দুই সিটির ভোটে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধলক্ষ সদস্য



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আর ভোটে অর্ধলক্ষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সে মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগে-পরে চার দিনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা পরিকল্পনায় নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন সদস্য। আর পুলিশসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা থাকবে কেন্দ্রে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৮ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। গড়ে দুই সিটির ২ হাজার ৪৬৮ কেন্দ্রে পুলিশ এবং আনসার ভিডিপির সদস্যই থাকছেন ৪১ হাজার ৯৫৬ জন। আর পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১২৯টি মোবাইল ফোর্সে থাকবে ১ হাজার ২৯০ জন, ৪৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবে ৪৩০ জন, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবে ৫২০ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে টিম হিসাবে দুই সিটিতে র‌্যাবের টিম থাকবে ১৩০টি। গড়ে ১১ জন করে এতে মোট ১ হাজার ৪৩০ জন র‌্যাব সদস্য থাকবে। এছাড়াও দুই সিটিতে র‌্যাবের ১০টি রিজার্ভ টিম থাকবে, এতে ১১০ জন সদস্য থাকবে। আর রিজার্ভসহ দুই সিটিতে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। গড়ে ৩০জন করে মোট ২ হাজার ২৫০ জন বিজিবি সদস্য থাকবে। সবমিলে দুই সিটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় অর্ধলক্ষ সদস্য মাঠে থাকছে। আর দুই সিটিতে আজ ৩০ জানুয়ারি থেকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠে থাকবে ১৭২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৬৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, মহিলা ভােটকেন্দ্রে ও ভােটকক্ষে মহিলা এবং পুরুষ ভােটকেন্দ্রে ও ভােটকক্ষে পুরুষ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়ােগ করা হবে। ভােটকেন্দ্রে নিয়ােজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভােটগ্রহণের দিন এবং এর আগে দুইদিন ও পরে একদিনসহ মােট চারদিনের জন্য নিয়ােজিত থাকবে। তবে ভােটকেন্দ্রে অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি পাঁচ দিনের জন্য নিয়ােজিত থাকবে। ভােটগ্রহণের পূর্বের দিন ও রাতে ভােটগ্রহণ কর্মকর্তার সঙ্গে ভােটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়ােজিত বাহিনীর সকল সদস্য ভােটকেন্দ্রে অবস্থান করবে। এছাড়াও মােবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভােট গ্রহণের দিন এবং তার আগে দুইদিন ও পরে এক দিন মােট চার দিন অর্থাৎ আজ ৩০ জানুয়ারি থেকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভােটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব-পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। স্থানীয় চাহিদা, ভােটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভােটকেন্দ্র সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এর সঙ্গে আলােচনা করে তাৎক্ষণিক ভােটকেন্দ্রের ফোর্স এবং মােবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করতে পারবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য পাঁচ প্লাটুন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য পাঁচ প্লাটুন বিজিবি সুবিধাজনক স্থানে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নিয়ােজিত রাখা হবে। সেই সঙ্গে উভয় সিটি করপোরেশনে পাঁচটি করে র‌্যাবের রিজার্ভ টিম নিয়ােজিত রাখতে হবে। মােবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়ােজিত প্রতিটি টিম, বিশেষ করে বিজিবির টহল দলে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগ করতে হবে।

নির্বাচনের রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আর সন্ত্রাসী, মাস্তানদের আটকে পরিচালনা করছে বিশেষ অভিযান। সিটি নির্বাচনে জনস্বার্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিকদের ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুায়ারি পর্যন্ত সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নির্দেশনায় একথা বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ভূমিকার উপর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করে। এমনকি নির্বাচনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা। এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে। মন্ত্রিপরিষদ, মূখ্য, ইসিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজি, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান, দুই রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই পরিপত্র পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, দুই সিটি ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিকেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। তবে তারা কোনো ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ বহন করবেন না। কিন্তু ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনকালে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটে প্রদান যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবেন। ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য সবার নিরাপত্তা, ইভিএমের নিরাপত্তা বিধান ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ক্ষেত্রমতে, প্রিজাইডিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে অবস্থানকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং টহল কাজে নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীর কারিগরি সদস্যদের যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা প্রিজাইডিং অফিসারের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, সব কেন্দ্রে ইভিএম-এর ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য থাকবেন। তারা শুধু ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।

