বরিশালে ৬ আসনের ৭ প্রার্থীই মুক্তিযোদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে যাচাই বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকা ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনই হলেন ব্যবসায়ী। রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিলকৃত হলফনামার এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাচাই বাছাইতে প্রাথমিকভাবে বাতিল ঘোষণা করা অধিকাংশ প্রার্থী আপিল করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বরিশাল-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ ও বরিশাল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু।

বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরিশালের ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মধ্যে সাতজনই হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার। 

এছাড়া অপর বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীরা হলেন, বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ মনিরুল ইসলাম মনি, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-২ ও ৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খান আফতাফ হোসেন ভুলু এবং ঋণ খেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিলের পর আপিল করা স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু। এসব বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীরা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে যাচাই বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকা ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনই হলেন ব্যবসায়ী। রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিলকৃত হলফনামার এ তথ্য জানা গেছে। এরমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার পেশা হিসেবে মৎস্য চাষ ও রাখি-মালামালের ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন।

ব্যবসায়ী প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন যারা ব্যবসার পাশাপাশি বেসরকারি চাকরি ও প্রতিষ্ঠানের মালিক। সূত্রমতে, ২৩ জন ব্যবসায়ী প্রার্থী ব্যতিত পাঁচজন রাজনীতিবিদ, চারজন আইনজীবী, দুইজন বেসরকারি চাকরিজীবী, দুইজন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, দুইজন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, একজন সাংবাদিক ও লেখক, একজন পেশাদার সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার, একজন কবি ও লেখক, একজন পরামর্শক, একজন কৃষি ও মৎস্য চাষ এবং একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেদের পেশার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া এসএসসি ও সমমান পাশ করেছে এমন রয়েছেন চারজন, এইচএসসি পাশ করেছেন চারজন, বাকিদের মধ্যে অনার্স বা সমমান থেকে মাস্টার্স বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ২৮ জনের। আর একজন রয়েছেন পিএইচডি ধারী।

হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ব্যবসায়ী। জাতীয় পার্টির ছেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী আইনজীবী ও ব্যবসায়ী এবং এনপিপির মোঃ তুহিন বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী বলে হফলনামায়  উল্লেখ করেছেন।

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস আইনজীবী। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন রাজনীতি ও সংসদ সদস্য এবং একই দলের অপর প্রার্থী মোঃ জহুরুল ইসলাম ঠিকাদারি ব্যবসা। মোঃ মনিরুল ইসলাম ব্যবসায়ী ও একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস পেশাদার সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস তিনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার এবং জাতীয় পার্টির অপরপ্রার্থী রজিত কুমার বাড়ৈ পরামর্শক। জাকের পার্টির স্বপন মৃধা ব্যবসায়ী। তৃণমূল বিএনপির মোঃ শাহজাহান সিরাজ রাজনীতি। এনপিপির সাহেব আলী আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা। স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক ব্যবসায়ী ও একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরদার মোঃ খালেদ হোসেন স্বপন ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন রাজনীতি ও সংসদ সদস্য এবং একই দলের অপর প্রার্থী শেখ মোঃ টিপু সুলতান আইনজীবী। জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু ব্যবসায়ী। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আতিকুর রহমান ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোঃ আজমুল হাসান জিহাদ কবি ও লেখক এবং আইনজীবী। তৃণমূল বিএনপির শাহানাজ হোসেন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও গৃহিণী। জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু আবাসিক হোটেলের ব্যবসা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আমিনুল হক ব্যবসায়ী বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।

বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে পেশা হিসেবে বর্তমান সাংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ বিহঙ্গ পরিবহনের চেয়ারম্যান। জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু ব্যবসা মালিকানা হিসেবে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।

বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মৎস্য চাষ ও রাখি-মালামালের ব্যবসা। জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস তিনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। জাকের পার্টির মোঃ আবুল হোসাইন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। এনপিপির আব্দুল হান্নান সিকদার ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোঃ আসাদুজ্জামান সাংবাদিক ও লেখক। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন ব্যবসার কথা হফলনামায় উল্লেখ করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সালাহউদ্দিন রিপনের পেশা জানা যায়নি।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে পেশা হিসেবে নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক রাজনীতি, সমাজসেবা ও ব্যবসা। জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ নাসরিন জাহান রতনা ব্যবসা। তৃণমূল বিএনপির টিএম জহিরুল হক তুহিন কৃষি ও মৎস্য চাষ। স্বতন্ত্র প্রার্থী খান আলতাফ হোসেন ভুলু আইনজীবী। এনপিপির মোঃ মোশারফ হোসেন বেসরকারি চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কৃষিকাজ। জাসদের মোহম্মদ মোহসীন ঠিকাদারি ব্যবসা। জাকের পার্টির মোঃ হুমায়ুন কবির সিকদার ব্যবসা। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মাইনুল ইসলাম আইনজীবী। স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজিব আহম্মদ তালুকদার ব্যবসা-শিল্পপতি। মোঃ শাহবাজ মিঞা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মোঃ কামরুল ইসলাম খান বেসরকারি চাকরি বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।

