ঢাকা বিভাগে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ওপর নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির ভোটের কৌশল। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।

আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট পৃথকভাবে ৩শ’ আসনেই নির্বাচন করবে। জাতীয় পার্টির দু’ধরনের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এর অংশ হিসেবে ৩শ’ আসনে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছে জাতীয় পার্টি। একাধিক বিকল্প ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বার্তা২৪.কম-এ প্রথম ধাপে প্রকাশ করা হচ্ছে ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদের তালিকা।

ঢাকা-১ আসনে একক প্রার্থী রয়েছে বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ঢাকা-২ আসনে শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৩ আসনে মনির সরকার ও হাজী সাব্বির আলী, ঢাকা-৪ বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ বর্তমান এমপি প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।

ঢাকা-৮ আসনে মোট চারজন প্রার্থীদের তালিকা করা হয়েছে। এই আসনে শরীক দল ইসলামী মহাজোটের একজনের নামও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আসনে ইসলামী মহাজোটের প্রার্থী আমিনা মোর্তুজা টলি, জাতীয় পার্টির রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রুবেল।

ঢাকা-৯ আসনে খসড়া তালিকায় প্র্রার্থী হিসেবে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, ঢাকা-১০ আসনে মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ আসনে এসএম ফয়সল চিশতী ও কাজী আবুল খায়ের, ঢাকা-১২ দেওয়ান আলী, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও নিসার উদ্দিন চৌধুরী (বিএনএ জোট), ঢাকা-১৪ মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা-১৫ সামছুল হক, ঢাকা-১৬ আসনে সুলতান আহমেদ সেলিম ও আমানত হোসেন আমানত।

ঢাকা-১৭ আসনে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ঢাকা-১৮ আসনে চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ও জাকির হোসেন মৃধা। এই আসনে বিএনএ জোটের প্রার্থী হিসেবে আখতার হোসেনের নাম রয়েছে।

ঢাকা-১৯ বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, আবুল কালাম আজাদ ও কাজী মতিউর রহমান, ঢাকা-২০ আসনে রয়েছেন খান মোহাম্মদ ইস্রাফিল খোকন ও দেলোয়ার হোসেন মিলন।

গাজীপুর জেলা
রাজধানীর নিকটবর্তী জেলা গাজীপুর-১ আসনে খন্দকার আব্দুস সালাম ও শরিফুল ইসলাম শরিফ, গাজীপুর-২ এমএম নেওয়াজ উদ্দিন, অ্যাড মাহাবুব আল মামুন ও জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর-৩ আজাহারুল ইসলাম সরকার ও মোতাহার হোসেন মানিক, গাজীপুর-৪ আজম খান, আরিফুর রহমান খান, আনোয়ার কবির ও সামছুদ্দিন খান, গাজীপুর-৫ জয়নাল আবেদীন, শিশির আজম ও মোশারাফ হোসেন।

নরসিংদী জেলা
নরসিংদী-১ আসনে শফিকুল ইসলাম শফিক, ওসমান গণি ভুঁইয়া (ইসলামী মহাজোট), নরসিংদী-২ আজম খান, এসকে কামরুল ইসলাম, আবু সাঈদ স্বপন, রফিকুল ইসলাম খান (বিএনএ জোট), নরসিংদী-৩ রেজাউল ইসলাম বাসেত ও আলমগীর কবীর, নরসিংদী-৫ মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সাত্তার ও মনির হোসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা
মানিকগঞ্জ-১ আসনে সুলতান মাহমুদ, আলী কসর ও আরশেদ আলী (ইসলামী মহাজোট), মানিকগঞ্জ-২ সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান মিরু ও আবুল কালাম আজাদ (ইসলামী মহাজোট), মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জহিরুল ইসলাম রুবেল, হাবিবুল্লাহ ও আব্দুল খালেদ খান (ইসলামী মহাজোট)।

