বিএনপি নির্বাচনে না এলে পোয়াবারো আ.লীগের শরিকদের



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি নির্বাচনে না এলে পোয়াবারো আ.লীগের শরিকদের

বিএনপি নির্বাচনে না এলে পোয়াবারো আ.লীগের শরিকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে অটল থেকে বিএনপি শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে ভাগ্য খুলবে আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগ তখন তার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে বেশ কিছু আসনে ছাড় দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার তরফেও ১৪ দলের শরিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যাচাই করে দেখা হচ্ছে তাদের জনপ্রিয়তা ও বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কেও।

বিশ্বস্ততার সাথে মতাদর্শিক রাজনীতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোটের দলগুলো আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে একটানা ১৯ বছর নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়কালে শরিকদের মধ্যে মতপার্থক্য ও অন্তর্বিবাদ হলেও জোট সচল থেকেছে। বিভিন্ন সময়ের ভোটবদ্ধ কোনও দলে  ভাঙনের ঘটনা ঘটলেও এর প্রভাব জোটের ঐক্যে পরিলক্ষিত হয়নি। বরং অতীতে বিদ্যমান শরিকদের মধ্যে পারস্পরিক টানাপোড়েন কাটিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে জোটের ঐক্য সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছেন জোটের নেতারা। বার্তা২৪.কম'র কাছে একাধিক নেতা স্বীকার করছেন যে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ছোট ও নিষ্ক্রিয় দলগুলোও সরব হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলীয় জোট বলতে প্রধানত রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি, হাসানুল হক ইনুর জাসদ, দিলীপ বড়ুয়ার সাম্যবাদী দল, ব্যারিস্টার আরশ আলী ও ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রী পার্টিকেই রাজনৈতিকভাবে কার্যকর দেখা গেছে। কিন্তু এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে জোটের শরিকদের পোয়াবারো। তাই মাঠে নেমেছে ১৪ দলের সবগুলো দলই। এদিকে জোটের প্রার্থীদের কারণে টেনশনে আছে আওয়ামী লীগে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী।

পর্যবেক্ষকগণ বলছেন, ১৪ দলীয় জোট শুধু ভোটের রাজনীতি করছে না। আদর্শিক রাজনীতি করছে। সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অটুট থেকে সেই জোট আজও টিকে আছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ে এসে জোটের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়েছে। পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে চাওয়া-পাওয়ার বদলে আদর্শগত রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে। এমনকি, দলীয় ভাঙনের ঘটনা ঘটলেও জোটের ঐক্যে আঁচ পড়তে দেন নি জোটের নেতারা।

বার্তা২৪.কম'র অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৪ দলীয় জোট ১৯ বছর পাড়ি দিয়েছে সঙ্কুল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। এই দীর্ঘ সময়কালে শরিক কোনও কোনও দলে নানা ইস্যুতে অন্তর্বিবাদ ও দল ভাঙার মতো ঘটনা ঘটেছে। সময়ে সময়ে শরিকদের মধ্যে পারস্পরিক টানাপোড়েনও দেখা গেছে। জোটের অন্যতম প্রধান শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির ক্ষেত্রে নানা উত্থান-পতন ঘটলেও মূল নেতৃত্ব থেকেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের অধীনেই।  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টিতে নেতৃত্বের পালাবদল হলেও জোট রাজনীতিতে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। বিশেষ করে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে বেরিয়ে শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি অংশ বাংলাদেশ জাসদ নামে আরেকটি দল গঠন করে। তাদের রেজিস্ট্রেশন না দেয়ার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ জোট ত্যাগ করে জাসদের খণ্ডিত এ দলটি।

বার্তা২৪.কম'কে ১৪ দলের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন বলেন, 'বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শরিক দলগুলোর মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক বিরাজমান। তাছাড়া আদর্শিক জায়গা থেকে শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো।  জোটের মূল দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ ও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে কখনও কোনও ব্যত্যয় ঘটে নি।'

তিনি বলেন, '২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই বছরই ২৩ দফা ঘোষণা দিয়ে ১৪ দলীয় জোটের যাত্রা শুরু হয়, যাতে আমরা সবাই আদর্শিকভাবে যুক্ত থেকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত উদার, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনৈতিক লড়াই করছি।'

প্রথমে আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ১১ দল মিলে জোট গঠিত হয়। কিন্তু জোট গঠনের পর পরই ১১ দল ভেঙে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)সহ কয়েকটি দল বেরিয়ে যায়। রয়ে যায় ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণফোরামসহ কয়েকটি দল। তারপরও জোটটি ১৪ দল নামেই পরিচিত।

২০০৭ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম জোট ত্যাগ করে। পরের বছর জাতীয় নির্বাচনের আগে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ও নজিবুলবশর মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বাধীন তরিকত ফেডারেশন জোটে যোগ দেয়।

