গাড়ি নেই শফিউলের, ৭১ মামলায় অভিযুক্ত রবিউল



ইসমাইল হোসেন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শফিউল আলম (বাঁয়ে) ও শেখ রবিউল আলম, ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আলম (বাঁয়ে) ও শেখ রবিউল আলম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ বৈধ ছয় প্রার্থী লড়ছেন। এদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তিন প্রার্থী। আলোচিত এ তিন প্রার্থীই ব্যবসায়ী ও উচ্চশিক্ষিত।

জানা গেছে, কোটিপতি এ তিন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ৭১টি ফৌজদারি মামলার আসামি। যার মধ্যে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৫; তদন্তাধীন ৪৬টি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. শফিউল আলমের নামে কোনো মামলা নেই। তবে মহানগর দায়রা আদালতে একটি বিচারাধীন মামলায় অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহজাহান।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামায় দেখা গেছে, ১৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিউল ইসলামের বাৎসরিক আয় ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকা। ব্যবসার পরিচালক সম্মানী হিসেবে আয় করেন ২২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এছাড়া এফডিআর ব্যাংক হিসাবের লভ্যাংশ ও বোর্ড মিটিং ফি হিসেবে বাৎসরিক আয় ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৬১২ টাকা। এম.কম পাস শফিউল ইসলামের নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ১৬৪ টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদ। স্ত্রীর নামে ২৬ লাখ টাকা দামের টয়োটা গাড়ির কথা উল্লেখ করলেও নিজের নামে কোনো গাড়ি নেই এ প্রার্থীর। নিজ নামে কোনো জমি না থাকলেও যৌথ মালিকানায় থাকা জমি যার নিজ অংশের মূল্য ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকার অকৃষি জমিসহ ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ফ্ল্যাটের কথা বলেছেন। যার ফলে এ প্রার্থীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৪১ হাজার ৭০০ টাকায়। এছাড়া ১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯২০ টাকার আয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি প্রার্থী ব্যবসায়ী শেখ রবিউলের ব্যবসা, শেয়ার বাজার ও সম্মানী বাবদ বাৎসরিক আয় ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬১২ টাকা। অন্যদিকে আবাসান ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহজাহানের বাৎসরিক আয় আট লাখ ৭৪ হাজার টাকা। স্নাতকোত্তর পাস বিএনপির শেখ রবিউল আলমের নিজ নামে কৃষি, অকৃষি জমি, দালানসহ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩২ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি গাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। নিজ নামে ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ২৫২ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কথা বলেছেন বিএনপির এ প্রার্থী। পাশাপাশি স্ত্রীর নামে ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কথা জানিয়েছেন। তবে নিজ নামে কোনো ঋণ বা দায় নেই তার।

ইংরেজিতে এম.এ করা জাতীয় পার্টির শাহজাহান অস্থাবর সম্পত্তিতে ১৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, শেয়ার, স্বর্ণালংকার মিলিয়ে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বলেছেন ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া স্ত্রীর নামে চার লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ টাকার সম্পত্তির কথা জানিয়েছেন। কৃষি জমি ও অ্যাপার্টমেন্টসহ নিজ নামে সম্পত্তি আছে এক কোটি এক লাখ টাকার। নিজ দায়সমূহের মধ্যে তিন কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ ও স্ত্রীর কাছ থেকে নেওয়া চার লাখ ৭০ হাজার টাকার ঋণ দায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

উল্লেখ্য, শেখ ফজলে নূর তাপস এ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়ায় ঢাকা-১০ আসনটি শূন্য হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে ২১ মার্চ।

   

২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

সেনবাগে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টকে গুমের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘আনারস’ প্রতীকের এজেন্টদের ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘কলম’ প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান ‘হেলিকপ্টার’ প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের এক এজেন্টকে ‘গুম’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

সোমবার (২০ মে) ‘আনারস’ প্রতীকের একাধিক এজেন্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগের ২ নম্বর কেশারপাড় ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের একজন এজেন্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন।

তারা আমাদের কর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। বিশেষ করে আমার বাড়িতে প্রার্থী আবু জাফর টিপু ভোট চাইতে এসে আমার স্ত্রীকে সরাসরি হুমকি দিয়ে গেছেন। এ ছাড়াও আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করায় কেশারপাড়ের এক বাজারে আমাকে একা পেয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছেন প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি'।

