প্রচার শুরু, রাজশাহীতে মহাজোট-ঐক্যফ্রন্টের শক্ত লড়াইয়ের আভাস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দ। সেই সময় পর্যন্ত তর যেনো সইছে না নেতাকর্মীদের। সকাল থেকেই শুরু করেছে পোস্টার টাঙানোর কাজ। সব মিলিয়ে পুরো রাজশাহীজুড়ে প্রচারণার সাজসাজ রব পড়েছে। আর এ প্রচারণার শুরুতেই রাজশাহীর সবকটি আসনে এবার মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

ইতিমধ্যে প্রচারণার সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহীর ৬টি আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। দলীয় কোন্দলও মিটিয়ে ফেলেছেন তারা।

এবার শুরুতেই রাজশাহীর সবকটি আসনে মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মাঠ গুছিয়ে রাখায় এখানে সব আসনে সুবিধায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ১০ বছর পর মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হতে পারে বিএনপি। কারণ রাজশাহী বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তরা গত ১০ বছর ধরে ছিলেন এলাকা ছাড়া। এখনো অনেকে নিজ এলাকার মাটি ছুঁতে পারেন নি। এ অবস্থায় মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হতে পারে বিএনপির প্রার্থীদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহী আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটে যাওয়ায় প্রার্থীরা রয়েছেন ফুরফুরে। সব নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা নৌকাকে বিজয়ী করতে শপথও নিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির কোন্দল এখনো জিইয়ে থাকায় শুরুতেই হোচট খেতে পারেন তাদের প্রার্থীরা। তবে এখনো পর্যন্ত রাজশাহীর ভোটের মাঠ গোছানো রয়েছে আওয়ামী লীগের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/10/1544424455204.gif

সোমবার আনুষ্ঠানিক প্রতীক বরাদ্দের আগেই মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণায় নেমে গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে সবচেয়ে শক্ত লড়াই হবে এবার। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হকের। প্রায় ১৭ বছর পর এ আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। আর ১০ বছর ধরে এটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ওমর ফারুক চৌধুরী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন এখানে। অন্যদিকে জঙ্গি মদদদানের অভিযোগ রয়েছে ব্যারিস্টার আমিনুলের বিরুদ্ধে। ১/১১ এর পর থেকে এলাকা থেকে লাপাত্তা ছিলেন তিনি। এবারেও মনোনয়ন বাতিল হলেও শেষ পর্যন্ত আপিলে টিকে যাওয়ায় লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।

ফারুক চৌধুরী বলেন, আজ তিনি আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করলেও তার মাঠ গোছানো রয়েছে। তিনি বলেন, তার উন্নয়নের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন একজন জঙ্গী মদদদাতা। বর্তমান প্রজন্ম সেটা জেনে উন্নয়নের পক্ষে নৌকায় বেছে নিবে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এবার ১০ বছর পর মুখোমুখি লড়াই হবে ১৪ দলের প্রার্থী বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর। এখানে দুই প্রার্থীই শক্ত। তবে গেল সিটি নির্বাচনের প্রভাবে রাজশাহী সদরের বাতাস বাদশার দিকেই ভর করেছেন। বাদশাও সিটি নির্বাচনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রাপ্ত ভোট হিসেব করেই সক্রিয় রয়েছেন মাঠে। তবে মিন্ওু বিএনপির শক্ত প্রার্থী।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুরে) আসনে বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিন গত ৫ বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন। এবারো তিনি মনোনয়ন পেয়ে মাঠে রয়েছেন সক্রিয়। তবে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। নির্বাচনী এলাকায় ‘বহিরাগত’ হিসেবে পরিচিত তিনি। এখানেও শক্ত লড়াই হতে পারে দুই প্রার্থীর মধ্যে।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী এনামুল হক। এ আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক আমলা আবু হেনা। ২০০৮ সালের আগে তিনি এলাকার এমপি ছিলেন। তার আমলেই বাগমারায় জঙ্গী উত্থান ঘটে। গত ১০ বছর বাগমারার মাটি ছুঁয়ে দেখেন নি তিনি। তার রাজনীতি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল কেন্দ্রিক।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এবার নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার এ আসনে চিকিৎসক নেতা ডা. মনসুর রহমান মাঝি হয়েছেন নৌকার। শুরু থেকে এ আসনে মনোনয়ন নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হলেও এখন সব নেতারা মনসুর রহমানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। বর্তমান এমপি কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও এলাকায় এসে মনসুর রহমানের প্রতি একাত্ত্বতা প্রকাশ করেছেন। নৌকার পক্ষেই কাজ শুরু করেছেন। এ আসনে এবার নাটকীয়ভাবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা। গত ১০ বছরের বেশী সময় ধরে এলাকায় অনুপস্থিত নাদিম। নাদিম মোস্তফা ওই আসনের জনপ্রিয় বিএনপির নেতা।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বর্তমান এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শুরু থেকেই নৌকার পক্ষে ঝড় তুলেছেন। এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী একাধিক নাশকতার মামালার আসামি বর্তমানে কারাবন্দি আবু সাঈদ চাঁদ। শাহরিয়ার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরীক্ষিত বাস্তবায়নে এলাকার মানুষ এবার দলমত নির্বিশেষে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলীয় সব সংকটও কেটে গেছে। লোকাল নেতা হিসেবে তৃণমুল বিএনপিতে চাঁদের জনপ্রিয়তা আছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না এসে সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাসের যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলো মানুষ এখনও তা ভুলেনি। বিএনপি-জামায়াত বারবার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করেছে। মানুষ আর রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসযোগ্য চায়না। তারা চায় দেশের উন্নয়ন। আর দেশের উন্নয়ন করতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তিনি পরীক্ষিত। তাই তার অবস্থান শক্ত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শাহরিয়ার আলম জানান, তার মাঠ সাজানো রয়েছে। আজ বাঘার শাহদৌল্লাহর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।

তৃণমুল ভোটাররা জানান পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়ে এলাকায় নানামুখি উন্নয়ন করার কারণে শাহরিয়ারের পাল্লা অগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।

   

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;