উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বরিশালে প্রার্থীদের জনসংযোগ বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জানাজা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জোর প্রতিযোগিতা চলছে বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে। যদিও সাধারণ মানুষের এ নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই। নির্বাচন নিয়ে চা দোকানেও নেই কোনো আলোচনা। এমনকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার পর সোজা সরল উত্তর- ‘পেটনীতি কইরা বাঁচি না, উপজেলায় আর কি? জাতীয় নির্বাচনেইতো উপজেলা লেখা আছে। যান তো ভাই।’ এমন আচরণ চন্দ্রমোহন ও চাঁদপুরা ইউনিয়নের বাজারে।

আবার টুঙ্গিবাড়িয়া, শায়েস্তাবাদ, চরবাড়িয়া ও চরমোনাই এলাকার গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে এখন নির্বাচন মানেই চরম বিরক্তি। এ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ না থাকলেও সোমালিয়া থেকে বাংলাদেশের নাবিকরা উদ্ধার হয়েছে কিনা, পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারে আসবে কিনা, জানার আগ্রহ গ্রামবাসীর। কেউ কেউ আবার বাজারের দরে বিএনপির সিন্ডিকেট কীভাবে করল, দেশে এতো আত্মহত্যা কেন হচ্ছে, জাহাঙ্গীর নগর ও জগন্নাথের আত্মহত্যা হইলো কেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন তোলেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা।

সরেজমিনে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরার চেষ্টায় রোববার (১৭ মার্চ) এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল টুঙ্গিবাড়িয়ার লাহারহাট ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চন্দ্রমোহন বাজারে। বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এবার মনিরুল ইসলাম ছবি, মাহমুদুল হক খান মামুন, এসএম জাকির এবং মাহবুবুর রহমান মধু নামে চারজনের ব্যানার পোস্টার ও প্রচারণা চোখে পড়ে। কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এলাকাসহ ওপারে ঝুলছে এসব ব্যানার পোস্টার।

বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৪৭টি গ্রামকে ঘিরে চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত চারজনের প্রচারণা চোখে পড়ে। সকলের চেষ্টা এই উপজেলার প্রায় সোয়া দুই লক্ষ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার। এদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লক্ষ। তবে ২০১১ সালের জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৯ জন, পুরুষ ৯৭ হাজার ৭৩২ জন, মহিলা ১ লাখ ০১ হাজার ৭ জন উল্লেখ রয়েছে। একই হিসেবে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮১ জন, পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ৪৫৫ জন।

তবে আপডেট করা হলে এ সংখ্যা এখন দ্বিগুণ হবে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। এ অঞ্চলের বরাবরই নারী ভোটার বেশি। তাই জাতীয় বা স্থানীয় উভয় নির্বাচনেই নারীদের ভোট বেশি গুরুত্ব বহন করে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা।

বরিশাল এক বা সদর আসনের ১০ ইউনিয়নের মধ্যে নদীর ওপারে চরকাউয়া, চাঁদপুরা, চরমোনাই, চন্দ্রমোহন এবং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় সব জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) জানালেন, তারা নিজেদের এলাকার সড়ক ও ব্রিজের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাচ্ছেন না। অনেক সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্টের কারণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এর কাছে ছুটোছুটি করছেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না বলে জানান বেশিরভাগ চেয়ারম্যান।

তারা বলেন, এখনোতো তফশিল ঘোষণা হয়নি। যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের অনেকেই হয়তো ততদিনে উইড্র হয়ে যাবেন বলে জানান টুঙ্গি বাড়িয়ার চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান। তার এলাকায় বদিউল্লাহ, শালুকা ও চর কেউটিয়া গ্রামে ফুলতলা নদীর উপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে গ্রামবাসী। যা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান।

তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক চর কেউটিয়াতে একটি ব্রিজের ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে একই ইউনিয়নে আরো দুটি ব্রিজ কি করে চাইবো?

