উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বরিশালে প্রার্থীদের জনসংযোগ বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জানাজা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জোর প্রতিযোগিতা চলছে বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে। যদিও সাধারণ মানুষের এ নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই। নির্বাচন নিয়ে চা দোকানেও নেই কোনো আলোচনা। এমনকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার পর সোজা সরল উত্তর- ‘পেটনীতি কইরা বাঁচি না, উপজেলায় আর কি? জাতীয় নির্বাচনেইতো উপজেলা লেখা আছে। যান তো ভাই।’ এমন আচরণ চন্দ্রমোহন ও চাঁদপুরা ইউনিয়নের বাজারে।

আবার টুঙ্গিবাড়িয়া, শায়েস্তাবাদ, চরবাড়িয়া ও চরমোনাই এলাকার গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে এখন নির্বাচন মানেই চরম বিরক্তি। এ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ না থাকলেও সোমালিয়া থেকে বাংলাদেশের নাবিকরা উদ্ধার হয়েছে কিনা, পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারে আসবে কিনা, জানার আগ্রহ গ্রামবাসীর। কেউ কেউ আবার বাজারের দরে বিএনপির সিন্ডিকেট কীভাবে করল, দেশে এতো আত্মহত্যা কেন হচ্ছে, জাহাঙ্গীর নগর ও জগন্নাথের আত্মহত্যা হইলো কেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন তোলেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা।

সরেজমিনে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরার চেষ্টায় রোববার (১৭ মার্চ) এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল টুঙ্গিবাড়িয়ার লাহারহাট ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চন্দ্রমোহন বাজারে। বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এবার মনিরুল ইসলাম ছবি, মাহমুদুল হক খান মামুন, এসএম জাকির এবং মাহবুবুর রহমান মধু নামে চারজনের ব্যানার পোস্টার ও প্রচারণা চোখে পড়ে। কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এলাকাসহ ওপারে ঝুলছে এসব ব্যানার পোস্টার।

বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৪৭টি গ্রামকে ঘিরে চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত চারজনের প্রচারণা চোখে পড়ে। সকলের চেষ্টা এই উপজেলার প্রায় সোয়া দুই লক্ষ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার। এদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লক্ষ। তবে ২০১১ সালের জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৯ জন, পুরুষ ৯৭ হাজার ৭৩২ জন, মহিলা ১ লাখ ০১ হাজার ৭ জন উল্লেখ রয়েছে। একই হিসেবে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮১ জন, পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ৪৫৫ জন।

তবে আপডেট করা হলে এ সংখ্যা এখন দ্বিগুণ হবে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। এ অঞ্চলের বরাবরই নারী ভোটার বেশি। তাই জাতীয় বা স্থানীয় উভয় নির্বাচনেই নারীদের ভোট বেশি গুরুত্ব বহন করে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা।

বরিশাল এক বা সদর আসনের ১০ ইউনিয়নের মধ্যে নদীর ওপারে চরকাউয়া, চাঁদপুরা, চরমোনাই, চন্দ্রমোহন এবং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় সব জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) জানালেন, তারা নিজেদের এলাকার সড়ক ও ব্রিজের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাচ্ছেন না। অনেক সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্টের কারণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এর কাছে ছুটোছুটি করছেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না বলে জানান বেশিরভাগ চেয়ারম্যান।

তারা বলেন, এখনোতো তফশিল ঘোষণা হয়নি। যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের অনেকেই হয়তো ততদিনে উইড্র হয়ে যাবেন বলে জানান টুঙ্গি বাড়িয়ার চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান। তার এলাকায় বদিউল্লাহ, শালুকা ও চর কেউটিয়া গ্রামে ফুলতলা নদীর উপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে গ্রামবাসী। যা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান।

তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক চর কেউটিয়াতে একটি ব্রিজের ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে একই ইউনিয়নে আরো দুটি ব্রিজ কি করে চাইবো?

