প্রাথমিক নির্বাচন সামগ্রী সরবরাহ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিক নির্বাচন সামগ্রী সরবরাহ শুরু, ছবি: সৈয়দ মেহেদী, বার্তা২৪.কম

প্রাথমিক নির্বাচন সামগ্রী সরবরাহ শুরু, ছবি: সৈয়দ মেহেদী, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরমসহ প্রাথমিক নির্বাচনী সামগ্রী জেলা পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে সরবরাহ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ গভর্নমেন্ট প্রিটিং প্রেস থেকে এসব নির্বাচনী সামগ্রী দেশের ৬৪ জেলা থেকে আগত মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন ফরম, রশিদ বই, জামানত বই, প্রতীকের পোস্টার নমুনা, আচরণ বিধির ফরমসহ প্রাথমিক সকল প্রকার নির্বাচনী সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এসব সামগ্রী সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার অথবা জেলা নির্বাচন অফিসারের বরাবর পাঠানো হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/08/1541656682755.jpg

গভর্নমেন্ট প্রিটিং প্রেসের উপ-পরিচালক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের নির্দেশক্রমে মনোনয়ন ফরম ও আচরণ বিধিমালাসহ প্রাথমিক সকল নির্বাচনী সামগ্রী ৬৪ জেলার নির্বাচন অফিসারদের দেওয়া হচ্ছে। আজকেই এই সামগ্রী বিতরণ শেষ হবে।

তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ পেলে আমরা ব্যালট পেপারসহ অন্যন্য নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণের কাজ করব।

এ বিষয়ে ৬৪ জেলা থেকে আগত নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এসব সামগ্রী নিয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে রিটার্নিং অফিসারদের কাছে এসব সামগ্রী পৌঁছাবে।

   

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন কালিয়াকৈরের প্রার্থী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় নির্বাচনি মাঠ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে কালিয়াকৈরের মৌচাকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

সেলিম আজাদ বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতোমধ্যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন শিকদারের সমর্থকেরা বিভিন্ন সময়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আমার নির্বাচনি পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমার এক কর্মী ও এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতিকে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬৫টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে তালিকা করা হয়েছে। এসব এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এতে করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। সে কারণে সব সাংবাদিকের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও ভোটের মাঠ সুষ্ঠু রাখতে আপনারা ভূমিকা রাখবেন।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটকেন্দ্র ১শ ২৮টি। নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯শ ৩৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ২শ ২৯ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার ৭শ ৮ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন।

;

৪ প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ৬ কর্মকর্তাকে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা পৌর মেয়রের নিয়ন্ত্রিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও সরকারি ছয় কর্মকর্তাকে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারের কাছে লিখিতভাবে এই দাবি করেন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন। দাবির চারটি প্রতিষ্ঠানসহ ৮জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬জনই সরকারি কর্মকর্তা। আগামী ২১ মে আখাউড়া ও কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান মনির হোসেন (ঘোড়া) ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস)। ইতোমধ্যে মুরাদকে দলীয়ভাবে সমর্থন দিয়েছেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠন। তারা মুরাদকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলে এলাকায় প্রচারণাও চালাচ্ছেন।

লিখিত আবেদনে মো. মনির হোসেন অভিযোগ করেন, আখাউড়ার পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. তাকজিল খলিফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুরাদ হোসেন ভূইয়াকে সমর্থন দিয়ে প্রকাশ্যই সভা-সমাবেশ করছেন। আচরণবিধি ভঙ্গ করে পৌরসভা কার্যালয়েও সভা করছেন তিনি। সভা সমাবেশে মনির হোসেন সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা তাকজিল খলিফা উপজেলার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। আওয়ামী লীগ নেতা মেয়রের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকেও মুরাদ হোসেন ভূ্ইয়া’র পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ভোটের দিন নিজেরা যেন সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরেন সে বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে তথ্য রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অনেকে গোপনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনির হোসেনের কাছে তথ্য দিচ্ছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। পৌর মেয়র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও তার ঘনিষ্ঠজনরা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পেলে, নির্বাচনে প্রভাবিত করতে পারেন বলে মনির হোসেন আশঙ্কা করছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগ নেতা তাকজিল খলিফার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও তার ঘনিষ্ঠজনকে নির্বাচনের দায়িত্বে না দেওয়ার জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন তিনি। লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফার নিয়ন্ত্রণাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো আখাউড়া পৌরসভা, জাহানারা স্কুল এন্ড স্কুল, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়।

এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তারা হলেন- আখাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর হাসান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফয়ছেল আহাম্মদ খান, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মো. ইকবাল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হাসেন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ইউসুফ নুরুল্লাহ।

নাম উল্লেখ করা সরকারি ছয় কর্মকর্তার মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন বলেন, বিষয়টি নিয় আমরা বিব্রত। আমরাও চাই না নির্বাচনের দিন আমাদের কোনো দায়িত্বে রাখা হোক। আর রাখা হলেও প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমে কিংবা আমাদের বাদ দেয়া হোক।

অভিযোগকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুরাদ হোসেনে পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। প্রতিনিয়ত সরকারিসহ দলীয় প্রতিষ্ঠানে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। ভুরিভোজসহ আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না উপজেলা আওয়ামী লীগ। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যানপ্রার্থী মনির হোসেন। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

টাঙ্গাইলে একমঞ্চে সব চেয়ারম্যান প্রার্থী, সবাই দিলেন প্রতিশ্রুতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পুরুষ-নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জনতার মুখোমুখি করেছেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও পিস ফেসিলিটেটর গ্রুপ-পিএফজি।

বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টায় ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নিয়ে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রার্থী ও জনতার মুখোমুখি নিয়ে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুব সমাজ ও তরুণ প্রজন্মরা অংশ নেন। তারা প্রার্থীদেরকে নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি করে। উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাস রোধ, বাল্যবিয়ে, পিছিয়ে পড়া চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সকল বিষয় ওঠে আসে।

এরপরই ওঠে আসে উপস্থিত ভোটারদের নানা প্রশ্ন ও অভিযোগের কথা। তারা অভিযোগ করে বলেন- নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা অনেক ভালো ভালো কথা বলেন, নানা প্রতিশ্রুতি দেন। মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। অথচ ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীরা ভোটারের কথা ভুলে যান। তাদের খোঁজ-খবর থাকে না।

সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মহিউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ময়মনসিংহের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জয়ন্ত কর ও উপজেলা শাখা সুজনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছা. নার্গিস বেগম, মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু, আরিফুল হক আরজু, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী খান ও খোরশেদ আলম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আলিফ নুর মিনি, হোসনে আরা বেবী, সাদিয়া আফরিন খানম ও মঞ্জুয়ারা বেগম।

জাতীয় সঙ্গীদের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাসহ সাধারণ ভোটাররা হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শপথে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেন যে- তারা অসৎ, দুর্নীতিবাজ, কালোবাজারি, ঘুসখোর, চাঁদাবাজ কোনো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন না। শপথবাক্য পাঠ করান সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মহিউদ্দিন আহমেদ।

;