ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছে আ'লীগ



মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
গাংনী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে যারা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

গাংনী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে যারা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল শেষ হতে না হতেই মেহেরপুরের গাংনীতে এখন উপজেলা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে তাদের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের জানান দিচ্ছেন। ফেসবুকে নানাভাবে নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ধরনা দিচ্ছেন অনেকেই।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুর জাহান বেগম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি একেএম শফিকুল আলম, জেলা আ'লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, সাবেক পৌর মেয়র আহমেদ আলী ও জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী হতে প্রস্তুত বলে নিজেদের জানান দিচ্ছেন।

জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের নাম শোনা গেলেও তিনি আপাতত এ বিষয়ে ভাবছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গাংনীর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কিছুটা মেরুকরণ হয়েছে। ক্ষমতার পালা বদলে এখন আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকনের পাল্লা ভারি। এ কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে এমপির কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তবে সংসদ নির্বাচনে কার কি ভূমিকা ছিলো তা বিবেচনায় নিয়ে দলীয় প্রার্থীর জন্য সুপারিশ করবে আওয়ামী লীগ। এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনের জন্য আমার চেয়ে শক্ত অবস্থান কারো নেই। দীর্ঘদিন দলের সাথে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই মনোনয়ন দেবেন বলে আশা করছি। যারা সংসদ নির্বাচনে গোপনে ও প্রকাশ্যে খোকনের বিরোধিতা করেছেন তাদেরকে অবশ্যই মনোনয়ন তালিকা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে তালিকা প্রেরণ করা হবে।'

জানা গেছে, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে তিনি স্বেচ্ছায় প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত থাকেন। তখন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের গোপন ভোটে মোকলেছুর রহমান মুকুল প্রার্থী হন। পৌর বিএনপি সভাপতি মুরাদ আলীর কাছে তিনি প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী হচ্ছেন নুর জাহান বেগম। তার স্বামী প্রয়াত বজলুর রহমান। তিনি গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। নুর জাহান বেগমের পিতা ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। পাক হানাদার বাহিনী তার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুরোপুরি রাজনৈতিক পরিবারের এই নারী স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারের রাজনীতির হাল ধরেন।

২০০৯ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। তিনি যদি দলীয় মনোনয়ন পান তাহলে গাংনীর ইতিহাসে আওয়ামী লীগের প্রথম নারী প্রার্থী হিসেবে তার নাম লেখা হবে। এবারের উপজেলা নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। একাদশ সংসদ নির্বাচন মেনে নেয়নি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তাদের কি ভূমিকা হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ কারণে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, সাহিদুজ্জামান খোকন একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ায় সে গ্রুপিং আরও কমেছে। উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে গ্রুপিং আবারো চাঙ্গা দিয়ে উঠতে পারে। রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে অনেকেই উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীকেই আঁকড়ে ধরেছেন।

এ বিষয়ে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদ্জ্জুামান খোকন বলেন, 'এলাকায় যিনি ক্লিন ইমেজের এবং নেতাকর্মী সমর্থক ও ভোটাররা যাকে গ্রহণ করবেন এমন মানুষকেই মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।'

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;