রংপুর-২: দশের ভেতরে আলোচনায় ৪ প্রার্থী



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুর-২: দশের ভেতরে আলোচনায় ৪ প্রার্থী। ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর-২: দশের ভেতরে আলোচনায় ৪ প্রার্থী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে। এখানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার ব্রত নিয়ে প্রতীক পেয়ে মাঠে নেমেছেন দশজন প্রার্থী। এদের মধ্যে চারজন হেভিওয়েট প্রার্থী। যার তিনজনই জাতীয় সংসদে এ আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

লাঙ্গলের দুর্গখ্যাত এ আসনটিতে বর্তমান সাংসদ বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। অনেক চেষ্টা করেও এবার মহাজোটের প্রার্থী হতে পারেননি। তবে দল তাকে নিরাশ করেনি। শেখ হাসিনা তাকে দিয়েছেন নৌকা প্রতীক। এবার সেই নৌকার বৈঠা শক্ত হাতে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া এ প্রার্থী।

এদিকে রংপুরের উন্নয়নে নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেয়া সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নেক নজরে বদলে গেছে এ অঞ্চল। এই জেলার প্রতিটি এলাকায় পৌঁছে গেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন দেখেছে এখানকার সাধারণ মানুষ। সেই উন্নয়নকে পুঁজি করে জনগণের কাছে নৌকার পক্ষে উন্নয়নের স্বার্থে ভোট চাইছেন ডিউক চৌধুরী।

অন্যদিকে ২০০৮ সালে লাঙ্গল প্রতীকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর এটিএম আজহারুল ইসলামকে (যুদ্ধাপরাধে কারাবন্দী) সোয়া লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন জাতীয় পার্টির আনিছুল ইসলাম মণ্ডল। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীক নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তার সময়েও বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ এলাকাতে উন্নয়ন হয়েছে। তবে তারাগঞ্জের মানুষের কাছে উন্নয়ন সমীকরণে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে সাবেক এ সাংসদের।

সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন, সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ও প্রতিটি এলাকাতে সম-উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিংহ প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন আনিছুল মণ্ডল। এ আসনের রামনাথপুর, রাধানগর, গোপালপুর, মধুপুর, শেখেরহাটসহ তারাগঞ্জ এলাকায় তার ভোটব্যাংক। মিশুক টাইপের আচরণ, সহজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া এবং সুখ-দুঃখে মানুষের খোঁজ খবর নেয়ার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে আনিছুল মণ্ডলের মধ্যে বেশি। দানশীলতার জন্যও সাধারণ মানুষের হৃদয়ে রয়েছে তার বাড়তি স্থান।

জাতীয় পার্টির আরেক সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে ডুবিয়ে লাঙ্গলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে আনিছুল হক চৌধুরী তের হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। সেই মোহাম্মদ আলী সরকার এখন বিএনপির কান্ডারি। লাঙ্গল রেখে ধানের শীষ নিয়েছেন তিনি। প্রবীণ এই রাজনীতিকেরও রয়েছে এ আসনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বদরগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে শুরু করে কালুপাড়া, বিষ্ণপুর, চেংমারী, রাধানগর, রামনাথপুর, লোহানীপাড়ায় রয়েছে তার ভোট ব্যাংক। বিএনপির এই প্রার্থীর বাড়তি সুবিধা হবে জামায়াতের ভোটও জুটবে তার খাতায়।

বদরগঞ্জের সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন, এবার হাড্ডাহাড্ডি ভোটযুদ্ধ হবে। আওয়ামী লীগের ঘরে যেমন শত্রু রয়েছে, তেমনি জাতীয় পার্টির ভেতরে কয়েকটি গ্রুপ এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে। এ কারণে নৌকা-লাঙ্গলের দ্বন্দ্বে ধানের শীষ প্রতীকের মোহাম্মদ আলী মণ্ডল জয়ী হলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।

এদিকে সাবেক তিন সংসদ সদস্যের দৌড় থামাতে এবার লাঙ্গলের জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এরশাদের ইশারায় নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে মহাজোটের প্রার্থী ডিউক চৌধুরীর জয়ের পথ মসৃণ করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার নৌকাকে ঠেকাতে নাছোড় বান্দার মতোই লাঙ্গল ছাড়েননি তিনি। যদিও সম্পর্কে সাবলু চৌধুরীর ভাতিজা ডিউক চৌধুরী। সাবলু চৌধুরীর চাচাতো ভাই প্রয়াত আব্দুল মমিন চৌধুরীর ছেলে হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী। ভোটযুদ্ধের ময়দানে চাচা-ভাতিজার মর্যাদার এ লড়াই ভোটারদের মাঝে বাড়তি উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সাবলু চৌধুরী। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘রংপুর লাঙ্গলের দুর্গ। এখানে লাঙ্গল ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে। আমি শান্তির জন্য, পরিবর্তনের জন্য লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হয়েছি। বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ আওয়ামী লীগের শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ আমাকে ভোট দেবে। এখানে নৌকা নয়, আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মশাল প্রতীকের কুমারেশ চন্দ্র সরকারের সঙ্গে।’

