চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’

চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে এই প্রথম ডিজিটাল প্ন্যাটফর্মে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রদান করা হলো ‘সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২০’।

এবার লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ মোট ২৩টি ক্যাটাগারিতে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এরমধ্যে অন্য সব গানের ভিডিওর সঙ্গে লড়াই করে দর্শক জরিপে শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয় ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’। অনুষ্ঠানে ঘোষণার পর স্টেজে এসে পুরস্কার হাতে তুলে নেন এ গানের সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসির ও নির্মাতা শাহরিয়ার পলক।

গানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা গীতিকার ওমর ফারুক বিশাল, সুরকার মুরাদ নূর, ভিডিও গানটির মডেল  আবু হুরায়রা তানভীর, পুনম হাসান জুঁইসহ অনেকে সেসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার হাতে পাবার পর সংগীতশিল্পী সাব্বির নাসির বলেন, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ এই গানটি এমন একটি গান যেটা প্রথম যখন প্রকাশ হয় তখন ফেইসবুকে গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়। স্টুডিও ভার্সনটি এবং প্রায় ১৭ হাজার লোক শেয়ার করে এবং প্রায় ৫৫ লক্ষের বেশি মানুষ দেখে । কিন্তু সেটা শুধুমাত্র একটা স্টুডিও ভার্সন ছিলো এবং তখনই এটা শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাতেই ছড়িয়ে যায় ।

তখন শ্রোতাদের অনুরোধে শ্রোতারা বা দর্শকরা চাচ্ছিলেন যে এইটার একটা মিউজিক ভিডিও হোক। এই গানের যারা ভক্ত তাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে বললেন যে গানটা এতো সুন্দর, একটা ভালো ভিজ্যুয়াল যদি হয় যেইখানে অ্যাক্টিং থাকবে, সুন্দর দৃশ্য থাকবে তাহলে তখন গানটা আরো পরিপূর্ণ হবে । তো তখন তাদের অনুরোধে আমি শাহরিয়ার পলকের সাথে যোগাযোগ করি এবং সে মোটামুটি দৃশ্যগুলো ভেবে ফেলে। আন্দোলন-দাঙ্গা প্রেক্ষাপটে প্রেমের সাথে বিপ্লবের-দাঙ্গা এইসব নিয়েই এটা প্রেক্ষাপট দাঁড়া করাই এবং সেখান থেকে কষ্ট করে একটা সুন্দর ভিডিও চিত্র বের করি আমরা, সেইটাও অনেক বেশ জনপ্রিয় হয়। তিনি যোগ করে আরও বলেন, গান ছাড়া তো আর মিউজিক ভিডিও হয় না, তো মিউজিক ভিডিও তো মূলত গানকে নিয়েই। এই গানটাকে প্রকাশ করার জন্যে একটি কাহিনী বা কোনো একটা চিত্র তৈরি করা হয়, তো সেই মিউজিক ভিডিওটি যা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ নির্বাচিত হয়েছে শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও হিসেবে । এজন্য চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ জুড়ি বোর্ড ,স্পন্সর এবং যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সাহায্য করেছেন সবাইকেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এ গানটির অফিসিয়াল  ভিডিও নির্মাতা শাহরিয়ার পলক বলেন, গানটির মিউজিক ভিডিও হিসেবে যখন বাজারে আসলো তখন থেকেই আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ গানটির গল্পের পটভূমি ছিল আলাদা।  পিরিয়ডিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করা ছিলো, যা সচারচর মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায় না। আর এ ধরনের কাজ অনেক রিস্কি। কারণ এ ধরনের কাজে গল্পের প্লট, ভাবনা, কস্টিউম অনেক পারফেক্ট হতে হয়। ১৯ কিংবা ২০ হতে পারে তবে বেশি গ্যাপ হলে তখন চোখে ধরা পড়ে এবং সেটা নিয়ে আলোচনা হয় অনেক। সেই কাজটা যখন মানুষ গ্রহণ করলো এবং সেটা যখন পুরস্কার পেলো সেটা অবশ্যই অনেক ভালোলাগার। পুরস্কার অনেক রকমের হয়, কিন্তু এবারের ডিজিটাল মিডিয়া  অ্যাওয়ার্ড ব্যাপারটি একদম আলাদা। আমাদের যাদের ক্যারিয়ার এর শুরুটা অনলাইনকে কেন্দ্র করে,তাদের জন্য এই পুরস্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  একটি নিদারুন প্ররিশ্রমের পর যখন এরকম অ্যাওয়ার্ড আসে, তখন সত্যিই সেটা হয় ভালো লাগার ব্যাপার। আগামীতে সাহস পাবার মত ব্যাপার। আর একটা বিষয়, এই গানটির ভ্যিজুয়াল এর জন্য যখন কাজ করা হয়েছিলো। প্রেক্ষাগৃহ- এর সকল সদস্য আপ্রান চেষ্টা করেছিলো সুন্দর ও সাবলীল ভাবে একটি প্রোডাকশন গুছিয়ে দিতে,যেনো ডিরেক্টর তার নিজের মত করে, পিরিয়ডিক্যাল এই মেলো ড্রামাটির গল্পের বুনন সঠিক ভাবে করতে পারে। তাই পুরো টিমকে ধন্যবাদ।

