৫ বছরে কোটিপতি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের ৫ জন বিদ্রোহীসহ বিভিন্ন দল থেকে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। গত ৫ বছরে তার প্রায় ১০গুণ আয় বেড়ে এখন কোটিপতি হয়েছেন তিনি। এই পাঁচ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে।

এদিকে কৌশলগত কারণে বিএনপি থেকে হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তার স্ত্রী শাহানারা পারভীন বকুল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অস্থাবর সম্পত্তির দিক দিয়ে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের চেয়ে তার স্ত্রী এগিয়ে আছেন। মামলার দিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার নামে হত্যাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের জমি রয়েছে সবচেয়ে বেশি। তার ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের হলফনামা থেকে এমন তথ্য মিলেছে।

অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ: ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। তার বার্ষিক আয় ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৬ টাকা।

১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ৫ বছরে কোটিপতি হয়েছেন। এই পাঁচ বছরে তার বেড়েছে অস্থাবর সম্পদ। তার নামে এক কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৩৭০ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নামে নগদ ৪৭ লাখ ১২ হাজার ৮৮৮ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০২ টাকা, ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮০ টাকা মূল্যের প্যারাডো জিপ ও এক লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ, টিভি, ফ্রিজ ও এসি, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকার পিস্তল ও পয়েন্ট ২২ রাইফেল রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নামে ১২ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি রয়েছে।

অন্যদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সময় দাখিলকৃত হলফনামায় তার নামে অস্থাবর সম্পদ ছিল এক লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল। বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাব মতো তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণের বেশি।

হাবিবুল ইসলাম হাবিব: সাতক্ষীরা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি পাশ। তিনি ঠিকাদার পেশায় যুক্ত আছেন। এছাড়া কৃষি খাত, বাড়ি ভাড়া ও ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২০ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ টাকা। তার স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৩ টাকা।

এছাড়া তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৮০৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ২০ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৭ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার ট্যাংকলরি রয়েছে। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৯ টাকা, ১৫ লাখ টাকার এফডিআর, ৮ লাখ টাকার প্রাইভেট কার, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। তার নামে হত্যা, হত্যার প্রচেষ্টা, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য, মাদক, প্রতারণা, দুর্নীতি, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সাতটির কার্যক্রম স্থগিত, পাঁচটি বিচারাধীন ও চারটি তদন্তাধীন রয়েছে।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি হাবিব ২ দশমিক সাড়ে ১১ একর কৃষি জমি, ৪৪ দশমিক ৭৫ শতক অকৃষি জমি, পৈত্রিক ভিটায় ২ তলা বাড়ি ও রাজধানীর বনানীতে ৬তলা একটি ভবনের মালিক। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ৮ বিঘা কৃষি জমি ও ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি রয়েছে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বর্তমানে এক কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ টাকা ঋণী।

মুজিবুর রহমান: সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ৭১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ও ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমিসহ ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত হলফনামায় তিনি এসব তথ্য উল্লেখ করেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনে এই প্রার্থী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)। তিনি রাজনীতি ও বিভিন্ন ফার্মে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তার বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় করেন ১ লাখ ৪২ হাজার ২৮৩ টাকা, পরামর্শক হিসেবে আয় ৩৮ হাজার টাকা, সম্মানী হিসেবে আয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, মৎস্য খামার থেকে আয় ২ লাখ ৯ হাজার ৭১৬ টাকা।

শেখ মুজিবুর রহমানের অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণপত্র, ৫৫ লাখ টাকার প্রাডো জিপ, ২২ তোলা স্বর্ণ (৪০ হাজার টাকা), ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

এছাড়া স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার নিজ নামে ১৫.৫ বিঘা কৃষি জমি, ৫ শতক অকৃষি জমি ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ৭ বিঘা কৃষি জমি, ৫ শতক অকৃষি জমি, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি রয়েছে।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত, জাসদের শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ইসলামী আন্দোলনের এফএম আছাদুল হক, কমিউনিস্ট পার্টির আজিজুর রহমান, এনপিপির আব্দুর রশিদ।

   

প্রতিমন্ত্রীসহ তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে তলব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
প্রতিমন্ত্রীসহ তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে তলব

প্রতিমন্ত্রীসহ তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে তলব

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। পরবর্তীতে সেখানে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন পদের প্রার্থীদের প্যানেলের পক্ষে ভোট চান তিনি। এ ঘটনায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীসহ ওই তিন প্রার্থীকে ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তদের তলব করা হয়েছে।

আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আপনি ৩১ মে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠেয় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী পারভীনের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুসারে একজন সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আপনার উল্লিখিত প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আচরণবিধি লঙ্ঘন। উল্লিখিত আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে ২ জুন (রোববার) বেলা ৩টায় নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী ভোট চাওয়ার কারণে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী পারভীনকেও একই দিন বিকেল ৪টায় ইসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। 

;

পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে জরিমানা গুণলেন ইউপি চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলমের আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হলো পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।

জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে ‘ভোট কিয়ত আনারস, ভোট কিয়ত আনারস’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে সেবাপ্রার্থী হিসেবে আসা লোকজনকে কোন ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র কোনটি, সেটি ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি ‘আনারস’ প্রতীকে ভোট দিতে বলেন।

বিষয়টি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভিডিও প্রমাণ সহকারে অভিযোগ করলে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুন লায়েল ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এবিষয়ে জানতে একাধিকবার পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের সেলফোনে কল করা হলেও তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান বলেন, কোনো সরকারি স্থাপনায় নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট, ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি নাজমুন লায়েল অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

;

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইসহ ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের জামানত বাজেয়াপ্ত

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের জামানত বাজেয়াপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়। জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ২৮৪টি ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৬১০ ভোট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়াারী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট। সেতু মন্ত্রীর ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪ হাজার ৬১০টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। সর্বশেষ মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলী ১ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।

উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পায়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনকে জামানত রক্ষার জন্য পেতে হতো ১১ হাজার ২৮৪ ভোট। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাকে।

;

তৃতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সচিব জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সচিব ও নবাগত সচিব শফিউল আজিমের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বিদায়ী সচিব জাহাংগীর আলম।

বিদায়ী সচিব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমার তথ্য চাইতেন। অনেক সময় তথ্য থাকতো না। আপনারা আমাকে খোঁচা দিতেন। আমি হয়তোবা আপনাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছি যা শোভন না। তবে আমাদের স্বচ্ছতার কোনো ঘাটতি ছিল না।

তিনি বলেন, আমার আচরণে আপনাদের সহসা কষ্ট দিতে চাইনি। তবুও বিদায় বেলায় আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারাই আমাদের জনগণের কাছে চিনিয়েছেন।

গত ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাংগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে বদলির আদেশ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমরা তো রাজনীতির ভিতরেই বসবাস করি। গণতন্ত্র সরকার রাজনৈতিক দল জনগণ সবকিছু মিলিয়েই গণতন্ত্র। কাউকে আইনের বাইরে গিয়ে সেবা দেওয়া যাবে না। আপনাদের যেটি প্রাপ্য সেটি একশভাগ দেওয়া সম্ভব।

২১ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;