোগাযোগ করি এবং সে মোটামুটি দৃশ্যগুলো ভেবে ফেলে। আন্দোলন-দাঙ্গা প্রেক্ষাপটে প্রেমের সাথে বিপ্লবের দ্বন্দ্ব এইসব নিয়েই এটা প্রেক্ষাপট দাঁড়া করাই এবং সেখান থেকে কষ্ট করে একটা সুন্দর ভিডিও চিত্র বের করি আমরা, সেটাও বেশ জনপ্রিয় হয়। তিনি যোগ করে আরও বলেন, গান ছাড়া তো আর মিউজিক ভিডিও হয় না, তো মিউজিক ভিডিও তো মূলত গানকে নিয়েই। এই গানটাকে প্রকাশ করার জন্যে একটি কাহিনী বা কোনো একটা চিত্র তৈরি করা হয়, তো সেই মিউজিক ভিডিওটি যা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ নির্বাচিত হয়েছে শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও হিসেবে । এজন্য চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ জুড়ি বোর্ড ,স্পন্সর এবং যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সাহায্য করেছেন সবাইকেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এ গানটির অফিসিয়াল ভিডিও নির্মাতা শাহরিয়ার পলক বলেন, গানটির মিউজিক ভিডিও হিসেবে যখন বাজারে আসলো তখন থেকেই আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ গানটির গল্পের পটভূমি ছিল আলাদা। পিরিয়ডিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করা ছিলো, যা সচারচর মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় না। আর এ ধরনের কাজ অনেক রিস্কি। কারণ এ ধরনের কাজে গল্পের প্লট, ভাবনা, কস্টিউম অনেক পারফেক্ট হতে হয়। ১৯ কিংবা ২০ হতে পারে তবে বেশি গ্যাপ হলে তখন চোখে ধরা পড়ে এবং সেটা নিয়ে আলোচনা হয় অনেক। সেই কাজটা যখন মানুষ গ্রহণ করলো এবং সেটা যখন পুরস্কার পেলো সেটা অবশ্যই অনেক ভালোলাগার। পুরস্কার অনেক রকমের হয়, কিন্তু এবারের ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ব্যাপারটি একদম আলাদা। আমাদের যাদের ক্যারিয়ার এর শুরুটা অনলাইনকে কেন্দ্র করে,তাদের জন্য এই পুরস্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি নিদারুন প্ররিশ্রমের পর যখন এরকম অ্যাওয়ার্ড আসে, তখন সত্যিই সেটা হয় ভালো লাগার ব্যাপার। আগামীতে সাহস পাবার মত ব্যাপার। আর একটা বিষয়, এই গানটির ভ্যিজুয়াল এর জন্য যখন কাজ করা হয়েছিলো। প্রেক্ষাগৃহ- এর সকল সদস্য আপ্রান চেষ্টা করেছিলো সুন্দর ও সাবলীল ভাবে একটি প্রোডাকশন গুছিয়ে দিতে,যেনো ডিরেক্টর তার নিজের মত করে, পিরিয়ডিক্যাল এই মেলো ড্রামাটির গল্পের বুনন সঠিক ভাবে করতে পারে। তাই পুরো টিমকে ধন্যবাদ। গানের গীতিকার ওমর ফারুক বিশাল বলেন, সব ভালো মিলিয়েই ভালো একটা গান হয়। ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ তেমনি একটি গান-ভিডিও। গায়ক সাব্বির ভাই’সহ গানসংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টাতেই এই প্রাপ্তি। গানটির মাধ্যমে সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। সবার জন্য শুভকামনা।

গানটির সুরকার মুরাদ নূর বলেন, সম্মাননা প্রাপ্তিতে ভীষণ ভালো লাগছে। যাদের ভালোবাসার বদৌলতে আজকের সম্মান তাদের আজন্মকাল কৃতজ্ঞতা। মুরাদ নূর - সাব্বির নাসির জুটির পরের সৃষ্টিগুলো আরো আরো পরিশুদ্ধ হবে। এটাই সম্মাননার অঙ্গীকার। সবার বিশুদ্ধ ভালোবাসায় বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে বহুদূরে যেতে চাই। গানটিতে কাজ করা দুই মডেলও এই প্রাপ্তিতে বেশ আনন্দিত। মডেল-অভিনেতা আবু হুরায়রা তানভীর বলেন, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’গানটির মিউজিক ভিডিও শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে। এটা সত্যিই বেশ আনন্দের বিষয়। টানা ২৪ ঘন্টা এ গানটির জন্য আমরা পরিশ্রম করেছিলাম। সেটা ছিল সত্যিই আলাদা ধরনের একটা বিষয়। টিমের সকলে বেশ পরিশ্রম করেছিল। সাব্বির ভাইয়ের গানটা যেমন অসাধারণ ছিল তেমন ছিল পলক ভাইয়ের ডিরেকশন, মেকাপ, কস্টিউম সবই ছিলো অসাধারণ। আমি সত্যিই অনেক খুশি। গানের আরেক মডেল পুনম হাসান জুঁইও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জুঁই বলেন, এই পুরস্কারটা পেয়ে আমরা অনেক বেশি আনন্দিত। আমরা সকলে আসলে ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ গানটির ভিডিওতে অনেক কষ্ট করেছিলাম। সাব্বির নাসির ভাই বেশ ভালো গেয়েছেন। আমাদের ডিরেক্টর শাহরিয়ার পলক ভাই অনেক ভালো মেকিং করেছেন। বলতে গেলে উনার মেকিংয়ের যাদুতে কাজটা আরও ভালো হয়েছে। কষ্টের পর বড় একটা প্রাপ্তি, এটা সত্যিই আনন্দের। আমরা সকলেই বেশ খুশি।

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;