প্রেমের শুরুতে এবি, বিচ্ছেদেও...



তাসনীম হাসান
আইয়ুব বাচ্চু

আইয়ুব বাচ্চু

  • Font increase
  • Font Decrease

পড়ন্ত বিকেলে এ কান ও কান হয়ে ছড়িয়ে পড়ল সযতনে গোপন করে রাখা কথাটা-কনসার্টে এলআরবির সঙ্গে গান গাইবেন আইয়ুব বাচ্চুপুত্র আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব। এরপর মানুষদের আর ঠেকায় কে? মুহূর্তেই কানায় কানায় পূর্ণ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে খোলা মাঠ। সন্ধ্যার আগে আকাশে ওড়া ড্রোন ক্যামেরা দেখাচ্ছিল স্টেডিয়ামের খোলা আকাশের নিচে আর সবুজ ঘাসদের ছিটেফোটারও দেখা নেই; সব কালো কালো মাথা।

আইয়ুব বাচ্চুর ততদিনে তিন হাতের পৃথিবীতে ১২দিন কাটানো হয়ে গেছে। মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পার হওয়ায় ভেবেছিলাম এবিকে ঘিরে আপামর ভক্তদের আবেগ কিছুটা হলেও প্রশমিত ততদিনে। হয়তো শুকাতে শুরু করেছে ভক্তদের চোখের জলও। কিন্তু হঠাৎ মঞ্চে এবি পুত্রকে পেয়ে সেই দর্শকদের চোখে যেন আবারও ফিরে এলো জলের ধারা।

বাবা আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুব

একটা শীর্ষ দৈনিকের হয়ে আমি গিয়েছিলাম সেই কনসার্ট কাভার করতে। যাওয়ার বেলায় অফিস থেকে নির্দেশনা-'এক কলামের ছোট্ট নিউজ হবে, প্রথম পর্ব চাক্ষুস করেই ফিরে এসো।' কিন্তু বিকেলে ফোন করে এবি পুত্রের গান করার বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টে গেল দৃশ্যপট। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা ধরে বসের একের পর এক নির্দেশনা। সঙ্গী জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্র সাংবাদিককেও কড়া নির্দেশনা-'কনসার্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছেড়ে যাওয়া যাবে না। নানা অ্যাঙ্গেলের ছবি চাই।'

পরদিন 'গাইলেন, কাঁদলেন, কাঁদালেন' শিরোনামে লেখাটা প্রকাশিত হলে অনেকেরই ফোন। যতটা না লেখার রসদগুণে, তার চেয়ে বেশি প্রতিবেদনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ছবিটার জন্য-বোনের কাঁধে হাত রেখে গাইছেন আহনাফ, চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। গলায় পেঁচানো বাবার বিখ্যাত সেই গিটার।

রুপালি গিটার ও আইয়ুব বাচ্চু

কোনো রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নয়, নয় কোনো দলীয় খুনোখুনি কিংবা মহামারীর শেষ বার্তা। এরপরেও সামান্য একটা কনসার্টের জন্য ডেড লাইনের পরেও পাতা আটকে রাখা, জায়গা রেখে দেওয়া-১০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে প্রথম দেখা। এতে আরেকবার বুঝে যাই-এবি ঠিক কতটা বড় শিল্পী। না হলে তাঁর ডিএনএ বয়ে চলে একটা সদ্য তরুণ, যে কিনা কোনোদিন সেভাবে মঞ্চে গান গায়নি-তাঁর গান গাওয়ার বিষয়টিও এত বড় সংবাদমূল্য। ঠিক এখানেই যেন অন্যদের থেকে আলাদা এবি।

শচীন টেন্ডুলকার যেদিন তার প্রিয় ক্রিকেটজীবন ছেড়ে অবসরের পৃথিবীতে ঢুকে পড়েছেন তখন অনেকেই বলছিলেন ভারত কিছুটা হলেও পিছিয়ে গেল। কিংবা অপকর্মের দায়ে যখন মোহাম্মদ আশরাফুলের ক্যারিয়ারে ‌'ফুল স্টপ' পড়ে গেল তখনও ঠিক একই কষ্টের কথা চারপাশে উড়াউড়ি করেছে। কিন্তু বিরাট কোহেলি নামের এক মহাতারকা যেমন ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি সাকিব আল হাসান-লিটন দাসের বাংলাদেশও আগের চেয়ে আরও দুর্দান্ত, দূরন্ত দল। অর্থ্যাৎ যত বড়ই মহীরুহ হোক তাদের জায়গা কেউ না কেউ দখল করে নেয়। কিন্তু এলআরবির দিকে তাকালে?

