শেখ হাসিনাতেই ভরসা পীরগঞ্জবাসীর



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেখ হাসিনাতেই ভরসা পীরগঞ্জবাসীর। ছবি: বার্তা২৪.কম

শেখ হাসিনাতেই ভরসা পীরগঞ্জবাসীর। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ি খ্যাত পীরগঞ্জ আসনে (রংপুর-৬) জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। পিছিয়ে নেই বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা এরশাদের জাতীয় পার্টি। এছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত।

টানা ২২ বছর রাজত্ব করা জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের দুর্গ খ্যাত রংপুর-৬ আসনে বর্তমান এমপি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে আসনটি তিনি ছেড়ে দিলে এখানে উপ-নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অষ্টম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের কাছে সামান্য ভোটে পরাজিত হলেও নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে পরপর এমপি হন। তখন থেকেই এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে।

অতীত নির্বাচনে ফলাফলে দেখা যায়, ২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির নুর মোহাম্মদ মণ্ডল। তিনি পেয়েছিলেন ৯০ হাজার ৭৩০ ভোট এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৯৯১ ভোট।

পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৪২ ভোট। অন্যদিকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির নুর মোহাম্মদ মণ্ডল।

এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ির এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা। নির্বাচনী বৈতরণি সহজে পার হওয়ার জন্য এ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অথবা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান রাঙ্গা।

পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, গেল ১০ বছরে পীরগঞ্জ এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তা বিগত সময়ের কোনো সরকারই করেননি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের মানুষের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। এখানকার মানুষরা এখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। এ কারণে এই আসনে শেখ হাসিনা বা সজীব ওয়াজেদের বিকল্প কাউকে দেখছেন না তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতার বিষয়টি দলের কোনো নেতা নিশ্চিত করতে পারেননি। এ আসনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না করলে শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রার্থী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জোটগতভাবে নির্বাচন না হলে হিসাব বদলে যেতে পারে বলেও মনে করছেন নেতারা।

জাতীয় সংসদের হেভিওয়েট এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদ মণ্ডল। তারা দু’জনই দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন এবং গণসংযোগ করছেন।

অন্যদিকে এরশাদের জাতীয় পার্টির পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী নুর আলম যাদু, পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি নোমান ইকবাল খসরু।

এছাড়াও হেভিওয়েট এই আসনে জাসদ, বাসদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;