বার্তার নতুন আয়োজন: রবিবাসরীয় কথাবার্তা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

#১৬ আগস্ট শতবর্ষে সত্যজিৎ

বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম-এর প্রিয় পাঠক. দর্শক, শ্রোতার জন্য হাজির হচ্ছে নতুন আয়োজন ‘রবিবাসরীয় কথাবার্তা’। আগামী ১৬ আগস্ট রোববার রাত ৯টায় বার্তার অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে একযোগে লাইভ হবে এই অনুষ্ঠান।

প্রতি রোববার কোন নির্দিষ্ট ইস্যু, বিষয় ও ব্যক্তির কাজ, তৎপরতাকে ঘিরে জমে উঠবে আমাদের আলাপ-আড্ডা। বৈশ্বিক করোনাকালের অবসাদের জীবনে রোববার রাতে খোশ মেজাজে হাজির হবে বার্তা২৪.কম। আমাদের উদ্বোধনী পর্বটি সাজানো হয়েছে ‘শতবর্ষে সত্যজিৎ’ শিরোনামে।

বার্তা২৪.কম-এর সম্পাদক আলমগীর হোসেনের আমন্ত্রণে ও নির্দেশনায় এই অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী।

প্রিয় পাঠক, করোনাকালের ঘরবন্দী জীবনে আপনার মোবাইলফোনে বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে প্রতিক্ষণ যুক্ত আছে বার্তা২৪.কম। করোনার কারণে বদলে যাওয়া এই পৃথিবীতে অনলাইন মিডিয়া ছাড়া ভরসা নেই। আসুন সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার নামগুলো দিয়ে আজকের পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করি। করোনা নামের এক অদৃশ্য অণুজীব ‘শাখা-প্রশাখা’ বিস্তারে পৃথিবী আজ স্তব্ধ। সভ্যতার ইতিহাসে এতবড় ‘গণশত্রু’র দেখা যায়নি। করোনাকে পাত্তা না দিয়ে যারা ‘ঘরে বাইরে’ করছেন, তাদের জন্য এই অনলাইন আলাপনে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা।

করোনাকালের ‘চিড়িয়াখানা’র বন্দী জীবনে ক্যালেন্ডারে ঘুরে এলো সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। তাই আগামী ১৬ই আগস্ট বাংলাদেশের জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক সত্যজিৎ স্মরণাঞ্জলি। যেহেতু সেদিন রোববার, তাই ‘রবিবাসরীয় কথাবার্তা’য় রাত নয়টায় আমাদের ‘জলসাঘর’ থেকে অনলাইনে ‘সীমাবদ্ধ’ পরিসরে বাংলাদেশ, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হবেন চারজন সত্যজিৎ গবেষক ও অনুরক্ত অতিথি। ভারতের পশ্চিমবাংলার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যুক্ত হবেন সত্যজিৎ গবেষক ও লেখক অধ্যাপক ড. সুখেন বিশ্বাস, নয়াদিল্লি থেকে যুক্ত হবেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হবেন সত্যজিৎ রায়ের সংলাপ ও গানের নিরীক্ষক, তরুণ সফটওয়্যার প্রকৌশলী মহিন সুমন এবং বাংলাদেশের ঢাকা থেকে যুক্ত হবেন তরুণ সাংবাদিক ও লেখক প্রণব ভৌমিক।

করোনার ভয়ে ‘অপুর সংসার’ যখন তটস্থ, তখন বার্তা২৪.কম-এর সম্পাদক আলমগীর হোসেনের মতো ‘অপরাজিত’ একজন গুণী ব্যক্তির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এই আয়োজন। করোনায় এখন এমন এক অবস্থা, আমাদের নেই কোন ‘পরশপাথর’, নিজ দুয়ারে খিল এঁটে বসে আছেন ‘দেবী’। এমনকি ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ বলে যতই হাপিত্যেশ করি না কেন, কোন ‘নায়ক’ নেই যে আমাদের বাঁচাবে। ‘পোস্টমাস্টার’-এর যুগ শেষ, তাই এই অনলাইনেই এই ওয়েবিনার। ঘরে বসেই দেখা ও শোনার এই আলাপন; বেশি লম্বা সময় নয়, ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই ঘটবে আলোচনার ‘সমাপ্তি’। এতবড় ‘সদগতি’ সম্ভব হতো না, যদি না করোনাকালে নীরবেই হাজির হতো সত্যজিৎ রায়, শতবর্ষে। আমরাও তাই নিঃশব্দ ‘আগন্তুক’র মতো সেদিন হাজির হবো আপনার স্মার্টফোনে বা ল্যাপটপ-কম্পিউটারের মনিটরের ‘জনঅরণ্যে’।

করোনাকে হালকা ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে নেয়ার সুযোগ নেই। করোনার এই সময়টুকুতে দুই বাংলার কতজন যে ‘মণিহারা’ হয়ে গেলেন, সকলের জন্য জানাই সমবেদনা। আসুন, আর ক’টা দিন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’কে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিই? প্রকৃতি ফিরে পাক তার নিজের ‘চারুলতা’! করোনার পরই বোঝা যাবে বিজ্ঞানীরা সত্যিই ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’। করোনা একবার বিদায় নিক, মানুষ না ভাইরাস, এই দুইয়ের মধ্যে প্রমাণ হবেই কে ‘কাপুরুষ-মহাপুরুষ’। ‘মহানগর’ থেকে ‘পথের পাঁচালী’ সবই যেহেতু স্থবির, তাই ‘সোনারকেল্লা’ বা ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ দেখার চেষ্টা না করে আসুন এই অন্তর্জাল আলাপ আড্ডায় মেতে উঠি। সমাজের চারপাশটা যখন ‘হীরক রাজার দেশে’র মত মনে হয়, তখন না হয় ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’এর মতো সরল কিছু গল্প শুনি! এই ‘অভিযান’ সফল হোক, করোনাক্রান্তির ভয়াবহ ‘অশনি সংকেত’র মধ্যেও আমাদের চেষ্টা থাকবে সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর কাজকে মূল্যায়ন করতে।

‘রবিবাসরীয় কথাবার্তা’ উপস্থাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আজ এই করোনাকালে যদি জটায়ু থাকতেন, নিশ্চয়ই লিখতেন- ভয়ঙ্কর ভাইরাস! সত্যজিতের অমর সৃষ্টি বেনারসের ঘোষাল বাবু কিংবা আফ্রিকার রাজা আর ওই সোনার গনেশটা নিয়ে যে সিনেমাটিক ব্যাপার, তা আজ করোনাকালে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মতোই-ম্যাজিক। মন্দার বোস তার উজবেকিস্তানের উট ধরার গল্প, মনমোহন মিত্র তো বলেছিলেন সভ্যতার এই সংকট। আমরা সত্যজিৎ রায়কে স্মরণ করব তারই অমর চরিত্রগুলোকে আজকের মহামারির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে।’

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;