নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া ওসির প্রত্যাহার দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ

ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নৌকার প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়ায় কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার দাবি করেছেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে জাতীয় ঐক্যফন্ট ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বরাবর লিখিত এক অভিযোগে কলারোয় থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের প্রত্যাহার দাবি করেন এই প্রার্থী।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ এর পক্ষে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চান কলারোয়া থানার ওসি। ভিডিওটি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের সাথে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপক্ষে বিষোদগার করেন বলে অভিযোগ করেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। সরকারি কর্মকতা হিসেবে একজন ওসির এরকম কর্মকাণ্ড গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৭ অনুচ্ছেদ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

হাবিব বলেন, সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই। কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদ এতদিন ধরে প্রচারণায় বাধা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন।’

এসব ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হাবিব নিজে এলাকা ছেড়েছেন বলেও কমিশনকে অবহিত করেন তিনি।

তিনি বলেন, জনমনে ধারণা, তালা-কলারোয়া এলাকায় ভোট ব্যবস্থা করবে পুলিশ, কমিশনের কোন ভূমিকা নেই। তাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কলারোয় থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মদের দ্রুত প্রত্যাহার দাবি করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী।

এছাড়া, সাতক্ষীরা-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে পোস্টারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, মহাজোট মনোনীত ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী তার নিজ দলের প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেছেন। নির্বাচনের আচরণবিধির ৭/২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। আচরণবিধির লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলা হাবিব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন।

আজকে আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটা কথা বলতে চাই। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আপনারা ভোট দেবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। কারণ এই সরকার যত উন্নয়ন করেছে, এই সরকার যেভাবে জনগণের পাশে থেকেছে, আগামীতেও যেন আপনাদের পাশে থেকে সকল বাধা বিপত্তি দূর করে কলারোয়াকে একটি মডেল জেলা হিসেবে উন্নীত করে। এখানকার মানুষ যেন গর্ব করে বলতে পারে যে, আমি কলারোয়ার অধিবাসী, আমি সাতক্ষীরার অধিবাসী। এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

ভিডিও তে আরও দেখা যায়, ওসি মারুফ বলেন, আমি আপনাদের একটা ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছি। কোনো পেশীশক্তি, কোনো দুর্বৃত্তদের জায়গা অন্তত কলারোয়া, সাতক্ষীরাতে হবে না ইনশাল্লাহ। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আপনার ব্যালট, আপনার বুলেট, আপনার ভোটের মাধ্যমে দেখিয়ে দেবেন যে, আপনি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিতে আছেন।

তাই আমাদের জননেত্রী, বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রী, আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার একটি ব্যালট, আপনার একটি ভোট অতি মূল্যবান।

 

   

হোটেলে খেতে গিয়ে দায়িত্ব হারালেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক

প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়ে দায়িত্ব থেকে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারককে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মাজহার ইবনে মোবারক জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক বলেন, আমি রাতের খাবার খেতে বাইরে হোটেলে গিয়েছিলাম। সে সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এসেছেন। এটি আমার জানা ছিল না।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন (২য় ধাপ) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোলেমান আলী বলেন, নিয়ম না মেনে তিনি কেন্দ্রের বাইরে যাওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেখানে নতুন এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

;

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন কাল, ভোটার উপস্থিতি বাড়ার প্রত্যাশা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার

১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি হয়নি। ওইসময় মোট ভোটারের ৩৬ দশমিক এক শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ভোট কেন্দ্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি বাড়বে, ইসির এমন প্রত্যাশা নিয়ে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের ভোট আরও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের সময়ে সবগুলো ভোটই শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়। ভোট পড়লেই খুশি ইসি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের চেয়েও সুষ্ঠু হবে এবং ভোটার উপস্থিতি আগের চেয়েও বাড়বে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলায় তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন। সেই সাথে তিন পদে ২২জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। দু'উপজেলায় তিন পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী লাভ করেছে।

ইসি জানায়, ১৫৬ উপজেলার মধ্য ২৪ উপজেয়ায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। যেসব এলাকায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে ওইসব এলাকায় একটি করে কারিগরি টিম গঠন করেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা...

এদিকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ও সাধারণ কেন্দ্রে বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে নিরাপত্তা বিবেচনায় ১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

১৫৬ উপজেলায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ থাকবে ১৯ হাজার ৫৭ জন। র‍্যাব থাকবে ২৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য থাকবে এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

আচরণবিধি মানাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষ ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্য পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট সম্পন্ন হয় গত ৮ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

সেনবাগে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টকে গুমের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘আনারস’ প্রতীকের এজেন্টদের ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘কলম’ প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান ‘হেলিকপ্টার’ প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের এক এজেন্টকে ‘গুম’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

সোমবার (২০ মে) ‘আনারস’ প্রতীকের একাধিক এজেন্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগের ২ নম্বর কেশারপাড় ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের একজন এজেন্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন।

তারা আমাদের কর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। বিশেষ করে আমার বাড়িতে প্রার্থী আবু জাফর টিপু ভোট চাইতে এসে আমার স্ত্রীকে সরাসরি হুমকি দিয়ে গেছেন। এ ছাড়াও আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করায় কেশারপাড়ের এক বাজারে আমাকে একা পেয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছেন প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি'।

এ এজেন্ট আরো বলেন, ‘আমি পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষা দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আবু জাফর টিপু ও জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করেন। এরা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দিতে চায় না’।

এদিকে, ৩ নম্বর ডমুরুয়া ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের বয়োবৃদ্ধ এক এজেন্ট জানান, আনারস প্রতীকের হয়ে এজেন্ট হলে তাকে গুম করে ফেলা হবে বলে আবু জাফর টিপুর লোকজন হুমকি দিয়েছেন। তিনি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ওই এজেন্টের ছেলে শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা আনারস প্রতীকের জন্য কাজ করায় আমাদের পরিবারকে বারবার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বিশেষ করে আবু জাফর টিপুর লোকজন সরাসরি গুম করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি’।

একই অভিযোগ করেন ৫ নম্বর অর্জুনতলা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের আরেক নারী এজেন্ট।

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে গেলে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। রোববার (১৯ মে) রাতে নির্বাচনি ক্যাম্পেইন করে বাড়ি ফিরে আসার সময় আমাকে বাজারের রাস্তায় আটকে এভাবে হুমকি দেয় জাফর চৌধুরীর সমর্থকেরা। আমি নিরাপত্তা চেয়ে সাইফুল আলম দিপুসহ প্রশাসনের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়েছি'।

অভিযোগের সত্যতা জানতে কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার’ বলে জানান।

তবে তাদের লোকজন এমন কিছু করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘নির্বাচনে হার-জিৎ থাকতেই পারে। তবে রাজনীতির নামে এমন নোংরামি করা উচিত নয়। প্রতিপক্ষের লোকজন পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে অন্তত ১০ জনকে আহত করা হয়েছে। আমার এলাকার কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে যেন না যায়, সেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটাই আমার প্রত্যাশা'।

প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ২১ মে সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। তাই, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।

নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকে প্রতিদিনই আমাদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাধারণ লোকজনের বিপুল উপস্থিতি দেখে তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন গত সংসদ নির্বাচনের সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা আগামী ২১ মে ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে'।

;

নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি ও জেলার ডিবির ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির বরাবর এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ইসি জানায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি জনাব স্বপন রায়কে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত সংযুক্ত করে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের পরবর্তী কোনো কর্মকর্তাকে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিবির ওসি -এর দায়িত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

;