পাবনা-৪: নতুন মুখের সম্ভাবনায় আ.লীগ, বিএনপিতে একক প্রার্থী



আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট
পাবনা-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাবনা-৪ আসন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগে নতুন প্রার্থীর সুর আর বিএনপিতে একক প্রার্থী এমন খবরেই সরব পাবনা-৪ নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা স্ব স্ব দল থেকে মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড জনসম্মুখে তুলে ধরাসহ আলাদা আলাদা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নানা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব ও জামায়াতের মাওলানা নাসির উদ্দিনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার। ১৯৯৬ সালে আসনটি দখল করে আওয়ামী লীগের শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। সেবার বিএনপির সিরাজুল ইসলাম সরদার ও জামায়াতের মাওলানা নাসির উদ্দিনকে পরাজিত করেন তিনি। এরপর একাধারে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচিত হন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। ২০১৪ সালে অবশ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, শামসুর রহমান শরীফ ডিলু চারবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পেছনে বিএনপির গ্রুপিংকেই দায়ী করছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদরা। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী তুখোড় ছাত্রনেতা ও ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব যোগ দেন বিএনপিতে। হাবিবের যোগদানের পর বিএনপি হাবিব-সিরাজ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। ২০০১ সালে সিরাজ সরদার মনোনয়ন পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হন হাবিব। সেইবার হাবিব-সিরাজের দ্বন্দ্বে গোল দেয় আওয়ামী লীগের শরীফ ডিলু। ২০০৮ সালেও দল থেকে মনোনয়ন পান সিরাজ। এবার হাবিব মাঠে বিদ্রোহী না হলেও ভোটে বিদ্রোহী হয়ে দাঁড়ায় সিরাজের বিরুদ্ধে। তাতেই বাজিমাত ডিলুর। তবে বর্তমানে সিরাজের চাইতে হাবিব এলাকায় নিজের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রমাণ করার চেষ্টায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।

এ আসন থেকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত বলে দাবি করছে তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। তারা বলছে, মনোনয়ন চাওয়া ও জয়ী হওয়ার মতো শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই তার। তবে নতুন করে নির্বাচনী মাঠে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) এএসএম নজরুল ইসলাম রবির। এই আসনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সরকারের উন্নয়ন বার্তা জানান দেয়াসহ নির্বাচনমুখী নানা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রী হবার পর ঈশ্বরদীতে নিজ দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরির পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে। পরিবার কেন্দ্রিক রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে পারেননি। সর্বশেষ নিজ জামাতা ও ছেলের মধ্যে বিভাজন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ওঠে নিজ দলের মধ্যেই। এছাড়া তার বয়স হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায় ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষ।

এই সুযোগ পেতে নৌকার প্রার্থী হতে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, মন্ত্রীর জামাই ও ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।

অপরদিকে এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার। কিন্তু নেতাকর্মীরা তার ওপর হতাশ, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাঠের বাইরে আছেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামে কিছুটা পিছিয়ে তিনি। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের দাবি, এবার মনোনয়ন পাবেন তিনি। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছেন বলে তারা দাবি করছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা জানান, হাবিব মনোনয়ন পেলে বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারে। এছাড়া ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আকরাম আলী খান সঞ্জু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু ও বিএনপি নারী নেত্রী ললিতা গুলশান মিতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

এদিকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতের মাওলানা নাসির উদ্দিন। পরবর্তী ২০০১ ও ২০০৮ সালে জোটকে ছাড় দিয়ে এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। জামায়াতের দাবি, জয়ী হওয়ার মতো ভোট ব্যাংক থাকতেও জোটের স্বার্থে দুইবার আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপিকে। কিন্তু বিএনপির ঘরোয়া দ্বন্দ্বে মাসুল গুনতে হয়েছে জামায়াত ও জোটকে। তাই এবার আসনটি ফিরে পেতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত। মাঠ পর্যায়ে ভালো পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা থাকায় এখানে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল প্রার্থী হতে চাইবেন। সর্বশেষ গত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের পদে প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। এছাড়া এ আসনের অপর উপজেলা আটঘরিয়ায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছিল জামায়াত। অন্যদিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হায়দার আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

এ আসনে জয় পেতে বিএনপির কোন্দল গ্রুপিং মেটানোর কোনো বিকল্প নেই। দ্বন্দ্ব শেষ করে একক প্রার্থী দিলে বিএনপি আসনটি পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে পারবে। তা না হলে বরাবরের মতো আসন হারাতে হবে বিএনপিকে। সে হিসেবে সিরাজ সরদার ইতিপূর্বে যেহেতু প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন, তাই এবার হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রার্থী হিসেবে একবার পরীক্ষা করা যেতেই পারে। এমনটি মনে করছেন বিএনপির অনেকেই।

আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বয়সের কারণে শামসুর রহমান শরীফ ডিলুকে প্রার্থী দেখতে চান না দলের মধ্যে একটি বড় অংশ। কারণ তিনি তিনবার এমপি হয়েছেন, একবার মন্ত্রী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে রয়েছেন। আর কী তার চাওয়ার আছে? তাই নতুন নেতৃত্ব দেখতে চান নেতাকর্মীরা-এমন জোর আলোচনা রয়েছে। এমন সমীকরণে বর্তমান সাংসদ ডিলুর পরই নজরুল ইসলাম রবি ও পাঞ্জাব বিশ্বাস নৌকার নতুন প্রার্থী হতে পারেন। আর তাতেই লড়াই জমবে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে।

   

ফেনী সদর উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ, প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ফেনীর ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা। এরমধ্যে সব থেকে বেশি উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। নির্বাচনে অন্যকোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। পাশাপাশি প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার।

ফেনী সদরে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস মার্কার পোস্টার-ব্যানারে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিগলি ছেয়ে গেছে। ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি প্রচারের তোড়জোড়ে পাড়া-মহল্লায় চলছে নির্বাচনী মাইকিং। তবে অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো প্রচারণা লক্ষ্যে করা যায়নি।

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে

প্রচারণার মাঠে বর্তমান চেয়ারম্যানের দোয়াত-কলম ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ পোস্টার ব্যানার দোয়াত-কলম প্রার্থীর৷ গুটিকয়েক পোস্টার রয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সদরের ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পথসভা, বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী শুসেন শীল। সভা সমাবেশে সকলকে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করে ভোট উৎসবে মেতে উঠার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২৪ মে) ইউনিয়ন পর্যায়ের মহিলা সমাবেশের শেষ দিনে নিজ ইউনিয়ন বালিগাঁওয়ে মহিলা সমাবেশে অংশ নেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল। এসময় বালিগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার মহিলা সমাবেশে অংশ নেন এবং নিজেদের ইউনিয়নের সন্তানকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হল বাহারের সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিলা আক্তার মিমির সঞ্চালনায় মহিলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাহানারা বেগম সুরমা, সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড়মনি, ফেনী পৌরসভা মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নূরুল আবছার আপন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৩মে থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের ১৬ টি বর্ধিত সভা, ১২টি মহিলা সমাবেশ, পৌর এলাকায় ৬টি পথসভা এবং ফেনী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্রত্যেক ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও মহল্লায় গণসংযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফেনীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, জেলার ওলামা ও মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করবেন তিনি।

আসন্ন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরবাসী ও সদর উপজেলার বাসিন্দাদের ভোট উৎসবে মেতে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শুসেন চন্দ্র শীল বালিগাঁওসহ ফেনী সদরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে হবে। নিজাম হাজারী যেভাবে ফেনীকে সুন্দর রেখেছেন আমাদের সে ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে। দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা যেভাবে সবাই ভোট উৎসব করে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জয়ী করেছি, আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা সবাই একসাথে কাজ করে আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চাই।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা ভোট উৎসব করতে চাই। যে ভোটে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে আমাদের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। দেশ গঠনে আওয়ামী লীগের অবদান সবচাইতে বেশি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ফেনী সদরে উৎসবের আমেজ বইছে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে মুখিয়ে আছে। আমরা সকল ইউনিয়নে গিয়েছি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি। মহিলা সমাবেশ, বর্ধিত সভা, মতবিনিময় সভা করেছি। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেনীর মানুষ ভোট উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি। 

;

উপজেলা নির্বাচন: দৌলতপুরের ওসিকে প্রত্যাহার, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে তলব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মতো অভিযোগে দুই উপজেলা প্রার্থীকে তলব করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।  

শুক্রবার (২৪ মে) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান ও নির্বাচন শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই তথ্য জানিয়েছে। 

ইসি জানায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হোসাইনের বিরুদ্ধে আচরণ লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না সে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি। এক্ষেত্রে আগামী ২৭ মে সকাল সাড়ে দশটায় ইসিতে উপস্থিত ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকেও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে ব্যাখ্যা তলব করেছে ইসি। তাকে আগামী ২৬ মে বেলা ১১টায় ব্যাখ্যা দিতে আসতে হবে। 

;

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;