সাতক্ষীরায় নির্বাচনী মাঠে নিরাপত্তাহীনতায় ১৪ দল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা / ছবি: বার্তা২৪

সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় নির্বাচনী মাঠে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গুজব ছড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ও ১৪ দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা এম মুনসুর আহমেদ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্কার্স পাটির জেলা সভাপতি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ‘সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তারই দলীয় নেতা আমানউল্যাহ আমান, আলতাফ হোসেন ও মির্জা মাসুদ জুয়েলসহ কয়েকটি হত্যা মামলার শীর্ষ আসামি। জেলা বিএনপির কোনো নেতা তার পক্ষে নেই। দলীয় নেতাদের খুন করার কারণে বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল চরমভাবে প্রকট। বিএনপির একাংশ তাকে দেখতে চায় না। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মারামারি করলে তার দায় পড়ছে ১৪ দলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, হাবিবুল ইসলাম হাবিব কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছিল হাবিব। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত সাতক্ষীরার ১৬জন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যা করেছিল। গাছ কেটে, রাস্তা কেটে সাতক্ষীরাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল। সেই বিএনপি-জামায়াত আবার স্বমূর্তিতে ফিরে আসায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’

১৪ দলে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আদর্শিক জোট এবং মহাজোট হচ্ছে নির্বাচনী জোট। জাতীয় পার্টি ১৪ দলের কেউ নয়। মহাজোটগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আসন বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। মহাজোটে যারা নৌকা পায়নি তারা স্ব স্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাদের সাথে ১৪ দলের কোন বিরোধ নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনি জটিলতায় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার আজও সম্পন্ন হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু আহমেদ, জাসদ নেতা আশেক-ই-এলাহী, শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, ইদ্রিস আহমেদ, ওয়ার্কর্স পার্টির অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলামসহ অর্ধশত নেতাকর্মী।

   

১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার, ভোটার উপস্থিতি বাড়ার প্রত্যাশা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার

১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি হয়নি। ওইসময় মোট ভোটারের ৩৬ দশমিক এক শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ভোট কেন্দ্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি বাড়বে, ইসির এমন প্রত্যাশা নিয়ে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের ভোট আরও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের সময়ে সবগুলো ভোটই শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়। ভোট পড়লেই খুশি ইসি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের চেয়েও সুষ্ঠু হবে এবং ভোটার উপস্থিতি আগের চেয়েও বাড়বে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলায় তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন। সেই সাথে তিন পদে ২২জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। দু'উপজেলায় তিন পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী লাভ করেছে।

ইসি জানায়, ১৫৬ উপজেলার মধ্য ২৪ উপজেয়ায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। যেসব এলাকায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে ওইসব এলাকায় একটি করে কারিগরি টিম গঠন করেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা...

এদিকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ও সাধারণ কেন্দ্রে বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে নিরাপত্তা বিবেচনায় ১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

১৫৬ উপজেলায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ থাকবে ১৯ হাজার ৫৭ জন। র‍্যাব থাকবে ২৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য থাকবে এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

আচরণবিধি মানাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষ ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্য পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট সম্পন্ন হয় গত ৮ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

সেনবাগে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টকে গুমের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘আনারস’ প্রতীকের এজেন্টদের ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘কলম’ প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান ‘হেলিকপ্টার’ প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের এক এজেন্টকে ‘গুম’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

সোমবার (২০ মে) ‘আনারস’ প্রতীকের একাধিক এজেন্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগের ২ নম্বর কেশারপাড় ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের একজন এজেন্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন।

তারা আমাদের কর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। বিশেষ করে আমার বাড়িতে প্রার্থী আবু জাফর টিপু ভোট চাইতে এসে আমার স্ত্রীকে সরাসরি হুমকি দিয়ে গেছেন। এ ছাড়াও আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করায় কেশারপাড়ের এক বাজারে আমাকে একা পেয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছেন প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি'।

এ এজেন্ট আরো বলেন, ‘আমি পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষা দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আবু জাফর টিপু ও জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করেন। এরা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দিতে চায় না’।

এদিকে, ৩ নম্বর ডমুরুয়া ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের বয়োবৃদ্ধ এক এজেন্ট জানান, আনারস প্রতীকের হয়ে এজেন্ট হলে তাকে গুম করে ফেলা হবে বলে আবু জাফর টিপুর লোকজন হুমকি দিয়েছেন। তিনি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ওই এজেন্টের ছেলে শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা আনারস প্রতীকের জন্য কাজ করায় আমাদের পরিবারকে বারবার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বিশেষ করে আবু জাফর টিপুর লোকজন সরাসরি গুম করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি’।

একই অভিযোগ করেন ৫ নম্বর অর্জুনতলা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের আরেক নারী এজেন্ট।

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে গেলে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। রোববার (১৯ মে) রাতে নির্বাচনি ক্যাম্পেইন করে বাড়ি ফিরে আসার সময় আমাকে বাজারের রাস্তায় আটকে এভাবে হুমকি দেয় জাফর চৌধুরীর সমর্থকেরা। আমি নিরাপত্তা চেয়ে সাইফুল আলম দিপুসহ প্রশাসনের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়েছি'।

অভিযোগের সত্যতা জানতে কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার’ বলে জানান।

তবে তাদের লোকজন এমন কিছু করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘নির্বাচনে হার-জিৎ থাকতেই পারে। তবে রাজনীতির নামে এমন নোংরামি করা উচিত নয়। প্রতিপক্ষের লোকজন পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে অন্তত ১০ জনকে আহত করা হয়েছে। আমার এলাকার কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে যেন না যায়, সেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটাই আমার প্রত্যাশা'।

প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ২১ মে সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। তাই, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।

নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকে প্রতিদিনই আমাদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাধারণ লোকজনের বিপুল উপস্থিতি দেখে তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন গত সংসদ নির্বাচনের সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা আগামী ২১ মে ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে'।

;

নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি ও জেলার ডিবির ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির বরাবর এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ইসি জানায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি জনাব স্বপন রায়কে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত সংযুক্ত করে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের পরবর্তী কোনো কর্মকর্তাকে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিবির ওসি -এর দায়িত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সদর উপজেলার ব্যালট বাক্স,ব্যাগ ও গালা সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি বিতরণের উদ্বোধন করেন রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাশ্বত শীল। ৪টি স্টল করে নড়াইল সদর কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শামীম আহমদসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৪৭ হাজার ৭ শত ৬০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ১শত ২৯ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন। ভোট কেন্দ্র ১০০টি ।

অপরদিকে লোহাগড়া উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৩ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৭৬ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ জন। ভোট কেন্দ্র ৯৭ টি।

;