 

স্থানীয় সরকারের ২২৩ পদে নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচন কমিশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন পর্যায়ে ২২৩টি পদে আগামী ২৭ জুলাইয়ের উপ-নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম নির্বাচন স্থাগিতের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারদের চিঠি দেন। তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে কারফিউর কারণে ২৭ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনগুলো স্থগিত করেছে কমিশন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ জুলাই, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে ১১ জুলাই। এসব নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন সংক্ষুব্ধরা। এজন্য জেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারে চালাতে পারেন। আগামী ২৭ জুলাই সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে৷ সে অনুযায়ী, ১১ জুলাই থেকে আগামীকাল ২৫ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ দিন প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারতেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি পদে, পৌরসভার পাঁচটি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ২৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে/ছবি: সংগৃহীত

সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি সৌদি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সহজ করতে সেই দেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে চলতি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম চালু করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসীদের এনআইডি সেবাটি উদ্বোধন করতে দেশটিতে যাবেন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। এজন্য আগামী ২০ থেকে ২৯ জুলাই সৌদি আরব সফর করবেন তিনি। তার সফর সঙ্গী হিসেবে সাথে থাকবেন সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা।

ইসির চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স শাখার উপ-সচিব মো. আলমের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা গেছে, পুরো সফরের ব্যয় বহন করা হবে স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতঃমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও যুক্তরাজ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবেও কার্যক্রমটির উদ্বোধন করা হবে।

পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই সেবা ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিংগাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ ও কানাডাতে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।

সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।

;

ঢাকা সিটি নির্বাচন

বাড়বে প্রার্থীর জামানত, পরিবর্তন হবে আচরণবিধির



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম, নির্বাচন কমিশন

ছবি: বার্তা২৪.কম, নির্বাচন কমিশন

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিধিমালায় ব্যাপক রদবলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নতুন বিধিমালায় প্রার্থীদের জামানত ও নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় পরিবর্তনের ঈঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এই লক্ষ্যে ইসি গঠিত বিধি সংস্কার কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন এই বিধিমালা কার্যকর হবে আসন্ন ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।

ইসি’র একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জামানত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার স্বাক্ষর বিধান সংস্কারসহ একাধিক বিষয় পরিবর্তনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি। সে অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থীদের জামানত বাড়বে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনশতাধিক ভোটারের স্বাক্ষরসহ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোসহ একাধিক বিধিমালা সংস্কার করার বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোর বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন-২০২৩ (আরপিও) অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেসব এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক ভোটার থাকবে, সেখানে মেয়র প্রার্থীর জামানত ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ভোটার থাকলে প্রার্থীর জামানত হবে ৩০ হাজার টাকা এবং যেসব সিটিতে ২০ লাখের ওপরে ভোটার থাকবে, সেখানে মেয়র প্রার্থীর জামানত ১ লাখ দেওয়ার বিধান আছে।

সিটি নির্বাচনে বর্তমানে ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত দেওয়ার বিধান রয়েছে। নতুন বিধিমালা সংস্কার হলে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে কাউন্সিল প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে ইসি। কিন্তু স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে ‘উপজেলা নির্বাচন সংশোধন আইন-২০২৪’ করা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় এখন ইসি উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানো হবে।

ইসির আইন বিধিমালা সংস্কার কমিটির নেতৃত্বে আছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

সিটি নির্বাচনের নতুন বিধিমালা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি নির্বাচনে একাধিক বিধিমালা ও আচরণবিধি পরিবর্তন করার বিষয়টি আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্তগুলো এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। ফলে এখনি চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না।

ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আসন্ন দেশের সব সিটি নির্বাচনে আইন ও আচরণবিধি পরিবর্তন করা হবে। তার মধ্যে অন্যতম- নির্বাচনি প্রচারণায় সাদাকালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ব্যবহার, নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার করা, মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধি, ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

 এগুলো ছাড়াও একাধিক বিষয় পরিবর্তন করতে ইসির আইন বিধিমালা সংস্কার কমিটি কাজ করছে।

তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাগুলো নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। কমিটি প্রধান বিষয়টি আর পর্যালোচনার কথা বলেছেন। পরবর্তীতে কমিশন সভা খসড়ার সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভেটিং চূড়ান্ত হলে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিধিগুলো কার্যকর হবে।

;

বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে ২২৩ স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ২২৩টি পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুলাই। এই সব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি পদে, পৌরসভার ৫টি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ জুলাই। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১১ জুলাই। আর ভোটগ্রহণ ২৭ জুলাই।

;