গানের গীতিকার ওমর ফারুক বিশাল বলেন, সব ভালো মিলিয়েই ভালো একটা গান হয়। ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ তেমনি একটি গান-ভিডিও। গায়ক সাব্বির ভাই’সহ গানসংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টাতেই এই প্রাপ্তি। গানটির মাধ্যমে সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। সবার জন্য শুভকামনা। গানটির সুরকার মুরাদ নূর বলেন, সম্মাননা প্রাপ্তিতে ভীষণ ভালো লাগছে। যাদের ভালোবাসার বদৌলতে আজকের সম্মান তাদের আজন্মকাল কৃতজ্ঞতা। মুরাদ নূর-সাব্বির নাসির জুটির পরের সৃষ্টিগুলো আরো আরো পরিশুদ্ধ হবে। এটাই সম্মাননার অঙ্গীকার। সবার বিশুদ্ধ ভালোবাসায় বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে বহুদূরে যেতে চাই। গানটিতে কাজ করা দুই মডেলও এই প্রাপ্তিতে বেশ আনন্দিত। মডেল-অভিনেতা আবু হুরায়রা তানভীর বলেন, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’গানটির মিউজিক ভিডিও শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে। এটা সত্যিই বেশ আনন্দের বিষয়।

টানা ২৪ ঘণ্টা এ গানটির জন্য আমরা পরিশ্রম করেছিলাম। সেটা ছিল সত্যিই আলাদা ধরনের একটা বিষয়। টিমের সকলে বেশ পরিশ্রম করেছিল। সাব্বির ভাইয়ের গানটা যেমন অসাধারণ ছিল তেমন ছিল পলক ভাইয়ের ডিরেকশন, মেকাপ, কস্টিউম সবই ছিলো অসাধারণ। আমি সত্যিই অনেক খুশি। গানের আরেক মডেল পুনম হাসান জুঁইও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জুঁই বলেন, এই পুরস্কারটা পেয়ে আমরা অনেক বেশি আনন্দিত। আমরা সকলে আসলে ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’ গানটির ভিডিওতে অনেক কষ্ট করেছিলাম। সাব্বির নাসির ভাই বেশ ভালো গেয়েছেন। আমাদের ডিরেক্টর শাহরিয়ার পলক ভাই অনেক ভালো মেকিং করেছেন। বলতে গেলে উনার মেকিংয়ের যাদুতে কাজটা আরও ভালো হয়েছে। কষ্টের পর বড় একটা প্রাপ্তি, এটা সত্যিই আনন্দের। আমরা সকলেই বেশ খুশি।

   

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

আশেপাশের মানুষদের আগে সম্মান দিই: মৌটুসী বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। সারা বিশ্বের সঙ্গে আজ আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

মৌটুসী বিশ্বাস

সমালোচকপ্রিয় অভিনেত্রী

বিশেষ দিবস ধরে আমি তা পালন করা বা তা নিয়ে কিছু প্রত্যাশা করি না। তবে হ্যাঁ, একটি দিন যদি ভালোবাসার জন্য আলাদা করে বরাদ্দ থাকে, একটি দিন যদি শ্রমজীবী মানুষের জন্য থাকে, বা বাবা-মায়ের জন্য থাকে তাতে দোষের কিছু নেই। বরং অন্তত ওই দিনে তারা অনেকের কাছে স্পেশ্যাল হয়ে ওঠেন।

কিন্তু আমি সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব সারা বছরই পালন করার চর্চার মধ্যে থাকি।

আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। এছাড়া বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, ড্রাইভারসহ নানা পেশার মানুষের সঙ্গে আমার ওঠাবসা করতে হয় রোজ। তার মানে তারা আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ আমি খুব কম মানুষকেই দেখি যারা তার আশেপাশের এসব মানুষের কাজকে সম্মান করেন। কাজকে ছোট করে দেখলে কিন্তু যে কাজটি করছেন তাকে কোনভাবেই সম্মান করা যায় না। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি তাদের সেই সম্মানটা দিতে। কারণ আমি অনুধাবন করেছি যে, প্রতিটি কাজই জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সমান জরুরি।