বদরগঞ্জ পৌর এলাকার ভোটার স্থানীয় সাংবাদিক আফরোজা বেগম জানান, নির্বাচনী মাঠে বাবা-ছেলের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে, সেখানে চাচা-ভাতিজা কোনো ঘটনাই নয়। বরং জাতীয় পার্টির একজন লাঙ্গল, একজন সিংহ এবং আরেক দলত্যাগী নেতা ধানের শীষ নিয়ে ভোটে থাকায় আওয়ামী লীগের নৌকার জয় সহজ হবে।

এদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, ‘রংপুরের মানুষ বরাবর জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। আশা করি এবারো তারা জাতীয় পার্টিকে নির্বাচিত করবে।’

তিন লাখ ১২ হাজার ৭৬৬ জন ভোটারের এ আসনে ডিউক চৌধুরী ও সাবলু চৌধুরী ছাড়াও এবারের নির্বাচনে লড়ছেন- সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার (বিএনপি-ধানের শীষ), সাবেক এমপি আনিছুল রহমান মণ্ডল (স্বতন্ত্র-সিংহ), আশরাফ আলী (ইসলামী আন্দোলন-হাতপাখা), কুমারেশ চন্দ্র রায় (জাসদ-মশাল), হারুন অর রশিদ (বিকল্পধারা-কুলা), আশরাফ-উজ-জামান (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল), জিল্লুর রহমান (বিএনএফ-টেলিভিশন) ও ওয়াসিম আহমেদ (এনপিপি-আম)।

   

প্রতিমন্ত্রীসহ তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে তলব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
প্রতিমন্ত্রীসহ তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে তলব

প্রতিমন্ত্রীসহ তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। পরবর্তীতে সেখানে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন পদের প্রার্থীদের প্যানেলের পক্ষে ভোট চান তিনি। এ ঘটনায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীসহ ওই তিন প্রার্থীকে ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তদের তলব করা হয়েছে।

আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আপনি ৩১ মে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠেয় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী পারভীনের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুসারে একজন সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আপনার উল্লিখিত প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আচরণবিধি লঙ্ঘন। উল্লিখিত আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে ২ জুন (রোববার) বেলা ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী ভোট চাওয়ার কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী পারভীনকেও একই দিন বিকেল ৪টায় ইসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। 

;

পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে জরিমানা গুণলেন ইউপি চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলমের আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হলো পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।

জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে ‘ভোট কিয়ত আনারস, ভোট কিয়ত আনারস’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সেবাপ্রার্থী হিসেবে আসা লোকজনকে কোন ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র কোনটি, সেটি ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি ‘আনারস’ প্রতীকে ভোট দিতে বলেন।

বিষয়টি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভিডিও প্রমাণ সহকারে অভিযোগ করলে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুন লায়েল ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এবিষয়ে জানতে একাধিকবার পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের সেলফোনে কল করা হলেও তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান বলেন, কোনো সরকারি স্থাপনায় নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুন লায়েল অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

;

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইসহ ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের জামানত বাজেয়াপ্ত

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের জামানত বাজেয়াপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়। জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ২৮৪টি ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৬১০ ভোট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়াারী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট। সেতু মন্ত্রীর ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪ হাজার ৬১০টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। সর্বশেষ মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলী ১ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।

উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পায়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনকে জামানত রক্ষার জন্য পেতে হতো ১১ হাজার ২৮৪ ভোট। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাকে।

;

তৃতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সচিব জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সচিব ও নবাগত সচিব শফিউল আজিমের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বিদায়ী সচিব জাহাংগীর আলম।

বিদায়ী সচিব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমার তথ্য চাইতেন। অনেক সময় তথ্য থাকতো না। আপনারা আমাকে খোঁচা দিতেন। আমি হয়তোবা আপনাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছি যা শোভন না। তবে আমাদের স্বচ্ছতার কোনো ঘাটতি ছিল না।

তিনি বলেন, আমার আচরণে আপনাদের সহসা কষ্ট দিতে চাইনি। তবুও বিদায় বেলায় আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারাই আমাদের জনগণের কাছে চিনিয়েছেন।

গত ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাংগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে বদলির আদেশ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমরা তো রাজনীতির ভিতরেই বসবাস করি। গণতন্ত্র সরকার রাজনৈতিক দল জনগণ সবকিছু মিলিয়েই গণতন্ত্র। কাউকে আইনের বাইরে গিয়ে সেবা দেওয়া যাবে না। আপনাদের যেটি প্রাপ্য সেটি একশভাগ দেওয়া সম্ভব।

২১ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;