খুলনা-৩: নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ঘর তুলবে বিএনপি



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনা-৩ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খালিশপুর শিল্পাঞ্চল, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা নিয়ে খুলনা-৩ আসন গঠিত। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল থাকায় শ্রমিক অঞ্চল বলে খ্যাতি রয়েছে এ আসনের। মূলত এ আসনের প্রার্থী হিসেবে শ্রমিক বান্ধব নেতাকেই বিগত দিনে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন জনগণ। সে কারণে শ্রমিক বান্ধব হবার যোগ্যতা অর্জন করা এ আসনে জন্য আবশ্যক বলে মনে করেন অনেকে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৩ আসনের বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা তোড়জোড় শুরু করেছেন বেশ আগেই। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

উন্নয়নের রাজনীতির অংশীদার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ- এ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আগামীতে আসনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে তারা। অপরদিকে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এ আসনে নিজেদের ঘর তুলবে বলে দাবি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-৩ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দলের দৌলতপুর থানা কমিটির সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী।

এছাড়া বিএনপির মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন চারজন। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল, নগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, মহানগর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম।

জাতীয় পার্টির হয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মঞ্জুরুল আলম।

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক।

খুলনা-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একজন শ্রমিক নেত্রী। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন তিনি রাজপথে থেকেছেন। এবারো এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। নির্বাচনী আসনের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বিভিন্ন দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন নেত্রী। তবে অনেকের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। নির্বাচনী এলাকায় তিনি নিয়মিত নন বলেও দাবি একটি অংশের।

এছাড়া এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন- এস এম কামাল হোসেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য তিনি। শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত সাবেক এ ছাত্রনেতার শত শত ব্যানার ও ফেস্টুন চোখে পড়ছে। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণার সময় খুলনা-৩ সংসদীয় আসনে তিনি নিজেকেও পরিচিত করেছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়। বর্তমানে প্রায়ই তিনি নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছেন।

খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নাম শোনা যাচ্ছে বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী ও দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলীর। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সু-সম্পর্ক থাকায় তিনি আগে মনোনয়ন চাইতে পারেননি। এবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার আশা তার।

অপরদিকে, বিএনপির মনোনয়নের টিকিট পেতে যে চারজন চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের ভেতরে এগিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। অসংখ্যা প্যানা, ফেস্টুন আর পোস্টার লাগিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় তার অবস্থান জানান দিচ্ছেন। তবে তিনি নির্বাচনী এলাকায় এসে প্রচার প্রচারণা করেন না। শোনা যাচ্ছে সাবেক এ ছাত্রনেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্পর্ক ভালো থাকায় সবুজ সংকেতের আশায় চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া তৃণমূলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বলে দাবি করেন বিএনপির নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠুর কর্মী-সমর্থকরা। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিগত দিনে বিএনপির সকল আন্দোলনে অংশ নিয়ে তরুণ এ নেতা তার সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছেন। মহানগর সভাপতির সঙ্গে মতবিরোধ থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মহানগর কমিটির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। এ নেতাও বিগত দিনে বিএনপির সকল আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বলে দাবি তার। যে কারণে মনোনয়ন তারই প্রাপ্য বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপির নগর কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী এ আসন থেকে আবারো নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তিনিও বিএনপির আন্দোলনে রাজপথে থেকেছেন নিয়মিত। তবে তরুণ প্রার্থীদের তুলনায় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের তেমন সখ্যতা নেই।

দশম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির হয়ে এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. মঞ্জুরুল আলম। তবে তার কোনো কার্যক্রম চোখ পরে না।

চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন দলের মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক। তিনি দলীয় সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন নিয়মিত।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, খুলনা-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৭০৫ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭১২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৫ জন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল যাচাই করে দেখা যায় খুলনা-৩ আসনে চারবার আওয়ামী লীগ, তিনবার বিএনপি ও একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। অর্থাৎ এ আসন থেকে নির্বাচনী দৌড়ে বিজয় অর্জন করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।

   

ফেনী সদর উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ, প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ফেনীর ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা। এরমধ্যে সব থেকে বেশি উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। নির্বাচনে অন্যকোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। পাশাপাশি প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার।

ফেনী সদরে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস মার্কার পোস্টার-ব্যানারে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিগলি ছেয়ে গেছে। ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি প্রচারের তোড়জোড়ে পাড়া-মহল্লায় চলছে নির্বাচনী মাইকিং। তবে অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো প্রচারণা লক্ষ্যে করা যায়নি।

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে

প্রচারণার মাঠে বর্তমান চেয়ারম্যানের দোয়াত-কলম ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ পোস্টার ব্যানার দোয়াত-কলম প্রার্থীর৷ গুটিকয়েক পোস্টার রয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সদরের ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পথসভা, বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী শুসেন শীল। সভা সমাবেশে সকলকে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করে ভোট উৎসবে মেতে উঠার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২৪ মে) ইউনিয়ন পর্যায়ের মহিলা সমাবেশের শেষ দিনে নিজ ইউনিয়ন বালিগাঁওয়ে মহিলা সমাবেশে অংশ নেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল। এসময় বালিগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার মহিলা সমাবেশে অংশ নেন এবং নিজেদের ইউনিয়নের সন্তানকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হল বাহারের সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিলা আক্তার মিমির সঞ্চালনায় মহিলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাহানারা বেগম সুরমা, সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড়মনি, ফেনী পৌরসভা মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নূরুল আবছার আপন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৩মে থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের ১৬ টি বর্ধিত সভা, ১২টি মহিলা সমাবেশ, পৌর এলাকায় ৬টি পথসভা এবং ফেনী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্রত্যেক ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও মহল্লায় গণসংযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফেনীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, জেলার ওলামা ও মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করবেন তিনি।

আসন্ন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরবাসী ও সদর উপজেলার বাসিন্দাদের ভোট উৎসবে মেতে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শুসেন চন্দ্র শীল বালিগাঁওসহ ফেনী সদরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে হবে। নিজাম হাজারী যেভাবে ফেনীকে সুন্দর রেখেছেন আমাদের সে ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে। দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা যেভাবে সবাই ভোট উৎসব করে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জয়ী করেছি, আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা সবাই একসাথে কাজ করে আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চাই।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা ভোট উৎসব করতে চাই। যে ভোটে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে আমাদের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। দেশ গঠনে আওয়ামী লীগের অবদান সবচাইতে বেশি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ফেনী সদরে উৎসবের আমেজ বইছে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে মুখিয়ে আছে। আমরা সকল ইউনিয়নে গিয়েছি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি। মহিলা সমাবেশ, বর্ধিত সভা, মতবিনিময় সভা করেছি। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেনীর মানুষ ভোট উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি। 

;

উপজেলা নির্বাচন: দৌলতপুরের ওসিকে প্রত্যাহার, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মতো অভিযোগে দুই উপজেলা প্রার্থীকে তলব করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।  

শুক্রবার (২৪ মে) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান ও নির্বাচন শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই তথ্য জানিয়েছে। 

ইসি জানায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হোসাইনের বিরুদ্ধে আচরণ লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না সে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি। এক্ষেত্রে আগামী ২৭ মে সকাল সাড়ে দশটায় ইসিতে উপস্থিত ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকেও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে ব্যাখ্যা তলব করেছে ইসি। তাকে আগামী ২৬ মে বেলা ১১টায় ব্যাখ্যা দিতে আসতে হবে। 

;

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;