এছাড়া গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-রেজাউর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ ও ন্যাপ (মোজাফফর) আগে থেকেই ১৪ দলের শরিক। আর জোটের মুখপাত্র এবং সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাক্কালে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে। অতীতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শরিক দলগুলো এমন মনোভাব প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সেসব শুন্য আসনের উপ-নির্বাচনকে জাসদ বগুড়া-৪ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ঠাকুরগাঁও-৩ আসন দাবি করলে আওয়ামী লীগ তাদের সেই দাবি মেনে নেয়। বগুড়ায় জাসদের প্রার্থী বিজয়ী হন। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন আলী। তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির কাস্তে প্রতীকে প্রার্থী হয়ে সুবিধা করতে পারেন নি। এজন্য শরিকরা এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

   

স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না বর্তমান এমপিদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পদত্যাগ করতে হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোন দলীয় সংসদ সদস্য নির্দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ হয়। তবে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পরিপালন করতে হবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।

ইসি জানায় ‘সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সহিত সংযুক্ত করিতে হইবে। তবে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদের কোন নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হইয়া থাকিলে উক্ত তালিকা প্রদানের প্রয়োজন হইবে না।


সেক্ষেত্রে দলীয় সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে না। দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক-সংসদ সদস্য পদে থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে রোববার (৭ জানুয়ারি)।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

;

অনলাইনে মনোনয়ন নিবন্ধন ও দাখিলে সাড়া নেই প্রার্থীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল সহজ ও ঝামেলা মুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিল ব্যবস্থাপনায় (অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম-ওএনএসএস) উদ্বোধন করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নিয়ে সাড়া নেই প্রার্থীদের। তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১০ জন নিবন্ধন করলেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে মাত্র ২ জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এবিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ১১০ জন নিবন্ধন করেছেন। আর জমা দিয়েছেন মাত্র দু’জন প্রার্থী। তবে তার আশা শেষেরদিন চাপ পড়তে পারে।

এ দিকে ইসির  কর্মকর্তা বলছেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত সেভাবে মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। তবে ঢাকায় ২০ আসনে এখন পর্যন্ত মোট ১৭৪টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে আর জমা পড়েছে ৯ টি। তবে আগামীকাল থেকে তা বৃদ্ধি পাবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

গত ১২ নভেম্বর ওএনএসএস উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি ওইদিন বলেন, নমিনেশন পেপার তুলতে বাধা প্রদান যেমন করা হয়, তেমনি অনেককে জমা দেওয়ার সময় চাপ প্রয়োগ করা হয়, যে প্রত্যাহার করো। এই যে অনাচারগুলো, অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে কমে আসতে পারে এবং টোটাল নির্বাচনি ব্যবস্থাটা আরও নির্ভরযোগ্য, আরও সহজ এবং আরও পরিশুদ্ধ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস অ্যাপটা নির্ভরযোগ্য হবে। অনলাইন নমিনেশন দলগুলো ব্যবহার করবেন। সাধারণে যদি অ্যাপটা ব্যবহার করেন, উপকৃত হবেন। অ্যাপল, অ্যানড্রয়েড যে কোনো ফোনেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

;

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইইউ’র বৈঠক বুধবার



স্টাফ করসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের বৈঠক আগামী বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, সিইসিকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৈঠক করতে চেয়ে ই-মেইলে গত ২২ নভেম্বর চিঠি দিয়েছিলেন। 

ইইউ রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই নির্বাচন উপলক্ষে আমরা ইতোমধ্যেই আপনাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করেছি। নির্বাচন কমিশনের চলমান এ কাজের জন্য আমরা আপনাদের প্রশংসা করি।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে ইইউ মিশনের প্রধানদের সঙ্গে আপনারা যৌথ বৈঠকের সুযোগ করে দিবেন। আগামী সপ্তাহের ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় আপনার সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া ও আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। গত ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটারসংখ্যা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।

;

নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করলে আইনানুগ ব্যবস্থা: ইসি আনিসুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, `নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা করা দরকার সব নির্দেশনা দেওয়া প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপি নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে তফসিল পুনর্নির্ধারণ বা পুনর্বিবেচনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এখনো এই সুযোগ রয়েছে। তবে নির্বাচনে আসা না আসা সেটি তাদের একান্ত ব্যাপার। আমরা নিবন্ধিত ৪৪ টি দলকে ডেকে মতবিনিময় করছি তবে সেখানে ১৮ টি দল অংশ নেয়নি।

এসময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সদর দপ্তর কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোহাম্মদ শামীম আলম, ডিজিএফআইয় কক্সবাজারের কর্নেল জিএস জনাব মোরশেদ আহমদ চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার জনাব মাহফুজুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ জনাব সৈকত শাহীহ শহ কক্সবাজার এবং বান্দরবানের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।

;