নারায়ণগঞ্জ জেলা
নারায়ণগঞ্জ-১ সাইফুল ইসলাম ও কেএম আবু হানিফ হৃদয় (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-২ জাতীয় যুব সমাজের সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন ও কেএম আবু হানিফ হৃদয় (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, অ্যাড জিনাত ফেরদৌসা ঝুমা (ইসলামী মহাজোট), নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান, মিসেস পারভীন ওসমান ও জয়নাল আবেদীন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা
মুন্সীগঞ্জ-১ প্রেসিডিয়াম সদস্য এরশাদের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে জয়নাল আবেদীন, নোমান মিয়া, কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম খন্দকার (ইসলামী মহাজোট), মুন্সীগঞ্জ-৩ আব্দুল বাতেন ও গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

টাঙ্গাইল জেলা
টাঙ্গাইল-১ মো. মঞ্জু, টাঙ্গাইল-২ সামছুল হক তালুকদার, টাঙ্গাইল-৩ অ্যাড. সুয়েত আলী, টাঙ্গাইল-৪ মোস্তাক আহমেদ, টাঙ্গাইল-৫ পীরজাদা শফিউল আলম মনির, আবুল কাশেম ও মোজাম্মেল হক, টাঙ্গাইল-৬ এমদাদ হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল আলম জহির ও নুরুল ইসলাম নুরু, টাঙ্গাইল-৮ কাজী আশরাফ সিদ্দিকী।

কিশোরগঞ্জ জেলা
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এসএম মোস্তফা খান পাঠান, আশরাফ উদ্দিন রেনু, মোস্তাইন বিল্লা ও আব্দুল গণি, কিশোরগঞ্জ-২ সৈয়দ সাদরুল উল্লাহ মাজু, আবু সাঈদ, মো. খুররম জাহাঙ্গীর আলম সৈকত। কিশোরগঞ্জ-৩ বর্তমান এমপি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু, বিএনএ জোটের আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাব ও কাজী আফতাব, কিশোরগঞ্জ-৫ হোসাইন উদ্দিন হিরা, অ্যাড. আইয়ুব, তাজুল ইসলাম তোজ ভৈরবী ও কিশোরগঞ্জ-৬ আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিক ও এনকে সোহেল।

রাজবাড়ী জেলা
রাজবাড়ী-১ খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু, হাজী শাহাদত হোসেন মিল্টন, রাজবাড়ী-২ মোহাম্মদ আবুল হোসেন, এবিএম নুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, রফিকুল শামীম ও মনোয়ার ই খোদা মন্টি চৌধুরী।

গোপালগঞ্জ জেলা
গোপালগঞ্জ-১ আব্দুল মান্নান শেখ মুন্নু, গোপালগঞ্জ-২ আলমগীর হোসেন ও কাজী শাহীন গোপালগঞ্জ-৩ মোঃ রঞ্জন ও নুর ইসলাম (ইসলামী মহাজোট)

ফরিদপুর জেলা
ফরিদপুর-১ আক্তারুজ্জামান খান ও কামরুজ্জামান, ফরিদপুর-২ মিয়া আলমগীর ও ফরিদুল রহমান শিপন, ফরিদপুর-৩ এসএম ইয়াহিয়া ও হাসিনা ইমরান চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ আনোয়ার হোসেন ও শামসুল কবীর চৌধুরী (বিএনএ জোট)।

শরীয়তপুর জেলা
শরীয়তপুর-১ মাসুদ উর রহমান মাসুদ, শরীয়তপুর-২ শারমিন পারভীন লিজা ও সুলতান সরদার, শরীয়তপুর-৩ মম ওয়াসিম ও এমএ হান্নান।

মাদারীপুর জেলা
মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, মাদারীপুর-২ সিরাজুল ইসলাম স্বপন, মাদারীপুর-৩ এমএ খালেক।

এই তালিকা প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে করা হয়েছে। যদিও পার্লামেন্টারী বোর্ড প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে। তবুও খুব কম ক্ষেত্রেই এই তালিকার পরিবর্তন হতে পারে। এর ভেতর থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

অন্য বিভাগের খসড়া তালিকা জানতে চোখ রাখুন বার্তা২৪.কমে

   

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;