এদিকে চরমোনাই ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ গ্রামেই কোনো উন্নয়ন ছোঁয়া লাগেনি। যতটুকু উন্নয়ন তার সবটাই চরমোনাই মাহফিল ময়দান ও মাদ্রাসা এলাকায়। আশেপাশের গ্রামগুলোতে এখনো মাটির সড়ক চোখে পড়ে

চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক অবশ্য চারজন প্রার্থীকেই সময় দিয়েছেন দাবি করে বলেন, মনিরুল ইসলাম ছবি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী, আবার এসএম জাকির যখন এসেছেন তখন ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আবার মাহমুদুল হক খান মামুন এসেছিলেন একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে। এলাকার মানুষের সাথে আমিও ছিলাম সেখানে।

চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বললেন, বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এর নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। চাঁদপুরা ইউনিয়ন বাসী জাহিদ ফারুকের সমর্থন যেদিকে সেদিকেই তারা থাকবে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন।

চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নিজেই সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পরপর চারবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাংগঠনিক ভাবে আমার অবস্থান প্রচণ্ড শক্ত রয়েছে। তাই মানুষের ভোটও আমি পাবো।

এদিক দিয়ে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু। লাহারহাটের গ্রামে প্রচারণারত মধুর দাবি ১০ ইউনিয়নের ১৪৭টি গ্রামের প্রতিটি ঘরে আমি গিয়েছি। যতটুকু পেরেছি ততটুকু সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনেকের নাম লেখা হয়, আমার নাম লেখা হয় না।

তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, সাংবাদিকরাতো সবাই জাকিরের লোক। কেউ কেউ অবশ্য প্রতিমন্ত্রীর সমর্থন যেদিকে সেদিকে থাকবেন। তার ওপর খান মামুন এর অঢেল টাকাও রয়েছে। তিনি তা দিয়ে দান দক্ষিণা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান মধু। তিনি আরো বলেন, দৈনিক মতবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এসএম জাকিরতো শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুযোগে সাংবাদিকদের বড় একটা অংশের সুনজরে রয়েছেন। যে কারণে তার নিজের পত্রিকাসহ অনেক পত্রিকার প্রভাব বিস্তার হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মহলে। তাই তার জনসভায় সব চেয়ারম্যান মেম্বার উপস্থিত থাকতে বাধ্য হয় বলে জানালেন ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মধু।

যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক কাউন্সিলর এসএম জাকির বলেন, মানুষেরা জানেন আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমাকে ভোট দিলে কারো প্রতারিত হওয়ার ভয় নেই। আমি দুই লক্ষ ভোটারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবো বলে জানান এসএম জাকির।

অন্যদিকে প্রকাশ্যে প্রতিমন্ত্রীর ছবি সমেত ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মাহমুদুল হক খান মামুন এবং মধু দুজনেই। এই দুজনের মধ্যে খান মামুন প্রচার প্রচারণায় এবং প্রতিটি ইউনিয়নের স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে অবদান রাখছেন। এপারে কাশীপুর, কড়াপুর, চরবাড়িয়া ও শায়েস্তাবাদের প্রতিটি সড়কের মোড়ে মাহমুদুল হক খান মামুন এর ব্যানার পোস্টার লক্ষ্য করা গেছে। যা তাকে স্থানীয়ভাবে আলোচিত করে তুলছে। তার সম্পর্কে লোকেরা জানান, ত্যাগী নেতা তিনি। রাজনৈতিক জীবনে দল থেকে প্রাপ্তির খাতা শূন্য হলেও জনগণের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছেন তিনি।

তবে বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, কোনো পদপদবি মোহে নয়, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করা, তাদের বিপদে এগিয়ে আসা, ছোটখাটো উপকার এসব আমরা পারিবারিকভাবেই করছি। কারণ বংশপরম্পরায় আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা প্রয়াত শামসুল হক এই বরিশালের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ছিলেন। ১৯৮১ সাল থেকে আমি বিএম কলেজে ছাত্রলীগের ভিপি ছিলাম। তিল তিল করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। এবার কেন্দ্রসহ স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করছি।

আগামী ৪ মে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান- বরিশালের নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি। তিনি বলেন, ৪ মে থেকে ২৫ মে সারাদেশের উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় বরিশালে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে।

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;