এ এজেন্ট আরো বলেন, ‘আমি পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষা দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আবু জাফর টিপু ও জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করেন। এরা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দিতে চায় না’।

এদিকে, ৩ নম্বর ডমুরুয়া ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের বয়োবৃদ্ধ এক এজেন্ট জানান, আনারস প্রতীকের হয়ে এজেন্ট হলে তাকে গুম করে ফেলা হবে বলে আবু জাফর টিপুর লোকজন হুমকি দিয়েছেন। তিনি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ওই এজেন্টের ছেলে শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা আনারস প্রতীকের জন্য কাজ করায় আমাদের পরিবারকে বারবার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বিশেষ করে আবু জাফর টিপুর লোকজন সরাসরি গুম করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি’।

একই অভিযোগ করেন ৫ নম্বর অর্জুনতলা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের আরেক নারী এজেন্ট।

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে গেলে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। রোববার (১৯ মে) রাতে নির্বাচনি ক্যাম্পেইন করে বাড়ি ফিরে আসার সময় আমাকে বাজারের রাস্তায় আটকে এভাবে হুমকি দেয় জাফর চৌধুরীর সমর্থকেরা। আমি নিরাপত্তা চেয়ে সাইফুল আলম দিপুসহ প্রশাসনের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়েছি'।

অভিযোগের সত্যতা জানতে কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার’ বলে জানান।

তবে তাদের লোকজন এমন কিছু করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘নির্বাচনে হার-জিৎ থাকতেই পারে। তবে রাজনীতির নামে এমন নোংরামি করা উচিত নয়। প্রতিপক্ষের লোকজন পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে অন্তত ১০ জনকে আহত করা হয়েছে। আমার এলাকার কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে যেন না যায়, সেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটাই আমার প্রত্যাশা'।

প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ২১ মে সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। তাই, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।

নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকে প্রতিদিনই আমাদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাধারণ লোকজনের বিপুল উপস্থিতি দেখে তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন গত সংসদ নির্বাচনের সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা আগামী ২১ মে ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে'।

;

নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি ও জেলার ডিবির ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির বরাবর এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ইসি জানায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি জনাব স্বপন রায়কে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত সংযুক্ত করে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের পরবর্তী কোনো কর্মকর্তাকে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিবির ওসি -এর দায়িত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সদর উপজেলার ব্যালট বাক্স,ব্যাগ ও গালা সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি বিতরণের উদ্বোধন করেন রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাশ্বত শীল। ৪টি স্টল করে নড়াইল সদর কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শামীম আহমদসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৪৭ হাজার ৭ শত ৬০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ১শত ২৯ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন। ভোট কেন্দ্র ১০০টি ।

অপরদিকে লোহাগড়া উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৩ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৭৬ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ জন। ভোট কেন্দ্র ৯৭ টি।

;

রাজশাহীতে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন মোট ২২ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. রোকনুজ্জামান (আনারস), মো. লায়েব উদ্দিন (মোটর সাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

বাঘা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসান (টিউবওয়েল), আব্দুল মোকাদ্দেস (টিয়া পাখি), কামরুজ্জামান (বই) প্রতীক পেয়েছেন।

বাঘা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা খাতুন (কলস), ফারহানা দিল আফরোজ (প্রজাপতি), রিনা খাতুন (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান পদে গোলাম কিবরিয়া (ঘোড়া), মো. ফকরুল ইসলাম (আনারস) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (মাইক), কাজী ফিরোজ আহমেদ (টিয়া পাখি), আশরাফ উদ্দৌলা (তালা), ইলিয়াস সরকার (টিউবওয়েল), ইলিয়াস হোসেন (উড়োজাহাজ), নাজমুল হক (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জান্নাতুল ফেরদৌসী (হাঁস), পারভিন আরা (বৈদ্যুতিক পাখা), আশা খাতুন (সেলাই মেশিন), জমেলা বেগম (প্রজাপতি), তাজমিরা খাতুন (কলস), ময়না খাতুন (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক, বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম।

;