চলছে ‘নগরপিতা’ নির্বাচনের ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ভোটাররা/ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ভোটাররা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের শুরু হয়েছে। নতুন নগরপিতা নির্বাচন করতে সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ভোটারদের লাইন দেখা গেছে। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার দুই সিটির পরবর্তী ‘অভিভাবক’ নির্ধারণ করবেন তাঁরা।

এবার প্রথমবারের মতো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ইভিএম প্রযুক্তিতে। ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্রে ২৮ হাজার ৮৭৮টি ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই রাজধানী জুড়ে সৃষ্টি হয় ভোটের আমেজ। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটারদের মন জয় করতে মাঠে নামেন প্রার্থীরা। একের পর এক সংঘর্ষের অভিযোগও এসেছে কমিশনের কাছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যেও ভাটা পড়েনি ভোটের প্রচারে।

প্রার্থীদের কর্মীদের কাছ থেকে স্লিপ নিচ্ছেন ভোটাররা

নির্বাচনে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ নয়টি দলের ১৩ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে সাতশ প্রার্থী রয়েছে ভোটের মাঠে। ইতিমধ্যে ভোটের প্রচার বন্ধ হয়েছে। ভোটের ফলাফল গেজেটে আকারে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রকার মিছিল, মশাল মিছিল, মোটরসাইকেল মিছিল, শোডাউন করা যাবে না। বাইক বন্ধ থাকবে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর সকল যন্ত্রযান বন্ধ থাকবে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

উত্তরে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন অর্থাৎ তিন পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৩৪ জন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির তাবিথ আউয়াল, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, পিডিপির শাহীন খান, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহম্মেদ সাজ্জাদুল হক।

অন্যদিকে ডিএসসিসিতে মেয়র পদে ৭ জন, ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮২ জন অর্থাৎ ৪২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। মেয়র পদে সাত প্রার্থী হলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নুর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান, এনপিপি'র বাহরানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।

২০১৫ সালে বিভক্ত ঢাকার দুই সিটির প্রথম নির্বাচনে কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও মেয়র পদে মোট ৮৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সে সময়কার (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ৩৬টি ওয়ার্ডে ২৮১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৮৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৬ জন মেয়র পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ডিএসসিসির ৫৭টি ওয়ার্ডে ৩৯০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী, ৯৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও মেয়র পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন।

দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক:

নির্বাচনে নয়টি দেশ ও একটি সংস্থার ৭৪ জনকে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এদের মধ্যে ৪৬জন বিদেশি ও ২৮ জন দেশি নাগরিক রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা দিতে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। তবে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা যেসব বাংলাদেশি ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়েছেন, তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলে না রাখার আহ্বান জানিয়ে বিদেশি মিশনগুলোকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তালিকা থেকে জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭ জন, যুক্তরাজ্যের ১২ জন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫ জন, নেদারল্যান্ডের ৬ জন, সুইজারল্যান্ডের ৬ জন, জাপানের ৫ জন, ডেনমার্কের ৩ জন, নরওয়ের ৪ জন, অস্ট্রেলিয়ার ২ জন ও কানাডার ৪ জন পর্যবেক্ষণ করছেন।

নির্বাচনে ২২টি দেশি সংস্থার ১ হাজার ১৩ জন পর্যবেক্ষককেও ভোট পর্যবেক্ষণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মোহা. ইসরাইল হোসেন।

ভোটে থাকছে অর্ধলক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা:

প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোটকক্ষে ১ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। দুই সিটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৪৬৮জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১৪ হাজার ৪৩৪জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৮ হাজার ৮৬৮জন পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ১৫ জন সদস্য থাকবেন। তারা শুধু ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে পালন করছেন। সবমিলে দুই সিটির ভোট দায়িত্ব পালন করছেন অর্ধলক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধলক্ষ সদস্য:

দুই সিটির ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধলক্ষ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটে কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্য থাকছে ৪১ হাজার ৯৫৬ জন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকছে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১২৯টি মোবাইল ফোর্সে থাকবেন ১ হাজার ২৯০ জন, ৪৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকছেন ৪৩০ জন, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকছেন ৫২০ জন। আর দুই সিটিতে র‌্যাবের টিম থাকছে ১৩০টি। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে টিম দায়িত্ব পালন করছে। গড়ে ১১ জন করে এতে মোট ১ হাজার ৪৩০ জন র‌্যাব সদস্য থাকছেন। দুই সিটিতে র‌্যাবের ১০টি রিজার্ভ টিম থাকছে, তাতে ১১০ জন সদস্য থাকবেন। রিজার্ভসহ দুই সিটিতে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্বে পালন করছেন। প্রতি প্লাটুনে গড়ে ৩০ জন করে মোট ২ হাজার ২৫০ জন বিজিবি সদস্য থাকছেন ভোটের দায়িত্বে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন ভবনে নিয়োজিত থাকছে একটি উচ্চপর্যায়ের টিম। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলামের ইসলামের নেতৃত্বে এই টিম সার্বক্ষণিক কড়া নজরদারিতে রাখবে পুরো নির্বাচনী মাঠ। কমিশনের সঙ্গে তারা আলোচনা করে মাঠ পর্যায়ের সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়াও উত্তর সিটিতে ২৭জন ও দক্ষিণে ৩৭জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করছেন ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।

ভোটার সংখ্যা:

দুই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮জন ও নারী ভোটার ২৬ লাখ ২০ হাজার ৪৫৯জন। সিটি করপোরেশন হিসাবে ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩জন; যার মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭জন ও নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬জন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪জন; যার মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১জন ও নারী ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩জন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনের সময় দুই সিটিতে ভোটার ছিল ৪২ লাখ ১৬ হাজার ১২৭জন। পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছে ১২লাখ ৪৭ হাজার ৩৪০ জন।

ভোটকেন্দ্র:

ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৪৫টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং দক্ষিণে ৬৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব কেন্দ্র অবস্থিত।

একক হিসাবে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি ১১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি আওতাধীন মিরপুরের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। একই সিটির তেজগাঁওয়ের সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজে রয়েছে ১০টি ভোটকেন্দ্র। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কদমতলীর এ, কে হাই স্কুল কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তরে টেবিলঘড়ি প্রতীকের প্রয়াত আনিসুল হক পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাস প্রতীকে তাবিথ আউয়াল পেয়েছিলেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ০৮০ ভোট। ঢাকা দক্ষিণে ইলিশ মাছ প্রতীকে সাঈদ খোকন পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৬ ভোট এবং মগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আব্বাস পেয়েছিলেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;