মাঠে নামছে বিজিবি

ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭ প্লাটুন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। বিজিবির প্রতিটি টিমের সঙ্গে মোতায়েনকালীন সময়ে অর্থাৎ আজ ৩০ জানুয়ারি তারিখ হতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত একজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৪ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭৬ জনসহ ১৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়ােজন হবে। আর বিজিবির ১ প্লাটুনে দুইটি টিম গঠন করা হবে।

বিজিবি মোতায়েন প্রসঙ্গে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল নয়টা থেকেই বিজিবির সদস্যরা মাঠে থাকবেন। শুধু তারাই নয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। প্রতিটির জন্য ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুইটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। এরপর যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালায় সেক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের সংক্ষিপ্ত বিচার (সামারি ট্রায়াল) করে এরপর ব্যবস্থা নেবেন।

প্রসঙ্গত এবারের উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪, সংরক্ষিত ১৮, মোট ভোট কেন্দ্র ১৩১৮, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৮৪৬, মোট ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন ও মহিলা ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন রয়েছেন।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫, সংরক্ষিত ২৫, মোট ভোট কেন্দ্র ১১৫০, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৫৮৮, মোট ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। পুরুষ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ জন ও মহিলা ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩ জন রয়েছেন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

   

চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় নির্বাচন বুধবার, নিরাপত্তায় ২৫শ' পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ কাজ করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (০৮ মে) এসব উপজেলায় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলায় ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট জন রয়েছেন। এসব উপজেলায় মোট ৯ লাখ ৪২ হাজার ১৭৩ জন ভোটার রয়েছেন। উপজেলাগুলোর ২৯০টি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দেবে জেলার আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও তিন উপজেলায় ৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪৪ পৌরসভা ও ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন ৬ হাজার ১৬৪ জন কর্মকর্তা।

এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশের পাশাপাশি সারাদেশে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে র‍্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই ভোট গ্রহণ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। তিন উপজেলার চার থানায় মোতায়েন করা হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, তিনটি উপজেলায় মোট চারটি থানা রয়েছে। প্রত্যেকটিতে তিনজন করে সিনিয়র অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আজকে কেন্দ্রে চলে গেছে। এর বাইরেও আমরা থানায় রিজার্ভ রেখেছি। কোনো সমস্যা হলে তারা সাথে সাথে সেই কেন্দ্রে যাবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এখন আমরা বলি না। তিন উপজেলায় মোট ২৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে আমাদের তালিকা অনুযায়ী ১০০টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, দ্বীপ এলাকা সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী থাকায় এ পদে নির্বাচন হবে না। এ উপজেলায় মোট দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন, মহিলা ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৮৫ জন। সন্দ্বীপে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮৫টি।

সীতাকুণ্ডে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ২৪ হাজার ২৪০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ২০৬ জন। এ উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৯২টি।

মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন । এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯২ হাজার ৭২০ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫ জন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৩টি।

উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বুধবার মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সন্দ্বীপ দ্বীপ উপজেলা হওয়ায় সেখানে একদিন আগেই ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি দুই উপজেলায় সকালে ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হবে।

;

আমরা কোনো বেকায়দায় নেই: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রী,এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়-স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে কোনোভাবে বেকায়দায় নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব, আত্মীয়-স্বজনের প্রার্থিতা ও আচরণবিধি মানাতে গিয়ে আপনারা কোনো বেকাদায় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বেকায়দায় থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না! আমরা কোনো বেকায়দায় নেই। এটা একটা ভালো দিক। রাজনৈতিক সদিচ্ছা যখন বিকশিত হয়েছে, স্পষ্ট হয়েছে, সেটা নির্বাচনকে অবাধ নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

তারপরেও যদি বলেন, কোনো সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছে কি না, যদি করে থাকেন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করি। ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকবো। কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবো।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেককে নিবৃত্ত করতে পেরেছি। হয়ত-বা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যতদূর দেখেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক, যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন, সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখা যাক, কতটুকু হয়!