এদিকে চরমোনাই ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ গ্রামেই কোনো উন্নয়ন ছোঁয়া লাগেনি। যতটুকু উন্নয়ন তার সবটাই চরমোনাই মাহফিল ময়দান ও মাদ্রাসা এলাকায়। আশেপাশের গ্রামগুলোতে এখনো মাটির সড়ক চোখে পড়ে

চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক অবশ্য চারজন প্রার্থীকেই সময় দিয়েছেন দাবি করে বলেন, মনিরুল ইসলাম ছবি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী, আবার এসএম জাকির যখন এসেছেন তখন ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আবার মাহমুদুল হক খান মামুন এসেছিলেন একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে। এলাকার মানুষের সাথে আমিও ছিলাম সেখানে।

চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বললেন, বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এর নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। চাঁদপুরা ইউনিয়ন বাসী জাহিদ ফারুকের সমর্থন যেদিকে সেদিকেই তারা থাকবে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন।

চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নিজেই সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পরপর চারবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাংগঠনিক ভাবে আমার অবস্থান প্রচণ্ড শক্ত রয়েছে। তাই মানুষের ভোটও আমি পাবো।

এদিক দিয়ে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু। লাহারহাটের গ্রামে প্রচারণারত মধুর দাবি ১০ ইউনিয়নের ১৪৭টি গ্রামের প্রতিটি ঘরে আমি গিয়েছি। যতটুকু পেরেছি ততটুকু সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনেকের নাম লেখা হয়, আমার নাম লেখা হয় না।

তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, সাংবাদিকরাতো সবাই জাকিরের লোক। কেউ কেউ অবশ্য প্রতিমন্ত্রীর সমর্থন যেদিকে সেদিকে থাকবেন। তার ওপর খান মামুন এর অঢেল টাকাও রয়েছে। তিনি তা দিয়ে দান দক্ষিণা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান মধু। তিনি আরো বলেন, দৈনিক মতবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এসএম জাকিরতো শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুযোগে সাংবাদিকদের বড় একটা অংশের সুনজরে রয়েছেন। যে কারণে তার নিজের পত্রিকাসহ অনেক পত্রিকার প্রভাব বিস্তার হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মহলে। তাই তার জনসভায় সব চেয়ারম্যান মেম্বার উপস্থিত থাকতে বাধ্য হয় বলে জানালেন ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মধু।

যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক কাউন্সিলর এসএম জাকির বলেন, মানুষেরা জানেন আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমাকে ভোট দিলে কারো প্রতারিত হওয়ার ভয় নেই। আমি দুই লক্ষ ভোটারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবো বলে জানান এসএম জাকির।

অন্যদিকে প্রকাশ্যে প্রতিমন্ত্রীর ছবি সমেত ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মাহমুদুল হক খান মামুন এবং মধু দুজনেই। এই দুজনের মধ্যে খান মামুন প্রচার প্রচারণায় এবং প্রতিটি ইউনিয়নের স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে অবদান রাখছেন। এপারে কাশীপুর, কড়াপুর, চরবাড়িয়া ও শায়েস্তাবাদের প্রতিটি সড়কের মোড়ে মাহমুদুল হক খান মামুন এর ব্যানার পোস্টার লক্ষ্য করা গেছে। যা তাকে স্থানীয়ভাবে আলোচিত করে তুলছে। তার সম্পর্কে লোকেরা জানান, ত্যাগী নেতা তিনি। রাজনৈতিক জীবনে দল থেকে প্রাপ্তির খাতা শূন্য হলেও জনগণের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছেন তিনি।

তবে বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, কোনো পদপদবি মোহে নয়, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করা, তাদের বিপদে এগিয়ে আসা, ছোটখাটো উপকার এসব আমরা পারিবারিকভাবেই করছি। কারণ বংশপরম্পরায় আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা প্রয়াত শামসুল হক এই বরিশালের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ছিলেন। ১৯৮১ সাল থেকে আমি বিএম কলেজে ছাত্রলীগের ভিপি ছিলাম। তিল তিল করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। এবার কেন্দ্রসহ স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করছি।

আগামী ৪ মে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান- বরিশালের নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি। তিনি বলেন, ৪ মে থেকে ২৫ মে সারাদেশের উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় বরিশালে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;