দেশের শীর্ষ একটা ব্যান্ড, যারা ৩০ বছর ধরে মঞ্চ শাসন করেছে-তারা জাস্ট এবি যেতেই দূরমুশ হয়ে গেল

দেশের শীর্ষ একটা ব্যান্ড, যারা ৩০ বছর ধরে মঞ্চ শাসন করেছে-তারা জাস্ট এবি যেতেই দূরমুশ হয়ে গেল। প্রথমদিকে নিজেদের মধ্যে একজনকে সামনে রেখে চেষ্টা করা হলো; দর্শক নিল না। পরে দেশের আরেক শীর্ষস্থানীয় শিল্পীকে এনে জোড়াতালি দেওয়ার চেষ্টা হলো। তাও দর্শক নিল না। শেষমেশ একপ্রকার 'দেউলিয়া।'

দর্শক যেন চিরস্থায়ীভাবে এলআরবির জায়গায় একজনের নামেই হৃদয়ের ভেতর আসন পুতে রেখেছে। তা হলো-'এলআরবি মানেই এবি। এর আগে পরে কেউ নেই।'

স্রেফ একটা মানুষের জন্য বহুবছরের স্বীকৃত একটি দল এভাবে শেষ হয়ে গেছে-হাতের কাছে আর এমন নমুনা পাচ্ছি না। এলআরবির সূর্য হয়তো ডুবে গেছে সেদিনই, যেদিন আইয়ুব বাচ্চু অস্তে গেছেন। মানুষটার সঙ্গেই যেন ব্যান্ডের সমস্ত জনপ্রিয়তাও কবরে চলে গেছে।

বাংলাদেশের ব্যান্ডের প্রবাদপুরুষ অবশ্যই আজম খান। তবে ব্যান্ডের আসল জোয়ার শুরু ৯০ দশকের গোড়াতেই। আর তা অবশ্যই আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে। পরের তিনদশক তাঁকে ঘিরেই

পেকেছে ব্যান্ড সংগীত। অবশ্য জেমসও সমানভাবে উচ্চারিত নাম। তবে ১৫ থেকে ৫০-সব বয়সের মনের কাছাকাছি যেন জায়গা বরাদ্দ একজনের নামেই-তা হলো এবি।

ওপার বাংলার ব্যান্ড তারকা রূপম ইসলাম আজও গুরু মানেন আইয়ুব বাচ্চুকে

শুধু কী বাংলাদেশের তরুণেরা তাকে সামনে রেখে সমৃদ্ধ হয়েছেন? মোটেও না। ওপার বাংলার ব্যান্ড তারকা রূপম ইসলাম আজও গুরু মানেন আইয়ুব বাচ্চুকে। ক্যারিয়ারের শুরুতে পাওয়া আইয়ুব বাচ্চুর নির্দেশনা-সাহচার্য ভুলতে পারেননা তিনি।

আজ হেডফোনে কান গুঁজে রাখার এই সময়ে যে কটা বাংলা গান বাইরে ভেসে আসে তাঁর সিংহভাগই এবির। এবি মানেই ছিল সুরের মুর্ছনায় আসর জমিয়ে দেওয়া, গিটারের তারে কম্পন ধরিয়ে দেওয়া আর অবশ্যই সামনে হাজারো দর্শকদের হাততালী।

ছোট্ট শহর থেকে উঠে এসে দুনিয়াজোড়া খ্যাতির পর যেদিন কফিনবন্দী হয়ে শেষবারের মতো মাতৃভূমিতে ফিরে এলেন সেই দিনও দর্শক তাকে ছাড়েনি। কবরের মাটি আপন করে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে এক নজর দেখার জন্য সে কি দীর্ঘ লাইন। অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে পেছনে পাগলা দর্শকদের শোকের মিছিল।

চট্টগ্রামে প্রবর্তক মোড়ে আইয়ুব বাচ্চুর রুপালি গিটার

৯০ পরবর্তী তরুণ প্রজন্মের প্রেম শুরু হতো আইয়ুব বাচ্চুর গানে। আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি, তুমি অবসর পাইলে বন্ধু বাসিও-গানের এই কলি চিঠি হয়ে পৌঁছে যেত প্রেমিক/প্রেমিকার দপ্তরে। প্রেমের বয়স বাড়তো তাঁর বাকিগানে। আর বিচ্ছেদে? সেখানেও আশ্চর্যভাবে জড়িয়ে আছেন এবি? এবার বিদায়ের পত্রখানীতে ভর করে পৌঁছে যেত-'সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে, এই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম।'

বাংলাদেশের সংগীত জগতের সর্বাত্মক হাহাকারের সেই ১৮ অক্টোবর আবার ফিরে এলো আমাদের জীবনে। আজও হয়তো দর্শক তাড়া করবেন তাঁকে। ফুলের তোড়া হাতে কেউ হয়তো ছুটবেন চৈতন্যগলি কবরস্থানে। দু হাত তুলে কেউ হয়তো গুণগুণ করে পড়বেন পবিত্র কোরআনের বাণী।

তা দেখে হয়তো মাটির নিচে মায়ের বুকে ঘুমিয়ে থাকা এবি বলবেন-'দেখছো মা, আমি ভক্তদের ছেড়ে আসলেও, আমাকে ভুলে না থাকার অভ্যাস তাঁদের ছেড়ে যায়নি।'

তাসনীম হাসান, সংবাদকর্মী

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;