প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি। বিভিন্ন ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার জন্য একজনকে ডাকিয়ে এনে বক্তব্য নিয়েছি, প্রার্থিতা বাতিল করেছি।

সিইসি জানান, মাঠ পযায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সবসময় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়, সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) দেশের ৪টি ৯৫ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ১শ ৪০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে হবে।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পযন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

এই নির্বাচনে সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আর পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অন্তত ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

দেশের ৪টি ৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪টি ৭৬টি উপজেলায় নির্বাচনের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি। পরবর্তীতে সে সব পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারযোগে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে রাঙামাটির চার উপজেলায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল হতে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাঠানোর কর্মকাণ্ড চলছে।

জুরাছড়ি উপজেলা সদরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ও বরকলের দুইটি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ সরঞ্জাম ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, স্ট্যাম্প প্যাড এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।

এরআগে সোমবার সকালে জেলার জুরাছড়ির দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে যক্ষ্মা বাজার আর্মি ক্যাম্প থেকে উপজেলার সাতটি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের পাঠানো শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ সব কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটকর্মীদের পাঠানো হয়ে যাবে বলে নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলায় হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র নয়টি। এরমধ্যে জুরাছড়ির সাতটি ও বরকলে দুইটি ভোটকেন্দ্র। হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

এসব এলাকায় সড়ক ও নৌ-পথে যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইসি। ৮ মে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল গণনা শেষে পুনরায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।

নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মনির হোসেন জানান, প্রথম ধাপে ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুর্গম এলাকার কথা বিবেচনা করে আগেই নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যালেট পেপার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাঙামাটি সদর, বরকল, কাউখালী ও জুরাছড়িতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ৮ মে। রাঙামাটির চার উপজেলায় মোট প্রার্থী হয়েছেন ৩১ জন।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেবল কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না।

;

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষদিন মঙ্গলবার (৭ মে)।

এদিকে, নিজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট চাইলেন নবনির্বাচিত লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন তার বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান। ঢাকা থেকে ফিরে এর পরের দিনই মঙ্গলবার (৭ মে) সরাসরি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল। সেখানেই তার পছন্দের প্রার্থী মশিউর রহমান মামুনের ‘ঘোড়া’ মার্কায় ভোট চান তিনি।

এ ঘটনার পর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা ও প্রতিপক্ষ প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বড়খাতা, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্রসহ উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেন তারা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, যারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান, তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজপথে থেকে কাজ করে যাবেন। আজ থেকে একটি কেন্দ্রেও জাল ভোট দেওয়ার ক্ষমতা তাদের থাকবে না। আর যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

মশিউর রহমান মামুনের পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, পাঁচটি বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। উপকার কারো না করতে পারলেও কখনো ক্ষতি করেননি তিনি। আর যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারা উপকারের থেকে ক্ষতি করবেন বেশি। বিশেষ করে মামলা হামলায় নিষ্পেষিত করবেন তারা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে মশিউর রহমান মামুনের বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ২৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, মশিউর রহমান মামুনের শান্তির প্রতীক ‘ঘোড়া’ মার্কায় বিপুল ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার প্রার্থী বিজয়ী হলে হাতীবান্ধায় প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এ বক্তব্যের প্রতিবাদে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ‘কাপ-পিরিচ’ মার্কার প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বার্তা২৪.কমকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে কখনোই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শপথ গ্রহণ করেই ভোট চাইতে পারেন না। অবশ্যই এ বিষয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করবো।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা বলেন, নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল সংবর্ধনার নামে সেখানে উপজেলা পরিষদের প্রার্থী মশিউর রহমান মামুনের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। অবশ্যই এটি ভোটকে প্রভাবিত করবে। তাই, বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করছি।

এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ‘কাপ-পিরিচ’ মার্কার প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে নিয়ে আমি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছি, বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভোট চাইতে পারবেন কি না এমন আচরণবিধির কোথাও লেখা পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

;