আর একটা কথা, খুব ছোটবেলা থেকেই কোন রিকশা বা ক্যাবে চড়লে তার পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেবার পর ধন্যবাদ বলি, এটা আমার অভ্যাস। কারণ সবাই মিলেই তো সমাজে আমাদের সহাবস্থান। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজটি করছেন বলেই সমাজ একটি ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারছে। নয়ত সমাজে বাস করাই কষ্টসাধ্য হতো।

সমাজ যাদের নিচু স্তরে ফেলে রেখেছে আমরা যদি তাদেরকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সম্মান করি, তাদের কাজের রিঅ্যাওয়ার্ড দিই তাহলে তারাও কিন্তু তাদের কাজের প্রতি আপনাতেই অনেক বেশি আন্তরিক হন। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ফলে আমাদের এই চর্চাটা করা উচিত।

;

১০০ মিলিয়নের মাইলফলকে কনার 'তুই কি আমার হবি রে'



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের সব তারা আছে দিনের গভীরে/ বুকের মাঝে মন যেখানে, রাখবো তোকে সেখানে/ তুই কি আমার হবি রে’-‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের এই গানটি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই গানের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন কনা। এবার এই জনপ্রিয় গানটি কনার ক্যারিয়ারে যোগ করলো নতুন সাফল্যের পালক।

 তুই কি আমার হবি রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কনা

 আজই ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই গানটি মাছরাঙা টিভি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। গানটি অন্তর্জালে প্রকাশের ১৬০৮ দিনের মাথায় ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের অনন্য অর্জনকে বিশেষভাবে দেখছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার টিম।

সিয়াম পরীমণি

তারকা সঙ্গীতশিল্পী কনা বলেন, ‘বাংলা সিনেমার গানের একটি ঐতিহ্য আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে বলেন, আগের মত ভালো গান হয়না; হলেও জনপ্রিয় হয়না। তবে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, ভালো গান এখনো হচ্ছে এবং শ্রোতারা  ভালো গানের কদর করতে কখনো ভোলেন না। ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানের মধ্যে খুব বেশি গান ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পার করেনি। সে জায়গা থেকে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের এই সাফল্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ টিমের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।

কনা

সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত, সিয়াম আহমেদ-পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর। রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৮টি পুরস্কার পায়; যার মধ্যে সংগীত বিভাগে একচেটিয়া রাজত্ব করে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি। এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান প্রয়াত সুমন রহমান। গানটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন খায়ের খন্দকার।

;

পুুরুষ ও নারী শিল্পীর সমান পারিশ্রমিক হোক: রুনা খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান

রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। প্রতি বছরের মতো আজও দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ।

রুনা খান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী

আমার দেশের প্রেক্ষাপটেই কথা বলতে চাই। শ্রমিক দিবসে আমার দুটি প্রত্যাশা। একটি জেনারেল প্রত্যাশা। সেটি হলো প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ যেন তার পরিশ্রমের মূল্যটুকু ঠিকঠাক মতো পায়, সময়মতো পায়। আমার অভিনয়শিল্পী, আমরাও অনেক সময় পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো সময়ে পাই না বা যা প্রাপ্য সেটি পাই না। তবে আমি বিশেষ করে দিনমজুরদের কথা বলছি। তাদের যেন সময়মতো সবাই মূল্যটা বুঝিয়ে দেন।


আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী, তাই শোবিজ নিয়ে একটা প্রত্যাশার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- এতো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি সমপরিমাণ জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী আর নারী শিল্পী- কখনোই সমান পারিশ্রমিক পান না। অথচ ডেডিকেশনের জায়গা বলুন, সততার জায়গা বলুন, পরিশ্রমের জায়গা কিংবা মেধার জায়গা- সবটাই তো নারী আর পুরুষ শিল্পীর সমান। তাহলে কেন তারা সমান পারিশ্রমিক পাবেন না? একই নাটকের কথা বাদই দিলাম, যেখানে নারীকেন্দ্রিক গল্প রয়েছে সেখানে অভিনেত্রীরা যে পারিশ্রমিক পান, তারচেয়ে একটি সাধারন প্রেমের নাটকে অভিনেতারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। তাই চাইব- একদিন এই বৈষম্য আর থাকবে না আমাদের বিনোদন অঙ্গনে।

;

সালমান খানের বাড়িতে হামলার সাথে দেশদ্রোহীতার সূত্রতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেই সালমান খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। কেউ আহত না হলেও বাড়ির সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। সেই থেকেই পুলিশি পাহারায় ঘেরাও করা হয় সালমান খানের বাড়ি। পুলিশের ১৫টি টিমের তদন্তের কাজ চলতে থাকে পুরোদমে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা তদন্তে পুলিশ নতুন মন্তব্য করেছে।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

তথ্যসূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

;