খুলনা-৪: নতুনত্বের মেরুকরণের অপেক্ষা



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি নির্ভর রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে খুলনা-৪ আসন গঠিত। খুলনা শহর সংলগ্ন নির্বাচনী এ আসনটি নদী বেষ্টিত। জাতীয় সংসদের ১০২ নং আসন এটি।

বিগত নির্বাচনে উন্নয়নের আশায় জনগণ কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপির প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এ আসনে ভোটারদের ভোট ভাবনায় রয়েছে উন্নয়ন। জলাবদ্ধতা নিরসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবে এমন যোগ্য নেতাই অগ্রাধিকার পাবে বলে ভোটারদের প্রত্যাশা। এরই অংশ হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র।

ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় নিজেদের অবস্থান জানাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। অপরদিকে বিএনপির কর্মীরা মাঠছাড়া।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা গত ২৭ জুলাই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পরেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থিতা পাবার আশায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত।

তৃণমূলের অনেক নেতা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে এ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সালাম মুর্শেদীকেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা আছে। তবুও হাল ছাড়ছেন না অনেকেই। শাসকদলের একাধিক নেতার দৃষ্টি এ আসনটির দিকে। নিজ পরিচিতির জানান দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকেই।

খুলনা-৪ আসন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়র প্রত্যাশীরা হলেন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ফুটবলার বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, প্রয়াত সংসদ সদস্য সুজার ছেলে জেলা পরিষদের সদস্য এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু।

অপরদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দু’জন। কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।

জাতীয় পার্টির মনোনয়নে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন দলের জেলা সম্পাদক শাহ হাদিউজ্জামান।

খেলাফত মজলিসের পক্ষে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন।

চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে ইতোমধ্যেই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

এছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোটের হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হবেন অ্যাড. আব্দুল হালিম।

খুলনা-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সংসদ সদস্য সুজার মৃত্যুর পর রাজনীতির নতুন মেরুকরণ হতে পারে এখানে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাড. মমিন উদ্দীন আহমেদ, ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের খান-এ-সবুর, উপ-নির্বাচনে বিএনপি’র একেএম জিয়াউদ্দিন পল্টু, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আট দলীয় জোটের কমরেড শেখ সাইদুর রহমান, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার একেএম মোক্তার হোসেন, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, ২০০১ সালে বিএনপি’র এম নূরুল ইসলাম, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মোল্লা জালাল উদ্দীন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৪ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৪ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৪ জন।

   

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;

নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না: রাশেদা সুলতানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না এবং দেশের মানুষের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। সেই কথা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন সবগুলো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। যাতে এই নির্বাচনগুলো সহিংসতা মুক্ত হয়। মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১১টার দিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বেগম রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলোও আমরা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাই। যাতে সাধারণ মানুষেরা বলতে পারে এই নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যক্তিকে বিজয় করার লক্ষে কাজ করে না। প্রশাসনকেও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দেশে-বিদেশের সব জায়গায় যেন প্রশংসিত হয় বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনের একটাই প্রত্যাশা নির্বাচন যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে। কালিমা লিপ্ত না হয়

প্রার্থীদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না। ভোটার যাতে ভোটকেন্দ্রে আসে সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে কমিশনকে জানালে সাথে সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি

নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, দেশে সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে বিরাজমান থাকে ও জোরদার হয় সেই চিন্তা করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ যেন বলে এই কমিশনের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় নাই, ধ্বংস হয় নাই।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

;

লালমোহনে নির্বাচনী মিছিলে ডিএসবি'র এসআইয়ের উপর হামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে, ভোলার লালমোহনে নির্বাচনি একটি মিছিল থেকে ডিএসবি (ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এর এক পুলিশের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনার একটি ভিডিও এসেছে সংবাদমাধ্যমের  কাছে।

ভিডিও এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ মে) রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে লালমোহন পৌর শহরের হাইস্কুল সুপার মার্কেট এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে পৌর শহরে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটবের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকরা। একই সময় ওই মিছিলের পিছন থেকে মিছিল শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

এসময় মিছিলের ভিডিও ধারণ করছিলেন ডিএসবি'র এসআই একেএম আবদুল হক। তার উপর হামলা চালায় শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শালিক প্রতীকের মিছিল থেকে হামলার শিকার হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানান ডিএসবি'র এসআই কেএম আবদুল হক।

হামলা বিষয় জানতে শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

হামলার হামলার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম। হামলার বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মন্তব্য কোনো মন্তব্য করেননি ওসি।

এদিকে এখনও পর্যন্ত কেন এই ঘটনা কাউকে আটক করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বার্তা ২৪ কে জানান, হামলার ভিডিওটি আমি দেখেছি, হামলার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

;