ঢাকা-১: প্রচারণায় এগিয়ে সালমান, সমীকরণে সালমা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী সালমান এফ রহমান, ছবি: বার্তা২৪

ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী সালমান এফ রহমান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের বাকী আর মাত্র ৪ দিন। দেশের অন্যান্য স্থানের মত নির্বাচনী প্রচারণা চলছে ঢাকা-১ আসনে। তবে এখানকার চিত্র খানিকটা ব্যতিক্রম। কেননা এই আসনে মুখোমুখি দুই হেভিওয়েট শিল্পপতি। শুধু তাই নয় মহাজোট থেকে উন্মুক্ত এই আসন নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে ভোটাররা।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ঢাকার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মিলেছে। স্থানীয় ভোটাররা বলছে, প্রচার প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সালমান এফ রহমান। কিন্তু নির্বাচনী কৌশলে বেশ এগিয়ে গেছেন ওই আসনের আরেক প্রার্থী সালমা ইসলাম। অন্য প্রার্থীরা তেমন একটা আলোচনায় না থাকায় মূলত সালমান ও সালমার লড়াই হতে যাচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/26/1545825745801.jpg

কমিশন সূত্রে জানা যায়, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪০ হাজার ৪০৭ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ১৬ হাজার ৮০৫ পুরুষ ভোটার আর দুই লাখ ২৩ হাজার ৬০২ জন নারী ভোটার।

এই আসন থেকে এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো: কালাম হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে মো: করম আলী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ থেকে জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির আবিদ হোসেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির মোঃ সেকেন্দার হোসেন, স্বতন্ত্রভাবে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থেকে প্রার্থী ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে গেলে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/26/1545825841237.jpg

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বছরখানেক আগে থেকেই এলাকায় বেশ সক্রিয় ছিলেন সালমান। নিয়মিত এলাকায় যাতায়াত করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। প্রতীক বরাদ্দের পর সেটা আরো বেড়ে গেছে। নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় একাধিক পথসভা, উঠান বৈঠক ও জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। বর্তমান এমপি সালমা ইসলামও ভোটের মাঠে সক্রিয় আছেন। তার এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজগুলোর কথা তুলে ধরে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। এরমধ্যে নবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা এই আসনকে দেশবাসীর নজরে এনেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ব্যানার ফেস্টুন প্রচার প্রচারণায় সালমান এফ রহমান এগিয়ে থাকলেও তার জন্য নির্বাচনটি সহজ হবে না। বেশ কয়েকটি কারণে ঢাকা-১ আসনের ভোট বেশ জমে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

মহাজোট থেকে ‘উন্মুক্ত’ আসন:

ঢাকা-১ আসন (দোহার-নবাবগঞ্জ) বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছয়টি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে চারবার জয় পেয়েছে বিএনপি। একবার করে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা)। দুটি দলই চায় আসন পুনরুদ্ধার করতে। মহাজোটের সমীকরণে এই আসনটি নিয়ে এখনো দেনদরবার চলছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। কিন্তু বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের কোন প্রার্থী এ আসনে না থাকায় আসনটি শেষ পর্যন্ত ‘উন্মুক্ত’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সালমা ইসলাম স্বতন্ত্রভাবে মটোরগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন তবুও তার প্রতি জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের পূর্ণ সমর্থন আছে।

প্রার্থীদের আঞ্চলিকতা ফ্যাক্টর:

নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের গ্রামের বাড়ি দোহার উপজেলায়। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামের বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকা-১ আসনে নবাবগঞ্জের ভোট বেশি। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে নবাবগঞ্জ। আর ৯টি ইউনিয়নের দোহার। দুটি উপজেলাতেই আঞ্চলিকতা নিয়ে বেশ টান রয়েছে। স্ব স্ব উপজেলার প্রার্থীকেই জয়ী দেখতে চান স্ব স্ব এলাকার অধিকাংশ ভোটার।

সালমা পেতে পারেন বিএনপির সমর্থন:

নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক ছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। কিন্তু তার প্রার্থিতা আইনি জটিলতায় হাইকোর্ট থেকে স্থগিত হয়ে যায়। আবু আশফাক এক সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ২০১০ সালে ঢাকা জেলার যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এলাকায় তার বিশাল একটা ভোট ব্যাংক আছে। অন্যদিকে বিএনপিরও প্রচুর জনসমর্থন আছে। ঢাকা-১ আসনে বিএনপি নির্বাচন করতে না পারায় তার ক্ষোভ যেতে পারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উপর। নিজেরা করতে না পারলেও তারা কোনভাবে আওয়ামী লীগকে ভোটে জিততে দিতে রাজি নয়। তাই সালমা ইসলামের সমর্থনে বিএনপির ভোটগুলো চলে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।

তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে শেষ হাসিটা কে হাসবে সেটার জন্য ভোটারদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়।

   

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

১শ ১৬ জন কোটিপতির প্রার্থীর লড়াই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১শ ৫৭টি উপজেলায় ১শ ১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছেন বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় টিআইবি।

টিআইবি জানায়, উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৭টি উপজেলায় একহাজার ৮শ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১শ ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন কোটিপতি, যা আগের নির্বাচনের তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন, ১শ ৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে আটজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোটিপতির সংখ্যা তিনজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোটিপতি সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম মানিক। তার অস্থাবর সম্পদ মোট ৮৪ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ৩৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। তার অস্থাবর সম্পদ মূল্য ২২ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।

ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫ বছরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর আয় বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার শতাংশ। এইক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে, স্ত্রীর সাড়ে ১১ হাজার ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ হাজার চারশত শতাংশ।

;

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;